Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য। এটাই হবে ইউএসপি। ‘কাটাপ্পা নে বাহুবলী কো কিঁউ মারা’ জাতীয় সাসপেন্স ধরে রেখে দেবে দর্শককুলকে। কোথা থেকে আসে এই সাসপেন্স? কীভাবে তৈরি হয় এইসব সিরিজ? আপনার-আমার গল্পই তো বলে এরা! এই সমাজকে নিংড়ে বেরনো ঘটনাগুলো ফুটে ওঠে স্ক্রিনে। কিন্তু একটু তলিয়ে ভাবুন তো, যেগুলো এখন পর্যন্ত আমরা দেখেছি, সত্যিই কি তাদের সেরার তালিকায় ফেলা যায়? উঁহু, যায় না। গত ৩০ বছরের সেরা সিরিজটি এখনও সমাজের মূলস্রোতেই ঘোরাফেরা করছে। আর তার নাম? মন্দির রাজনীতি। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে এর প্রথম সিজন শেষ হয়েছে। কিন্তু অপেক্ষার অবসান। বেশ দ্রুতই। এবার আসতে চলেছে দ্বিতীয় সিজন। মন্দির রাজনীতি-২।
কাজ অবশ্য শুরু হয়েছিল প্রথম সিজনের শেষ পর্বেই। কারণ, জ্ঞানবাপী মসজিদ ততদিনে পৌঁছে গিয়েছে আদালতের দরবারে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে তার অস্তিত্ব নিয়ে। ইতিহাস নিয়ে। মথুরায় সংখ্যালঘুদের ব্যবসা তুলে দেওয়ার ‘হুকুম জারি হয়েছে’। হিন্দুদের পবিত্রভূমিতে মসজিদ? থাকবে না। ১৯৯২ সালে কট্টরপন্থী যে প্রচারের জন্ম লালকৃষ্ণ আদবানি, উমা ভারতীরা দিয়েছিলেন, তারই ষোলো কলা পূর্ণ হতে চলেছে। জ্ঞানবাপী মসজিদের ভবিষ্যৎ কী? সম্ভলের উত্তাপ বাড়ছে কেন? এবার কি টার্গেট আজমির শরিফ? এই প্রশ্নগুলো কি সাধারণের মনে আসছে না? বুঝতে কি খুব অসুবিধা হচ্ছে যে, নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একটু বেশিই ভারী হয়ে উঠছে হাওয়াটা? রোজগার মেলা, জাতীয় সড়ক, নতুন বিমানবন্দর... সবই পিছনের সারিতে। একটি শব্দেরই অনুরণন এখন নতুন ভারতে... ধর্ম, ধর্ম, ধর্ম। আচমকাই অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। বিজেপির নিচু থেকে শীর্ষস্তর—সর্বত্র পৌঁছে গিয়েছে তাদের নির্দেশ। হিন্দুত্বের বার্তা। তারা জানিয়ে দিয়েছে, নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় ইনিংসে হিন্দুত্ব ছাড়া আর কোনও এজেন্ডা নেই। থাকতে পারে না। তাহলে অচিরেই ক্ষমতার অলিন্দ থেকে হারিয়ে যাবে গেরুয়া শিবির। এই নির্দেশ কেন? সমাজের নিচুতলায় কাজ করে আরএসএস। ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠন তাদের। আম জনতার মন পড়েই তারা বুঝেছে যে, উন্নয়ন প্রশ্নে আর ভোটারদের মগজধোলাই করা যাবে না। একটা টার্ম মানুষ আচ্ছে দিনের আশা করেছে। পরের পাঁচ বছরে চূড়ান্ত অপেক্ষা। কিন্তু তৃতীয় ইনিংসে পৌঁছে আর আশা থাকবে না, অপেক্ষাও না। চলতি বছরের লোকসভা ভোটের ফল এই ইঙ্গিত পৌঁছে দিয়েছে সঙ্ঘের দরবারে। সমীকরণটা জলের মতো পরিষ্কার—স্রেফ ভাঁওতা দিয়ে আর নির্বাচন উতরানো যাবে না। আর তাই ২০২৪’এ এসে ফের শক্তিশালী হয়ে উঠছে আঞ্চলিক দলগুলি। কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে যে প্রচার শুরু হয়েছিল, সেটাও অর্ধসত্য। কারণ, মহাজোট ইন্ডিয়া গঠন না হলে এই আসনটুকু তাদের ভাগ্যেও জুটত না। মানুষ দেখে নিয়েছে, একজনের উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস করলে ডুবতে হবে। তাই তাঁকেও কম্পিটিশনে