Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

জয় জগন্নাথ
সুমনা সাহা

রথযাত্রার উৎস: পৌরাণিক
রথ বললেই মনে যে ছবি ভেসে ওঠে, তা একটা ছাদ-খোলা ঘোড়ার গাড়ির মতো। তার উপরে বিমর্ষ মুখে বসে আছেন মধ্যম পাণ্ডব অর্জুন। কাঁধ থেকে খসে পড়েছে গাণ্ডীব। তাঁর সামনে সারথি রূপে শ্রীকৃষ্ণ। পার্থকে কৃষ্ণ শোনাচ্ছেন ‘উত্তিষ্ঠত জাগ্রত’ বাণী। বহু পরিবারে এই ছবিটি বাঁধিয়ে রাখা থাকে। সংসারসমুদ্রে হাবুডুবু খাওয়া মানুষ যেন কুরুক্ষেত্র সমরাঙ্গনের অর্জুন। সারথিরূপী শ্রীকৃষ্ণের গীতার বাণী আমাদের তাই বড় প্রয়োজন। 
কৃষ্ণার্জুনের রথ হল যুদ্ধরথ। বিজয়োৎসবেও রথযাত্রা হতো। রথযাত্রার উৎস নিয়ে আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। প্রতিটিই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সামাজিক অবস্থা ও ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি। যেমন—ভাগবত পুরাণের বিখ্যাত কাহিনিটি, যেখানে কৃষ্ণকে হত্যা করার দুরভিসন্ধি নিয়ে তাঁর মামা, মথুরার অত্যাচারী রাজা কংস রথ পাঠিয়েছেন গোকুলে। কৃষ্ণ-বলরাম দুই ভাইকে নিয়ে যেতে কংসের দূত হয়ে এসেছেন অক্রূর। কাতর ব্রজরমণীরা রথের চাকা চেপে ধরলেন, কৃষ্ণকে কিছুতেই যেতে দেবেন না। বৈষ্ণবদের মধ্যে ওই দিনটি রথযাত্রা হিসেবে পালনের রীতি আছে।
আবার অত্যাচারী কংসের নিধনের পর কৃষ্ণ ও বলরাম যখন বিজয় রথে বের হয়ে মথুরাবাসীকে দর্শন দেন, কিছু ভক্তের কাছে সেই দিনটি রথযাত্রা।
দ্বারকায় নতুন রাজধানী স্থাপনের পর সুভদ্রা একদিন নগর ভ্রমণের আবদার করেন। বোনকে নিয়ে রথে চেপে ভ্রমণে বের হন কৃষ্ণ ও বলরাম। দ্বারকার অধিবাসীদের মধ্যে এই দিনটি রথযাত্রার দিন হিসেবে পালনীয়।
একবার কৃষ্ণের রানিরা ধরে বসলেন বলরাম ও সুভদ্রার মা রোহিণীকে— বৃন্দাবনে গোপিনীদের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলার কাহিনি শোনাতে হবে। রোহিণী ভাবলেন, সুভদ্রার এই সব কথা শোনা উচিত হবে না। তাঁকে অন্য ঘরে পাঠিয়ে দিয়ে বর্ণনা শুরু করলেন রাসলীলা। এমনই মধুর সেই লীলা, আড়াল থেকে শুনে সুভদ্রা আর থাকতে পারলেন না। ধীরে ধীরে দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়ালেন। কৃষ্ণ ও বলরামও তাঁদের নামের উল্লেখ শুনতে পেয়ে হাজির হলেন। স্থাণু হয়ে দাঁড়িয়ে শুনতে লাগলেন। এই সময় সহসা দেবর্ষি নারদের আগমন। তিনি দেখলেন, কৃষ্ণ-বলরাম-সুভদ্রা একসঙ্গে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে কথা শুনছেন। এই রূপ তাঁর বড় ভাল লাগল। তিনি অনুরোধ করলেন, এই রূপে ভক্তদের চিরকাল দর্শন দিতে হবে। নারদের প্রার্থনা মঞ্জুর করলেন কৃষ্ণ। সেই মূর্তিই পুরীধামে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা রূপে পূজিত হয়ে চলেছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, জরা নামক ব্যাধের তিরে কৃষ্ণের স্থূল দেহের মৃত্যুর পর তাঁর অস্থি ও নাভি ভাসিয়ে দেওয়া হয় সাগরে। তা নাকি ভাসতে ভাসতে পুরীর সমুদ্রসৈকতে পৌঁছয়। ইতিমধ্যে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন, কৃষ্ণের অস্থি ভেসে আসবে এবং তা স্থাপন করতে হবে দারু মূর্তির গর্ভে। তৈরি করতে হবে কৃষ্ণ, বলরাম ও সুভদ্রার দারু মূর্তি। সুভদ্রাকে দাদাদের নগর-ভ্রমণ করানোর সেই পুরনো রীতি মেনেই বছরে একবার তিন ভাইবোন মিলে রথে চড়ে শ্রীমন্দির থেকে গুণ্ডিচা পর্যন্ত যাত্রা করেন। তাঁদের নগর দর্শনও হয়, আর ভক্তরাও ভগবানের দর্শন পান।

