Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছোট গল্প
টরেগাসি
বিনতা রায়চৌধুরী
​​

লিলি ঘরে ঢোকামাত্র শুভায়ু বলে উঠল আমার টরেগাসি? হেসে ফেলল লিলি, ‘আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকো না একটুও, তোমার মন পড়ে থাকে ওই তোমার টরেগাসি-র ওপর। তাই তো?’ 
‘কথাটা পুরো সত্য নয়। আবার পুরো মিথ্যেও নয়।’ বলেই হেসে উঠল শুভায়ু। 
‘একদিন তো আমার ভুলও হয়ে যেতে পারে। নাকি?’
‘জানি আমি, হবে না। কারণ তুমি জানো ওটা আমার সারাদিনের রসদ।’
‘অন্য কোনও রসদ হয় না? এটা তো শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।’
‘এই এই, তোমার অনুরোধে চার প্যাকেট থেকে দু’প্যাকেটে নামিয়েছি। প্লিজ আর বেশি কড়াকড়ি কোরো না। আমার সাধনাটাই মাটি হয়ে যাবে।’ লিলি আর কোনও তর্ক না করে দু’প্যাকেট সিগারেট নামিয়ে রাখল শুভায়ুর পাশে। সঙ্গে সঙ্গে টেনে নিল শুভায়ু প্যাকেট দুটো। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলল, ‘ওফ বাঁচলাম, সন্ধের পরই ফুরিয়ে গিয়েছিল। লেখাটাও তারপর থেকে খোঁড়াতে শুরু করেছে।’
লিলি হেসে ফেলল পাশে বসে, ‘এটা আমাকে এক রকমের ব্যাকমেল না?’
‘একেবারে না। দেখো, সারাদিনে কতটা লিখেছি। আর সন্ধের পর থেকে কতটুকু! পড়ব, শুনবে?’ এক মুখ ধোঁয়া ছেড়ে সাগ্রহে বলল শুভায়ু। 
‘নিশ্চয়ই শুনব। আগে একটু রান্নাঘরটা ঘুরে আসি?’
‘রান্নাঘরে কিছু দেখার নেই লিলি। মালতী মাসি সব করে রেখে গিয়েছে। তোমার চা-ও ফ্ল্যাক্সে। একটু বেশিই আছে আমিও তোমার সঙ্গে একটু খাব। এখন আমার লেখাটা শোনো, ‘সিরাজ বাংলাকে প্রাণ দিয়ে ভালোবেসেছিল, তার সম্মান ধরে রাখতে...।’
‘রাতের ভাতটা বসিয়ে দিয়ে এসে শুনি?’
‘যাও, শুনতে হবে না। এমনভাবে থামিয়ে দাও, পড়ার এনার্জিটাই চলে যায়।’ খাতা বন্ধ করে দিল শুভায়ু। পায়ের উপর পা রেখে সিগারেট টানতে লাগল। লিলি লজ্জা পেয়ে গিয়েছে। একটু অপ্রস্তুতও। রাতের ভাত বেশিরভাগ দিনই শুভায়ু করে। সেই সময়টা লিলি পরীক্ষার খাতা দেখে।
দুই
লিলি আর শুভায়ুর দাম্পত্য জীবনটা অন্য আর পাঁচটা দম্পতিদের থেকে আলাদা। এই সংসারে স্ত্রী চাকরি করে স্বামী বাড়িতে থেকে নিজের কাজ করে। নিজের কাজ মানে শুভায়ু একটা উপন্যাস লিখছে। আর এই লেখার জন্য চাকরি ছেড়ে দিয়েছে। বলতে গেলে লিলিই ছাড়িয়ে দিয়েছে। সোজা বলে দিয়েছিল লিলি, ‘উপন্যাসটা পুরো মন দিয়ে লেখ শুভায়ু। ওটার পিছনে তোমার অনেক বেশি সময় দেওয়া দরকার। চাকরি করে সেটা সম্ভব নয়। লাইব্রেরি ওয়ার্ক করতে হবে, অনেক পড়াশোনাও দরকার। আমার স্কুলের চাকরি থেকেই সংসার চালিয়ে নেব।’
