Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

দীক্ষা সাফল্যের মন্ত্রে

একজন জনপ্রিয় বাংলা চ্যানেলের বিজনেস হেড। আর একজন কলকাতার জনপ্রিয় কাফের অন্যতম কর্ণধার। সাফল্যের স্বাদ দু’জনেই পেয়েছেন। তাঁদের চলার পথটা ঠিক কেমন? জি বাংলার নবনীতা চক্রবর্তী ও হোয়াটস আপ কাফে-র অনামিকা সেনগুপ্তর সঙ্গে কথায় অন্বেষা দত্ত।

নিজের সেরাটা দিতে হবে
তুমুল ব্যস্ততা থাকলেও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন। ছবি দেখা, বেড়াতে যাওয়া এসব তো আছেই। আছে গল্পের বইয়ের সঙ্গও। বাঙালি খাবারও পছন্দ জি বাংলার বিজনেস হেড নবনীতা চক্রবর্তীর। 
আলোচনার শুরুতেই তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, সাফল্যে পৌঁছনোর রাস্তাটা কীরকম? ‘নিজের কাজের প্রতি নিষ্ঠা বজায় রাখা এবং অবিচলিত থাকা খুব প্রয়োজন। চলার পথে যে ধরনের চ্যালেঞ্জই আসুক, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমি বরাবর সেটা করে এসেছি।’ কাজের চাপ সামলে নিজের বাকি জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখার কাজটাও নবনীতা করেছেন নিপুণভাবে। তাঁর কথায়, ‘নারীদের মধ্যে এই ব্যালান্স করার ক্ষমতাটা যেন সহজাত। আমরা সবাই তো দশভূজা। আমরা জানি বাড়ির আর কাজের জায়গার মধ্যে কীভাবে ভারসাম্য রেখে চলতে হয়। কেরিয়ারের একটা সময় গিয়েছে, যখন অফিসকে অনেকটা বেশি সময় দিতে হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিণত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি আর অফিস ম্যানেজ করার কৌশলটাও যেন রপ্ত হয়ে গিয়েছে। তার জন্য অবশ্যই বাড়ির সমর্থন খুব জরুরি। কাছের মানুষজন পাশে থাকলে কোনও কাজই দুঃসাধ্য নয়।’ 
নবনীতার বিয়ে হয়েছে কিছু দিন আগে। শ্বশুরবাড়ি-বাপেরবাড়ি সবরকম দায়িত্ব সামলে কাজের জায়গায় কখনও যদি কেউ পুরোটা দিতে না পারে? তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, পরিবার আমাদের জন্য অনেক কিছু করে। মা-বাবা-স্বামী সকলেই নানা দিক থেকে নিজেদের সমর্থন বোঝাতে থাকেন। আমাদেরও সেইমতো একটা বোঝাপড়া করেই এগতে হয়। আমার পারিবারিক সমর্থন পেতে কোনও অসুবিধে হয়নি। কাজে বাইরে চলে গিয়েছি বলে ঘর সামলাতে কোনও সমস্যা হয়েছে, এমনটা একেবারেই নয়। উল্টে আমার নিজেরই মনে হয়েছে, পরিবারকে আর একটু সময় যদি দিতে পারতাম, ভালো হতো। কিন্তু যাঁদের সমস্যা হয় বা যাঁরা সমর্থনটা ঠিকমতো পান না, তাঁদের একটাই কথা বলব, ছোট ছোট পা ফেলে এগিয়ে যেতে হবে। সাফল্য ধীরে ধীরে আসবেই। নিজের কাজটা ঠিকঠাক করে যেতে হবে। লেগে থাকতে হবে। ধৈর্য হারিয়ে মাঝপথে ছেড়ে দিলে চলবে না।’       
সাফল্যের স্বাদটা কেমন? নবনীতার বক্তব্য, ‘একা আমি সফল হয়েছি, এটা কখনওই মনে করি না। আমার সঙ্গে ভীষণ ভালো একটা টিম আছে। সবাই মিলে কাজটা করেছি বলেই সাফল্য এসেছে। টিম হিসেবেই আমরা চ্যানেলকে উপস্থাপিত করি। সেটাই এই যাত্রাপথে সবচেয়ে আনন্দদায়ক অনুভূতি। লিডার আমি হতে পারি, তবে সকলের অবদান মাথায় রাখা দরকার। এটা অনেকটা ফুটবল ম্যাচ জেতার মতো। সেখানে কেউ একা দলকে হারিয়ে বা জিতিয়ে দিতে পারে না। গোটা টিমের ভূমিকা থাকে। সেই উত্তেজনাটাই আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।’ 
