অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
শ্রীনিকেতন: চৈত্র সেল শুরু হয়েছে ‘শ্রীনিকেতন’-এ। বস্ত্রব্যবসায় শ্রীনিকেতন খুবই নির্ভরযোগ্য ও জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান। প্রতি বছরের মতো এবছরও সেলের মরশুমে এখানে ১০-১৫ শতাংশ ছাড়ে পোশাক মিলছে। এখানে সব স্টকই ফ্রেশ।
গরমের কথা মাথায় রেখে ঘরে পরার সুতির ছাপা শাড়ির চাহিদা এই সময় বাড়ে। তেমন শাড়ির দাম শুরু ১৫০ টাকা থেকে। ছাপা শাড়িরই নানা ভ্যারাইটি পাবেন ৭০০ টাকা পর্যন্ত। তাঁতের ওপরেও নানা নকশা ও ডুরে পাড় মিলবে এখানে। তাঁতের শাড়ির দাম শুরু ২২৫ টাকা থেকে। গরমের কথা মাথায় রেখে অনেকে শিফন জর্জেট কেনেন। হাল্কা নকশা ও নানারকম রঙে ৩২০ টাকা থেকেই শিফন মিলবে এখানে। তাঁত বা কটনের বাইরেও বিভিন্ন শাড়ির সম্ভারে নিজেদের সাজিয়েছে শ্রীনিকেতন। পিওর সিল্কের দাম শুরু ১৩৯০ টাকা থেকে। সাধারণত ৪০০০ টাকা রেঞ্জের মধ্যে এমন সিল্ক পাবেন। হ্যান্ডলুম সিল্কের দাম শুরু হচ্ছে ২০০০ টাকা থেকে। নানা রঙের মিশেলে এই হ্যান্ডলুম সিল্ক বেশ জনপ্রিয়। কোরিয়ালের নানা ভ্যারাইটি এনেছে শ্রীনিকেতন। ৩৫০০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে এর দাম। গরমে আর একটি আরামদায়ক শাড়ি লিনেন। সেলের মরশুমে মাত্র ৬৫০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে লিনেনের দাম। তবে বাজেট একটু বেশি হলে জমকালো কাঞ্জিভরমও সেলে কিনতে পারেন। ৩৫০০ টাকা বাজেট হলেই মিলবে তা। কাঞ্জিভরমের নানারকম স্টক এখানে এসেছে। রেঞ্জে রয়েছে নানা ভ্যারাইটি। ২ গ্রাম সোনার জরি দিয়ে বোনা কাঞ্জিভরমের দাম পড়বে ৭২,০০০ টাকা। খুব দামি শাড়ির মধ্যে মসলিন জামদানি মিলবে। ৩৫ হাজার টাকা বাজেট হলে কিনতে পারেন তা-ও। এছাড়া জামেওয়ারের দাম শুরু ৩৫০০ টাকা থেকে। পশমিনা কিনতে চাইলে বাজেট রাখুন ৩৮০০ টাকা। এই মরশুমে শ্রীনিকেতন থেকে বেনারসি কিনে রাখতে চাইলে বাজেট ধরে রাখুন ৩০০০ টাকা। তবে আরও একটু ভালো মানের ও জমকালো নকশার বেনারসি চাইলে খরচ বেড়ে ৭-৮ হাজার টাকা হবে। এখানে ১ লক্ষ টাকার বেনারসিও মিলবে।
শুধু শাড়িই নয়, মেয়েদের কুর্তি, সালোয়ার, চুড়িদার সবেতেই সেল উপলক্ষে ছাড় শুরু হয়েছে। সবকিছুতে ১০-১৫ শতাংশ ছাড় মিলবে। ছেলেদের পোশাকও কিনতে পারেন এখানে। সেলের সময়ে পাঞ্জাবির দাম শুরু ৩৫০ টাকা থেকে। ফতুয়া মিলবে ২০০ টাকায়। সেল চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন দোকান খোলা।
ঠিকানা: সোদপুর স্টেশন রোড, হাইল্যান্ড পার্ক ইএম বাইপাস, কাঁচড়াপাড়া কবিগুরু রবীন্দ্র পথ, গড়িয়াহাট জংশন হিন্দুস্থান রোড, বারাসত হরিতলা, শ্রীরামপুর এনএস অ্যাভিনিউ।
যোগাযোগ, ৯৮৩১৫৬৩৩৬৭।
বেনারসি টেক্সটোরিয়াম: শাড়িসাম্রাজ্যে বেনারসি টেক্সটোরিয়াম অন্যতম নাম। সেখানেও চলছে চৈত্র সেল। বিভিন্ন নকশা ও রঙে ভারতের প্রায় সব প্রদেশের শাড়ির সম্ভার মিলবে এখানে। যেমন, বেনারসের কোষা সিল্ক যদি চান, তা এখানে সেলের সময়ে পাবেন মাত্র ৬৫০ টাকায়। বিভিন্ন রং ও নকশায় সাউথ কটন পাবেন ৫৫০ টাকায়। বেনারসি কটনের দাম ঘোরাফেরা করবে ৯৫০-১৪৫০ টাকার মধ্যে। কাঞ্জিভরম পাবেন ২৫০০-৪৫০০ টাকা বাজেট হলে। এই মরশুমে বেনারসির ওপরেও ছাড় দিচ্ছে এই সংস্থা। বেনারসির জন্য এদের বেশ নামডাকও আছে। সেল চলাকালীন বেনারসির দাম শুরু হচ্ছে ৪৫০০ টাকা থেকে। ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেনারসি এখানে পাবেন। দামি বেনারসিগুলোয় ১৫ শতাংশ ছাড় চলছে। কটন চান্দেরি বেনারসি পছন্দ করতে পারেন। দাম শুরু ৯৫০ টাকা থেকে। খাদি ও শিফন বেনারসিতেও মিলবে ছাড়। ৩৯০০ টাকা বাজেট থাকলে কিনতে পারেন এগুলো। লিনেন বেনারসির দাম শুরু হচ্ছে ২১৫০ টাকা থেকে শুরু। ২৯০০-৪৫০০ টাকার মধ্যে পাবেন জর্জেট বেনারসি।