‘আমি চাকরি ছেড়ে উপন্যাস লিখব আর তুমি চাকরি করে সংসার চালাবে?’
‘কেন, মানে লাগছে তোমার? নাকি লেখার ইচ্ছেই নেই?’
‘দুটোই ভুল। তোমার ওপর চাপ পরে যাবে সেটাই ভাবছিলাম।’
‘উপন্যাসটা যদি ভালো লেখা না হয় তাহলে আমাদের দু’জনের মনের ওপরেই চাপ পড়ে যাবে শুভ। আমার অনুরোধটা শোনো। সব ছেড়ে লেখায় মন দাও।’ 
‘বেশ, তাই করব।’
শুভায়ু শুধু মুখেই কথাটা বলেনি কাজেও করেছে। চাকরি শুধু ছাড়েনি, বন্ধু-বান্ধব, আড্ডা, বেড়ানো-ঘোরা, আত্মীয়-স্বজন সব ছেড়ে লেখাটাকেই আপন করে নিয়েছে। মাঝেমধ্যে শুধু লাইব্রেরি যায়। তাও অনেক বই লিলিই এনে দেয়। সব লিলি করে, সব কাজ। তার মধ্যে প্রত্যেকদিন দু’প্যাকেট সিগারেট আনতে ভোলে না। ওই একটাই নেশা শুভায়ুর। আগে চার প্যাকেট লাগত, বউয়ের অনুরোধে দু’প্যাকেট কমিয়েছে।
লিলি আর যাই ভুলে যাক, এটা আনতে কখনও ভোলে না। যেদিন ফিরতে দেরি হয়ে যায়, পাড়ার দোকানটা বন্ধ হয়ে যায়। লিলি সেদিন মোড়ের মাথার বড় দোকানটা থেকে কিনে নিয়ে আসে। কারণ ও জানে, ঘরে ঢোকামাত্রই হাত বাড়াবে শুভ, ‘আমার টরেগাসি?’
সিগারেট শব্দটা উল্টে বলে শুভায়ু কারণ ওর সিগারেট প্রীতিটা লিলির পছন্দ নয়। আগে আগে বেশ রাগারাগি করত। ‘সিগারেট আমার সতীন। সব সময় সিগারেট সিগারেট শুনতে ভালো লাগে না।’ একদিন শুভায়ু বলল, ‘বেশ! আজ থেকে আর সিগারেট বলব না, টরেগাসি বলব।  তাহলে তো আর কানে লাগবে না।’
‘ওঃ, ধন্য করে দিলেন নাম বদলে। একেবারে ছেড়ে দিলে বুঝতাম! উল্টে বলে কী হবে!’ 
‘যদি সত্যি কোনও দিন ছেড়ে দিই তাহলে সিগারেট বলব। তার আগে ওই টরেগাসি-ই চলুক।’
বাংলার নবাব সিরাজদৌল্লাকে নিয়ে একটা উপন্যাস লিখছে শুভায়ু। বলাবাহুল্য এটা ঐতিহাসিক উপন্যাস। আর তার জন্য প্রচুর পড়াশোনা করতে হয় তাকে। ইতিহাসের ছাত্র শুভায়ু চিরকালই সিরাজদৌল্লাকে খুব ভালোবাসত। এই নায়কের দেশপ্রেম, সুশাসন ব্যবস্থা, উদারতা, হৃদয়জোড়া প্রেম মানুষের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছে। বিশ্বাসঘাতকদের কবলে পড়ে এমন একটি মহাপ্রাণ কীভাবে বিনষ্ট হয়ে গেল সেটা জানাতে চেয়েছে। খুব মন দিয়ে লিখছে শুভায়ু। লিলির