রথযাত্রার উৎস: ঐতিহাসিক
পুরীতে জগন্নাথদেবের ১২টি প্রধান ‘যাত্রা’ উৎসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি— জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ‘স্নানযাত্রা’ এবং আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে ‘রথযাত্রা।’ চতুর্দশ শতাব্দীর স্কন্দপুরাণের পুরুষোত্তম খণ্ডে এই দু’টি উৎসবের উল্লেখ রয়েছে। পরবর্তী সময়ে দু’টি সংস্কৃত পুঁথি—নীলাদ্রি মহোদয় ও বামদেব সংহিতায় এবং জগন্নাথদেব সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের পুঁথি, সুক্ত সংহিতায় এই দু’টি যাত্রার উল্লেখ পাওয়া যায়। কিন্তু এই যাত্রার সূচনা কবে থেকে? ঐতিহাসিকদের মতে, পুরীতে ১২৩০ খ্রিস্টাব্দের আশেপাশে কোনও এক সময় জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা এই ত্রিমূর্তির আবির্ভাব। সুতরাং স্নানযাত্রা ও রথযাত্রা এর পরবর্তী কোনও সময়েই আরম্ভ হওয়া সম্ভব। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, ওই সময়ের আগে পুরীতে পুরুষোত্তম ও লক্ষ্মীর পুজো হতো।
একাদশ শতকে রাজা ভোজের ‘রাজ মার্তণ্ড’, দ্বাদশ শতকের কবি হর্ষদেবের ‘নৈষধচরিত’ ও জীমূতবাহনের ‘কালবিবেক’ গ্রন্থে পুরুষোত্তম ক্ষেত্রের মহাজ্যেষ্ঠী উৎসবের উল্লেখ আছে। কিন্তু রথযাত্রার কথা লেখা নেই।
অনেক জায়গাতেই এখন মহাসমারোহে রথযাত্রা পালিত হয়। তবুও পুণ্যভূমি পুরীর মাহাত্ম্য স্বতন্ত্র। নির্দিষ্ট দিনের মাসখানেক আগে থেকে উৎসবের প্রস্তুতির সূচনা। রথ হল ঈশ্বরের দিব্য আবির্ভাব। রথ নির্মাণ ও রথযাত্রা হল ভক্ত-ভগবানের মিলন। তাই রথযাত্রা শুধু একটি উৎসব নয়, এর একটি গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্যও রয়েছে। শ্রীমন্দির থেকে পথে বেরিয়ে গুণ্ডিচা বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা হল সংসার-বিরক্ত মোক্ষকামী জীবের নিবৃত্তির পথে যাত্রা। রথের দড়িতে টান দিলে রথ চলে। ওই টান হল পরমাত্মার সঙ্গে জীবাত্মার মিলনের আকুলতা। গুণ্ডিচা বাড়ি হল ভক্ত-ভগবানের মিলন। এরপর উজানে চলা। ফিরতি পথ হল স্বধামে গমন, জীবের স্ব-স্ব রূপে প্রত্যাবর্তন। এই হল রথযাত্রার আধ্যাত্মিক ব্যঞ্জনা।

