Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

গুপ্ত রাজধানী রহস্যময় লৌহস্তম্ভ
সমৃদ্ধ দত্ত

একটি লৌহস্তম্ভ কতটা পথ অতিক্রম করেছে? একটি লৌহস্তম্ভ কীভাবে একটি শহরের জন্মবৃত্তান্তকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? একটি লৌহস্তম্ভ মরচে লেগে কেন পুরনো হয় না? একটি লৌহস্তম্ভ কবে প্রথম প্রোথিত হল? কোথায় তার জন্মস্থান? সেখান থেকে এতটা পথ কীভাবে এল? কে এনেছে? কেন এনেছে? একটি লৌহস্তম্ভ ভারতবর্ষ নামক এক চমকপ্রদ রাষ্ট্রের ইতিহাসে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? এবং সর্বোপরি, একটি লৌহস্তম্ভ একাই এতটা রহস্যময় হল কেন?
দিল্লির কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে থাকা এই আশ্চর্য লৌহস্তম্ভ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে যত মতান্তর, যত জল্পনা এবং যত তর্কবিতর্ক আজও বিদ্যমান, যা সম্ভবত হরপ্পা ও আর্য সভ্যতার সম্পর্ক নিয়েও হয় না। এই বিখ্যাত আয়রন পিলারের গাত্রে লিপিবদ্ধ রয়েছে বিভিন্ন নাম, স্থান এবং সময়কালের সংকেত। যুগ যুগ ধরে। সবথেকে প্রাচীন যে লিপি, সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি নাম।  চন্দ্র। চন্দ্র কি কোনও রাজার নাম? কে তিনি? দীর্ঘ চাপানউতোর আজও চললেও সবথেকে গ্রহণযোগ্য তথ্য হিসেবে ধরে নেওয়া হয় চন্দ্র নামের মালিকের নাম দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত। কেন? কারণ যে আকার ও হরফের ধাঁচ এই লিপিতে দেখা যায়, সেটি ইঙ্গিত করে চতুর্থ অথবা পঞ্চম শতাব্দীর দিকে। আবার ঠিক ওই সময়কালেই অন্যত্র পাওয়া গিয়েছে যে লিপি কিংবা অনুরূপ প্রস্তর অথবা লৌহস্তম্ভ এবং যেগুলি প্রমাণিতভাবেই ঩দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত অথবা সমুদ্রগুপ্তের আমলেরই, সেই ধাঁচ অবিকল এরকমই। কিছু কিছু পার্থক্য রয়েছে। যুগের সঙ্গে লিপির হরফের বদল ঘটেছে।  সে তো বোঝা গেল। কিন্তু দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত হঠাৎ এই কতুব মিনার প্রাঙ্গণে কী করতে এসেছিলেন? এখানে কী ছিল যে, এখানে হঠাৎ প্রোথিত করবেন এরকম একটি লৌহস্তম্ভ নিজের নামাঙ্কন ও যুগকে ঐতিহাসিক নথি প্রদান করতে? দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন বিষ্ণুর উপাসক। একটি অংশের অভিমত ছিল মথুরায় প্রথম এই লৌহস্তম্ভ প্রোথিত হয়। কিন্তু বিষ্ণুপদ পাহাড়ে প্রোথিত হয় এই লৌহস্তম্ভ। মথুরায় তো সেরকম কোনও পাহাড় নেই? এবং সেখানে বিষ্ণুপাহাড় থাকবে কীভাবে? সেই সময় মথুরা প্রবলভাবে বৌদ্ধ প্রভাবান্বিত। তাহলে? অতএব লিপি উদ্ধার ও বিশ্লেষণ করে আন্দাজ করা হয়েছে এই লৌহস্তম্ভ আজকের মধ্যপ্রদেশের বিদিশায় উদয়গিরিতে স্থাপন করা হয়েছিল। এক বা একাধিক যুদ্ধ জয় করার স্মারক হিসেবে এই লৌহস্তম্ভের প্রতিষ্ঠা হয়তো। কোন জনপদের কথা বলা হয়েছে যেখানে এই স্তম্ভনির্মাতা যুদ্ধ করেছিলেন এক সম্মিলিত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে? ভঙ্গ! সংস্কৃত ভাষায় যে জনপদের নাম লেখা রয়েছে ভঙ্গ, সেই তাহলে বঙ্গ? বঙ্গভূমির প্রতি বহিরাগতদের আকর্ষণ কত যুগ ধরে তাহলে? বঙ্গবিজয় করে পশ্চিমে গিয়ে যিনি সিন্ধু পার হয়ে বল্মীক রাজ্য দখল করেছিলেন, তার প্রোথিত লৌহস্তম্ভের রহস্য এখান থেকেই শুরু হয়। কারণ, কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে প্রাপ্ত এই লৌহস্তম্ভের পরবর্তীকালের লিপিতে পাওয়া যায় রাজা অনঙ্গপালের নাম। কে এই অনঙ্গপাল? তার কাছে কীভাবে এল এই স্তম্ভ? 
অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত টোমার বংশের  শাসন ছিল উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে। হরিয়ানা নামক এক জনপদ থেকে যে যাত্রা শুরু হয়। শুরু করেছিলেন প্রথম অনঙ্গপাল। কিন্তু সেই রাজ্যপাটকে কার্যত সাম্রাজ্যের রূপ দিলেন যিনি, তিনি দ্বিতীয় অনঙ্গপাল। যাঁর নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে এই লৌহস্তম্ভে। ঠিক এখান থেকেই ইতিহাসবিদদের আবিষ্কার তথা বিশ্লেষণ যে, দ্বিতীয় অনঙ্গপাল মধ্যপ্রদেশের সেই উদয়গিরি থেকে নিয়ে আসেন এই লৌহস্তম্ভ। অর্থাৎ গুপ্ত সাম্রাজ্য যখন অস্তমিত। কিন্তু কেন আনলেন? আর এখানেই বা কেন স্থাপিত হল?  পুরাতত্ত্ববিদ, ভারতবিদ ও ইতিহাসকার আলেকজান্ডার কানিংহাম জানিয়েছেন, স্তম্ভগাত্রে লেখা রয়েছে, সম্বাদ দিহালি ১১০৯ অনঙ্গ পাল বাহি। যার অনুবাদ ১০৫২ খ্রিস্টাব্দে স্তম্ভগাত্রে অনঙ্গপালের নামাঙ্কন হয়। আর এই অনঙ্গপাল স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয় অনঙ্গপাল। 
তি঩নিই এনেছেন। কিন্তু ইতিহাসের গতি ও অভিমুখ একই খাতে বহমান হয় না। অতএব এই তত্ত্বকে অস্বীকার করলেন কিছু ঐতিহাসিক। তাঁরাও কি কোনও একটি থিওরিতে একমত হলেন? না। হলেন না। কেউ বললেন, ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে আদতে কুতুব উদ্দিন আইবক বর্তমান স্থলে লৌহস্তম্ভ স্থাপন করেছেন। আবার অন্যদিকে কেউ কেউ বলেন মোটেই না। ইলতুৎমিস করেছেন এই কাজ। ত্রয়োদশ শতকে। তিনি বিদিশা আক্রমণ করেছিলেন। বিদিশা জয়ের স্মারক হিসেবে নিয়ে এসেছেন লৌহস্তম্ভ। 
দ্বিতীয় অনঙ্গপাল এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? কারণ এই অনঙ্গপালই হরিয়ানা থেকে আরও এগিয়ে নিয়ে এসে তাঁর রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। যেখানে করেছিলেন, সেই জনপদের নাম ধিল্লিকাপুরী! যার নাম আগে ছিল ইন্দ্রপথ। রহস্য বাড়ছে। ধিল্লিকাপুরী থেকেই যে দিল্লি নামের উৎপত্তি, সেটা নিয়ে হয়তো সংশয় নেই। এবং দ্বিতীয় অনঙ্গপালকেই দিল্লি শহরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেই দেখা হয়, তাও পুরাতাত্ত্বিকরা স্বীকার করেন বহু তর্ক-বিতর্ক করে।  কুতুব মিনার কমপ্লেক্স থেকে ৫০ মিটার  হাঁটলে পাওয়া যাবে একটি বুজে যাওয়া জলাশয়।  জল কোথায়? নেই। কিন্তু পুরাতাত্ত্বিক খননকার্যের পর জানা যাচ্ছে জলাশয় ছিল। আদতে যা এক বিস্তীর্ণ হ্রদ। যার নাম অনঙ্গতাল। আজ গেলে দেখা যাবে বাবলা গাছ আর ঘাসজঙ্গলে পূর্ণ। কিন্তু এই ছিল দ্বিতীয় অনঙ্গপালের শাসনকালে ধিল্লিকাপুরী তথা দিল্লির অন্যতম জলের উৎস। আসল লালকেল্লা কোনটা? এই কুতুব কমপ্লেক্সের এলাকার মধ্যে থাকা কেল্লা লাল কোট! দ্বিতীয় অনঙ্গপালের প্রাসাদ ছিল বলে যা মনে করা হয়। সেই প্রাসাদ আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত কিছু স্তূপ আর প্রাচীর। এ তো দেখা যাচ্ছে। আজও। যা দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু জনশ্রুতিতে ভেসে রয়েছে সেরকম একটি পুরনো নামের উৎপত্তি নিয়ে ভাবা যাক! 
এই যে ধিল্লিকাপুরী জনপদের আদি নাম ছিল ইন্দ্রপথ! যখন অনঙ্গপাল আসেন। সেটি আবার কী? দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত, অনঙ্গপাল ও ধিল্লিকাপুরীর সন্ধান করতে করতে ইতিহাস কি তাহলে বহু যুগ পিছনে চলে গেল? ইন্দ্রপথ মানে কি ইন্দ্রপ্রস্থ নয়? যা অত্যন্ত স্বাভাবিক। কারণ এই টোমার সাম্রাজ্যের বংশধররা নিজেদের একটি বিশেষ বংশের উত্তরাধিকারী হিসেবেই দাবি করে। কোন বংশ? পাণ্ডব! বললাম না রহস্য ফুরাচ্ছেই না! 
12th  May, 2024
প্রেশার
মহুয়া সমাদ্দার