অনুপ্রেরণা না পেলে এ কাজ তার দ্বারা সম্ভব হতো না। আত্মীয়স্বজনদের বাঁকা কথা, বন্ধুজনদের টীকা-টিপ্পনিকে আমল দেয়নি লিলি। সমস্ত বাধা, কূটবাক্য থেকে তার প্রিয়তমকে আড়াল করে রেখেছে। কারও কোনও কথা শোনেনি। অনেকেই ওর মন ভাঙাতে চেয়েছে। সকলের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছে লিলি। শুভায়ুর লেখার আনন্দটাকে বড় করে নিয়েছে। তার স্বামী লেখক এ কী কম কথা! ও বিশ্বাস করে লেখক আর সাধক একই কথা।
তিন
লিলির এতক্ষণে এসে পড়ার কথা। এমন দেরি তো হয় না। স্কুলের পর দুটো বাচ্চাকে পড়ায়। ব্যস, সেটা সেরেই সোজা বাড়ি আসে। অন্য কোথাও যায় না। আজ কেন দেরি হচ্ছে? কলম বন্ধ করে ঘরবার করছিল শুভায়ু। সিগারেট ফুরিয়ে গিয়েছে অনেকক্ষণ তাই লেখার মুড আসছে না। তারপর লিলির জন্য চিন্তা।
লিলি যখন বাড়ি এল খুব বিধ্বস্ত লাগছিল ওকে।
‘কী হয়েছে লিলি? এত দেরি হল?’
‘হাসপাতালে গিয়েছিলাম।’
‘কেন, তোমার কিছু হয়েছে লিলি?’
‘আমার না, যে দুটো বাচ্চাকে পড়াই সেই দুটো বাচ্চার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। স্কুলবাস নালায় পড়ে গিয়েছিল। অনেকেই আহত হয়েছে, কিন্তু ওই দুই ভাইয়ের খুবই খারাপ অবস্থা। ওদের বাবা-মায়ের ছটফটানি চোখে না দেখলে বিশ্বাস করবে না। আমি ওদের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ওরা বেঁচে যাবে বল?’
লিলির চোখ থেকে দু’ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল।
বউকে কাছে টেনে নিল শুভায়ু। লিলি এই রকমই সফট। সকলের জন্য ভাবে। খুব নরম মনের মানুষ। ওর দুই ছাত্রের দুর্ঘটনা ওকে কতখানি ব্যাকুল করে দিয়েছে বুঝতে পারছিল শুভায়ু। এই নরম, দরদী বউটার জন্য খুব গর্ব হয় তার। ও লিলির চোখের জল মুছিয়ে দিল।
একটু পরে অনিচ্ছাসত্ত্বেও জিজ্ঞাসা করে ফেলল, ‘আমার টরেগাসি? আনোনি না? 
চকিতে উঠে দাঁড়াল লিলি। জিভ কেটে বলল, ‘এ মা! এক্কেবারে ভুলে গিয়েছি। দাঁড়াও সামনের দোকানটা থেকে নিয়ে আসছি।’
‘একদম না। আমি যাচ্ছি। তুমি রেস্ট নাও।’
এই বলে শুভায়ু তার টরেগাসির সন্ধানে চলল। হাঁটতে হাঁটতে এল বাড়ির সামনের দোকানটাতে। এসে দেখল, এক পাল্লা ঝাঁপ বন্ধ। তবু শুভায়ু ওর ব্র্যান্ডটা চাইল। ঠিক সেই সময়ে পাশের কয়েকটা ছেলের কথাবার্তা কানে এল, ‘আজ বউয়ের জন্য দাদা নিজেই সিগারেট কিনতে এসেছে দেখ।’
