স্ত্রীর আয় বেশি বলে স্বামীকে হীনম্মন্যতা ও নিরাপত্তার অভাবে ভুগতে দেখার দৃশ্য বলিউডের অনেক ছবিতেই রয়েছে। ‘অভিমান’ থেকে শুরু করে ‘ম্যায়, মেরি পত্নী ওউর ওহ’র মতো ছবিতে এমন ঘটনা দেখা যায়। যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের গবেষণাতেও এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় ছয় হাজার দম্পতির তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। তাতে দেখা যায়, যখন পুরো দাম্পত্য আয়ের ৪০ শতাংশের বেশি স্ত্রীর কাছ থেকে আসতে শুরু করে, তখনই উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন স্বামী। সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফলাফলে এমনটাই দেখা গেছে। তাতে দেখা গেছে স্ত্রীর আয় বেশি হয়ে গেলে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার শিকার হয়ে স্বামী অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত ওই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, যে স্বামী তাঁর স্ত্রীর আয়ে পুরোপুরি নির্ভর করেন তাঁর অবস্থা হয় সবচেয়ে করুণ। গবেষক জোয়ানা সাইড্রা বলেন, ‘গবেষণা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের রীতি-নীতির কারণে প্রচলিত প্রথা ভেঙে নারীর আয় বেড়ে গেলে তা পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর হয়ে ওঠে।’
গবেষক জোয়ানা আরও বলেন, স্ত্রীর অধিক আয়ের সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক বিষয়ের পাশাপাশি জীবন সন্তুষ্টি, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, সেপারেশন, বৈবাহিক দর-কষাকষির ক্ষমতার মতো বিষয় যুক্ত হয়ে যায়। ভারতের মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শক শ্বেতা সিং জানিয়েছেন, অনেক পরিবারে মনে করা হয় পুরুষই হবে মূল রোজগেরে। এ ধারণা নিয়েই অনেকে বড় হন। তাই নারীর আয় বেড়ে গেলে বহু পুরুষকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে দেখা যায়।
সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়
পাতার ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে