Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

জীবন যখন অনলাইন
অনিন্দিতা বসু সান্যাল

বেণী-সমেত লম্বা চুলের ডগাটা কাটতে কাটতেই ফোনটা এল। সকাল সাতটা। খবরের কাগজ অনেকক্ষণ আগেই ফেলে গিয়েছে চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার সামনে। ভোরেই ওঠার অভ্যেস মন্দিরার। দিনের টুকটাক কাজ, সকালের ওট্‌স, পাকা পেঁপে, অ্যামন্ড বাদাম সহযোগে প্রাতরাশ সেরে জপে বসবেন। রান্নাঘরে গিয়ে রাইস- কুকারে হাফ-কাপ চাল ধুয়ে, ওপরে দুটো উচ্ছে ও একটা গাজর সিদ্ধ দিয়ে সুইচ অন করে চলে এলেন। মাছের ঝোল করাই আছে দু’দিনের মতন। ইতিমধ্যেই চলভাষটি বেজে উঠল। নম্বরটি বিদেশের এবং পরিচিত। পুত্র মৈনাকের।   
—কেমন আছ মা? 
—ভালো, তুই, তোরা কেমন, বাবুসোনা? অফিস থেকে ফিরলি?
—হ্যাঁ, মা, আজ একটু দেরিই হল। 
—শরীরটরির ঠিক তো, বাবা?
—একদম পারফেক্ট। নো চিন্তা মম‌।
—কবে আসছিস বাবা তোরা? একা-একা যে আর পারছি না।
—এই তো, আর মাস তিনেক অপেক্ষা কর। জাপানে একটা বড় প্রজেক্ট আছে। ফেরার পথে দিন দশ-বারো তোমার সঙ্গে কাটিয়ে ফিরব।
—ওহ, ঠিক আছে।  
—তোমার ওষুধ সব ঠিকঠাক খাচ্ছ তো? প্রেশার ও সুগার নিয়মিত চেক-আপ হচ্ছে  তো?
—হ্যাঁ, চিন্তা করিস না, যমুনা নিয়মিত সবটুকু ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। 
—যমুনাটি কে মা?
—একটি বছর ত্রিশের মেয়ে। কাছেই থাকে। খুবই ভালো মেয়ে। আমার দরকারি সব কিছু করে দেয়।
—তুমি কি বহুদিন চেনো? অনেস্ট? 
—বেশি দিন নয়। পরিচিত প্রতিবেশীদের অনেকের কাছ থেকে ওর কথা জেনেছি। সবাই তো বিশ্বাস করে। পরোপকারী, বিশেষত সিনিয়র সিটিজেনদের সাহায্য করে। ইংরেজিতেও দক্ষ মোটামুটি। ব্যাঙ্কের কাজ বা যা কিছুই বলি, হাসি মুখে করে দেয়। চাহিদাও সামান্যই। 
—না মা, কাজটা ঠিক হচ্ছে না। আমাকে জানাওনি কেন? এসব মেয়েরা প্রথমে বিশ্বাসযোগ্যতা আদায় করে, পরে ছুরি বসায়। টিভিতে কাগজে তাহলে কী পড়, কী দেখো মা?
—সে তোকে অত দূরে বসে না ভাবলেও চলবে বাবু। আমি সামলে নেব। আমি মানুষ চিনি। বয়স তো কম নয়। অভিজ্ঞতাও প্রচুর। স্বার্থহীন আর স্বার্থপরকে ভালোই উপলব্ধি করেছি। বিশেষত তোর বাবার অবর্তমানে।
—আচ্ছা, আমি গিয়ে পুরো ‘সেট-আপ’ পাল্টে ফেলব।
নিরুত্তর মন্দিরার একটা দীর্ঘশ্বাস পড়ল। ও প্রান্তের মৈনাকও ‘কল ইউ লেটার’ বলে ফোন কেটে দিল। ফোনে ছেড়ে স্বগোতক্তিতে মন্দিরা বললেন, অন্য ‘সেট-আপ’ তো কোনও-না-কোনও বৃদ্ধাশ্রম। যতই বল, আমি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে নড়ছি না।
দুই
সাড়ে আটটায় যমুনা কলিং বেল বাজাল। বেশ সুন্দর সেজেছে আজ। হলুদ শাড়ির সঙ্গে লাল ঘটি হাতা ব্লাউজ তলায় লেস দেওয়া। চোখে কাজল, চুলটা আলগা খোপা, তাতে আবার দুটো কাঁঠালচাঁপা ফুল। দারুণ লাগছে। 
