Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি।

‘তিনি বলিলেন, না মা, আজি আমি, এখন পর্যন্ত কিছুই খাই নাই। তখন সেই স্ত্রীলোক ঠাকুরদাসকে বলিলেন, বাপাঠাকুর জল খাইও না, একটু অপেক্ষা কর। এই বলিয়া নিকটবর্তী গোয়ালার দোকান হইতে, সত্বর দই কিনিয়া আনিলেন এবং আরও মুড়কি দিয়া, ঠাকুরদাসকে পেট ভরিয়া ফলার করাইলেন। পরে তাঁহার মুখে পরিশেষ সমস্ত অবগত হইয়া, জিদ করিয়া বলিয়া দিলেন, যে দিন তোমার এরূপ ঘটিবেক, এখানে আসিয়া ফলার করিয়া যাইবেক।’ এরপরে যেদিন ঠাকুরদাসের এমন অনাহার ঘটত— সেদিন তিনি ওই মহিলার কাছে গিয়ে পেট ভরে খেয়ে নিতেন।
এমনি করে দিন যেতে লাগল। ঠাকুরদাস একটা সাধারণ ধরনের কাজ পেলেন— মাইনে মাসে দু’ টাকা। কোনওক্রমে পেট চালিয়ে নিয়ে ঠাকুরদাস মাইনের পুরোটা মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিতে লাগলেন। বিদ্যাসাগরের মাতৃভক্তি একটা প্রবাদে পরিণত হয়েছিল, তা নিয়ে গল্প পর্যন্ত তৈরি হয়ে গেছিল— তা যে তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া উত্তরাধিকার সূত্রে— তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দু’-তিন বছর পরে মাইনে বেড়ে হল পাঁচ টাকা। এর সিংহভাগটি মা দুর্গাদেবীর কাছে দিতেন— তাঁর দুর্গতি এবারে অনেক কমে গেল। মনের আনন্দে ঠাকুরদাস কাজ করতে লাগলেন— মন দিয়ে। এই সময়ে তাঁর বাবাও ফিরে এলেন— বনমালীপুরে স্ত্রীর সন্ধান না পেয়ে লোকের কাছে শুনে বীরসিংহায় এলেন। সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। দুর্গাদেবীর সংসারে আবার হাসির মুখ দেখা দিল। বড় ছেলের ততদিনে বাইশ-তেইশ বছর বয়স, তাঁকে দেখবার জন্যে রামজয় কলকাতায় এলেন বড়বাজারের ভাগবতচন্দ্র সিংহের বাড়ি। ততদিনে ঠাকুরদাসের মাইনে পাঁচ থেকে বেড়ে আট টাকা হয়েছে। কোথাও যদি পাঠক দেখতে পান তাঁর মাইনে বাড়তে বাড়তে দশ টাকা হয়েছে— ভেবে নেবেন দশচক্রে ভগবান ভূত হয়েছেন— অষ্ট তঙ্কার বেশি মাইনে তাঁর কোনও দিন হয়নি— কেবল কর্মত্যাগের আগে শেষবার বেড়ে হয়েছিল দশ। বাড়িয়ে বলা বাঙালিরা সেটাকে একেবারে দ্বিগুণ করে কুড়িতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে ঠাকুরদাসের আর এক পুত্র শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্ন তাঁর ‘ভ্রমনিরাশে’ লিখে গিয়েছেন— ‘তাঁহার বেতন দশ টাকা ছিল। তাঁহার বেতন কখনও দশ টাকার ঊর্ধ্ব হয় নাই।’ শেষের দিকে বড়িশার এক না-বালকের সম্পত্তি দেখাশোনা করার চাকরি করেছিলেন— তারানাথ বাচস্পতি তাঁকে একদা যে চাকরিটির জোগাড় করে দিয়েছিলেন, তার সেই দু’ টাকা মাইনে বেড়ে দশ টাকা— ভাবাই যায় না সেকালে। আর যখন পাঁচ টাকা মাইনে ছিল— তখন ঠাকুরদাস ঈশ্বরচন্দ্রকে হিন্দু কলেজে পড়িয়ে ওই পাঁচ টাকাই খরচ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। সাধে কি কাশীবাসী বাবাকে তিনি কাশীর বিশ্বনাথের সমান মর্যাদা দিতেন। দু’ টাকা মাইনে বেড়ে পাঁচ হয়ে গেছিল ভাগবতচরণ সিংহের বাড়িতে কাজ করতে করতেই। তিনি মারা গেলে তাঁর ছেলে জগদ্দুর্লভ সিংহ মশায় ঠাকুরদাসকে পূর্ণমর্যাদায় বহাল রেখেছিলেন। বড়বাজারের দ’য়েহাটায় তাঁদের বিশাল বাড়িতে ছেলেকে দেখবার জন্যে রামজয় যে এতটুকু ইতস্তত করেননি— তার কারণ তর্কভূষণ মশায়ের সঙ্গে এই বাড়ির পরিচয় ছিল আগে থেকেই। তিনি এসেছেন দেখে ভাগবতচরণ রামজয়কে বলেছিলেন আপনি ছেলেকে আমার কাছে