রেখে দাও। জোটের ভয় থাকুক। সরকার পড়ে যাওয়ার আতঙ্কও। তাহলেই হয়তো সংস্কারের নামে আম আদমির পেটে লাথি পড়বে না। কিন্তু যদি ছাঁকনি নিয়ে বসা যায়, তাহলে ওই এক ব্যক্তির পক্ষে কিন্তু অদূর ভবিষ্যতেও ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করা কঠিন। এবারই যদি জোরদার বিকল্প হাতের নাগালে থাকত, স্কোরবোর্ড অন্যরকম হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। আরএসএস এটাও জানে। জাতীয় স্তরে বিরোধীদের মধ্যে তেমন বিকল্প নেই। রাহুল গান্ধীকে পাবলিক এখনও প্রধানমন্ত্রী আসনের যোগ্য বলে মনে করে না। এই পরিস্থিতিতে হাওয়াটা সামলে নিতে হবে। আর সেই কারণেই চাই মেরুকরণ। এজেন্ডা—হিন্দুত্ব। অথচ গেরুয়া কট্টরপন্থী রাজনীতি নিজ গুণে বাড়তে পারবে না। তাহলে উপায় কী? অন্য ধর্মকে দুরমুশ করে সেই জায়গা দখল করা। তারই নবতম সংযোজন আজমির শরিফ।
এখন প্রশ্ন হল, আজমিরই কেন? ভারতে বিদেশি মুসলিম শাসকদের হামলা আগেও হয়েছে। কিন্তু মহম্মদ ঘোরীর অভিযানের সময়কাল ছিল তাঁদের সবার থেকে আলাদা। কারণ, তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধের পরই এই দেশে নজরে পড়ার মতো ইসলামের বিস্তার। সেটাও খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির হাত ধরে। তিনি এসেছিলেন এ দেশে। থেকেও গিয়েছিলেন। রাজস্থানের আনা সাগরের পাড়ে একটি গাছতলা ছিল তাঁর প্রথম আস্তানা। তখন এদেশে রাজত্ব পৃথ্বিরাজ চৌহানের। কথিত আছে, ঠিক যে জায়গায় খাজা মইনুদ্দিন বসেছিলেন, সেটা ছিল রাজার সেনাবাহিনীর উটের বিশ্রামের ঠিকানা। অতগুলো উট নিয়ে ফেরার পর সেনা দেখেছিল, তাদের জন্য নির্দিষ্ট ওই গাছতলায় একজন পির বসে আছেন। কোনও কথা শোনেনি তারা। খেদিয়ে দিয়েছিল খাজা মইনুদ্দিন চিস্তি ও তাঁর অনুগামীদের। এবং অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করে। মইনুদ্দিন চিস্তি তখন সেনা কর্তাদের বলেছিলেন, ‘আমি উঠে যাচ্ছি। কিন্তু এই যে উটগুলি বসল, এরাও আর উঠবে না।’ হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল সেনারা। কিন্তু আশ্চর্যভাবে, পরদিন সকালে শত চেষ্টা সত্ত্বেও একটি উটকেও তোলা গেল না। সবরকম পদ্ধতি প্রয়োগ করার পরও তারা ওই জায়গাতেই বসে রইল। খবর গেল রাজার কাছে। একজন সন্তের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে শুনে তিনি অত্যন্ত বিরক্ত হলেন এবং সেনাদের বললেন, এখনই ওঁর কাছে গিয়ে ক্ষমা চাও। শোনা যায়, খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর উট ওঠানো গিয়েছিল। আর ঠিক যে জায়গায় এসে প্রথম তিনি বসেছিলেন, সেখানেই হয়েছে পরবর্তীকালে আজমির শরিফ দরগা। সবচেয়ে বড় কথা, এই দরগা কিন্তু শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য নয়। প্রত্যেক ধর্মের মানুষের জন্য এখানে অবারিত দ্বার। বহু হিন্দু আছেন, বড় কোনও কাজে নামার আগে আজমির দরগায় চাদর চড়িয়ে আসেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও চড়িয়েছেন। গত লোকসভা ভোটের আগেই। উরস উৎসবের সময়। তাহলে হঠাৎ তাঁর দলই কেন এই আজমিরের ‘উৎস’ নিয়ে তড়পানি শুরু করল? কারণ, ভোট হয়ে