বাংলা বিনোদন চ্যানেলের ভাবনাচিন্তা বা মতাদর্শ একালে অনেকটাই বদলেছে। দর্শকদের মনোভাব বুঝে এগিয়ে চলা কতটা কঠিন? বোঝাতে গিয়ে নবনীতা বলেন, ‘চারপাশটা খুব দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। এটা মনে রাখতেই হয়। পাঁচ বছরের তফাতে জীবনধারা একেবারে অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। কোভিড পরবর্তী জীবনে এটা বড় বাস্তব। সেটা আমাদের ভেবে এগতে হয়। দর্শক কী ভাবতে পারেন, এটা আমাদের সবসময় আগে ভাবতে হয়।’ সিরিয়াল বা বিনোদনের অন্য মাধ্যমে নারীকেন্দ্রিক ভাবনা কি এজন্য ক্রমশ বেড়েছে? ‘টেলিভিশন মেয়েদের বিনোদনের জায়গা হিসেবে বরাবরই পরিচিত। সঙ্গে তার পরিবারও জুড়ে যায়। মেয়েদের কথা, জীবন, সংগ্রাম, আশা-আকাঙ্ক্ষা এগুলো আমাদের সবসময় নজরে থাকে। সুন্দরবনে একজন সাধারণ মহিলা তাঁর জীবন কীভাবে নির্বাহ করছেন, মধু সংগ্রহ করছেন জঙ্গলে গিয়ে...তাঁর একরকম সংগ্রাম। আর শহরের বুকে বসে অফিস করা মেয়েদের আর একধরনের লড়াই। মেয়েদের ক্ষমতায়ন নিয়ে যাত্রাপথটা যেমনই হোক, সেটা আমরা সাধ্যমতো তুলে ধরার চেষ্টা করি সবসময়।’
ক্ষমতায়নের কথাই যখন উঠল তখন জানতে চাই নারীর টিভি-নির্ভরতা আগের মতোই রয়েছে, এমনটা কি বলা যায়? ‘দশ বছর আগেও মেয়েদের জীবনটা এরকম ছিল না। আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করে মেয়েরা এখন অনেক বেশি সচেতন। নিজেদের কথা বলতে তাঁরা আগ্রহী। শহর হোক বা মফস্সল, প্রত্যেকেই নিজে কিছু করে এগতে চাইছেন। তার জন্য নানা কমিউনিটি তৈরি হচ্ছে। একইসঙ্গে বলব, তাঁরা নিজেদের মতো করে একটা জায়গা খুঁজছেন যেখানে নিজেদের তুলে ধরা যায়, নিজের কথা বলা যায়। স্বামী এখন তাঁর অভিভাবক নয়, বরং বন্ধু। পরস্পরকে সমর্থন করে দম্পতি এগতে চাইছে। তাছাড়া এখন মোবাইল ওটিটি-র যুগে সবই খুব ক্ষণস্থায়ী। তাই লম্বা সময় ধরে আগে যেমন সিরিয়াল চলতেই থাকত, সেখানে বদল এসেছে। এখন আট মাস বা এক বছর চলে। আর চরিত্রের মধ্যেও মহিলারা আশপাশে যেমন চরিত্র দেখতে পান, তেমন কাউকেই খুঁজে পাচ্ছেন। সেই একাত্মতাটা কিন্তু রয়েছে।’ 
যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে
কর্পোরেটে স্বস্তির চাকরি ছেড়ে পার্টনারশিপে কাফে ব্যবসায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন একদিন। ঝুঁকি ছিল, তার সঙ্গে ছিল অনেকটা স্বপ্ন আর চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মানসিকতা।  ছোটবেলা থেকে খেতে ভালোবাসেন, রান্না করে খাওয়াতে আরও বেশি! মনে মনে সুপ্ত বাসনা ছিল, একদিন নিজের ‘চেন অব রেস্টুরেন্টস’ হবে। সেই স্বপ্ন যে সফল হবেই, সেটা তখনও জানতেন না। কাফে খোলার সময়েও সংশয় ছিল মনে। কিন্তু সাফল্য ক্রমশ আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।       
এই শহরের হোয়াটস আপ কাফের অন্যতম কর্ণধার অনামিকা সেনগুপ্ত সাফল্যের পথে হাঁটার রাস্তাটা ফিরে দেখলেন ঝলকে। তিনি বললেন, ‘গতানুগতিকভাবে ব্যবসাটা করতে চাইনি। এই কাফে খোলার পিছনে কাজ করেছিল একটাই ভাবনা। সেটা হল ক্রেতাকে সবসময় নতুন কিছু দেব। তা না হলে ক্রেতার কাছে সবটাই দ্রুত একঘেয়ে হয়ে যায়। আমাদের কাফে-তে জাকুজিতে পা ডুবিয়ে খাবার বা ড্রিঙ্ক উপভোগ করা— এটা একেবারে ব্যতিক্রমী ব্যাপার। যেটা আমাদের জনপ্রিয় করেছে। এছাড়াও প্রতি ছ’মাস অন্তরই কিছু না কিছু নতুন করার চেষ্টায় থাকি। খাবারের স্বাদ বা কাফের আবহ, সব নিয়েই ভাবনা চলে।’ নানা দেশীয় খাবার ঘুরেফিরে আসে। মানের ব্যাপারে কোনও আপস করি না। এর সঙ্গে ৯৯ কাফে (যে কোনও পদ ৯৯ টাকায়) চালু করেও খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছি। ক্রেতা আমাদের কাছে বারবার ফিরে আসবেন, লক্ষ্য থাকে এটাই। বলতে পারেন আমাদের ৭০ শতাংশই পুরনো ক্রেতা, যাঁরা বারবার আসেন। আট বছরে ৭০ আসনের কাফে থেকে ৩০০+ আসনে যেতে পেরেছি এভাবেই। আমাদের মোট কর্মীর সংখ্যা একশো জন। গর্বের সঙ্গে বলতে পারি তাঁদের কেউ ছেড়ে যাননি আমাদের। তাঁরা আমাদের পরিবারের মতো। সবাই মিলে কাজটা করি,’ জানালেন তিনি।
এখন আমেরিকায় অনামিকা আর দুই বাঙালি মিলে ফরাসি রেস্তরাঁ খুলেছেন। সাফল্যের পরিধি বাড়ছে এভাবেই? চল্লিশ ছোঁয়া তরুণীর কথায়, ‘আমরা যেটাই করব, ১০০ শতাংশ দিয়ে করব। এটাই মাথায় থাকে শুধু। বিদেশের মাটিতে এভাবে রেস্তরাঁ খোলার সাহসটা তাই দেখাতে পেরেছি।’ মহিলা হিসেবে এত কিছু সামলাতে আলাদা করে কিছু প্রয়োজন হয়? ‘ছোটবেলা থেকেই শুনেছি যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। আর দশভূজার মতো সবটা সামলাতে পারে মেয়েরা। এ যুগে ছেলেরাও পারে। আমি নিজে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবেতেই অভ্যস্ত। এই যুগে সবটাই পারতে হয়। সবাইকেই।’  
কিন্তু চলার পথে ঝুঁকি আর বাধা তো অনেক? ‘নিশ্চিন্ত চাকরি জীবন ছেড়ে যখন ব্যবসায় আসি, সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। কীভাবে চলবে, তখন কিছুই জানি না। তা ছাড়া এমন একটা ক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছি, যা সম্পর্কে সম্যক ধারণাও নেই তখন। সেটাও ঝুঁকি। ৯৯ কাফে খোলার সময়েও অনেকে ভেবেছিল ওটায় ক্ষতি হবে। এমন হতে হতেই একদিন আমেরিকা তিন বাঙালি মিলে ব্যবসা শুরু করে দিলাম। ওখানে লোকাল পার্টনার বা ফান্ড ছাড়া এভাবে কোনও বাঙালি ব্যবসা করেনি। গত দশ বছরে অনেক ঝুঁকি এসেছে, আরও হয়তো আসবে। সেগুলো কাটিয়ে এগিয়ে যেতে পারব বলেই বিশ্বাস,’ আত্মবিশ্বাসী অনামিকা স্পষ্ট বলেন   কথাগুলো। 
ব্যবসায় সঙ্কটের সময় এলে মাথা ঠান্ডা রাখা খুব প্রয়োজনীয় বলে জানালেন তিনি। ‘ঠান্ডা মাথায় বুদ্ধি খাটানো সহজ। আর সবকিছু খেয়াল করতে হয় ভালো করে। যে কোনও পরিস্থিতি বা যে কোনও মানুষকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। এগুলো থেকে শেখা যায় অনেক কিছু।’
মহিলারা উদ্যোগপতি হলে কি সমস্যা একটু বেশি হয়? একুট আক্ষেপ ঝরে পড়ে অনামিকার গলায়। তিনি বলেন, ‘জানেন, সমাজের দেখার ধরনটা খুব অদ্ভুত। মহিলা উদ্যোগপতি শুনতে খুব ভালো। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, তাঁর পুরুষ সঙ্গীই সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এটা কেন হবে? এটা শুধু ভারতে নয়, সারা পৃথিবীতেই দেখি। কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত মানেই সেখানে স্বামী বা পুরুষ সঙ্গী জড়িয়ে যাবে। মহিলারা যেন ট্রফি ওয়াইফের মতো! খুবই বিরক্তিকর। আমাকেও এই সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। কোনও জরুরি কথার সময়ে দেখেছি, মহিলা বলে একটু যেন কম গুরুত্ব দেওয়াই স্বাভাবিক। আমার দুই পুরুষ পার্টনারের কিন্তু এ সমস্যা হয় না। সৌভাগ্যবশত আমার পার্টনারদের মানসিকতা একেবারেই এমন নয় বলে কাজে অসুবিধা হয় না। কিন্তু দেখার ধরনটা এখনও এই রকমই। এই মানসিকতা কবে পাল্টাবে জানি না।’  
মহিলাদের স্বাবলম্বী হওয়ার বিষয়ে কী ভাবনা অনামিকার? ‘দেখুন প্রত্যেকেরই নিজের পায়ে দাঁড়ানো উচিত। সে পুরুষ হোক বা মহিলা। যে কাজ করতে ভালো লাগে, সেটাই করতে হবে। আর লোকে কী ভাবল, এসব নিয়ে মাথা ঘামালে চলবে না।’ 
অবসরে নিজেকে সময় দেওয়া তাঁর কাছে খুব জরুরি। ‘কাজ তো থাকবেই, কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়া দরকার। একা ঘুরতে চলে যাই যখন-তখন। ফেলুদার ছবি দেখতে, গান শুনতে, রান্না করতে ভালোবাসি। এগুলো আমাকে চাঙ্গা রাখে,’ বলেন তিনি।
25th  March, 2023
মা হওয়ার পর অবসাদ কাটাতে সাইকোথেরাপি