একগাল হাসি নিয়ে বলে, ‘মাসিমা’।  মন্দিরা দেরি করেন না। একটা বেতের শৌখিন ব্যাগ এগিয়ে দেন, সঙ্গে ফর্দ ও টাকাপয়সা। কিছু সময়ের ব্যবধানে যমুনা এসে ‘ট্যু-দ্য-পাই’ হিসেব দিয়ে সবটুকু বুঝিয়ে দিয়ে যায়। এমনকী মাছ-মাংস ধুয়ে ফ্রিজে রাখা এবং আনাজপাতি যথাস্থানে রেখে ব্যাগটাও জায়গা  মতন টাঙিয়ে রেখে যায়। প্রয়োজনে ব্যাঙ্ক, মিউনিসিপ্যালিটি, কী ওষুধের দোকানেও ছোটে। অনেক সময় বেশ কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। বিনিময়ে সামান্যই নেয়, কাজ বুঝে। 
আসলে বাপ-মা মরা যমুনার এখন ঠিকানা দাদা-বউদির হোটেল। পাস গ্র্যাজুয়েট। অল্প কম্পিউটার জানে। স্কুলে থাকতে এক সময় তবলাও শিখেছিল, বেশ নামও করেছিল। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে, সেসব শখ গিয়েছে। এখন টুকটাক টিউশন আর এই স্বেচ্ছায় প্রতিবেশী বয়স্কদের উপকার করা। বয়স্ক মানুষদের কাজ করতে ওর ভালোই লাগে। সঙ্গে যেটুকু পায়, তাতে হাত-খরচা চালিয়েও সংসারে কিছু দিতে পারে। গতবার তো একটা বড় গাড়িতে আশপাশের একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পুজোয় ঠাকুরও দেখিয়ে এনেছে। নির্ঝঞ্ঝাট বউদির এসব নিয়ে কোনও বিরোধ নেই ননদের সঙ্গে।   
এই তো সেদিন রাত এগারোটায় মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন মন্দিরা। অন্ধকারে ভারী শরীর একা একা হামাগুড়ি দিয়ে কোনওমতে মোবাইল নিয়ে যমুনাকে ফোন করেছিলেন, আধঘণ্টা হয়নি, যমুনা পাশের ফ্ল্যাটের কাকিমার থেকে ডুপ্লিকেট চাবি নিয়ে দরজা খুলে ডাক্তারসমেত হাজির! প্রেশার মেপে, পাল্‌স পরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন দিলেন ডাঃ মুখার্জি। সেই রাতেই যমুনা ওষুধও এনেছিল স্কুটি চেপে। সারারাত বসেছিল মন্দিরার পায়ের কাছে।  
স্বামী বিপ্লব রায়ের অকস্মাৎ চলে যাবার পরই দিন কুড়ির মাথায় মৈনাক বিদেশে চলে যায়। তার আগেই কলকাতার ঘিঞ্জি পরিবেশ ছেড়ে এই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন বিপ্লব। মৈনাক যাওয়ার পর, চারদিক খোলা, হাওয়া-বাতাসপূর্ণ সুন্দর চারতলা বাড়ির ফ্ল্যাটটি সুন্দর সাজিয়েছিলেন মন্দিরা। মাসে এক-আধবার ফোন করে মৈনাক। তখন পৃথিবীটা একটু বদল হয়। ফের শুনশান একাকিত্ব। দোতলার কোনাকুনি ফ্ল্যাটে থাকেন পৃথ্বীশ সেন। বড় পোস্টে চাকরি করতেন। মিসেস সেনের মাথার গোলমাল। থাকেন বারুইপুরের অ্যাসাইলামে। তাঁর ডাক্তার ছেলেও ইউরোপে বহু বছর। তিন মাসে মিনিট পাঁচেকের ফোনে কর্তব্য সমাপন। মাঝে মাঝে বারান্দায় এলে মন্দিরার সঙ্গে কথাবার্তা চলে। দু’একবার চা খেয়েও গিয়েছেন। তিনিও বলেন, ‘যমুনাই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে, মিসেস রায়। বড্ড ভালো মেয়ে। নিজের ছেলে খোঁজ নেয় না, আর এই অল্প ক’দিনে যমুনা কত আপনার হয়ে উঠেছে, যেন কতদিনের চেনা!’    