নিশ্চিন্তে রেখে যান। সেই প্রস্তাবেই ঠাকুরদাসের এ বাড়িতে থাকা খাওয়ার সুবন্দোবস্ত হয়েছিল। রামজয় নিশ্চিন্তে বীরসিংহায় ফিরে গেলেন। তাঁর কাছে ঠাকুরদাসের মাইনে ভালো হয়েছে জেনে দুর্গাদেবীর আনন্দের আর অবধি রইল না। বাপ-ঠাকুরদার সূত্রে পাওয়া তেজস্বিতা ও আত্মমর্যাদা বিদ্যাসাগরকে এত মহীয়ান করে তুলেছিল। স্বাধীনতাপ্রিয়তা ও সত্যবাদিতাও তাঁর এই উত্তরাধিকার সূত্রেই পাওয়া। বিদ্যাসাগরের বগ্ভঙ্গিও তাঁর ঠাকুরদা তাঁকে বকলমে দিয়েছিলেন। রামজয় গলা উঁচু করে বলতেন— ‘এদেশে মানুষ নেই, সব গোরু।’ একবার রামজয় পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, জনৈক পথচারী তাঁকে ডেকে বললেন— ও পথটা দিয়ে যাবেন, গোটা পথেই মল-মূত্র ছড়িয়ে আছে। শুনে রামজয় বললেন— পথে তো দেখছি সব গোরু! একবার গাঁয়ের জমিদার তাঁকে কিছু জমি দান ক঩রে সেখানে থাকার প্রস্তাব দিলে রামজয় ভিক্ষার দান নিতে অস্বীকার করেন। তাঁর মতে অন্যের খোশামুদি করে কিছু নেওয়ার চেয়ে মরে যাওয়াটা অনেক ভালো। শরীরেও তাঁর প্রবল বল। একবার একটা ভালুককে গাছের উল্টো দিক থেকে ধরে গাছের গায়ে এমন করে ঘষে ছাল-চামড়া তুলে দেন যে ভালুক শাঁখআলু চিনতে পেরেছিলেন। ঠাকুরদাস দুটো পয়সা রোজগার করছেন দেখে রামজয়ের বিপুল স্বস্তি। চিরকালের ভবঘুরে স্বভাবের রামজয় এর মধ্যে তীর্থ ভ্রমণে বের হয়ে গেলেন। ঈশ্বরচন্দ্রের জন্মের আগে আবার গ্রামে ফিরে আসেন। ততদিনে ঠাকুরদাস বিয়ে করেছেন ভগবতীদেবীকে।
রামজয় যখন ফিরে এলেন তখন গর্ভবতী দুর্গাদেবী আসন্নপ্রসবা। আপাতত গর্ভজনিত উন্মাদরোগে পীড়িতা। নানা টোটকা নানান জনে ব্যবস্থা দিলেন। শেষ অবধি সন্তান জন্মের পরে পরেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেন। এঁড়েবাছুরকে পাগলেও ভয় পায়। ঘটে গেলও তাই। ভগবতীদেবীর কথা আমাদের বলতেই হবে— এমন মা না হলে কি এমন ছেলের জন্ম হয়!
ঠাকুরদাস বাঁড়ুয্যে যেভাবে বড় হয়েছেন, তার বাবা বাউন্ডুলে রামজয় তর্কভূষণ যেভাবে সংসারের ‘দায়িত্ব’ পালন করেছেন— তা যেটুকু ছবি পাঠক মহোদয়েরা এখানে দেখতে পেয়েছেন— তাতে তো তাঁদের আর্থিক অনটন নিয়ে পাঠকদের মনে সংশয় নেই যে তাঁদেরকে হাড়-হাভাতে না বলতে পারলেও আজকের ‘রেশন’-এর পরিভাষায় বিপিএল শ্রেণীভুক্ত সহজেই বলতে পারা যায়— অর্থাৎ বিলো প্রভার্টি লেভেল— গরিবদের চেয়েও একধাপ নীচে— সাধুভাষায় অকিঞ্চন বলতে পারব হয়তো! নামে দুর্গা কিন্তু দুর্গতির চরমতর অবস্থায় দিন কেটেছে। কুটিরে বাড়তি একটা লোক এলে বসতে-শুতে দেবার জায়গা নেই। লোক বলে বাপ কা বেটা, কেউ বলেন না— শাশুড়ি কি বহু। তো তাই হল ভগবতী দেবীর ক্ষেত্রেও। সেকালে বাঙালির সংসারে বারো বছরের এপাশ ওপাশেই বেটাছেলেরা বিয়ে করতেন। অথচ বাইশ-তেইশ বছরেও ঠাকুরদাসের বিয়ে হয়নি। দু’ টাকা মাইনে থেকে বেড়ে পাঁচ, পাঁচ থেকে আটে গিয়ে পৌঁছলেও স্ত্রীকে একখান শাড়ি কিনে দেবার সামর্থ্য কোনও পুরুষ মানুষের থাকে না। কাজেই বিয়ের বয়স পার হয়ে ঠাকুরদাসকে বিয়ে করতে হল। রোজগারটা আহামরি কিছু নয়, কিন্তু সংস্কৃত জানেন ভালো, দু’ কলম ইংরেজিটাও রপ্ত করেছেন মন্দ নয়। সচ্চরিত্র, যাকে বলে সাত্ত্বিক। পাত্র হিসেবে খুব একটা ফেলনার নয়।
(ক্রমশ)
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল 
15th  December, 2019
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়- সপ্তম কিস্তি। 
বিশদ

অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

বিদ্যাসাগর মশায় কলকাতায় এলেন। বাবা ঠাকুরদাস বুঝতে পেরেছিলেন গাঁয়ের টোলে পড়িয়ে ছেলের কোনও ভবিষ্যৎ তৈরি হবে না। কলকাতার একটা ছাপের দরকার। সব দেশেই সব সমাজে পরামর্শদাতার অভাব হয় না। এমন করে তাঁরা কথা বলেন যে, সেই বিষয়ে তাঁর চেয়ে দিগ্‌গজ পণ্ডিত আর নেই।  
বিশদ

হেঁড়ল
হামিরউদ্দিন মিদ্যা 

ধর! ধর! ধর!ছাগল নিয়েছে রে! হেঁড়লে ছাগল নিয়েছে!
সবেমাত্র খাওয়া-দাওয়া করে সারাদিন খেতে-খামারে খেটে আসা ক্লান্ত মানুষগুলো শুয়েছে, ঠিক তখনই বাগদিপাড়া থেকে সমস্বরে হইচই করে মাঠে নেমে এল কয়েকজন। হাতে টর্চ, লাঠি, কেউবা খালি হাতেই বেরিয়ে এসে ইঁটের টুকরো, শুকনো ঢিল তুলে নিয়েছে হাতে।  
বিশদ

আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ষষ্ঠ কিস্তি।

 
বিশদ

05th  January, 2020
অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

জগতে কোন মা কবে ছেলের কাছে এমনধারা গয়না চেয়েছিলেন— আমাদের জানা নেই। এই গয়না চুরি হয় না, এই গয়না সবাই মিলে ভাগ করে নিতে পারে, এই গয়না কারও একার হয় না— দেশের সম্পদ হয়। 
বিশদ

05th  January, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চম কিস্তি। 
বিশদ

29th  December, 2019
অথৈ সাগর 

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি।  বিশদ

29th  December, 2019
হিসেব-নিকেশ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায় 

অটোরিকশর পিছনের সিটে, দু’জনের মাঝখানে বসে, প্যাচপ্যাচে গরমে ঘেমেনেয়ে একেবারে কাহিল অবস্থা হচ্ছে বিমলবাবুর। অতি কষ্টে প্যান্টের পকেট থেকে রুমালটা বের করে, মুখের ওপর জমে থাকা ঘামের বিন্দুগুলি মুছে নিয়ে, বিমলবাবু আবার একবার হাতঘড়ির দিকে দেখলেন।  বিশদ

29th  December, 2019
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-৪

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়-চতুর্থ কিস্তি। 
বিশদ

22nd  December, 2019
অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

22nd  December, 2019
ডাকনাম ফড়িং
স্বপন পাল

অখিলেশের চাকরি জীবন থেকে অবসর নেওয়া প্রায় চার বছর হয়ে গেল। তার এই অবসর জীবনে সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে, অবসর সময় কাটানো নিয়ে সময় খুঁজে বের করা। বই বা খবরের কাগজ পড়ে কতটাই বা সময় কাটানো যায়। টিভি অখিলেশ খুব একটা দেখে না। চোখের ওপর চাপ পড়ে। গেল মাসে ডান চোখটায় ছানি অপারেশন হয়েছে। 
বিশদ

22nd  December, 2019
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-৩ 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়-তৃতীয় কিস্তি। 
বিশদ

15th  December, 2019
কন্যে কথন
নিয়তি রায়চৌধুরী 

—তোমার সঙ্গে একটা কথা আছে মা।
—আবার কী হল? রুমির একটা কথা মানে একশোটি কথার বাঞ্চ। সবটাই বিভাস বিষয়ক। এটা সবিতা জানেন। বনিবনা হচ্ছে না। শ্বশুরবাড়ির সহায়তা নেই। পরপর দুটি মেয়ের কারণে বিভাসের বাবা-মা’র নাতির আশায় ছাই পড়েছে। ছেলে-বউয়ের লাগাম ছাড়া কোন্দলে তাই উদ্বেগ নেই। 
বিশদ