‘সত্যিই তো। মহিলাটি রোজ দু’প্যাকেট সিগারেট কিনে নিয়ে যায়। আজকাল দেখছি, মেয়েদের সিগারেট প্রীতি বেড়ে গিয়েছে।
‘রোজ দু’প্যাকেট লাগবে তাই বলে? ভাব, মেয়ে মানুষ রোজ দু’প্যাকেট সিগারেট কেনে। একটু লজ্জাও করে না! দাদা সহ্য করে কী করে!’
শুভায়ু সব শুনে আকাশ থেকে পড়ল। কিছু বলতে পারছিল না। কিন্তু ওর তো বলা উচিত। আর একটা ছেলে বলে উঠল, ‘কীরকম টিচার বোঝ, এই রকম টিচার তার ছাত্র-ছাত্রীদের কী শিক্ষা দেবে?’ আর একজন প্রতিবাদ করল, ‘এটা বাড়াবাড়ি হল তোদের। বাবা সিগারেট খেলে দোষ নেই, মা খেলেই দোষ? খাক না, আমাদের কী?’
শুভায়ু এগিয়ে গেল ওদের দিকে, ‘কিছু বলছ তোমরা?’
‘বলছি, সোজা মোড়ের মাথায় চলে যান, পেয়ে যাবেন। এখানে না পেলে বউদি ওখান থেকেই কিনে নিয়ে যান।’
‘তাছাড়া আর কিছু বলছিলে?’
‘আর কিছু? না তো!’
ঘুরে দাঁড়াল শুভায়ু। এদের সঙ্গে আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করল ও। তাড়াতাড়ি ফিরতে চাইছিল লিলির কাছে।
পিছন থেকে একটা কথা উড়ে এল, ‘দাদা কেমন হন্তদন্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছে দেখ। মুখটা কেমন মিইয়ে গেছে। সিগারেট না কিনেই ফিরে গেল।’
এই কথাটা সমর্থন করে খ্যাঁক খ্যাঁক করে খ্যাঁকশেয়ালি হাসি হাসল আর একজন, ‘বউয়ের কাছে প্রচুর ঝাড় খাবে আজ।’
শুভায়ু ঘরে ঢোকামাত্র লিলি বলে উঠল, ‘পেয়েছ, তোমার টরেগাসি?’
‘আজ থেকে আমি সিগারেট ছেড়ে দিলাম লিলি।’
‘তাই টরেগাসি না বলে সিগারেট বললে? পারবে না ছাড়তে, বোলো না।’ লিলির ঠোঁটের ফাঁকে বিষণ্ণ কৌতুক। শুভায়ু কিন্তু খুব গম্ভীর হয়ে আছে। মনে মনে ভাবছিল, মেয়েরা যত ভালো মনেই কাজ করুক, যত স্যাক্রিফাইসই করুক, সমাজ মেয়েদেরই দায়ী করে। তাদেরই দোষ দেয়। 
সমাজটাকে কি পাল্টানো যায় না? সে তো একজন লেখক, দায় তো তারও আছে। নিজের কলমটাকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরল। এই-ই তার একমাত্র শক্তি। কলমেই ও এর জবাব দেবে। উপন্যাসটা শেষ হোক। তারপর। আপাতত পাড়ার ছেলেগুলোর ভুল ধারণার প্রতিবাদে সিগারেটটা ছাড়বে। 
‘কী ভাবছ? কতজন কতবার করে সিগারেট ছাড়ে, আবার ধরে।’
‘লিলি, যারা বার বার ছাড়ে তারা কখনওই ছাড়ে না। আমি একবারই ছাড়লাম, এক্কেবারে।’
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
05th  September, 2021
অপারেশন ৭১: পর্ব ৪
রেডিও সিগন্যাল
সমৃদ্ধ দত্ত

