Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চম কিস্তি।
পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হল। ভানু রাজি হলেন। তখন রাম চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘ইচ্ছে করলে কিন্তু আমি তোমাকে তুলে নিয়ে যেতে পারতাম।’ কথাটা কানে যেতেই ভানু ফের স্বমূর্তিতে। বললেন, ‘অতই সহজ। আমারে পাইতা কই। একছুটে আমি ছাদে গিয়া উঠতাম। রাম চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘তাহলেই রেহাই পেতে ভেবেছ।’ ভানু সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘পাইতাম, পাইতাম। তোমার মাথায় তো আর মাসল নাই। উপর থিকা একখান আধলা ইট ঝাড়তাম তোমার মাথায়, তখন যাইতা কই।’ একথা শুনে রাম চট্টোপাধ্যায় আর না হেসে পারেন!
আর একবার কালীঘাটের নেলো মস্তান এসে ভানুকে বলল, ‘তোমাকে যেতেই হবে, মনে রেখো আমি কালীঘাটের নেলো।’ ভানু বললেন, ‘কিছুতেই যামু না, তুমিও মনে রাইখ আমি ঢাকার ভুলো।’ একবার এক ভদ্রলোক এসে বিনা পয়সায় ফাংশন করার জন্য আস্তিন গুটিয়ে বললে, ‘আমি নর্থ ক্যালকাটার ছানা।’ ভানুও চোখ পাকিয়ে বললেন, ‘আমি সাউথ ক্যালকাটার মাখন।’ আসলে ভয়ডর বলে সত্যিই কিছু ছিল না তাঁর। অথচ কেউ যদি এসে বলত, ‘খুব বিপদ, দয়া করে উদ্ধার করে দিন’ তাহলে আনন্দ সহকারে কাজ করে দিতেন।
তবে ছোট থেকেই সাহসী বোহেমিয়ান টাইপ লোকেরা ছিল তাঁর বিশেষ পছন্দের। কার থেকে পেয়েছিলেন এসব! অভিনয়টা ছিল তাঁর রক্তে। বাবা জিতেন্দ্রনাথ ছিলেন ঢাকার নবাব এস্টেটের মোক্তার। মা সুনীতিদেবী, সরকারি শিক্ষা বিভাগের চাকুরে। সরোজিনী নাইডুর আত্মীয়া। এঁদেরই পুত্র সাম্যময়। ডাকনাম ভানু। ‘তবে ডাকাবুকো স্বভাবটা বোধহয় ঠাকুমার থেকেই পেয়েছিল বাবা’, বলছিলেন ভানু-পুত্র গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়।
আসলে সুনীতিদেবী ছিলেন সেইসময় বেঙ্গল বোর্ডের প্রথম ভারতীয় ইনস্পেক্টর অব স্কুলস। একবার যাচ্ছিলেন দার্জিলিং। তাড়াহুড়োয় উনি ইংলিশ লেডিদের কামরায় উঠে পড়েন। এক মেমসাহেব তখনই তাঁকে নেমে যাওয়ার জন্য জোর করতে থাকেন। তখন উনি হাতজোড় করে বলেন, ‘তাড়াতাড়িতে উঠে পড়েছি। পরের স্টেশনেই নেমে যাব।’ মেমসাহেব তো কোনও কথা শুনতে নারাজ। জোর করে তাঁর বাক্স-প্যাঁটরা চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিল। ব্যস, আর যায় কোথায়। চুলের মুঠি ধরে সেই মেমসাহেবকে উত্তম মধ্যম দেন। মারের চোটে মেমসাহেব অজ্ঞান। ট্রেনের গার্ড সুনীতিদেবীকে অ্যারেস্ট করবেই। শেষে তাঁর জাঠতুতো ভাই ও জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট আইসিএস পূর্ণানন্দ চট্টোপাধ্যায় ত্রাতা হয়ে দেখা দেন। ১৯০৫ সালের সেই ঘটনা তখনকার দিনে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল।
বিজ্ঞানী সত্যেন বসুর খুবই প্রিয়পাত্র ছিলেন ভানু। পুরো ঢাকা ইউনিভার্সিটি তাঁকে ‘স্যার’ বলতেন। শুধু ভানুর কাছে তিনি ছিলেন ‘সত্যেনদা’। ১৯৪১ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ওঁর জন্মদিন প্রথম উদযাপন করেছিলেন ভানুই। তা এই সত্যেন বসুর সঙ্গেও ভানুর আলাপের সূত্রপাত এইরকমই একরোখা স্বভাবের কারণে। কলেজের হোস্টেলে সরস্বতী পুজো। সেখানে ভানুও নিমন্ত্রিত। খুব ঘটা করে পুজো, এলাহি খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। কোথা থেকে একজন পঙ্গু মুসলমান ভিখারি কাঁদো কাঁদো মুখে দু’মুঠো খাবার চাইতে এলেন। একদল ছাত্র তাঁকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল। দূরে দাঁড়িয়ে থাকলেও ব্যাপারটা চোখ এড়াল না ভানুর। একটু পরেই আমোদ-আহ্লাদ তুঙ্গে উঠল। খাবার নিয়ে ছোঁড়াছুঁড়িও শুরু হল। আর থাকতে না পেরে সোজা রান্নাঘরে গিয়ে টান মেরে সব খাবার মাটিতে ফেলে দিলেন। রাগে গজগজ করতে করতে বললেন, ‘আমিও খামু না, কাউরে খাইতেও দিমু না।’