মা হওয়া আনন্দের। কিন্তু সুন্দর অভিজ্ঞতার সঙ্গেই অনেক মা শিকার হন প্রসবোত্তর বিষণ্ণতার। সমস্যা ও সমাধানের খোঁজে ডঃ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

20th  April, 2024
ক্রমশ বাড়িয়ে তুলতে হয় মনোযোগ

শিশুকে মনোযোগী করে তুলুন একদম ছোট বয়স থেকেই। কীভাবে? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ শোনালেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

20th  April, 2024
৪০ দিন কমলালেবু খেয়ে বাঁচলেন অ্যান

শুধুমাত্র ফল খেয়ে কি বেঁচে থাকা সম্ভব? তাও আবার যে কোনও একটি ফল? এ নিয়ে তর্ক হতেই পারে। তবে পরীক্ষিত সত্য, একটিমাত্র ফল খেয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব। তা প্রমাণ করলেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা অ্যান অসবোর্ন। টানা ৪০ দিন কমলালেবু খেয়ে বেঁচে রয়েছেন তিনি। বিশদ

20th  April, 2024
মহিলা পরিচালিত বুথ

মহিলাদের সমানাধিকারের দাবি ভারতে নতুন নয়। তাকে মান্যতা দিতেই চলতি লোকসভা নির্বাচনে কান্নুরের মাহে বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথ সামলাবেন মহিলা কর্মীরা। প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, পুলিস, বয়ঃজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারদের সাহায্যকারী হিসেবে ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের স্বেচ্ছাসেবক— সব বিভাগই সামলাবেন মহিলারা। বিশদ

20th  April, 2024
আইএএস অনন্যার প্রেরণা কোহলি

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সর্বভারতীয় স্তরের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফল। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন গত মঙ্গলবার ফলপ্রকাশ করে। এ বছর এই পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন একজন মহিলা। তেলেঙ্গানার ডোনুরু অনন্যা রেড্ডি। বিশদ