গিয়েছে। এখন পাঁচ বছর নিশ্চিন্ত। এর মাঝে যদি মেরুকরণের বাজার গুছিয়ে নেওয়া যায়, ক্ষতি কী? আর সাম্প্রদায়িকতার ‘যুদ্ধে’ আজমির শরিফের থেকে বড় অস্ত্র ভূভারতে নেই। তাই রাজস্থান হিন্দু সেনার পক্ষ থেকে আদালতে পিটিশন ফাইল হল, আজমির শরিফের জায়গায় নাকি আগে মহাদেবের মন্দির ছিল! তাই এর একটা বিহিত চাই। কেমন হবে সেই বিহিত? আদালত কি ওখানেও সার্ভের রায় দেবে? এএসআই পরীক্ষা করে দেখবে, আজমির শরিফ সত্যিই শিবমন্দিরের উপর তৈরি কি না? রামলালার পর মহাদেব মন্দিরের রাজনীতি শুরু হয়ে যাবে? বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার কিন্তু ভুলে যাচ্ছে, আজমির শরিফ কিন্তু বাবরি সৌধ নয়। ১৯৯২ সালে ভারতবর্ষ মন্দির রাজনীতি নিয়ে সংঘর্ষের ট্রেলার দেখেছিল। আজমির শরিফ নিয়ে নাড়াচাড়া পড়লে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাবে। তবে তাতে মেরুকরণ আরও সহজ হবে গেরুয়া বাহিনীর পক্ষে। ওরা সেটাই চাইছে না তো? কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, আজমির শরিফের উপর আঘাত অন্য ধর্মাবলম্বী, এমনকী হিন্দুরাও ভালো চোখে দেখবে না। এরইমধ্যে সম্ভলে মসজিদ বিতর্ক উত্তরপ্রদেশজুড়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াতে শুরু করেছে। মসজিদের জায়গায় আছে হর হরির মন্দির ছিল, দাবি এটাই। আর এই আবেদন পাওয়া মাত্র নিম্ন আদালত সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। আর তারপরই শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। চব্বিশের ভোট মিটতেই মাথাচাড়া দেওয়া মন্দির রাজনীতি বেশি চোখে লাগছে না? ক্ষমতা ধরে রাখার লোভে এতটা বুঁদ হওয়ার কি খুব প্রয়োজন? হিন্দুত্ব খতরে মে হ্যায় স্লোগান তুলে এরা হাওয়া গরম করছে। কিন্তু এদের এতটুকু শিক্ষা নেই যে, সনাতন ধর্মের ভিত এতটাই মজবুত যে, তাকে নাড়ানো যায় না। তার বিস্তৃতি অপার। হিন্দুত্বের রক্ষক বলে যারা নিজেদের দাবি করছে, তারা আসলে সূর্যের দিকে টর্চের আলো ফেলছে। আর পুরোদমে চলছে রাজনীতি। প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। কারণ পাবলিক বোকা নয়। মানুষ প্রশ্ন তুলছে, দেশে তাহলে ‘প্লেসেস অব ওয়রশিপ অ্যাক্ট’ থাকার মানেটা কী? সংবিধান এবং আইন বলেছে, এই দেশে কোনও ধর্মের উপর আঘাত হানা যাবে না। ধর্ম পালন প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দেশের সর্বত্র প্রত্যেক ধর্মস্থানের পরিচয় যা ছিল, ভবিষ্যতেও তা থাকবে। তারপরও বাবরি ‘মেগা শো’ হয়েছে, জ্ঞানবাপী সিরিজ চলছে, মথুরার শাহি ইদগার পর সম্ভলের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। ধর্মের নামে মোহ ঘিরে ধরছে রাজনীতিকে। তার আঁচে সাধারণ মানুষ মরছে, মারছেও। এই ভারত সত্যিই আমরা চেয়েছিলাম তো?
03rd  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
একনজরে
সন্ধ্যা হলেই রাস্তার উপর চলে আসে বাসস্ট্যান্ড। যার জেরে যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শিলিগুড়ি জংশন লাগোয়া হিলকার্ট রোড। সারাদিনের যানজটের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই সন্ধ্যার পর ...

