অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
তাঁত প্যালেস: বাংলার তাঁত যাঁরা পছন্দ করেন, ‘তাঁত প্যালেস’ তাঁদের অন্যতম পছন্দের বিপণী। ফ্রেশ স্টকের ওপর বেশ কিছুটা ছাড় দিচ্ছে এই সংস্থা। কোনও কোনও শাড়িতে নির্দিষ্ট শতাংশের হিসেবে ছাড় চলছে। আবার কখনও ধার্য মূল্যের ওপর বেশ কিছু টাকা ছাড় দিয়ে শাড়ির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন, সেল চলাকালীন ৫৫০ টাকার শাড়িগুলোয় ৫০ টাকা ছাড় দিয়ে পাওয়া যাবে ৫০০ টাকায়। মাঠা পাড় ১২ হাত চেক ডুরে ধনেখালি, যার দাম ২৯০ টাকা, সেলে ২৬৫ টাকায় পাবেন। ৯৫০ টাকার সফট বেগমপুরি কটন শাড়ি পাবেন ১০০ টাকা ছাড়ে ৮৫০ টাকায়। ভালো মানের ঢাকাইয়ের দাম শুরু ৭০০-৭৫০ টাকা থেকে। টাঙাইলের চাহিদাও এই সময় বাড়ে। টাঙাইলের দাম শুরু ১১০০ টাকা থেকে। কাপড় ও নকশা অনুযায়ী রেঞ্জ বাড়বে। বাজেট একটু বেশি হলে নানা নকশাদার ডিজাইনে হ্যান্ডওভেন ঢাকাই পাবেন। অন্য সময় এগুলোর দাম শুরু ১৩ হাজার টাকা থেকে, তবে সেলের বাজারে এই শাড়িগুলো ৫০ শতাংশ ছাড়ে মাত্র ৬৫০০ টাকায় পাবেন। মসলিন ঢাকাইয়েরও এক বৃহৎ সম্ভার রয়েছে এখানে। ২৬০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ৫০০০ টাকা পর্যন্ত নানা নকশার মসলিন পাবেন। প্রতিটি শাড়িতেই ৫০০ টাকা ছাড় মিলছে। এক্সক্লুসিভ মটকা মসলিনের দাম এখানে শুরু ২০০০ টাকা থেকে। সিল্ক মার্ক দেওয়া এমন মটকার চাহিদা এই সময় বাড়ে। এই শাড়িতেও মিলবে ছাড়। মসলিন আঁচল ও খাদির জমিনে বোনা হাফ হাফ শাড়ি প্রচুর এসেছে স্টোরে। সেগুলোর দাম ২০০০-৪০০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। ছাড় দিয়ে আর একটু কমে পাবেন এগুলো। ফ্যান্সি কাপড়ের স্টকেও নতুনত্ব আছে। দাম শুরু ৭০০-৭৫০ টাকা থেকে। ওপারা সিল্ক পছন্দ হলে তা-ও কিনতে পারেন। খরচ পড়বে ১২০০ টাকা থেকে। এই সব শাড়ি সেলের তালিকায় রয়েছে।
বেনারসির স্টকে বেশ অভিনবত্ব রয়েছে এদের। সেলে মাত্র ১৫০০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে বেনারসি। তাই বলে তা মোটেই নিম্নমানের কাপড় বা নামমাত্র নকশার নয়। তবে বেশি দামের বেনারসি খুঁজলে তা-ও মিলবে এখানে। হ্যান্ডওভেন মটকার দাম ১০,৫০০ টাকা। তবে সেলের সময় এই শাড়িই মিলবে ৯৫০০ টাকায়। হ্যান্ডওভেন মসলিন চাইলে তা কিনতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে বাজেট বাড়াতে হবে। ১৫,০০০-৩০,০০০ টাকার মধ্যে এমন মসলিন মিলবে। তবে যে দামের শাড়িই পছন্দ হোক না কেন, সবগুলোর ওপরেই ছাড় পাওয়া যাবে। সেল চলবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। সেলের মরশুমে প্রতিদিনই খোলা থাকছে দোকান।
ঠিকানা: ২১৬এ, বিধান সরণী, কলকাতা ৭০০০০৬।
যোগাযোগ: ৯৮০৪৬০৬৪৯৩
আদি ঢাকেশ্বরী: কলেজ স্ট্রিট অঞ্চলের এই বস্ত্রবিপণী শহরের শাড়িপ্রেমীদের কাছে খুবই পরিচিত। এদের শাড়িতে প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিকতা যেন হাত ধরাধরি করে চলে। ফ্রেশ স্টকের ওপর এখানেও চৈত্র সেল চলছে। বেনারসি তো বটেই, এছাড়া নানারকমের সিল্ক, কাঞ্জিভরম, ওপারা, ঢাকাই, কোরিয়াল, হ্যান্ডলুমের এক বিপুল সম্ভার রয়েছে এখানে।