20th  April, 2024
মিস মিসেস ইন্ডিয়া

প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড ও বলিউড অভিনেত্রী অদিতি গোভিত্রিকর, রোলি ত্রিপাঠী, নিতু সাহা, টলিউড অভিনেত্রী মৌবনী সরকার সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ট্রানিসটিক্স ডাটা টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড-এর পৃষ্ঠপোষকতায় বিশদ

20th  April, 2024
চৈত্র সেলের একাল সেকাল

বৈশাখ পয়লার আগে স্মৃতি রোমন্থনে অম্লানকুসুম চক্রবর্তী। 
  বিশদ

13th  April, 2024
বাংলা ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব হারিয়েছে বাঙালির কাছেই

ক্যালেন্ডার বাংলা হোক বা ইংরেজি, এটি অতি প্রয়োজনীয় বস্তু। তবে বর্তমান সময়ে বাংলা ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব অনেক হ্রাস পেয়েছে। কারণ বোধহয় এই ক্যালেন্ডার অনেকেই দেখতে বা পড়তে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। বিশদ

13th  April, 2024
স্বামীর অবর্তমানে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর অধিকার

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

06th  April, 2024
চাবুক হাতে আগুনে মেয়ে

১৯৩০-এর ৬ এপ্রিল সমাপন হয় ডান্ডি অভিযান। লবণ সত্যাগ্রহের সেই পদযাত্রার হাত ধরেই আসে আইন অমান্য। বিপ্লবীরক্ত চলকে ওঠে দেশ জুড়ে। তেমনই এক নেত্রী কটকের বিমলপ্রতিভা দেবী। আমরা তাঁকে ভুলতে বসলেও ভোলেনি ইতিহাস। লিখছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
  বিশদ

06th  April, 2024
বিশ্বজয়ের দৌড়ে বাঙালি কন্যে

‘স্ট্রাগল’ শব্দটার সঙ্গে ছোট থেকে পরিচয় বিদিশা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মেয়ে হিসেবে জন্মের পর থেকেই লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে, একথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মা। কলকাতায় স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করা বিদিশা এমন পরিবারে বড় হয়েছেন, যেখানে চাকরি করাটাই ছিল সাফল্য! বিশদ

06th  April, 2024
ভারতের সবথেকে ধনী মহিলা সাবিত্রী 

যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। সাবিত্রী জিন্দাল এই উপমার আদর্শ উদাহরণ। ফোর্বসের প্রকাশিত তালিকায় ভারতের সবথেকে ধনী মহিলা সাবিত্রী। তাঁর বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ৩৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার। বিশদ

06th  April, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনে ডাচ তরুণী

জোরায়া টের বেকের বয়স ২৮। নেদারল্যান্ডসের একটি ছোট গ্রামে থাকেন। এই ডাচ তরুণী আইনের সাহায্য নিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দিতে ইচ্ছুক। এমন খবর শিরোনামে আসতেই জোরায়াকে নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে নানা মহলে। বিশদ

06th  April, 2024
তর্ক-বিতর্ক: বাচ্চার মোবাইল আসক্তির জন্য

চলছে নতুন বিভাগ ‘তর্ক বিতর্ক’। সন্তানের মোবাইল ব্যবহারের নেপথ্যে বাবা-মা। — এই মতের পক্ষে ও বিপক্ষে পাঠকদের মতামত বেছে নিয়েছি আমরা। পরের পর্বে আপনিও জানাতে পারেন আপনার মতামত। বিশদ

30th  March, 2024
একনজরে
কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ২৬২ রানের টার্গেট দিল কেকেআর

09:39:04 PM

আইপিএল: ৫ রানে আউট রিঙ্কু সিং, কেকেআর ২৫৯/৫ (১৯.৩ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

09:32:37 PM

আইপিএল: ২৮ রানে আউট শ্রেয়স আয়ার, কেকেআর ২৪৬/৪ (১৮.৩ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

09:26:32 PM

আইপিএল: ২৪ রানে আউট আন্দ্রে রাসেল, কেকেআর ২০৩/৩ (১৫.৩ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

09:10:16 PM

আইপিএল: কেকেআর ১৯৭/২ (১৫ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

09:06:39 PM

আইপিএল: ৭৫ রানে আউট ফিলিপ সল্ট, কেকেআর ১৬৯/২ (১৩ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:57:06 PM