অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
দোকানে দোকানে চলছে সেল। চৈত্র মাস জুড়ে গরমে পরার নানা হাল্কা পোশাক কেনা বাঙালির বহু পুরনো অভ্যাস। শহর ও শহরতলির বিভিন্ন দোকানপাটেই তাই এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। তাপমাত্রার পারদ যতই চড়ুক, সেলের সেলসিয়াসও ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। কোন দোকানে কেমন চলছে সেল, কত দামে কোথায় কেমন শাড়ি বিক্রি হচ্ছে— রইল সেই হদিশ।
রীতা শাড়ি: গরমে পরার কটন শাড়ি তো বটেই, এছাড়াও কাঞ্জিভরম, কাঞ্চিপুরম, স্বর্ণ কাতান, তসর সিল্ক, ঘিচা, তসরের ওপর কাঁথা কাজ, বোমকাই, মটকা প্রভৃতি শাড়ির ওপরেই এখানে ছাড় চলছে। তবে ছাড়ের অঙ্ক এক একটা শাড়ির বেলায় এক এক রকম। যেমন ৪৫০-৫০০ টাকার কটন শাড়ি সেলের মরশুমে পাবেন ৩০০ টাকায়। হ্যান্ডলুমের শাড়ির ওপর আর্টের নানা কাজ পছন্দ করতে পারেন। ১৫০০-৫০০০ টাকা দামের এই শাড়িগুলোর ওপর ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে। পিওর সিল্কের ওপর হ্যান্ডলুম কাজ করা শাড়ির দাম শুরু ২৮০০ টাকা থেকে। ১৮,০০০ টাকা পর্যন্ত রেঞ্জে এগুলো মিলবে। সেলের সময় এই ধরনের শাড়িতে ৪০ শতাংশ ছাড় চলছে। এবছর তসর সিল্কের বেশ ভালো সংগ্রহ এখানে এসেছে। ১৫০০-৮০০০ টাকা রেঞ্জে এসব শাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় মিলছে। ইক্কত পছন্দ হলে তাও কিনতে পারেন। হাওড়া জেলায় অন্যতম সেরা ইক্কত মেলে এখানে। ভালো মানের ইক্কতের দাম শুরু ৫০০০ টাকা থেকে। দামি ইক্কতের মধ্যে ১২-১৩ হাজারের শাড়ি পাবেন। এগুলোতে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় শুরু হয়েছে। ভালো লাগতে পারে এখানকার কাঁথা কাজের শাড়ির বিপুল সম্ভারও। ৩২০০-১৫,০০০ টাকা রেঞ্জের এই ধরনের শাড়িতে ৪০ শতাংশ ছাড় চলছে। এছাড়া বেঙ্গালুরু তসর সিল্কের দাম ঘোরাফেরা করবে ১৩০০-৮০০০ টাকার মধ্যে। এতে ৩০ শতাংশ অবধি ছাড় পাবেন। খাঁটি তসর শাড়িও নানা রং ও নকশায় এখানে পাবেন। ৩-১০ হাজার টাকা বাজেট হলে পছন্দ করতে পারেন এই ধরনের শাড়ি। এগুলিতেও ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় আছে।
তবে শুধু শাড়িই নয়, লেহেঙ্গা, লং ড্রেস, কুর্তা ও শেরওয়ানিতেও সেল শুরু হয়েছে এখানে। হাল্কা-ভারী নানা রকমের নকশার লেহেঙ্গা পাবেন রীতা শাড়িতে। দাম শুরু ৫০০০ টাকা থেকে। একটু দামি চাইলে ২০,০০০ টাকা দামের লেহেঙ্গাও পছন্দ করতে পারেন। ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাবেন এসব পোশাকে। লং ড্রেসে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে। ৬৫০-১২,০০০ টাকা রেঞ্জের কুর্তা ও শেরওয়ানির ওপর পাবেন ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। সেল চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন দোকান খোলা।
ঠিকানা: ২৭/১, জিটি রোড, হাওড়া ময়দান। পিন- ৭১১১০১
যোগাযোগ: ৭০৪৪৩৭৯৭৯৩
বসকো: পরিবারের সকলের পোশাক এক ছাদের তলায়। এই ভাবনায় ভর করেই ‘বসকো’ তাদের পোশাকের সম্ভার প্রস্তুত করে। হুগলি জেলার অন্যতম নামী এই বস্ত্রপ্রতিষ্ঠানেও চলছে সেল। এখানে নতুন ও পুরনো দু’ধরনের স্টকই পাবেন। পুরনো স্টকের কয়েকটি নির্দিষ্ট শাড়ির ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে। তা বলে ভাববেন না, পুরনো সংগ্রহ মানেই শাড়িগুলোর রং ও নকশার কাজে কোনও খামতি হয়েছে। বরং এই শাড়ির প্রত্যেকটিই একেবারে নিখুঁত। একটি সেটের একই নকশার অন্য রং বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর যেগুলি পড়ে আছে, তাদেরই পুরনো স্টক হিসাবে ক্লিয়ারেন্স সেল-এর মধ্যে রাখা হয়েছে। ১০০০-২০,০০০ টাকা রেঞ্জের মধ্যে এমন পুরনো স্টকের শাড়ির দাম ঘোরাফেরা করবে। এর ওপর আবার মিলবে ছাড়।