১৫ জুন ১৯৭১। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এস এম নন্দা পলাশির ক্যাম্প পরিদর্শনে এলেন। তিনি এবং ভারত সরকার একটা সাংঘাতিক কঠিন বাজি হাতে নিয়েছে। যদি ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোদের এই কাজটির জন্য পাঠানো হতো, তাহলে অতটা টেনশন হতো না। বিশদ

24th  October, 2021
কোজাগরীর লক্ষ্মীসরা
শান্তনু বসু 

জাগো- জেগে থাক। নিদ্রা যেন চেতনাকে আচ্ছন্ন না করে। শুদ্ধ চিত্তে, শুদ্ধ চরিত্রে প্রতীক্ষা করো। তিনি আসবেন। তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য হবে ধরণী। বৈকুণ্ঠ থেকে তিনি নেমে আসবেন গৃহস্থের অঙ্গনে। আসবেন বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে। অতএব নিবিষ্ট মনে স্মরণ কর তাঁকে। আলপনা দাও। নিষ্ঠা ভরে ধানের ছড়া এঁকে রাখ ভূমিতে, এঁকে রাখ তাঁর চরণচিহ্ন। বিশদ

17th  October, 2021
অপারেশন ৭১ : পর্ব ৩
প্ল্যান জ্যাকপট
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যরাতে ফোন করেছেন কে সংকর্ষণ নায়ার। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW)-এর ডেপুটি ডিরেক্টর।  তিনি এই সংস্থায় পাকিস্তান ডেস্ক মনিটর করেন। প্রাইম মিনিস্টারকে এত রাতে ফোন করার অর্থ বড়সড় কিছু ঘটেছে। বিশদ

17th  October, 2021
পর্ব ২: অপারেশন ৭১
২৫ মার্চ, ১৯৭১
অপারেশন সার্চলাইট
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হবে? সেরকম হলে আমার ডেডবডির উপর দিয়ে হতে হবে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এরকমই বললেন, তাঁর আর্মি কমান্ডারদের। শেখ মুজিবের দল পাকিস্তানের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে তো কী হয়েছে? তার মানে কি বাঙালির হাতে পাকিস্তানকে ছেড়ে দিতে হবে? বিশদ

10th  October, 2021
দুর্গা
তপন বন্দ্যেপাধ্যায়

অনেকক্ষণ ধরে একটি গল্পের প্লট খুঁজছেন ভাস্করবাবু, মগজের ভাঁজ খুলে-খুলে দেখছেন কোন ঘটনাটা তাঁকে সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে এই মুহূর্তে, কোন দুটি চোখ ছুঁয়ে-ছুঁয়ে যাচ্ছে তাঁর মনের অন্দরমহল, কিন্তু কিছুতেই পাচ্ছেন না মনোমতো প্লট। যা-ও দু-একটি ঘটনা মনে পড়ছে কোনওটাই মনঃপূত হচ্ছে না। বিশদ

10th  October, 2021
পর্ব  ১: অপারেশন ৭১
সিচ্যুয়েশন রুম
সমৃদ্ধ দত্ত
 

কেন রিচার্ড নিক্সন এতটা ইন্দিরা গান্ধীর বিরোধী? কারণ একাধিক। নিক্সন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে যখন‌ই এশিয়া, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে গিয়েছেন তিনি দেখতে পেয়েছেন, প্রত্যেক রাষ্ট্রপ্রধানের চোখে এক সমীহ। এক বিশেষ শ্রদ্ধামিশ্রিত ভীতি। কারণ, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলে কথা। ইনি সর্বশক্তিমান। সুতরাং নিক্সন আনুগত্য পেতেই অভ্যস্ত। তাঁর স্বভাবও সেরকম। একমাত্র ব্যতিক্রম এই মহিলা।
বিশদ

03rd  October, 2021
ছোট গল্প
উত্তরসাধক
মানস সরকার

ছেলে বড় হলে প্রতুলকে নিজের কাছে বহুবার বসাতে চেয়েছে। ছেলে বোল বুঝতে চাইত না। সুর, শব্দ থেকে দূরে পালাত। পড়াশোনাটাও ঠিক করে শেষ করল না। বিরক্তি প্রকাশ করত বাসন্তী। জোর করেনি গৌরদাস। এ জোর করার নয়। জড়িয়ে নেওয়ার জিনিস। বিশদ

03rd  October, 2021
পিশাচ সাধু
 

ক্যাপ্টেনকে এলাকা ছাড়ার কড়া নির্দেশ দিয়েছে পরম। এদিকে, বিষ খেয়ে হজম করে দেখিয়ে দেবে বার বার বলছে পিশাচসাধু। বঁড়শিকে পালিয়ে আসতে বলল সহজ। কিন্তু সে রাজি হল না। তারপর... প্রবল দুশ্চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল সহজ। কিন্তু এলাকার কাছাকাছি আসতেই তার অদ্ভুত একটা অনুভূতি হল। বিশদ

