প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
দুর্গাপুজো আসছে। পুজোর সাজ নিয়ে কী কী প্ল্যান করছেন?
পুজোর সাজ নিয়ে খুব কিছু প্ল্যান করি, এমন নয়। যদি পুজোয় কাজের সূত্রে বেরতে হয়, তাহলে তখন সেইভাবে প্ল্যান করি। তা না হলে বাড়িতেই থাকি। বেরতে হলে পুজোর চারদিনই শাড়ি পরার চেষ্টা করি। একেবারে বাঙালি সাজ যাতে হয়, সেটা চেষ্টা করি। হয়তো একটা দিন আনারকলি জাতীয় কিছু পরলাম, ষষ্ঠী বা সপ্তমীতে। তবে বেশিরভাগ থাকে শাড়িই।
বর্তমান চতুষ্পর্ণীর শ্যুটে যে তিনটি শাড়ি পরেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে কোনটা ভালো লেগেছে? কেন?
সবচেয়ে ভালো লেগেছে সাদা শাড়িটা। এমনিই সাদা রং এখন পরতে আমার ভীষণ ভালো লাগছে। সাদা ঢাকাই জামদানি আর তার সঙ্গে সরু ভেলভেট রেড পাড়। তার সঙ্গে পোড়ামাটির গয়না। মাথায় খোঁপা। পুরো সাজ বা লুকটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
নিজে পুজো স্পেশাল শাড়ি কিনেছেন? কী কী ধরনের শাড়ি একটু বলুন।
সেভাবে শাড়ি হয়তো কিনি না। তবে এই উৎসবে বাংলার শাড়িই পছন্দ। নিজের মতো করে কোনও শাড়ি বানিয়ে আনার চেষ্টা করি। যেমন এই সাদা ঢাকাই শাড়িটা।
পুজো হোক বা অন্য কোনও উৎসব, পাঠকদের জন্য সাজগোজের টিপস দিন কিছু।
সাজগোজ সিম্পল রাখাই ভালো। সিম্পল মানে বলতে চাই, শাড়ি বা চুড়িদার যেটাই পরুন, আমাদের এখানে গরম বেশি, সেটা ভেবে পোশাক পছন্দ করুন। পোশাক খুব বেশি উজ্জ্বল হলে অ্যাক্সেসরিজ একেবারে সিম্পল হবে। তাহলে পোশাকটা চোখে পড়বে। নিজেরও আরাম লাগবে। আর যদি ভারী অ্যাক্সেসরিজ পরতে হয় তাহলে পোশাকের রং হালকা রাখুন।
আপনি সাজের পরিকল্পনা যখন করেন, কোনও জায়গা বা কারও থেকে অনুপ্রেরণা নেন? নাকি পুরোটাই নিজের মতো করে ভেবে নেন?
বলতে পারেন দুটোই। অনেক জায়গা থেকে অনুপ্রেরণা পাই। কখনও আবার নিজের মতো করে ভেবে নিই। একটা উদাহরণ দিই। বছর দুয়েক আগে দুর্গাপুজোর পরে আমি একটি ডান্স রিয়েলিটি শো-এ বিচারকের ভূমিকায় ছিলাম। সেখানে একটা পর্ব ছিল শুধু বাংলার সংস্কৃতি ঘিরে। সেবার দুর্গাপুজোর সময় কিছু পুজো পরিক্রমায় গিয়েছিলাম বিচারক হিসেবে। একটি প্যান্ডেলে দেখেছিলাম পটচিত্রের কাজ। সেখানে পটচিত্র শিল্পীরাও ছিলেন, ছবি নিয়ে গল্প বলছিলেন তাঁরা। ওটা দেখে আমার মনে হয়েছিল, পোশাকে পটচিত্র করালে কেমন হয়? এই ভাবনাটা কাজে লাগল রিয়েলিটি শো-এর ওই পর্বের জন্য। এটা অনুপ্রেরণা তো বটেই, কারণ পটচিত্র তো সবাই জানি, কিন্তু পুজো প্যান্ডেল আবার সেটা মনে করাল। এরপর শাড়ি বা চুড়িদার নয়, আমি পটচিত্রের কাজটা করালাম একটা গাউনের উপরে। আমার নিজস্ব এই প্ল্যান দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল। প্রবাসী বাঙালিদেরও ওটা বেশ পছন্দ হয়েছিল। কারণ ওঁদের হয়তো পশ্চিমী পোশাক পরতে হল কোনও অনুষ্ঠানে। আর তাতে প্রাচ্যের, বিশেষ করে বাংলার ছোঁয়া থাকলে দারুণ হয় বিষয়টা।
পুজোয় তো উপহার দেওয়া থাকে। উপহার পছন্দ করার সময় কী মাথায় রাখেন?
উপহার দেওয়ার সময় দুটো বিষয় মাথায় রাখি। মাসি-পিসিদের যেমন শাড়িই দিই। তখন শুধু ভেবে নিই সেই মানুষটা কেমন। কারণ তাঁদের চিনি, তিনি কেমন শাড়ি পরতে পছন্দ করেন সেটা বুঝি। তার সঙ্গে আমার যা রুচি বা পছন্দ, সেটাও একটু মেলাই।
• মডেল: মনামী ঘোষ • মেকআপ: অভিজিৎ পাল
^ ফুলিয়ার সাদা কটন জামদানির সঙ্গে বোলপুরের পোড়ামাটির গয়না
• পোশাক ও স্টাইলিং: স্টাইলড বাই ব্লু, যোগাযোগ: ৯৮৩৬৬৮২৯৩৩
^ কোয়ার্কি এমব্রয়ডারি কর্সেটের সঙ্গে গ্রিন মেটালিক শাড়ি
• ছবি: সায়ন্তন দত্ত • গ্রাফিক্স: সোমনাথ পাল
^ ব্রোকেড ব্লাউজের সঙ্গে নিওন বেবি পিঙ্ক বেনারসি