বাধা দিতে এল কয়েকজন। কয়েকটাকে বেধড়ক ঠ্যাঙালেন। বাকিরা এগনোর সাহস পেল না। কিন্তু ঘটনার জল বহুদূর গড়াল। প্রায় সবাই ভানু ওরফে সাম্যময়ের বিরুদ্ধে। তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অধ্যাপক সত্যেন বসু। সেই শুরু। তারপর থেকে ছাত্র ভানুর ঢাকাই কুট্টিদের নকশায় মজে গিয়েছিলেন জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানীও। একবার এক যাত্রা সম্মিলনী সত্যেন বসুকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার আর্জি নিয়ে এল। তাদের বললেন, ‘আরে আমাকে কেন, ভানুকে নিয়ে যাও।’ তাতেও তারা শুনলেন না। শেষে তাদের রসগোল্লা খাইয়ে বিদায় দেওয়ার সময় বললেন, ‘আরে আমার কাছে শুধু গোল্লা পেলে, ভানুর কাছে গেলে রসটা পাবে।’ এই সম্পর্ক সত্যেন বসু মারা যাওয়া পর্যন্ত অটুট ছিল। জন্মদিনের দিন শত ব্যস্ততা থাকলেও মাস্টারমাশাইয়ের বাড়িতে সেদিন তিনি যেতেনই।
হাতিবাগান থিয়েটার পাড়াতেও ভানুর এরকম সাহসের একটা গল্প চালু আছে। গাড়ি নিয়ে স্টার থিয়েটারে ‘পরিণীতা’র শো করতে যাচ্ছেন। পথে একটি ঘটনা দেখে থমকে দাঁড়ালেন। একদল চ্যাংড়া ছেলে অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীকে ঘিরে ধরে তাঁর ফতুয়া, ধুতির কোঁচা ধরে টানছে। মাথায় রক্ত উঠে গেল ভানুর। গাড়ি থেকে সটান নেমে গিয়ে বাছাধনদের এলোপাথাড়ি কিল, চড়, ঘুষি লাগিয়ে দিলেন। নিমেষে সকলে হাওয়া। কিন্তু অবাক করলেন তুলসী চক্রবর্তী নিজেই। বললেন, ‘আহা অত রাগিস কেন, একটু মজা করে যদি ওরা আনন্দ পায়, পাক না।’
এই একরোখা মানুষটি আবার নিজের জীবনে মজা করার সুযোগ পেলেও ছাড়তেন না। ইস্টবেঙ্গলের খেলা থাকলে যে তাঁকে ঘরে রাখা যেত না সে তো আগেই বলেছি। আর ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও তাঁর দারুণ হৃদ্যতা ছিল।
সালে, আপ্পারাও, বেঙ্কটেশ, ধনরাজ আর আমেদ খান। ইস্টবেঙ্গলের পঞ্চপাণ্ডব তখন ময়দান কাঁপাচ্ছে। সালে একদিন ভানুকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমহারা নাম কেয়া হ্যায়? নাম ‘ভানু’ শুনে সালে তাঁকে বলেন, ‘তুম যিতনা দুবলা হ্যায়, তুমহারা নাম ভি ওয়সা হ্যায়। দেখো হামারা নাম কিতনা বড়া হ্যায়। পুথম পরমাভিল বাবখান আবদুল রদ্দার সালে।’
একথা শুনেই ভানু বলে ওঠেন, ‘ইয়ে আসলে এটা আমার ডাকনাম। মেরা আসলি নাম হ্যায় অ-এ অজগর আসছে তেড়ে, আ-য় আমটি আমি খাব পেড়ে, ই-তে ইঁদুর ছানা ভয়ে মরে...।’ ভানু লিখেছেন, ‘এরকমভাবে ৯-কার যেন ডিগবাজি খায় পর্যন্ত বলে শেষে আমি ভানু ব্যানার্জি বললাম। সালে কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে আমার মুখের দিকে চেয়ে থেকে বলল বাপরে ইতনা বড়া নাম!
(ক্রমশ)
অনুচিত্রণ:ভাস্কর মুখোপাধ্যায়
অলংকরণ: চন্দন পাল
29th  December, 2019
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়- সপ্তম কিস্তি। 
বিশদ

অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

বিদ্যাসাগর মশায় কলকাতায় এলেন। বাবা ঠাকুরদাস বুঝতে পেরেছিলেন গাঁয়ের টোলে পড়িয়ে ছেলের কোনও ভবিষ্যৎ তৈরি হবে না। কলকাতার একটা ছাপের দরকার। সব দেশেই সব সমাজে পরামর্শদাতার অভাব হয় না। এমন করে তাঁরা কথা বলেন যে, সেই বিষয়ে তাঁর চেয়ে দিগ্‌গজ পণ্ডিত আর নেই।  
বিশদ

হেঁড়ল
হামিরউদ্দিন মিদ্যা 

ধর! ধর! ধর!ছাগল নিয়েছে রে! হেঁড়লে ছাগল নিয়েছে!
সবেমাত্র খাওয়া-দাওয়া করে সারাদিন খেতে-খামারে খেটে আসা ক্লান্ত মানুষগুলো শুয়েছে, ঠিক তখনই বাগদিপাড়া থেকে সমস্বরে হইচই করে মাঠে নেমে এল কয়েকজন। হাতে টর্চ, লাঠি, কেউবা খালি হাতেই বেরিয়ে এসে ইঁটের টুকরো, শুকনো ঢিল তুলে নিয়েছে হাতে।  
বিশদ

আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ষষ্ঠ কিস্তি।

 
বিশদ

05th  January, 2020
অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

জগতে কোন মা কবে ছেলের কাছে এমনধারা গয়না চেয়েছিলেন— আমাদের জানা নেই। এই গয়না চুরি হয় না, এই গয়না সবাই মিলে ভাগ করে নিতে পারে, এই গয়না কারও একার হয় না— দেশের সম্পদ হয়। 
বিশদ

05th  January, 2020
অথৈ সাগর 

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি।  বিশদ

29th  December, 2019
হিসেব-নিকেশ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায় 

অটোরিকশর পিছনের সিটে, দু’জনের মাঝখানে বসে, প্যাচপ্যাচে গরমে ঘেমেনেয়ে একেবারে কাহিল অবস্থা হচ্ছে বিমলবাবুর। অতি কষ্টে প্যান্টের পকেট থেকে রুমালটা বের করে, মুখের ওপর জমে থাকা ঘামের বিন্দুগুলি মুছে নিয়ে, বিমলবাবু আবার একবার হাতঘড়ির দিকে দেখলেন।  বিশদ

29th  December, 2019
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-৪

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়-চতুর্থ কিস্তি। 
বিশদ

22nd  December, 2019
অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

22nd  December, 2019
ডাকনাম ফড়িং
স্বপন পাল

অখিলেশের চাকরি জীবন থেকে অবসর নেওয়া প্রায় চার বছর হয়ে গেল। তার এই অবসর জীবনে সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে, অবসর সময় কাটানো নিয়ে সময় খুঁজে বের করা। বই বা খবরের কাগজ পড়ে কতটাই বা সময় কাটানো যায়। টিভি অখিলেশ খুব একটা দেখে না। চোখের ওপর চাপ পড়ে। গেল মাসে ডান চোখটায় ছানি অপারেশন হয়েছে। 
বিশদ

22nd  December, 2019
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-৩ 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়-তৃতীয় কিস্তি। 
বিশদ

15th  December, 2019
অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

15th  December, 2019
কন্যে কথন
নিয়তি রায়চৌধুরী 

—তোমার সঙ্গে একটা কথা আছে মা।
—আবার কী হল? রুমির একটা কথা মানে একশোটি কথার বাঞ্চ। সবটাই বিভাস বিষয়ক। এটা সবিতা জানেন। বনিবনা হচ্ছে না। শ্বশুরবাড়ির সহায়তা নেই। পরপর দুটি মেয়ের কারণে বিভাসের বাবা-মা’র নাতির আশায় ছাই পড়েছে। ছেলে-বউয়ের লাগাম ছাড়া কোন্দলে তাই উদ্বেগ নেই। 
বিশদ