প্রচলিত কাহিনি
রথযাত্রা কবে শুরু হয়েছে বা কে প্রথম শুরু করেছেন, সে বিষয়ে সঠিক কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। কিন্তু এ নিয়ে ছড়িয়ে রয়েছে একাধিক কাহিনি। বলা হয়, এই ত্রিমূর্তি নির্মাণ করেছেন স্বয়ং দেব-কারিগর বিশ্বকর্মা। তিনি গুণ্ডিচা মন্দিরে বসে কাজ করছিলেন এবং অসময়ে মন্দিরের দরজা খুলে ফেলা হলে মূর্তি নির্মাণ অসম্পূর্ণ রেখেই বিশ্বকর্মা অন্তর্ধান করেন। রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন নির্মীয়মাণ মূর্তিগুলি এনে বিধিমতো শ্রীমন্দিরে স্থাপন করেন। এই সময় রানি গুণ্ডিচার প্রার্থনা শুনে জগন্নাথদেব জানান, বছরান্তে একবার কিছু সময়ের জন্য তিনি শ্রীমন্দির থেকে এই মন্দিরে এসে অবস্থান করবেন। সেই মতো আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়ায় বলদেব ও সুভদ্রা সহ গুণ্ডিচা মন্দিরে আসার জন্য রথে চড়েন জগন্নাথদেব। এটিই তাঁর দ্বাদশ যাত্রার সর্বোত্তম ও জনপ্রিয়তম রথযাত্রা। পথমধ্যে শ্রীমন্দির ছেড়ে আসা জগন্নাথদেবের দর্শন পান আপামর জনসাধারণ।

রথ নির্মাণ
রথ তৈরিরও নানা নিয়ম রয়েছে। সেই সমস্ত নিয়ম পুঙ্খানুপুঙ্খ লিখিত রয়েছে মাদলাপঞ্জীতে। প্রাচীনকাল থেকে কঠোর ভাবে পালিত হয়ে আসছে সেই সমস্ত নিয়ম। নির্মাণকাজ শুরু হয় অক্ষয় তৃতীয়ায়। প্রতি বছরই নতুন করে গড়ে তোলা হয় তিনটি রথ। জগন্নাথের রথ আকারে সবচেয়ে বড়। নাম নন্দীঘোষ (গরুড়ধ্বজ বা কপিধ্বজ)। বলরামের রথ বল ও শক্তির প্রতীক, নাম তালধ্বজ। সুভদ্রার রথ ঔদার্য ও করুণার প্রতীক, নাম দর্পদলন।

ছেরা পহরা
রথের দিন সকালে পুরীর রাজা, গজপতি মহারাজা ও তাঁর বংশধররা রাজপোশাক পরিধান করে মন্দিরে আসেন। রাজা গর্ভমন্দিরে প্রবেশ করে শ্রীবিগ্রহ রথে তুলে দেওয়ার জন্য সিংহাসনের পিছনে গিয়ে ভক্তি সহকারে বিগ্রহ সামান্য ঠেলে দিয়ে প্রতীকী অর্থে রথযাত্রার শুভ সূচনা করেন। বিগ্রহকে রথে বসানো হলে সুখে উপবেশনের জন্য রাজা নিজে ভগবানের পিঠে তাকিয়া দেন। রথযাত্রার শুরু হওয়ার আগে সোনার ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। ঝাড়ুর প্রতিটি সঞ্চালন যেন নীরব বার্তা দেয়—‘ঈশ্বরের কাছে সকলের সমান অধিকার! রাজাধিরাজ জগন্নাথের কাছে ধনী-নির্ধন, পণ্ডিত-মূর্খ, ব্রাহ্মণ-ম্লেচ্ছ কোনও ভেদ নেই।’ এরপর রথ টানা আরম্ভ হয়। এই অনুষ্ঠানটির নাম ছেরা পহরা। 