নতুন স্টকেও ছাড় বহাল রেখেছে এই সংস্থা। ৫০০ টাকা ও ততোধিক দামের সবরকম নতুন স্টকের শাড়িতে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে। কটন, হ্যান্ডলুম, মটকা, কাঁথা কাজ, তসর, নানারকমের সিল্ক, ইক্কত, কোটা, কাতান ইত্যাদি দিয়ে নিজেদের পসরা সাজিয়েছে এরা।
তবে শুধু শাড়ি নয়, মেয়েদের অন্যান্য পোশাক, পুরুষ ও শিশুদের বিভাগেও ফ্রেশ স্টকের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় শুরু হয়েছে বসকো-য়। বিভিন্ন রেডিমেড কুর্তায় চলছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। সেল চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন দোকান খোলা।
ঠিকানা: এন এস রোড, চুঁচুড়া, হুগলি।
যোগাযোগ: ৯৮৩০১৮০৬০৩
অমৃত বস্ত্রালয়: হাওড়া জেলার আর একটি জনপ্রিয় বস্ত্রপ্রতিষ্ঠান অমৃত বস্ত্রালয়। ঢাকাই ও কটন শাড়ির বড়সড় সংগ্রহ এদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সেলের মরশুমে এখানে কটন ঢাকাইয়ের ওপর ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন। ৯৫০ টাকার কটন ঢাকাই মিলছে ৮৫৫ টাকায়। অ্যাপ্লিকের কাজ করা সুতির ছাপা শাড়ির দাম শুরু ৩৯৫ টাকা থেকে। ১০ শতাংশ ছাড় দিয়ে কটন মলমলের দাম শুরু ৩৫০ টাকা থেকে। ৮৭৫ টাকা দামের নরম ঢাকাইয়ের ওপরও চলছে ১০ শতাংশ ছাড়। সেলের এই মরশুমে চান্দেরি কটন বাটিক এখানে পাবেন মাত্র ৫৭৫ টাকায়। লিনেন প্রিন্ট মিলবে ৩০০ টাকায়। চান্দেরি সিল্ক প্রিন্টের দাম শুরু ৬০০ টাকা থেকে। নেটের মিশেলে লিনেন মিলবে মাত্র ৪২৫ টাকা বাজেট হলেই। কটন বালুচরির মন ভরানো নানা সংগ্রহের দাম শুরু ৭৯৫ টাকা থেকে। এছাড়া খাদি কাপড়ের চাহিদাও এই গরমে বাড়ে। সেকথা মাথায় রেখে বিভিন্ন রং ও নকশার খাদির পোশাকের ওপর এখানে ১৫ শতাংশ ছাড় চলছে। তবে এই দোকানের অন্যতম আকর্ষণ চিত্রকলা ঢাকাই ও মসলিন মাধবীলতা। এই দুই ধরনের শাড়িতে এবছর ছাড় দিচ্ছে এই বস্ত্রপ্রতিষ্ঠান। মসলিন মাধবীলতা ও চিত্রকলা ঢাকাইয়ের দাম শুরু যথাক্রমে ১১৭৫ টাকা ও ৩৭২৫ টাকা থেকে। দুই ক্ষেত্রেই ১০ শতাংশ করে ছাড় শুরু হয়েছে।
এছাড়াও এখানে সিল্কের শাড়ির এক বৃহৎ সংগ্রহ পাবেন। সারা ভারতে প্রায় যত রকমের সিল্ক মেলে, সেই সবধরনের সিল্ক এখানে পাবেন। কোয়েম্বাটোর সিল্ক, আর্নি সিল্ক, বিষ্ণুপুরি সিল্ক, অসম সিল্ক, রেশম সিল্ক, মুগা সিল্ক, তসর সিল্ক, সিল্ক বেনারসি, সিল্ক গাদোয়াল, পেপার সিল্ক, পিওর হ্যান্ড বাটিক সিল্ক, বালুপুরম সিল্ক ইত্যাদি নিয়ে এদের সিল্ক বিভাগ খুবই সমৃদ্ধ। ২০০০-৩৫০০ টাকার মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে এসব শাড়ির দাম। এছাড়া কাতান বেনারসি, কাঞ্জিভরম, ইক্কত, ঘিচা সহ বিভিন্ন ধরনের শাড়িতেই ১০-১৫ শতাংশ ছাড় চলছে। সেল চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। সেলের মরশুমে রোজ দোকান খোলা থাকছে।
ঠিকানা: ৫৪১, জিটি রোড, মল্লিকফটক, হাওড়া ময়দান। পিন: ৭১১১০১। যোগাযোগ: ০৩৩২৬৩৮৫৯৮৫/২৬৩৭২৪৬০