বাসে বসে প্রথমেই শিপ্রাদিকে ফোন করল মিত্রা। গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ততায় আর ফোন করা হয়ে ওঠেনি তার। শিপ্রাদি ফোন ধরতেই মিত্রা বলল, ‘দিদি, আমি বাসে আছি। বাসস্ট্যান্ডে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। আর মিনিট পনেরো-কুড়ি লাগবে।’ একটু ভয়ে ভয়েই বলল। বিশদ

গুপ্ত রাজধানী: মখদম সাহিবের তাবিজ রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

সেই তাবিজটা কোথায়? ওই তাবিজ যদি ইব্রাহিম লোধি পরে থাকতেন, তাহলে কি এত সহজে সমরখন্দ, ফরঘনা, তৈমুর লং আর চেঙ্গিজ খানের সম্মিলিত এক শক্তিশালী পেডিগ্রি থাকলেও জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবরের হাজার দশেক সেনার কাছে লোধি পরাস্ত হতেন? বিশদ

অতীতের আয়না: তপ্ত দিনে তৃপ্তির স্নান
অমিতাভ পুরকায়স্থ

চৈত্রের শেষ থেকেই  ট্রেনে-বাসে, হাটে-বাজারে বা সমাজ মাধ্যমের দেওয়ালে উঠে আসে প্রতিদিন গরমের রেকর্ড ভাঙার আলোচনা। চল্লিশ ডিগ্রি পেরিয়েও আরও একটু উচ্চতা ছোঁয়ার জন্য যেন সকাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেন সূয্যি মামা। বিশদ

মহাপাপ
প্রদীপ আচার্য

 

দরদর করে ঘামছিলেন বিজন। প্রায় অন্ধকার ঘরে একা বসে আছেন তিনি। তাঁর মাথাটা নুইয়ে আছে। চিবুক ঠেকে আছে বুকে। চেয়ারে ওভাবে ভেঙেচুরে বসে বসেই একটা ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তিনি। অপমানিত, লাঞ্ছিত আর কলঙ্কিত বিজনের সামনে এখন এই একটাই মুক্তির পথ খোলা। বিশদ

19th  May, 2024
আজও রহস্য আকাশবাণীর অশরীরী
সমুদ্র বসু

রহস্য, ভৌতিক-অলৌকিক চিরকালই মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বাস-অবিশ্বাস, সত্যি-মিথ্যার দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও এর কৌতূহল অনস্বীকার্য। আজকে আমরা জানব খাস কলকাতায় অবস্থিত তেমনই এক জায়গার কথা, অতীত  হয়েও যা বর্তমান। বিশদ

12th  May, 2024
অসমাপ্ত
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

মাতৃসঙ্ঘ ক্লাবের সামনে পৌঁছে মার্জিত ও অভ্যস্ত কণ্ঠে ক্যাব ড্রাইভার বলল, ‘লোকেশন এসে গিয়েছে ম্যাডাম।’  বিশদ