রথ টানা
প্রথমে বলদেবের নীলবর্ণের রথ এগিয়ে চলে, মাঝে থাকে কৃষ্ণ বর্ণের দেবী সুভদ্রার রথ। পরিশেষে চলতে থাকে রথযাত্রার মূল আকর্ষণ শ্রীজগন্নাথের পীতবর্ণের সুসজ্জিত রথ। হাজার হাজার মানুষের মাঝে রাজকীয় চালে চলতে থাকে সেই রথ। বিপুল সংখ্যায় ভক্তরা জড়ো হন রথের দড়ি ধরে টানবেন বলে। রথ অগ্রসর করতে দড়ি ধরে রথ টানা এক মহা পুণ্যের কাজ বলে মনে করেন ভক্তরা। মাঝে মাঝে রথ থেকে লাল পতাকা দেখালেই টানা থেমে যায়। সবুজ পতাকায় আবার চলতে থাকে। অপরিসীম ভক্তি, বিশ্বাস, দেশ-দেশান্তর থেকে নানা বর্ণ, ভাষা, ধর্মের মানুষকে রথের সামনে টেনে আনে।

গুণ্ডিচা বাড়িতে রথ অবস্থান
গুণ্ডিচা বাড়িতে রথ পৌঁছলে জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রা সহ আটদিন এখানে থেকে ভক্তদের দর্শন দেন। শ্রীমন্দিরের মতোই এখানেও আটদিন ধরে জগন্নাথদেবের সেবাপুজো ভোগরাগ ও আরতি যথানিয়মে চলে।

বহুড়া যাত্রা (উল্টোরথ)
অষ্টম দিনে দেবত্রয়ী পুনরায় নিজ নিজ রথে চড়ে ফিরে চলেন শ্রীমন্দিরে। এটিই পুনর্যাত্রা বা স্থানীয়ভাবে বহুড়া যাত্রা নামে পরিচিত। ভক্তরা ফের রথ টেনে নিয়ে আসেন। ফিরতি পথে, বড় দণ্ড-এর (গ্র্যান্ড অ্যাভিনিউ) উপর ভক্ত সালাবেগের সমাধির সামনে রথ থামে। ১৬ শতকের মরমীয়া সাধক সালাবেগ জাতিতে ছিলেন মুসলিম। কিন্তু কবির আন্তরিক ভক্তিতে বাঁধা পড়েন জগন্নাথদেব। বৃন্দাবন থেকে আসা সালাবেগকে দর্শন দেবেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর অপেক্ষায় যাত্রা থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন জগতের নাথ। সেই থেকে ওই একই স্থানে রথ দাঁড় করানো হয়, যাতে সালাবেগ প্রভুর দর্শন পান। এরপর রথ আবার সচল হয়। শ্রীমন্দির দ্বারে উপস্থিত হয় রথ। একাদশীতে হয় সোনাবেশ। তার পরের দিনের অনুষ্ঠানের নাম অধরপনা। একদিন পরে লক্ষ্মীদেবীর মানভঞ্জন করতে রসগোল্লার ভেট দিয়েই শ্রীমন্দিরে ফিরে যেতে পারেন জগন্নাথদেব। পুনরায় অবস্থান করেন রত্নবেদিতে।
কঠোপনিষদে রথে জগন্নাথ দর্শন করাকে বলা হয়েছে, ‘রথে তু বামনং দৃষ্ট্বা পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে...।’ অর্থাত্ রথে অবস্থিত বামন রূপে জগন্নাথকে দর্শন করলে মানবের পুনরায় জন্মগ্রহণ করতে হয় না। জনশ্রুতি হলেও একথা বিশ্বাস করেন ভক্তরা। তাই প্রভুর রথ দেখলেই সকলে সমস্বরে বলে ওঠেন—‘জয় জগন্নাথ! জয় জগন্নাথ!’
ছবি : অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও  প্রার্থিতা মাজী
রথচক্র