26th  September, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ৩০
পিশাচ সাধু

জয়ন্ত দে

কাকভোরে ঠাকুরদা শশাঙ্ক মিত্রের সঙ্গে বাগানে দেখা করল সহজ। জানাল, বর্ণিনী গুরুদেবের আশ্রমে গিয়ে সব খোঁজ খবর নিয়ে এসেছে। তবে, একটাই খারাপ খবর, গুরুদেব আর ইহজগতে নেই। শশাঙ্ককে আশ্রমে পৌঁছে দেবে কথা দিল সহজ। এর কিছুক্ষণ পরই সৃজনী ফোনে জানাল, নচে বিষ খেয়েছে।  তারপর... বিশদ

19th  September, 2021
ছোট গল্প
সম্বল
সঞ্জীব ঘোষ

রাঘব একা মানুষ। নিজে রেঁধে বেড়ে খায়। তার এক কামরা পাকা ঘরের সামনে পিছনে অনেকখানি জায়গায় চাষবাস করে নিজের চলে। বাজারে বিক্রি করলে চাল কেনার টাকা উঠে যায়। একটু ছন্নছাড়া হলেও বাঁধা গতের জীবন তার। আশ্চর্যজনকভাবে দীনতা তাকে স্পর্শ করেনি। বিশদ

12th  September, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৯
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীকে নিয়ে সহজ যখন পৌঁছল, তখন বাড়িতে পিশাচসাধু নেই। বঁড়শি একা। সে শোনাল, তার সন্দেহের কথা। বঁড়শির অনুমান, তার বাবা, যোগীনসাধু সহ একাধিক মৃত্যুর নেপথ্যে ক্যাপ্টেনের হাত রয়েছে। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে একটি ডায়েরি দেখাল সে। ডায়েরির পাতার ছবি তুলে নিল বর্ণিনী। তারপর... বিশদ

12th  September, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ২৮
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া বঁড়শির। এমন পরিস্থিতিতে পিশাচসাধু যেন নিজেরই মুখোমুখি— সামনে এসেছে দাঁড়িয়েছে তার অতীত। প্রতিশোধ নিতে সে শুরু করেছে এক নরমেধ যজ্ঞ। জনৈক শ্মশানচারী সাধুকে বলি দিলে সম্পূর্ণ হবে তার এই যজ্ঞ। কিন্তু তার খোঁজ এখনও পায়নি ক্যাপ্টেন। তারপর... বিশদ

05th  September, 2021
ছোট গল্প
মানকচু, ফুল ও
ডাবের গল্প
চিরঞ্জয় চক্রবর্তী

আমি যখন বাজারে যাই, কেউ ঘুম থেকে ওঠে না। অত সকালে বাজারে যেতে দেখে পাশের বাড়ির লিলি বলেছিল, ‘তুমি কি বাসি মাল কিনতে যাও?’ উত্তরে শুধু হেসেছিলাম, কিছু বলিনি। সকালবেলা বাসি মালও পাওয়া যায়, লোকে কত কিছু ভাবে। অনেকেই বাজারের ব্যাগ হাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রাতর্ভ্রমণ করে। আমার সেসব বালাই নেই।
বিশদ

29th  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ২৭
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বোনকে নিয়ে সহজ পিশাচ সাধুর কাছে গিয়েছিল শুনে রেগে আগুন বিচিত্রদা। কথায় কথায় সহজ জানাল, বঁড়শির আদতে বিয়ে হয়েছে একটা মড়ার খুলির সঙ্গে। এবার বর্ণিনী যেতে চায় ক্যাপ্টেনের বাড়িতে। এদিকে, সহজকে ডেকে নচে শোনাল তার জীবনের কিছু বৃত্তান্ত। তারপর... বিশদ

29th  August, 2021
একনজরে
কুলটি থানার দিশেরগড়ের পর হীরাপুর, আসানসোল শিল্পাঞ্চলে একের পর এক অবৈধ অস্ত্র কারখানার কারিগর হিসেবে উঠে আসছে মুঙ্গেরের কারবারিদের নাম। ইতিমধ্যেই পুলিসের জালে ধরা পড়েছে ...

