ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
সাংবাদিকদের শর্মিলা নায়ার জানান, ২০১৮ সালে এদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র মন্দিরগুলোর একটি শবরিমালা মন্দিরে নারীদের প্রবেশাধিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, সেই ঘটনা তাকে এই ক্যাম্পেন শুরু করতে অনুপ্রাণিত করেছে।
শর্মিলা বলেন, ওই প্রথার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে এত বিপুল সংখ্যক নারী যোগ দিয়েছিলেন যে তা দেখে তিনি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান। আর সেই ঘটনা থেকে শুরু হয় ‘এইট্টিন শেডস্ অব ব্ল্যাক’ আন্দোলন। সংখ্যাটি ১৮ এই কারণে যে শবরিমালা মন্দিরে ঢুকতে ১৮টি সিঁড়ি পার হয়ে আসতে হয়। আর ব্ল্যাক বা কালো রঙ কারণ সবাইকে ওই মন্দিরে কালো পোশাক পরে ঢুকতে হয়।
ব্যতিক্রমী এই ফ্যাশন ডিজাইনার বলেন, ‘আমাদের বলা হয় ঋতুমতি অবস্থায় আমার দেহ অপবিত্র এবং আমরা সেটাকে মেনে নিতে বাধ্য হই। তাই আমার মনে হল, দেবীর অধিকার রক্ষার জন্য অনেক নারী যদি লড়াই করতে পারেন তাহলে নারীর অধিকার রক্ষার লড়াইয়েও বহু নারী শামিল হতে পারবেন। এই লড়াইয়ে যদি প্রচুর সংখ্যক নারী যোগ দেন, তাহলে ভাবুন, পরিস্থিতি কেমন দাঁড়াবে?’
শর্মিলা নায়ারের বক্তব্য, ‘এই ক্যাম্পেনের লক্ষ্য শাড়িকে ব্যবহার করে অন্ধ ধর্মীয় অনুশাসন ও বর্তমানে অচল সব চিন্তাভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করা।’ এই ক্যাম্পেনে নানা ধরনের ইস্যু নিয়ে কথাবার্তা বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বডি শেমিং, গায়ের রঙের ভিত্তি করে বৈষম্য, বাল্যবিবাহ, নারীদের জন্য পরিষ্কার টয়লেটের অভাব ইত্যাদি। এক সংবাদে বিষয়টি জানিয়েছেন বিবিসি।