তিন
এই যমুনাকে নিয়েই সমস্যা শুরু মন্দিরার। মৈনাক কিছুতেই চাইছে না, যমুনা তাদের বাড়িতে আসুক। ক’দিন আগেই হঠাৎ মৈনাকের আচমকা ফোনে বিস্তর কথা কাটাকাটি। সে বলছে, ‘তুমি এ ধরনের মেয়েকে বিশ্বাস কোরো না। ওরা একটা টাইপ। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে লোকের উপকার করে। আসল ধান্দা অন্য। মিষ্টি কথায় টাকা-কড়ি, এমনকী বাড়ি-ঘর হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল!’ 
মন্দিরা বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘তুই অত দূরে বসে ধান্দা বুঝে গেলি, বাবুসোনা! বাবা চলে যাওয়ার পর বিদেশের অফারে মাকে একা ফেলে চলে গেলি। বিয়ে করলি বিদেশিনী। মতামতের অপেক্ষায় রইলি না।... এখন ধান্দা বোঝাচ্ছিস কাকে?’
‘শোনো মা, এটা একটা নতুন চক্র। চাকরির বাজার মন্দা। বয়স্করাই এদের টার্গেট।... যাই হোক, বলে লাভ নেই। এবার আমিই একটা অল্টারনেটিভ ব্যবস্থা করব। দু’দিন পর আবার ফোন করছি।’
এই দু’দিন মন্দিরার চরম অস্বস্তিতে কাটল। ছেলের কথায় কিছুটা যুক্তি পান ঠিকই, তবে বিশ্বাস করতে মন চায় না। যমুনাকে তো সেভাবে কল্পনাতেও আনতে পারেন না। এইসব ছাইপাঁশ ভাবতে ভাবতে তিন দিনের মাথায় মৈনাকের দীর্ঘ ফোন। গলায় কেল্লাফতের খুশি। বলল, ‘মা, সব সলিউশন এখন তোমার আঙুলের ডগায়। তোমাকে যে আই-ফোন দিয়েছি, তার প্লে-স্টোর ওপেন করে তুমি এই অ্যাপটা ডাউনলোড করবে— লোনলি পেরেন্টেস সলিউশন ডট কম। তোমার নাম আর নম্বর রেজিস্টার করে দিয়েছি।... আহা, তুমি নিজে না পারলে, নীচের সেন সাহেবকে ডাকবে। এটার দারুণ রেটিং।... তোমার খাবার, বাজার, হপ্তায় জামাকাপড়, ঘরদোর পরিষ্কার, ডাক্তার-ওষুধ, হাসপাতাল, এমনকী কাছাকাছি বেড়ানোর ব্যবস্থা – সবকিছুই তোমার প্রেফারেন্স অনুযায়ী কাস্টমাইজ করবে। খালি বাটন প্রেস করবে আর ওরা যোগাযোগ করবে। আমার কাছেও অ্যালার্ট আসবে। আমি অনলাইনে পেমেন্ট করব। একটু চেষ্টা করে দেখ। জীবন এখন অনলাইন নির্ভর। তাছাড়া, আমি তো দু’মাসের মধ্যেই যাচ্ছি।’  
অনেকক্ষণ স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে বসে রইলেন মন্দিরা। গত তিনদিন যমুনা আসছে না, নতুন জুতো পরে ফোস্কা পড়েছে। কিন্তু ওর দায়িত্ববোধের তুলনা নেই। একটা পরিবর্ত মেয়েকে পাঠিয়েছিল সাহায্যের জন্য, কিন্তু মন্দিরা হাসি মুখে না বলেছেন। স্মার্ট ফোনটা ব্যবহার করছেন কিছুদিন, কিন্তু এর বহু ব্যবহার জানেন না। এককালে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সুচিত্রা