বুধবার দুপুরে কল্যাণী থানার গয়েশপুরের গোকুলপুরে মূক ও বধির নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তার করল পুলিস। ধৃতের নাম কৃষ্ণ দাস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা বছর দশের ওই নাবালিকা গোকুলপুর এলাকায় ঠাকুমার বাড়িতে বেড়াতে ...

নদীয়া জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক ফের সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পুরস্কার ব্লু-রিবন পেল। রাজ্যে প্রথম এই পুরস্কার এল। কোভিড পরিস্থিতিতে ২০২০সালে নদীয়া জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের টাকা জনকল্যাণে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারায় এই পুরস্কার এসেছে বলে জানা গিয়েছে। ...

‘আমার পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছিল, কিন্তু কোনও ধারণাই ছিল না কী ঘটে গিয়েছে। চারদিক ধোঁয়ায় ঢেকে ছিল। মনে হচ্ছিল যেন জীবন্ত নরকে ঢুকে পড়েছি।’ এক সাক্ষাৎকারে হিরোশিমার পরমাণু বোমা হামলার সেই বিভীষিকাময় দিনের অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন সুনাও সুবোই। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৪২০: মিং সাম্রাজ্যে বেজিং প্রথম রাজধানী হিসেবে সরকারী স্বীকৃতি পেল
১৪৯২: ইতালিয়ান নাবিক অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাস কিউবা আবিষ্কার করেন
১৮৬৬: বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক যোগীন্দ্রনাথ সরকারের জন্ম
১৮৬৭: অ্যাংলো-আইরিশ বংশোদভূত সমাজকর্মী, লেখিকা,শিক্ষিকা তথা স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতার জন্ম
১৮৮৬:  আজকের দিনে ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসাবে স্ট্যাচু অব লিবার্টি উৎসর্গ করে
১৯২২: বেনিতো মুসোলিনির নেতৃত্বে ইতালির ফ্যাসিস্ত সরকার রোম দখল করে
১৯৫৫: মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের জন্ম
২০০২: বিশিষ্ট কবি ও অবিস্মরণীয় ছড়াকার, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক অন্নদাশঙ্কর রায়ের  মৃত্যু
২০০৬: ঢাকায় বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের একদল কর্মী বিরোধী দলের এক সভায় হামলা চালায় খুন করে বিরোধী দলের ১৪ কর্মীকে
২০০৯: পেশোয়ারে বোমা বিস্ফোরণে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়। জখম হয় ২১৩ জন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.১৯ টাকা ৭৫.৯১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৬০ টাকা ১০৫.১০ টাকা
ইউরো ৮৫.৫০ টাকা ৮৮.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ কার্তিক, ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১। সপ্তমী ১৭/৪৭ দিবা ১২/৫০। পুনর্বসু নক্ষত্র  ৯/৫৬ দিবা ৯/৪১। সূর্যোদয় ৫/৪২/৩৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৮/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১/১৪ গতে ২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
১০ কার্তিক, ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১। সপ্তমী দিবা ৮/১২। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/৩২। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৯।  অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/১০ গতে ৪/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২১ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি ২০ বিশ্বকাপ: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতল অস্ট্রেলিয়া

10:46:11 PM

টি ২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়া ১৩০/৩ (১৫ ওভার)

10:34:42 PM

টি ২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়া ৯৫/২ (১০ ওভার)

10:12:05 PM

টি ২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়া ৬৩/০ (৬ ওভার)

09:55:02 PM

টি ২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে ১৫৫ রানের টার্গেট দিল শ্রীলঙ্কা 

09:13:57 PM

টি ২০ বিশ্বকাপ: শ্রীলঙ্কা ১১১/৫ (১৬ ওভার) 

08:57:05 PM