এবার একটু অন্যরকম, অন্য তরঙ্গ নিয়ে হাজির হচ্ছে অন্য থিয়েটারের বার্ষিক অনুষ্ঠান ‘নাট্যস্বপ্নকল্প’। বর্ষশেষ আর বর্ষশুরুর সন্ধিক্ষণে নাটক নিয়ে সরারাতব্যাপী অন্যরকম কিছু করার অভিপ্রায় নিয়ে বিভাস চক্রবর্তী শুরু করেছিলেন নাট্যস্বপ্নকল্প। রবীন্দ্রসদনে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধে থেকে শুরু হতো এই উৎসব, চলত পরদিন ভোর পর্যন্ত। শুধুমাত্র এই উৎসবের জন্যেই নির্মিত হতো বিশেষ নাটক। গোটা রাত রবীন্দ্রসদন চত্ত্বর ভরে থাকত নট্যমোদী জনতার কোলাহলে। নাট্যস্বপ্নকল্পের সেই রাতজাগা হইচই বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিগত তিন বছর ধরে। তবে নাট্যস্বপ্নকল্প চলছে অন্যভাবে। এবছরই আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচদিন ধরে চলবে এই উৎসব। ২৯ ডিসেম্বর মধুসূদন মঞ্চে সন্ধে ছ’টায় সংশপ্তকের নাটক ‘ডানা’। তার আগে জীবনকৃতি সম্মান জানানো হবে অসিত বসুকে। প্রসঙ্গকথায় থাকছেন চন্দন সেন। ৩০ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি সল্টলেকের করুণাময়ীর কাছে অন্য থিয়েটার ভবনে আয়োজন করা হয়েছে নিজস্ব নতুন প্রযোজনা শরৎচন্দ্রের দেবদাস অবলম্বনে ‘ভালোবাসা কারে কয়’-এর মঞ্চায়নের। এটি একটি ‘অন্যতরঙ্গ’ প্রযোজনা। এই ‘অন্যতরঙ্গ’-ও অন্য থিয়েটারের এক নবতম উদ্যোগ। অন্যতরঙ্গ মানে অন্তরঙ্গ নাটক। অন্য থিয়েটার ভবনে নির্মিত হয়েছে একটি ব্ল্যাক বক্স বা কৃষ্ণকক্ষ। সেখানেই মঞ্চস্থ হবে নতুন প্রযোজনাটি। নাটকটি পরিচালনা করেছেন দেবাশিস, স্ক্রিপ্টও করেছেন তিনিই। ৩১ ডিসেম্বর অ্যাকাডেমির মঞ্চে সকাল ১১ টায় উৎপল দত্তের ‘তিতুমীর’। প্রযোজনা করেছে থিয়েটার ফর্মেশন পরিবর্তক, নির্দেশনায় জয়রাজ। ওইদিনই সন্ধে ছ’টায় উষ্ণিকের ‘বাবাই’। পরিচলানায় ঈশিতা মুখোপাধ্যায়। ২ জানুয়ারি বাংলা অ্যকাডেমি সভাগৃহে সন্ধে সাড়ে ছ’টায় আমন্ত্রিত বক্তৃতা। বক্তা চন্দ্রিল ভট্টাচার্য।