12th  May, 2024
জীবন যখন অনলাইন
অনিন্দিতা বসু সান্যাল

বেণী-সমেত লম্বা চুলের ডগাটা কাটতে কাটতেই ফোনটা এল। সকাল সাতটা। খবরের কাগজ অনেকক্ষণ আগেই ফেলে গিয়েছে চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার সামনে। ভোরেই ওঠার অভ্যেস মন্দিরার। বিশদ

28th  April, 2024
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
একনজরে
মাস ছ’য়েকের জন্য ‘সংসার’ পাততে হবে।  তার আগে আস্তানা দেখতে হাজির গুটিকয়েক ওপেন বিল স্টর্ক। কুলিক পক্ষীনিবাসে খাবারের ব্যবস্থা, পরিবেশ, আবহাওয়া কেমন, সবটা ‘খতিয়ে দেখে’ ...

খড়কুসমার ২১২ নম্বর বুথে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে। শনিবার ষষ্ঠ দফার ভোটে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গড়বেতার মোগলাপাতা এলাকা। ...

আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সকেই এগিয়ে রাখছেন ম্যাথু হেডেন ও কেভিন পিটারসেন। রবিবার চিপকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের চেয়ে কেকেআরের জেতার সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করছেন তাঁরা। ...

পুনের গাড়ি দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে শুক্রবার রাতে বড়সড় গাড়ি দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্র। এবারের ঘটনাস্থল নাগপুর। বেপরোয়া গতিতে থাকা গাড়িটির ধাক্কায় তিন মাসের শিশু সহ সাতজন জখম হয়েছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৩৯: মোগল সম্রাট মহম্মদ শাহ ও ইরানের নাদির শাহের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের ফলে আফগানিস্তান ভারত থেকে পৃথক হয়ে যায়
১৮০৫: নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ইতালির রাজা হিসাবে রাজ্যাভিষিক্ত হন
১৮৯৭: ব্রাম স্টোকারের উপন্যাস ড্রাকুলা প্রকাশিত হয়
১৯১৩: এমিলি ডানকান ব্রিটেনের প্রথম মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত
১৯১৮: জার্জিয়া ও আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা
১৯৪৫: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের জন্ম
১৯৪৯: মার্কিন কম্পিউটার প্রোগামিং বিশেষজ্ঞ ওয়ার্ড কানিংহামের জন্ম, তিনিই উইকিপিডিয়ার প্রথম সংস্করণ বের করেছিলেন
১৯৬৯: অ্যাপোলো-১০ নভোযানটি আট দিনের সফল ভ্রমণ শেষ করে পৃথিবীতে অবতরণ করে
১৯৭১: মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের কিংবদন্তি ফুটবলার বিমল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭২ - অভিনেত্রী রাজলক্ষ্মী দেবীর মৃত্যু
১৯৭৭: ইতালির ফুটবলার লুকা তোনির জন্ম
১৯৯৯: কাশ্মীরের কারগিল সেক্টরে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৩ টাকা ৮৪.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯৮ টাকা ১০৭.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৭ টাকা ৯১.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া ৩২/৫৫ অপরাহ্ন ৬/৭। মূলা নক্ষত্র ১৪/৮ দিবা ১০/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৪২, সূর্যাস্ত ৬/১০/৩৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪২ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ২/৩৮ মধ্যে রাত্রি ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৮ গতে ১২/৩৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/২৪ গতে ৫/১৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৪ গতে ১/১৩ মধ্যে। 
১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া সন্ধ্যা ৫/৫৫। মূলা নক্ষত্র দিবা ১০/৪৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪২ গতে ৯/২২ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে ও ১০/৩৪ গতে ১২/৪০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩২ গতে ৫/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৫ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৫ গতে ২/১৫ মধ্যে। 
১৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আগামী ১ জুন বৈঠক ডাকল ইন্ডিয়া জোট

10:55:22 PM

আইপিএল ফাইনাল: হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কেকেআর

10:38:11 PM

আগামী চার ঘণ্টা ধরে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের

10:36:39 PM

আইপিএল ফাইনাল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি বেঙ্কটেশ আয়ারের, কেকেআর ১১১/২ (১০ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:35:44 PM

আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কেকেআর, এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

10:34:00 PM

আইপিএল ফাইনাল: ৩৯ রানে আউট গুরবাজ, কেকেআর ১০২/২ (৮.৫ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:31:15 PM