মিত্রর কাছে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখেছেন। রেডিওতে গাইতেন, মৈনাক  হওয়া অবধি চলেছে তাও। তারপর স্বামী-পুত্র আর অসুস্থ শাশুড়ির দেখভাল— একা হাতেই চালিয়ে গিয়েছেন। রান্নার হাত বরাবরই ভালো। অসাধারণ ক্যারামেল পুডিং বানাতেন। এখনও মাঝে মাঝে দু’এক পদ রাঁধতে শখ হয়, কিন্তু কার জন্য রাঁধবেন? এরমধ্যে একদিন নারকেল দিয়ে মোচার ঘণ্ট রেঁধে যমুনাকে চাখতে দিয়েছিলেন, মন্দিরাকে তো জড়িয়ে ধরেছিল। ‘মাসিমা তোমার রান্নায় তো বহু ঠাকুর-বাবুর্চি ফেল মারবে,’ উচ্ছ্বসিত যমুনা বলেছিল। কিন্তু একা এই অনলাইন জীবন-তরী কীভাবে বাইবেন, মন্দিরা জানেন না। সেন সাহেবকে ফোন করবেন কি না ভাবছেন, এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠল।
‘যমুনা! তুই!’ 
‘আরে, ভেতরে ঢুকতে তো দাও,’ বলে একটু খুঁড়িয়ে সে ঢোকে।
‘আসতেই হল। সেন-জেঠুর দু’দিন ধরে সর্দি-জ্বর। শয্যাশায়ী। ওর জন্য কিছু ওষুধ আর বাজার দিয়ে গেলাম।’ সহসা মন্দিরার দিকে তাকায় যমুনা। ‘আরে তোমার আবার কী হল, মাসিমা? কেমন চিন্তিত-চিন্তিত ভাব!’ মেয়েটা কি মন পড়তে পারে? এখানে পা দিয়েই বুঝে গেল তার চিন্তার কথা। কোনও অনলাইন অ্যাপে কি এমনটা হবে?... ভাবতে ভাবতে একটু কিন্তু-কিন্তু করে যমুনাকে সবটা বলে দিলেন। বলতে বলতে ভাবলেন, যমুনা যদি এতে অখুশি হয়, যদি আর না আসে! সত্যি এই ক’দিনে মেয়েটার মায়ায় বাঁধা পড়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর কথা শুনে যমুনার মুখটা হাসি আর উচ্ছ্বাসে ভরে উঠল। বলল, ‘বাহ! এটা তো মৈনাক দাদা দারুণ জিনিস পাঠিয়েছে। জানো মাসিমা, আজকাল আমার ভাইপোর স্কুলের মাইনে দেওয়ার জন্যও আলাদা অ্যাপ হয়েছে। আমি শিখে নিয়েছি। দাদার অফিস থেকে ফিরতে দেরি হয়, তাই আমিই ওই অ্যাপ মারফত টাকা পাঠাই। দেখি, এটা কেমন? বাহ, খাবার-দাবার, ওষুধ-টষুধ সব পাঠাবে। বাহ! তবে ভেব না, আমাকে ভাগিয়ে দেবে। মাঝে মাঝে আমি দেখে যাব, তোমার হাতের মোচার ঘণ্ট না অনলাইনের রান্না— কোনটা ভালো!’ বলতে বলতে সে প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করে ফেলেছে। তাঁকে ফোনের স্ক্রিনে দৃশ্যমান একটা রান্নাঘরের আইকন দেখিয়ে বলল, ‘এটা দিয়েই শুরু করি, তাহলে। যা বাজার করেছিলাম তাতে তো আজ অবধি চলে যাওয়ার কথা। ঠিক আছে, বেশ কিছুদিন আগে তুমি ইলিশ মাছের মুড়ো দিয়ে কচুশাকের ঘণ্ট খেতে চেয়েছিলে। তখন আমাদের বাজারে ওঠেনি। দেখি, কালকের জন্য ওটার এক প্লেট আর এক প্লেট ভাপা ইলিশ অর্ডার দিয়ে। তোমার কাছে পরে রিপোর্ট নেব।’  
চার