ফি-বছর ঘূর্ণিঝড় ও অতিবৃষ্টিতে ধানচাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। খেত জলমগ্ন হয়ে পড়লে বা ঝোড়ো হাওয়ায় ধানগাছ মাটিতে শুয়ে গেলে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন হা-হুতাশ ছাড়া ...

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। কেন এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে আইনি মহলে। ...

বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে অনেক দিন ধরেই সরব তৃণমূল। বিশেষ করে ভোট এলেই বিজেপি বিভাজনের ‘তাস’ খেলে বলে আঙুল তোলা হয়েছে জোড়াফুল শিবিরের পক্ষ থেকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় নৌ দিবস
১১৩১: পারস্যের কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের মৃত্যু
১৭৯৮: ইংল্যান্ডে আয়কর প্রবর্তিত হয়
১৮২৯: সতীদাহ প্রথা রদ করলেন লর্ড বেন্টিঙ্ক
১৮৮৪: ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের জন্ম
১৯৯১: সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত ঘোষিত হয়
১৮৯৩: অভিনেতা দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯৯: টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধের জন্যে প্রথমবার এই জ্বরের ভ্যাকসিন মানব দেহে ব্যবহার হয়
১৯১০: ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি আর বেঙ্কটরামনের জন্ম
১৯২৪: মুম্বইয়ে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার উদ্বোধন হল
১৯৭৭: ক্রিকেটার অজিত আগরকরের জন্ম  
২০১৭:বিশিষ্ট  রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী পূরবী মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০১৭: বিশিষ্ট অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শশী কাপুরের মৃত্যু
২০১৯: কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার বব উইলিসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৩ টাকা ৮৫.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২২ টাকা ১০৮.৯৬ টাকা
ইউরো ৮৭.১৫ টাকা ৯০.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪। তৃতীয়া ১৭/৪৩ দিবা ১/১১। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ২৭/৫৩ সন্ধ্যা ৫/১৫। সূর্যোদয় ৬/৬/৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ৮/১৪ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৮/২১ গতে ৩/২৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ গতে ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/১৪ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৭ গতে ১০/৭ মধ্যে পুনঃ ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪। তৃতীয়া দিবা ১২/২৮। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/২৩। সূর্যোদয় ৬/৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৭/৪৪ গতে ৮/৩২ মধ্যে ও ১০/৩৩ গতে ১২/৪০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৬/৪১ মধ্যে ও ৮/২৯ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২ গতে ৭/৪৪ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৭ গতে ১০/৮ মধ্যে ও ১১/২৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৭ গতে ৪/২৭ মধ্যে। 
১ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সলমনের শ্যুটিংয়ে বিপত্তি!
সলমন খানের শ্যুটিংয়ে বিপত্তি। আজ, বুধবার দাদরে একটি ছবির শ্যুটিং ...বিশদ

01:00:39 AM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই

11:07:00 PM

গত মঙ্গলবার রাতে মানিকতলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:56:00 PM

রেলের কর্মী ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনজেপি এরিয়া অফিস চত্বরে উত্তেজনা

10:15:00 PM

জুনিয়র হকি এশিয়া কাপ(পুরুষ): পাকিস্তানকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত

10:08:00 PM

‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারের জন্য হায়দরাবাদের সন্ধ্যা প্রেক্ষাগৃহে গেলেন অভিনেতা অল্লু অর্জুন

09:37:00 PM