15th  December, 2019
মানুষ গড়ার কারিগর
সৌমিত্র চৌধুরী

 চোখের জল মুছে বাবা বলল, ‘ঠিক আছে স্যার, আপনার কথা রাখলাম। তবে ঋণ বাড়াব না। ফেল করলে ওর কিন্তু পড়া বন্ধ।’ এত দূর বলে আমাদের পিসিএম থামল। আমার চোখে বিস্ময়। জম স্যার নিজে গেল হাটখোলায়? একটু অবাক হয়েছিলাম সেদিন। কিন্তু কয়েকমাস পরে ক্লাসের সবাইকে, এমনকী গোটা স্কুলকে অবাক করে দেবার মতো ঘটনা ঘটল। অঙ্কে আশি নম্বর পেয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় চার নম্বর স্থানটা দখল করেছে প্রদীপ। বিশদ

08th  December, 2019
একনজরে
 অভিমন্যু মাহাত, নৈহাটি, বিএনএ: দেবক গ্রামের ১৫০টি বাড়িতে মজুত রয়েছে বিস্ফোরক দ্রব্য। পুলিস এখনও গ্রামের একাংশে ঢুকতেই পারেনি। বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার হওয়া নিয়ে চিন্তিত পুলিস কর্তারাও। দেবক গ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য মজুত নিয়ে শাসক দল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজাও শুরু ...

সংবাদদাতা, ইসলামপুর: উত্তর দিনাজপুর জেলার চা বলয় হিসেবে পরিচিত চোপড়া ব্লকের একাধিক চা বাগান বন্ধ হয়ে রয়েছে। এর ফলে কাজ হারিয়েছে বহু শ্রমিক। কিছু বাগানে শ্রমিকরা কমিটি করে চালাচ্ছে। কোথাও আবার জমি মাফিয়াদের দখলে যাচ্ছে চা বাগান। কেটে নেওয়া হচ্ছে ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: পথ দুর্ঘটনায় জখম পটাশপুরের বর্ষীয়ান এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হল। এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তিনি মারা যান। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম সুবোধচন্দ্র মাইতি(৭৫)।   ...

 বেঙ্গালুরু, ১১ জানুয়ারি: শনিবার ৪৭ বছরে পা দিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা বিশ্ব থেকেই অগুনতি শুভেচ্ছা বার্তা পাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘দ্য ওয়াল’। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় যুব দিবস
১৮৬৩: স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম
১৯৩৪: মাস্টারদা সূর্য সেনের ফাঁসি
১৯৫০: কলকাতায় চালু হল চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৬২ টাকা ৭২.৭৮ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯৫.২৮ টাকা
ইউরো ৭৭.২৫ টাকা ৮০.৯৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০, ৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮, ৫২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯, ১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬, ৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭, ০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ পৌষ ১৪২৬, ১২ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৩৪/৩৩
রাত্রি ৮/১২। পুষ্যা ১৩/৩৬ দিবা ১১/৫০। সূ উ ৬/২৩/২, অ ৫/৬/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ গতে ৯/১৪
মধ্যে পুনঃ ১২/৬ গতে ২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৫ গতে ৯/৩২ মধ্যে পুনঃ ১২/১১ গতে ১/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/২৪
গতে ১/৪ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। 
২৬ পৌষ ১৪২৬, ১২ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৩৯/৪৪/২৯ রাত্রি ১০/১৮/৫২। পুষ্যা ১৮/৪৮/৪৯ দিবা ১/৫৬/৩৬। সূ উ ৬/২৫/৪, অ ৫/৫/৫৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ২/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪২
গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ১/৫৫ মধ্যে ও ২/৪৯ গতে ৬/২৫ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৫/২৯ গতে ১/৫/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৫/২৩ গতে ৩/৫/১৭ মধ্যে । 
মোসলেম: ১৬ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
জাতীয় যুব দিবস১৮৬৩: স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম১৯৩৪: 'মাস্টারদা' সূর্য সেনের ফাঁসি১৯৫০: ...বিশদ

07:03:20 PM

ভদ্রেশ্বরে টোটোচালকের মানিব্যাগ ফেরাল ৫ম শ্রেণীর ছাত্র 
আজ দুপুরে ভদ্রেশ্বরের রাস্তায় একটি মানিব্যাগ কুড়িয়ে পায় ৫ম শ্রেণীর ...বিশদ

09:57:00 PM

কোচবিহারে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু ছাত্রের 
রহস্যজনকভাবে কোচবিহারের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল ...বিশদ

06:37:02 PM

বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেলেন সমিতকুমার দাস

04:56:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের ত্রালে পুলিসের গুলিতে হত ৩ জঙ্গি, উদ্ধার অস্ত্রশস্ত্র 

04:12:42 PM