দু’দিন কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যে মন্দিরা কিছুটা রপ্ত হয়েছেন। সেদিনের কচুশাক ছিল বেজায় ঝাল, আর স্বাদহীন, শক্ত ইলিশটা আসল না ‘চন্দনা’ বুঝতে পারেননি। মশলাপাতি আনিয়েছেন, কিন্তু যে ন্যূনতম পরিমাণ অনলাইনে পাওয়া যাবে, তা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি। এইসব করতে করতে জড়তা কেটে গেল তাঁর, ওই অ্যাপ ছাড়া ইউটিউবে রান্নার রেসিপি, গানের ক্লাস, পুরনো গানের ক্লিপ— এইসবও দেখতে লাগলেন, এবং ভাবতে লাগলেন, গভীরভাবে ভাবতে লাগলেন। তারপর একসময় যমুনার নম্বরে ফোন করলেন। ‘হ্যাঁ রে, তুই তোর এক দাদার কথা বলেছিলি না, যে অনেকের জন্য ইউটিউব চ্যানেল বানিয়েছে। কাল দুপুরে ওকে একবার আনতে পারবি!’ 
এর মাস খানেক পরে আমেরিকার হিউস্টন শহরবাসী মৈনাক রায়ের ই-মেইল ঠিকানায় কলকাতা থেকে একটা মেইল এল। জীবনে প্রথমবার মা তাকে চিঠি লিখেছে। ‘প্রিয় বাবুসোনা, অনেক ভেবে দেখলাম, তুইই  ঠিক। জীবন এখন সত্যি অনলাইন। অ্যাপে আঙুল ছুঁইয়ে অনেক ম্যাজিকই সম্ভব। কিন্তু উষ্ণতা নেই, মন নেই, যত্ন নেই রে – এমনকী ‘মুখ’ও নেই। মনে আছে ছোটবেলায় পাড়ার মোড়ের হাত-কাটা ফুচকাওলা কী দারুণ চুরমুর মাখত। তোকে খুব ভালোবাসত। একবার দেশে গেলে ওর জায়গায় নতুন একজন এসেছিল। তুই কিছুতেই তার কাছে খাবি না। খালি বলছিলি, আমার ফুচকা-কাকু কবে আসবে? যত বোঝাই, একই তো ফুচকা, আলু আর তেঁতুল জল— খেয়েই দেখ না, তবু তোর অদম্য জেদ— আমার ফুচকা-কাকুর কাছেই খাব!... সেই তুই, আমার হাতে এ-কোন অশরীরী আলাদিনের চেরাগ তুলে দিলি, বাবা! তবে সময়ের সঙ্গে তো চলতেই হবে রে। তাই আমি যমুনার এক দাদা সুমনের সাহায্যে আমার নিজস্ব অনলাইন চ্যানেল খুলেছি— ‘মাসিমার সাঙ্গীতিক হেঁশেল’! গান আর রান্নার কম্বাইন্ড চ্যানেল। তুই তো জানিস রান্নায় আমার আগ্রহের কথা। সেই সঙ্গে মনে আছে নিশ্চয়ই আমার 
রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চার কথা। সেই দুটোই একসঙ্গে মেলালাম। সেই নিয়েই আমার চ্যানেল। প্রথমে বিনামূল্যে 
যে কেউ চ্যানেল দেখতে সাবস্ক্রাইব করতে পারে। হপ্তা দুয়েক পরে, বিশ্বাস করবি না, যখন প্রায় হাজার তিনেক সাবস্ক্রাইবার হল, তখনই সুমনের পরামর্শে সপ্তাহে দু’দিন অনলাইন পেমেন্টভিত্তিক লাইভ ক্লাসের নোটিস দিলাম। ক্লাস পিছু একশো টাকা। গত দশ দিনে প্রায় তিনশোজন রেজিস্ট্রি করেছে! তুইই আমায় স্বাবলম্বী করলি, বাবা! গতকাল প্রথম ক্লাস ছিল। প্রচুর লাইক ও কমেন্ট এসেছে। গোড়ায় সুমন সবটা দেখছিল, এখন যমুনাই টেকনিক্যাল দিকটা সামলে নেবে। সঙ্গের অ্যাটাচমেন্টে একটা দেড় মিনিটের প্রোমো পাঠালাম। বউমাকে দেখাস। ও যদি শিখতে চায়, পয়সা লাগবে না। ওতো আমাদের কিছুই শিখল না! ভালো থাকিস। আশীর্বাদক —তোর মা।’
অঙ্কন: সোমনাথ পাল
28th  April, 2024
প্রেশার
মহুয়া সমাদ্দার