ঢাকাই মসলিন ভালো লাগলে বাজেট রাখুন ৩৩০০ টাকা। জরি কাজের অন্ধ্র কোষা পাবেন ১৫০০ টাকায়। কোষা কাটওয়ার্ক চাইলে খরচ পড়বে ২১০০ টাকা। এছাড়া গাদোয়াল, তসর ও ওপারা সিল্কের নানা রকমারি নকশার দাম শুরু হচ্ছে ১৬৫০ টাকা থেকে। নজরকাড়া পৈঠানি সিল্ক পাবেন ৪৮০০-৭৫০০ টাকার মধ্যে। ভাগলপুরী সিল্কের বেলাতেও ছাড় মিলবে। দাম শুরু ১০৫০ টাকা। ৩৮০০ টাকা রেঞ্জের মধ্যে এই শাড়ির বিভিন্ন নকশা পাবেন।
হ্যান্ডলুমেরও ভালো স্টক রয়েছে এখানে। দাম শুরু মাত্র ৪৫০ টাকা থেকে। কোরিয়াল কিনতে চাইলে ন্যূনতম বাজেট রাখুন ৯৫০ টাকা। একটু অন্য ধরনের শাড়ি চাইলে ডিজিটাল প্রিন্ট শাড়ি দেখতে পারেন। ছাড় দিয়ে দাম শুরু ১৯৫০ টাকা থেকে। বেনারসি টেক্সটোরিয়ামে সেল চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রোজ দোকান খোলা থাকছে। এদের সব স্টকই ফ্রেশ।
ঠিকানা: শ্যামবাজার সিইএসসি-র উল্টো দিকে।
যোগাযোগ: ০৩৩-২৫৫৫৬৪২৭
সাহা টেক্সটাইল: গত ১ মার্চ থেকেই সাহা টেক্সটাইলে সেল শুরু হয়ে গিয়েছে। চলবে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এবার ১০-৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে এখানে। এবার সেলের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ, এদের জনপ্রিয় রাজঘরানা শাড়ির ওপর শুরু হয়েছে সর্বাধিক ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। সেলে বেশ কয়েকটি রাজঘরানা মিলছে ৬-৮ হাজার টাকার মধ্যে।
বিভিন্ন ধরনের সিল্কেরও এক বিরাট সম্ভার রয়েছে এখানে। কাঞ্চিপুরম, গাদোয়াল, মটকা, পাটোলা সবকিছুর ওপরেই ছাড় চলছে। বাংলার বালুচরি, কাঁথা কাজের সিল্কও বিপুল ছাড়ের তালিকায় রয়েছে। আজকাল প্রিন্টেড সিল্ক বা প্রিন্টেড তসরের চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। সেকথা মাথায় রেখে এই ধরনের শাড়িতে প্রায় ২৫-৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে সাহা টেক্সটাইল। ১৫০০-৩২০০ টাকা দামের মধ্যে তসর, লিনেন, মুগা সহ বিভিন্ন রকমের প্রিন্টেড সিল্ক এখানে পাবেন। বেঙ্গালুরু ঘরানার পিওর সিল্ক ১৫০০ টাকার নীচেও পাবেন।
হ্যান্ডলুম শাড়িরও একটা ভালো সংগ্রহ পাবেন এখানে। ছাড় চলছে এতেও। ৫০-৬০ শতাংশ ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে মটকা, কিছু দামি হ্যান্ডলুম। নোয়াখালি জামদানি এদের আর একটি বিশেষত্ব। এই শাড়ির ওপরেও ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় মিলছে।
শাড়ি ছাড়াও সাহা টেক্সটাইলের ব্লাউজ স্টুডিওতেও শুরু হয়েছে ছাড়। ২০-৬০ শতাংশ ছাড়ে সিল্ক, কটন, এমব্রয়ডারি, মিক্সড অ্যান্ড ম্যাচ ইত্যাদি বিভিন্ন মেটিরিয়ালের ব্লাউজ মিলছে এখানে। সেলে ছাড় শুরু হয়েছে কুর্তা, পাঞ্জাবি, শার্টের বিভাগ ‘দেশ’-এও। এই বিভাগের অন্তর্গত সবরকমের পোশাকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে। বেডশিট, বেডকভারের ওপরেও শুরু হয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়। রেডিমেড পোশাক ও ড্রেস মেটিরিয়ালে ৫০-৬০ শতাংশ অবধি ছাড় থাকছে।
ঠিকানা: ৫১/২ হিন্দুস্থান পার্ক, বারাসত হরিতলা, শিলচর,
ফোন : ০৩৩-২৫৫২৪০৭৭/১৫৯৫