রথের জন্য চাই নিম ও হাঁসি গাছের কাঠ। মন্দির কমিটি প্রথমে বনদপ্তরের কাছে খবর পাঠায়। তারপর জঙ্গলে প্রবেশ করেন পুরোহিতরা। পুজো করা হয় নির্দিষ্ট গাছগুলিকে। সেই পর্ব শেষে সোনার কুড়ুল জগন্নাথদেবের চরণে স্পর্শ করিয়ে গাছ কাটার শুরু। বিশদ

মাসির বাড়ির অজানা কথা

পোশাকি নাম অর্ধাসিনী মাতা। তবে সর্বজনের কাছে তার পরিচিতি ‘মৌসি মা’ বা ‘মাসি মা’ বলে। রূপে অবিকল সুভদ্রা দেবী। পুরীর এই অর্ধাসিনী দেবী সম্পর্কে জগন্নাথদেবের মাসি। বিশদ

স্বামীজির মৃত্যু ও এক বিদ্রোহের জন্ম
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

মশালটা জ্বলছে। মৃত্যুহীন প্রাণের আঁচ অনুভূত বাংলার মনে। তিনি চলে গেলেন নিঃশব্দে। তবু মশালটা জ্বলছে সংস্পর্শীদের হৃদয়তন্ত্রে। দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মেঘরাশি নিজেই সরিয়ে দিয়ে গিয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দ। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে বেলুড়মঠে কামাখ্যা মিত্রকে বলেছিলেন ‘ভারতের আজ বোমার প্রয়োজন!’ বিশদ

30th  June, 2024
মহাধ্যানে মহাযোগী
পূর্বা সেনগুপ্ত

গুন গুন করে গানের সুর তুলেছেন—‘শ্যামাসুধা তরঙ্গিনী, কালী সুধা তরঙ্গিনী।’ পুরাতন মঠের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছেন স্বামী বিবেকানন্দ। জীবনের শেষলগ্ন উপস্থিত হয়েছে। সকলের অবশ্য মনে হচ্ছে, বড্ড খাটুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। বিশদ

30th  June, 2024
দাঁড়াও, পথিক-বর

হিন্দু না খ্রিস্টান—ধর্মীয় টানাপোড়েনে দেড় দিন মাইকেল মধুসূদন দত্তের নিথর দেহ পড়ে ছিল মর্গে! কবির মৃতদেহের দায়িত্ব নিতে রাজি ছিল না কেউ। কেন এমনটা হয়েছিল? লিখছেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

23rd  June, 2024
মাইকেলের সমাধি

কলকাতার কোলাহলমুখর অন্যতম ব্যস্ত মল্লিকবাজার মোড়। তার একটু আগেই শিয়ালদহ থেকে আসার পথে বাঁদিকে কলকাতার লোয়ার সার্কুলার রোড সেমেট্রি। গেট পার হলেই সোজা কিছুটা এগিয়ে ডান দিকে তাকালেই দেখা যাবে লেখা রয়েছে ‘মধু বিশ্রাম পথ’। বিশদ

23rd  June, 2024
বিস্মৃত বিপ্লবীর সন্ধানে

স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে বিপ্লবগুরু যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে নিরালম্ব স্বামী ও তাঁর চান্না আশ্রম। ইতিহাসের সেই অধ্যায় ছুঁয়ে এসে স্মৃতি উজাড় করলেন সৈকত নিয়োগী। বিশদ

16th  June, 2024
কোথায় বিপ্লব? কখন বিপ্লব?

পাথরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ সন্ন্যাসীর। খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরে বসে আনমনা হয়ে মেঝেতে একটা বুলেট ঠুকছেন। পাশে ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রিভলভারের যন্ত্রাংশ। উল্টোদিকে মোড়ায় বসে এক যুবক ক্রমাগত তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন। বিশদ

16th  June, 2024
জামাইবাবু জিন্দাবাদ
কৌশিক মজুমদার

সে অনেককাল আগের কথা। এক পরিবারে দুই বউ ছিল। ছোট বউটি ছিল খুব লোভী। বাড়িতে মাছ কিংবা অন্য ভালো খাবার রান্না হলেই সে লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়ে নিত আর শাশুড়ির কাছে গিয়ে বলত ‘সব ওই কালো বেড়ালটা খেয়ে নিয়েছে।’ বিড়াল মা-ষষ্ঠীর বাহন। বিশদ

09th  June, 2024
আদরের অত্যাচার
কলহার মুখোপাধ্যায়

মাছের মুড়ো মনে হচ্ছে হাঁ করে গিলতে আসছে। পাক্কা সাড়ে তিন কেজির কাতলা। জল থেকে তোলার পরও দু’মিনিট ছটফট করেছিল। এক-একটি পিস প্রায় ২৫০ গ্রামের। তেল গড়গড়ে কালিয়া হয়েছে। পাশে কাঁসার জামবাটিতে খাসির মাংস। সব পিসে চর্বি থকথক করছে। বিশদ

09th  June, 2024
ঝড়ের  ঠিকানা

কখনও আইলার মতো সরাসরি, কখনও বা রেমালের ‘লেজের ঝাপ্টা’—প্রায় প্রতি বছরই বর্ষার আগে বাংলায় আঘাত হানছে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। একটার ক্ষত শুকোতে না শুকোতে আবার একটার তাণ্ডব। ব্যস, যাবতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার ব্যবস্থাপনা, পুনর্বাসন ও উন্নয়ন ধুয়েমুছে সাফ! শুধু জেগে থাকছে আতঙ্ক জাগানো একটা শব্দ, ‘সাইক্লোন’।
বিশদ

02nd  June, 2024
সবহারাদের কথা

সালটা ২০০৯। ২৬ মে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আইলা। তছনছ হয়ে গিয়েছিল পাথরপ্রতিমা ব্লকের উত্তর গোপালনগর গ্রাম। গোবোদিয়া নদীবাঁধ ভেঙে সুন্দরবনের মধ্যে প্রথম প্লাবিত হয়েছিল এই গ্রামই। কোমরসমান জলের মধ্যে দাঁড়িয়েই শুরু হয় জীবনের লড়াই। সেই কথা মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা।
বিশদ

02nd  June, 2024
বাস্তবের সাইবর্গরা
কল্যাণ কুমার দে

মেরিন কর্পে কাজ করতেন ক্লডিয়া মিশেল। মোটরবাইক দুর্ঘটনায় একটি হাত হারিয়ে ফেলেন। সেখানে স্থাপন করা হয় একটি বায়োনিক হাত। সেটিকে যুক্ত করা হয় শরীরের নার্ভাস সিস্টেম বা স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে। এখন এই যান্ত্রিক হাতে তিনি এতটাই সাবলীল যে ফলের খোসা ছাড়াতেও কোনও অসুবিধা হয় না। বিশদ

26th  May, 2024
টেলিপ্যাথির ১০০ দিন

টেলিপ্যাথির দাম নাকি ৮ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা! ইলন মাস্ক অবশ্য এখনও প্রাইসট্যাগ লাগাননি। কিন্তু তাঁর সংস্থার যুগান্তকারী আবিষ্কার নিউরালিঙ্ক বা এনওয়ান চিপ মস্তিষ্কে বসাতে এতটাই খরচ হতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি। সঙ্গে রয়েছে আনুষঙ্গিক বিমা, ৩৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার। বিশদ

26th  May, 2024
একনজরে
রথযাত্রা উপলক্ষ্যে সোনার গয়নায় আকর্ষণীয় অফার দিয়ে ক্রেতাদের টানার চেষ্টা বিভিন্ন বাজারে। বহরমপুরের শতাব্দী প্রাচীন খাগড়া মার্কেটের সোনাপট্টিতে সাজসাজ রব। সোজা রথ থেকে উল্টো রথ পর্যন্ত অধিকাংশ বিপণিতে নানা অফার দেওয়া হচ্ছে। ...