বাসে বসে প্রথমেই শিপ্রাদিকে ফোন করল মিত্রা। গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ততায় আর ফোন করা হয়ে ওঠেনি তার। শিপ্রাদি ফোন ধরতেই মিত্রা বলল, ‘দিদি, আমি বাসে আছি। বাসস্ট্যান্ডে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। আর মিনিট পনেরো-কুড়ি লাগবে।’ একটু ভয়ে ভয়েই বলল। বিশদ

গুপ্ত রাজধানী: মখদম সাহিবের তাবিজ রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

সেই তাবিজটা কোথায়? ওই তাবিজ যদি ইব্রাহিম লোধি পরে থাকতেন, তাহলে কি এত সহজে সমরখন্দ, ফরঘনা, তৈমুর লং আর চেঙ্গিজ খানের সম্মিলিত এক শক্তিশালী পেডিগ্রি থাকলেও জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবরের হাজার দশেক সেনার কাছে লোধি পরাস্ত হতেন? বিশদ

অতীতের আয়না: তপ্ত দিনে তৃপ্তির স্নান
অমিতাভ পুরকায়স্থ

চৈত্রের শেষ থেকেই  ট্রেনে-বাসে, হাটে-বাজারে বা সমাজ মাধ্যমের দেওয়ালে উঠে আসে প্রতিদিন গরমের রেকর্ড ভাঙার আলোচনা। চল্লিশ ডিগ্রি পেরিয়েও আরও একটু উচ্চতা ছোঁয়ার জন্য যেন সকাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেন সূয্যি মামা। বিশদ

মহাপাপ
প্রদীপ আচার্য

 

দরদর করে ঘামছিলেন বিজন। প্রায় অন্ধকার ঘরে একা বসে আছেন তিনি। তাঁর মাথাটা নুইয়ে আছে। চিবুক ঠেকে আছে বুকে। চেয়ারে ওভাবে ভেঙেচুরে বসে বসেই একটা ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তিনি। অপমানিত, লাঞ্ছিত আর কলঙ্কিত বিজনের সামনে এখন এই একটাই মুক্তির পথ খোলা। বিশদ

19th  May, 2024
আজও রহস্য আকাশবাণীর অশরীরী
সমুদ্র বসু

রহস্য, ভৌতিক-অলৌকিক চিরকালই মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বাস-অবিশ্বাস, সত্যি-মিথ্যার দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও এর কৌতূহল অনস্বীকার্য। আজকে আমরা জানব খাস কলকাতায় অবস্থিত তেমনই এক জায়গার কথা, অতীত  হয়েও যা বর্তমান। বিশদ

12th  May, 2024
অসমাপ্ত
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

মাতৃসঙ্ঘ ক্লাবের সামনে পৌঁছে মার্জিত ও অভ্যস্ত কণ্ঠে ক্যাব ড্রাইভার বলল, ‘লোকেশন এসে গিয়েছে ম্যাডাম।’  বিশদ

12th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী রহস্যময় লৌহস্তম্ভ
সমৃদ্ধ দত্ত

একটি লৌহস্তম্ভ কতটা পথ অতিক্রম করেছে? একটি লৌহস্তম্ভ কীভাবে একটি শহরের জন্মবৃত্তান্তকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? একটি লৌহস্তম্ভ মরচে লেগে কেন পুরনো হয় না? একটি লৌহস্তম্ভ কবে প্রথম প্রোথিত হল? কোথায় তার জন্মস্থান? বিশদ

12th  May, 2024
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
একনজরে
পুনের গাড়ি দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে শুক্রবার রাতে বড়সড় গাড়ি দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্র। এবারের ঘটনাস্থল নাগপুর। বেপরোয়া গতিতে থাকা গাড়িটির ধাক্কায় তিন মাসের শিশু সহ সাতজন জখম হয়েছেন। ...

