ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
দ্বিতীয় পদক্ষেপ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধের ব্যবস্থা আছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করা। এবং শিশু নির্যাতিত হওয়ার আগেই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ। এই বিশেষ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শিক্ষা প্রদান অর্থাৎ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত। বিবিধ কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা ও যথাযথ ভাবে—ভাষাগত ও ভাবগত ভাবে আদান-প্রদান করা এর বিবিধ কর্মসূচি।
তৃতীয় পদক্ষেপ, বিপন্ন নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা সুদৃঢ় করা। নারী ও শিশুদের শারীরিক নিরাপত্তার দিকটির প্রতি যেমন গুরুত্ব দেওয়া দরকার, মানসিক নিরাপত্তার দিকটির প্রতিও দৃষ্টিপাত একান্ত প্রয়োজন। কীভাবে নিরাপত্তাহীনতাকে চিহ্নিত করবেন? নারী বা শিশু যদি ঘনঘন বিবিধ শারীরিক অসুস্থতার শিকার হন, তবে সেটি নিরাপত্তাহীনতার কারণ হিসেবে গণ্য হতে পারে। এছাড়া শারীরিক দুর্বলতা, খিদে-ঘুম যথার্থ না হওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা ও নিরাপত্তাবোধের অভাব সবই নিরাপত্তাহীনতার কারণ হতে পারে।
চতুর্থ পদক্ষেপ নেটওয়ার্কিং। স্থানীয় থানা, নাগরিক সমিতি, বিধায়ক কার্যালয় প্রভৃতির দূরভাষ নম্বর নারীদের কাছে সহজে উপলব্ধ করা। দাতব্য চিকিৎসালয়, স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নারী ও শিশু পরিষেবা কেন্দ্র—প্রভৃতির সঙ্গেও অটুট যোগাযোগ থাকা দরকার। মনে রাখতে হবে নারী ও শিশু নির্যাতন মানবিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে, তাই কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা বা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবার আগেই প্রস্তুত হতে হবে ও কার্যাবলি রূপায়িত করতে হবে বিশেষত যৌন নির্যাতন হবার ঝুঁকি থাকলে সেখানে ‘স্পেশাল মেজার ফর প্রটেক্শন ফ্রম সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়েটেশন অ্যান্ড অ্যাবিউজ’ (PSEA)—ইউনাইটেড নেশানসের এই বুলেটিনের ধারাটিকে ধার্য করা যেতে পারে। (ST/SGB/2003/13).
পঞ্চম পদক্ষেপ, দায়বদ্ধতা বা পরিভাষায় যাকে বলে অ্যাকাউন্টিবিলিটি। প্রতিটি পদক্ষেপেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়বদ্ধতাকে গ্রহণ করতে হবে। ধরা যাক কোনও স্থানে শিশু নির্যাতন হল। সেক্ষেত্রে একদিকে দোষীদের চিহ্নিতকরণের ব্যবস্থা যেমন নিতে হবে, তেমনি শিশুটির প্রতি যত্নবান হতে হবে। প্রতিটি মুহূর্তেই মেয়েদের সমালোচনার শিকার হতে হয়। তারা অপরাধবোধে ভুগতে থাকে, নিজস্ব জগতে একাকী বিচরণ করে। এইভাবে চলতে থাকলে একদিন হয়তো আত্মহননের পথও মেয়েরা বেছে নিতে পারে। দায়বদ্ধতা গ্রহণ করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। অবিলম্বে শিশু ও নারীকে মানসিক উন্নতির জন্য পরামর্শ দেওয়া উচিত। বিপন্ন নারীর জন্যও এই পঞ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়।
এই ধরনের সামাজিক অপব্যবহারের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। কবির ভাষায় বলি ‘শুভ কর্মপথে ধর নির্ভয় গান’।