সাধারণ বাংলা তাঁতের দাম অন্য সময় শুরু হয় ৫৭৫ টাকা থেকে। সেলের বাজারে সেই শাড়িই পাবেন ৪০০ টাকায়। ফ্যান্সি শাড়িতেও চলছে ছাড়। ৮৭৫ টাকার শাড়ি মিলবে ৫৭৫ টাকায়। ছাড়ের বাজারে স্বর্ণ কাতান মিলবে ৩০২৫ টাকা থেকে। ১৫৭৫ টাকার তাঁত তসর সিল্ক পাবেন ১১৭৫ টাকায়। চেক হ্যান্ডলুমেরও একটা বড় সম্ভার পাবেন এখানে। ৫৭৫ টাকা থেকে এই ধরনের হ্যান্ডলুমের রেঞ্জ শুরু। সেগুলো সেলে পাবেন ৩৭৫ টাকায়। পিওর সিল্কেও চলছে সেল। ১৩৭৫ টাকা থেকেই নানা ধরনের দামি সিল্ক পাবেন। খাঁটি অসম সিল্ক, যেগুলোর দাম ৪৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়, সেই সব শাড়ি সেলে পাবেন ২৮৫০ টাকায়। একটু দামি সিল্ক চাইলে দেখতে পারেন পশমিনা। ৩৯২৫ টাকার পশমিনা শাড়ি ছাড়ে পাবেন ৩০৭৫ টাকায়। আর্নি সিল্কের দামেও বেশ কিছুটা ছাড় দিচ্ছে এই সংস্থা। ২৪৭৫ টাকায় আর্নি মিলবে ১৯২৫ টাকায়। মিক্সড কাঞ্জিভরম চাইলে তা মিলবে ১২২৫ টাকায়। খাঁটি কাঞ্জিভরমের দাম শুরু ২৫২৫ টাকা থেকে। ১০০০ টাকা রেঞ্জের ভালো মানের কোরিয়াল মুগ্ধ করতে পারে আপনাকে। ওপারা কাতান পছন্দ হলে তা-ও কিনতে পারেন এখান থেকে। ছাড় নিয়ে দাম পড়বে ২০২৫ টাকা।
তবে খাঁটি বাংলার শাড়িতেও এদের অভিনবত্বের অভাব নেই। ১১২৫ টাকা থেকে রেঞ্জ শুরু হচ্ছে ঢাকাইয়ের। বাংলার বালুচরি পাবেন ৩৮০০ টাকায়। বেনারসির ক্ষেত্রেও বিপুল সংগ্রহ রয়েছে আদি ঢাকেশ্বরীতে। সেলের বাজারে ১৫০০ টাকা দাম থেকে শুরু হচ্ছে বেনারসি। ৫৫০০, ৩৫০০ নানা রেঞ্জেই এই শাড়ি পাবেন। ৪০০০ টাকার জারদৌসি বেনারসি মিলবে ২৬২৫ টাকায়। বেনারসি কোরিয়াল পাবেন ১৮০০ টাকায়। সেল চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। সেলের সময় প্রতিদিন দোকান খোলা।
ঠিকানা: ৫৭/১, কলেজ স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০৭৩।
যোগাযোগ: ০৩৩-২২১৯ ০১৪৭/২২১৯ ৪৫৮৯
শিল্পী নিকেতন: শিল্পী নিকেতনে চৈত্র সেল শুরু হয়ে গিয়েছে। সিল্কের শাড়ির বেশ ভালো কালেকশন এখানে পাবেন। বেঙ্গালুরু সিল্ক, তসর সিল্ক, বিষ্ণুপুরি সিল্ক সহ বিভিন্ন নকশার মনমাতানো শাড়ি রয়েছে এদের সংগ্রহে। ৪০০০-১০০০০ টাকার মধ্যে এসব শাড়ি পাবেন। এর মধ্যে কাঁথা কাজ, গুজরাতি কাজ, কাশ্মীরি ও পারসী কাজের নানা পসরা আপনার ভালো লাগতে পারে।
টাঙাইল, ধনেখালি ও বাংলাদেশি তাঁতে কাঁথা কাজ, প্যাচওয়ার্ক, গুজরাতি কাজ ও নানারকম এমব্রয়ডারি কাজ ১৫০০-২৫০০ টাকার মধ্যে পাবেন। প্রতিটি শাড়ির সঙ্গে রয়েছে ম্যাচিং ব্লাউজ পিস। সব শাড়িতে ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন। ভালো মানের সুতির শাড়িরও নানা ভ্যারাইটি মিলবে এখানে। ১২০০-৩০০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করবে দাম। মলমলের এক্সক্লুসিভ ব্লকপ্রিন্ট পছন্দ হলে তা মিলবে ৬৫০-৭০০ টাকায়, যা ছাড় দিয়ে প্রায় ৬০০-র কাছাকাছি দামে পাবেন। তাঁত প্রিন্ট মিলবে ১২০০-১৩০০ টাকা বাজেট থাকলে। ভালো মানের তাঁত পাবেন ২৮০০-৩০০০ টাকার মধ্যে। মলমল হ্যান্ড বাটিক ১২০০-১৫০০ টাকায় ও খেসের শাড়িতে কাঁথা কাজ হলে তা পাবেন ১৫০০ টাকায়।
শাড়ি ছাড়া রেডিমেড কুর্তিও মিলবে এখানে। ৪৫০-১৫০০ টাকা রেঞ্জের মধ্যে এর দাম ঘোরাফেরা করবে। এতেও নানা প্যাচওয়ার্ক, কাঁথা কাজ, গুজরাতি কাজ, কাশ্মীরি ও পারসী কাজের নানা নকশা পাবেন। সব ধরনের চেহারার কথা মাথায় রেখে ৩৮ থেকে ৫০ সাইজ পর্যন্ত কুর্তি এখানে পাওয়া যায়। রেডিমেড কুর্তি ও ড্রেস মেটিরিয়ালেও ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন।
ঠিকানা: পি-৬৯৮, লেক টাউন, ব্লক-এ, কলকাতা ৭০০০৮৯
যোগাযোগ: ৯৮৩০৪৯৬৭২৪