ফের হাসপাতাল চত্বরে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে রোগীর আত্মীয়দের সর্বস্ব লুট করা হল। ঘটনাস্থল সেই চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল। শুক্রবার রাতে দুই রোগী পরিবারের ...

শনিবার নিজের দলের প্রার্থীকেই ভোট দিলেন না বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র মেজিয়ার দুলর্ভপুরের ভোটার। সেখানকার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। কিন্তু, এদিন সৌমিত্র সকাল থেকেই বিষ্ণুপুরে নিজের ফ্ল্যাটকেই ওয়াররুম বানিয়ে পড়ে থাকেন। ...

মাস ছ’য়েকের জন্য ‘সংসার’ পাততে হবে।  তার আগে আস্তানা দেখতে হাজির গুটিকয়েক ওপেন বিল স্টর্ক। কুলিক পক্ষীনিবাসে খাবারের ব্যবস্থা, পরিবেশ, আবহাওয়া কেমন, সবটা ‘খতিয়ে দেখে’ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৩৯: মোগল সম্রাট মহম্মদ শাহ ও ইরানের নাদির শাহের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের ফলে আফগানিস্তান ভারত থেকে পৃথক হয়ে যায়
১৮০৫: নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ইতালির রাজা হিসাবে রাজ্যাভিষিক্ত হন
১৮৯৭: ব্রাম স্টোকারের উপন্যাস ড্রাকুলা প্রকাশিত হয়
১৯১৩: এমিলি ডানকান ব্রিটেনের প্রথম মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত
১৯১৮: জার্জিয়া ও আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা
১৯৪৫: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের জন্ম
১৯৪৯: মার্কিন কম্পিউটার প্রোগামিং বিশেষজ্ঞ ওয়ার্ড কানিংহামের জন্ম, তিনিই উইকিপিডিয়ার প্রথম সংস্করণ বের করেছিলেন
১৯৬৯: অ্যাপোলো-১০ নভোযানটি আট দিনের সফল ভ্রমণ শেষ করে পৃথিবীতে অবতরণ করে
১৯৭১: মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের কিংবদন্তি ফুটবলার বিমল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭২ - অভিনেত্রী রাজলক্ষ্মী দেবীর মৃত্যু
১৯৭৭: ইতালির ফুটবলার লুকা তোনির জন্ম
১৯৯৯: কাশ্মীরের কারগিল সেক্টরে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৩ টাকা ৮৪.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯৮ টাকা ১০৭.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৭ টাকা ৯১.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া ৩২/৫৫ অপরাহ্ন ৬/৭। মূলা নক্ষত্র ১৪/৮ দিবা ১০/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৪২, সূর্যাস্ত ৬/১০/৩৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪২ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ২/৩৮ মধ্যে রাত্রি ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৮ গতে ১২/৩৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/২৪ গতে ৫/১৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৪ গতে ১/১৩ মধ্যে। 
১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া সন্ধ্যা ৫/৫৫। মূলা নক্ষত্র দিবা ১০/৪৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪২ গতে ৯/২২ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে ও ১০/৩৪ গতে ১২/৪০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩২ গতে ৫/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৫ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৫ গতে ২/১৫ মধ্যে। 
১৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আগামী ১ জুন বৈঠক ডাকল ইন্ডিয়া জোট

10:55:22 PM

আইপিএল ফাইনাল: হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কেকেআর

10:38:11 PM

আগামী চার ঘণ্টা ধরে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের

10:36:39 PM

আইপিএল ফাইনাল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি বেঙ্কটেশ আয়ারের, কেকেআর ১১১/২ (১০ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:35:44 PM

আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কেকেআর, এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

10:34:00 PM

আইপিএল ফাইনাল: ৩৯ রানে আউট গুরবাজ, কেকেআর ১০২/২ (৮.৫ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:31:15 PM