15th  December, 2019
মানুষ গড়ার কারিগর
সৌমিত্র চৌধুরী

 চোখের জল মুছে বাবা বলল, ‘ঠিক আছে স্যার, আপনার কথা রাখলাম। তবে ঋণ বাড়াব না। ফেল করলে ওর কিন্তু পড়া বন্ধ।’ এত দূর বলে আমাদের পিসিএম থামল। আমার চোখে বিস্ময়। জম স্যার নিজে গেল হাটখোলায়? একটু অবাক হয়েছিলাম সেদিন। কিন্তু কয়েকমাস পরে ক্লাসের সবাইকে, এমনকী গোটা স্কুলকে অবাক করে দেবার মতো ঘটনা ঘটল। অঙ্কে আশি নম্বর পেয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় চার নম্বর স্থানটা দখল করেছে প্রদীপ। বিশদ

08th  December, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, কাঁথি: পথ দুর্ঘটনায় জখম পটাশপুরের বর্ষীয়ান এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হল। এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তিনি মারা যান। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম সুবোধচন্দ্র মাইতি(৭৫)।   ...

 বেঙ্গালুরু, ১১ জানুয়ারি: শনিবার ৪৭ বছরে পা দিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা বিশ্ব থেকেই অগুনতি শুভেচ্ছা বার্তা পাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘দ্য ওয়াল’। ...

 গান্ধীনগর, ১১ জানুয়ারি (পিটিআই): প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফর ঘিরে বিক্ষোভে উত্তাল শহরের বিভিন্ন প্রান্ত। তারই মধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করলেন অমিত শাহ। গুজরাতের মাটি থেকে। ...

সংবাদদাতা, ইসলামপুর: উত্তর দিনাজপুর জেলার চা বলয় হিসেবে পরিচিত চোপড়া ব্লকের একাধিক চা বাগান বন্ধ হয়ে রয়েছে। এর ফলে কাজ হারিয়েছে বহু শ্রমিক। কিছু বাগানে শ্রমিকরা কমিটি করে চালাচ্ছে। কোথাও আবার জমি মাফিয়াদের দখলে যাচ্ছে চা বাগান। কেটে নেওয়া হচ্ছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় যুব দিবস
১৮৬৩: স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম
১৯৩৪: মাস্টারদা সূর্য সেনের ফাঁসি
১৯৫০: কলকাতায় চালু হল চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৬২ টাকা ৭২.৭৮ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯৫.২৮ টাকা
ইউরো ৭৭.২৫ টাকা ৮০.৯৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০, ৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮, ৫২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯, ১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬, ৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭, ০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ পৌষ ১৪২৬, ১২ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৩৪/৩৩
রাত্রি ৮/১২। পুষ্যা ১৩/৩৬ দিবা ১১/৫০। সূ উ ৬/২৩/২, অ ৫/৬/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ গতে ৯/১৪
মধ্যে পুনঃ ১২/৬ গতে ২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৫ গতে ৯/৩২ মধ্যে পুনঃ ১২/১১ গতে ১/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/২৪
গতে ১/৪ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। 
২৬ পৌষ ১৪২৬, ১২ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৩৯/৪৪/২৯ রাত্রি ১০/১৮/৫২। পুষ্যা ১৮/৪৮/৪৯ দিবা ১/৫৬/৩৬। সূ উ ৬/২৫/৪, অ ৫/৫/৫৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ২/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪২
গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ১/৫৫ মধ্যে ও ২/৪৯ গতে ৬/২৫ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৫/২৯ গতে ১/৫/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৫/২৩ গতে ৩/৫/১৭ মধ্যে । 
মোসলেম: ১৬ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
জাতীয় যুব দিবস১৮৬৩: স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম১৯৩৪: 'মাস্টারদা' সূর্য সেনের ফাঁসি১৯৫০: ...বিশদ

07:03:20 PM

ভদ্রেশ্বরে টোটোচালকের মানিব্যাগ ফেরাল ৫ম শ্রেণীর ছাত্র 
আজ দুপুরে ভদ্রেশ্বরের রাস্তায় একটি মানিব্যাগ কুড়িয়ে পায় ৫ম শ্রেণীর ...বিশদ

09:57:00 PM

কোচবিহারে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু ছাত্রের 
রহস্যজনকভাবে কোচবিহারের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল ...বিশদ

06:37:02 PM

বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেলেন সমিতকুমার দাস

04:56:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের ত্রালে পুলিসের গুলিতে হত ৩ জঙ্গি, উদ্ধার অস্ত্রশস্ত্র 

04:12:42 PM