যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
কেতুগ্রামে মৃত হনুমানগুলির মধ্যে একটি গর্ভবতী ছিল। একের পর এক হনুমানের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন পূর্ব বর্ধমান জেলা বনদপ্তর। তারা এলাকার মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি হনুমানগুলির মৃত্যুর তদন্ত করে দোষীর খোঁজ চালাচ্ছে। এমন ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছেন পরিবেশপ্রেমী থেকে সাধারণ মানুষ। প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেল কেতুগ্রামের শাঁখাই এলাকায় তিনটি অল্পবয়সি হনুমানের মৃতদেহ উদ্ধার করে বনদপ্তর। পরের দিন রবিবার সকালে আরও পাঁচটি পূর্ণ বয়ষ্ক হনুমানের দেহ উদ্ধার হয়। পরে আরও দু’টি হনুমানের মৃত্যু হলেও বনদপ্তর সেই দু’টিকে উদ্ধার করতে পারেনি। তার কারণ রাতের দিকে শিয়াল কুকুরে খেয়েছে দুই হনুমানের দেহ। বর্ধমানে মৃত হনুমানগুলির দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মৃত হনুমানগুলির মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বের হচ্ছিল। তাঁরা সন্দেহ করছেন, বেশকিছু কৃষক তাঁদের ফসল বাঁচানোর জন্য জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। আর হনুমানগুলি শাবক নিয়ে খাবার না পেয়ে সর্ষে গাছের পাতা, গাছের পাতা, জমিতে কপির পাতা চিবিয়ে খাচ্ছে। অতিমাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগের ফলে বিষক্রিয়া হতে পারে হনুমানগুলির শরীরে।
কেতুগ্রামের ১০টি হনুমানের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তৃণমূলের উপ প্রধানের দাদার নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বনদপ্তর। ওই উপ প্রধানের দাদা তাঁর জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেছিলেন। তাই সেখান থেকেও বিষক্রিয়া হতে পারে বলে অনুমান করছে বনদপ্তর।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন এডিএফও এর নেতৃত্বে বনদপ্তরের একটি টিম কেতুগ্রামের শাঁখাই এলাকায় যান। তাঁরা কীটনাশক দেওয়া জমি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। এছাড়া এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন। অভিযুক্ত উপ প্রধানের দাদা সাগর দাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন এডিএফও। তিনি বলেন, আটটি হনুমানের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬টি স্ত্রী আর দুটি পুরুষ হনুমান ছিলো একটি আবার গর্ভবতী ছিল। এডিএফও আরও বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। অবলা জীব ওরা। পৃথিবীতে ভারতীয় লেঙ্গুর প্রজাতির হনুমানের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। আমরা বন্য আইনে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করব। আমরা ‘অভয়ার’ বিচারের জন্য সোচ্চার হচ্ছি। কিন্তু এতগুলো হনুমানকে বিষ প্রয়োগ করে মারা হল, তা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করছি না। মৃত হনুমানগুলির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেন্সিক রিপোর্ট এলেই সবটা পরিষ্কার হবে। আমরা কৃষিদপ্তরেও জানতে চাইব জমিতে যে কীটনাশক প্রয়োগ করেছিল, তা তাদের গাইডলাইন মেনেছিল কি না! উদ্দ্যেশপ্রণোদিত ভাবেই হনুমান মারা হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র