রাজ্যের প্রায় ৩০ হাজার স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ‘ধূসর জল ব্যবস্থাপনা’ চালু করবে রাজ্য। সম্প্রতি রাজ্যের প্রতিটি স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সমীক্ষা চালায় রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। তার মধ্য থেকেই এই সমস্ত স্কুলগুলিকে বেছে নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ চালু করতে উদ্যোগ ...

মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হারের পর মোহন বাগানের ড্র।  ঘরোয়া লিগের শুরুতেই প্রবল চাপে দুই বড় দল। পয়েন্ট নষ্টের ট্রেন্ড দেখে বেশ সতর্ক ইস্ট বেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। ...

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরের বধূর আধার নম্বর ব্যবহার করে দু’বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার এক বধূ! সূত্রের খবর, গত দু’বছর হরিরামপুর ব্লকের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছেন হরিরামপুরের রামকৃষ্ণপুরের বধূ সুচিত্রা দাস সরকার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জুনোসিস দিবস
১৬১৪ - রাজা ভগবান দাসের পালিত পুত্র রাজা মানসিংহের মৃত্যু
১৭৮১ - সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টমাস স্ট্যামফোর্ড র‍্যাফলসের জন্ম
১৮৬৬ - বাংলা ভাষায় প্রথম বিশ্বকোষের সংকলক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ নগেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম,
১৮৮৫- জোসেফ মেইস্টারের উপর জলাতঙ্ক রোগের টিকা সফলভাবে পরীক্ষা করলেন লুই পাস্তুর
১৮৯০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফল ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২- ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসাবে নির্বাচিত হলেন দাদাভাই নওরোজি
১৯০১- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯ - বিশ্বের প্রথম বিমান 'ব্রিটিশ আর-৩৪' আটলান্টিক পাড়ি দেয়। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় নেয় ১০৮ ঘণ্টা
১৯৩০ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের জন্ম
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির জনক অভিধা প্রদান করেন
১৯৪৬- আমেরিকার ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের জন্ম
১৯৪৬- মার্কিন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের জন্ম
১৯৪৭ - সোভিয়েত ইউনিয়ন এ. কে. ৪৭ রাইফেল উৎপাদন শুরু করে
১৯৫২ - লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম চলাচল
১৯৭৯ - মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়
১৯৮৫- অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৬- রাজনীতিবিদ জগজীবন রামের মৃত্যু
১৯৯১ - জার্মান টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফ পর পর তৃতীয়বারের মতো উইম্বলডন জেতেন
২০০২- রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যু
২০০২ - মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক জন ফ্রাঙ্কেনহাইমারের মৃত্যু

06th  July, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৪ টাকা ৮৪.৩৮ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২৩ টাকা ১০৮.৭২ টাকা
ইউরো ৮৯.০৪ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৫/০। পুষ্যা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/৩৩, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া শেষরাত্রি ৪/৩৩। পুনর্বসু নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/১৩। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে।  
৩০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুরীতে রথযাত্রায় পদপিষ্টের পরিস্থিতি, জখম বহু

08:29:42 PM

দ্বিতীয় টি-২০ জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে ১০০ রানে ম্যাচ জিতল ভারত

07:56:01 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ২ রানে আউট ব্লেসিং, জিম্বাবোয়ে ১২৩/৯ (১৭.৪ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:45:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ৪৩ রানে আউট ওয়েসলি, জিম্বাবোয়ে ১১৭/৮ (১৬.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:37:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ১ রানে আউট মাজাকাটজা, জিম্বাবোয়ে ৭৬/৭ (১১.১ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:18:31 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ০ রানে আউট ক্লাইভ, জিম্বাবোয়ে ৭৩/৬ (১০.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:12:00 PM