Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। এই অভিমত একশো শতাংশ সত্যি। তারপরেও একটা কথা বলতেই হবে, এবারের উপ নির্বাচন বুঝিয়ে দিল, শুধু অন্যের দিকে আঙুল তুলে ভোটে জেতা যাবে না। ক্ষমতায় থাকতে গেলে বা সরকার গড়তে গেলে কাজ করতে হবে। মোদ্দা কথা, নেগেটিভ ভোটের জোরে বাংলায় কিস্তিমাতের দিন শেষ।
যেকোনও উপ নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল অ্যাডভান্টেজ পায়। সেই অঙ্কে রাজ্যের পাঁচটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিয়ে কারও সংশয় ছিল না। কিন্তু মাদারিহাট নিয়ে সকলের বিশেষ কৌতূহল ছিল। কারণটা খুব স্পষ্ট। এই আসনে তৃণমূল কংগ্রেস আগে কোনও দিন জেতেনি। মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্র ও আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনটি দীর্ঘদিন বিজেপির দখলে। তাই মাদারিহাট নিয়ে বিজেপি তো বটেই, অন্য বিরোধী দলগুলিও আশাবাদী ছিল। মাদারিহাটে জিতলে বিজেপি ছাব্বিশের নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলকে লড়াইয়ের সামনে দাঁড় করাতে পারত। সেই অঙ্কেই বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস প্রার্থী দিলেও সেভাবে লড়াইয়ে ছিল না। তাই প্রতিষ্ঠিত দুই দলের চেয়েও নির্দল প্রার্থী ভোট পেয়েছেন অনেকটাই বেশি।
মাদারিহাটি কেন্দ্রের ভোট বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এক দশক ধরে যেসব চা-বাগান এলাকা বিজেপির গড় বলে পরিচিত ছিল, সেখানেও তারা হেরেছে। লোকসভা নির্বাচনে বিন্নাগুড়ি ও সাঁকোয়াঝোরা-১ পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বিজেপি প্রায় সাড়ে সাত হাজার ভোটে এগিয়েছিল। উপ নির্বাচনে সেই ঘাটতি মিটিয়ে তিন হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। একই ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার অন্তর্গত বেশ কিছু চা-বাগান এলাকায়। এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নটি হল, মাত্র কয়েক মাসে এতটা ভোট স্যুইং করল কেন? চা-বাগানগুলিতে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন কি খুব ভালো কাজ করছে, নাকি বিজেপির উপর মানুষ বিরক্ত? তৃণমূলের ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের কাজে শ্রমিকরা খুশি, এমন দাবি করলে তা হবে সত্যের অপলাপ। বরং বহু ক্ষেত্রে স্থানীয় এবং রাজ্যের কিছু শ্রমিক নেতার সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যই শোনা গিয়েছে। তারপরেও তৃণমূলকে এলাকার মানুষ ঢেলে ভোট দিল। কেন? 
নির্বাচনের কয়েকদিন আগে মাদারিহাট ঘোরার সময় একটা কথা অনেকেই বলেছিলেন, ‘কয়েকবার বিজেপিকে তো ভোট দিলাম। কিন্তু উন্নয়ন কিছুই হল না। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়ে দেখা যাক না কী হয়!’ উপ নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে, এলাকার মানুষ উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে ভোট দিয়েছে। মানুষ মনে করেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী জিতলে চা-বাগান এলাকার সার্বিক উন্নতি হবে। কিন্তু বিজেপিকে ভোট দিলে শুনতে হবে সেই একই কথা, ‘ওরা আমাদের কাজ করতে দিচ্ছে না।’ 
তাই মাদারিহাটের জয় তৃণমূলকে যেমন একদিকে স্বস্তি দিয়েছে, তেমনই দাঁড় করিয়ে দিয়েছে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। কী সেই চ্যালেঞ্জ? উন্নয়নের। তৃণমূল নেতৃত্ব উন্নয়নকে পাখির চোখ করলে আগামী দিনে তার প্রভাব শুধু মাদারিহাটে নয়, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার বাকি আসনেও পড়বে। মাদারিহাট যে সুযোগ দিয়েছে তা কাজে লাগাতে পারলে উত্তরবঙ্গকে নিয়ে তৃণমূলের দুশ্চিন্তার পারদ পৌষের চেয়েও দ্রুত নামবে। কোনও ‘পশ্চিমী ঝঞ্ঝা’ তার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। স্তিমিত হবে বাংলা থেকে উত্তরবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করার ‘গেরুয়া হুঙ্কার’। তবে মাদারিহাটকে উত্তরবঙ্গের ‘গেম চেঞ্জার’ বানানোর জন্য তৃণমূলের হাতে খুব একটা সময় নেই। বড়জোর বছর খানেক। কোনও দলের ভোটবৃদ্ধি অবশ্যই সেই দলের উপর মানুষের আস্থার লক্ষণ। একইসঙ্গে তা বিরোধী শিবিরের প্রতি অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ। উপ নির্বাচনে প্রতিটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে এবং বিজেপির ভোট কমেছে। আড়াই থেকে প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত। একে কমছে বললে কমিয়ে বলা হয়, ধস নেমেছে বলাই ভালো।
এ রাজ্যের শাসক বিরোধীরা ভোট দেওয়ার আগে দেখেন, কাকে সমর্থন দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাপে পড়বেন। সেই অঙ্ক কষেই তাঁরা ভোট দেন। তারজন্যই মমতা বিরোধী বাম ভোট কখনও রামে যায়। আবার রামের ভোট বামে ফেরে। কিন্তু এবার সেই অঙ্ক মেনে ভোট স্যুইং করেনি। উপ নির্বাচনে বিজেপির ভোটে ব্যাপক ধস নামলেও তা বামে ফেরেনি। উল্টে অনেকটাই গিয়েছে তৃণমূলে। ব্যতিক্রম বাঁকুড়ার তালডাংরা। এখানে বিজেপির কিছু ভোট বামে ফিরেছে। কংগ্রেসের সঙ্গ ছাড়াই সিপিএম লোকসভার চেয়ে প্রায় তিন হাজার ভোট বাড়িয়ে নিয়েছে। তবে, অধিকাংশ জায়গায় বিজেপির এমনকী, কিছু এলাকায় বাম ও কংগ্রেসের ভোটও তৃণমূলে গিয়েছে। এ রাজ্যে ‘অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর’ কমছে অথবা তার সুযোগ বিরোধীরা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এবারের উপ নির্বাচনের ফলাফলে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। তাঁদের মতে, ২০১৯ সাল থেকে বিজেপি এ রাজ্যে ‘নেগেটিভ ভোটে’র ফায়দা তুলছে। কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকলেও বাংলার মানুষের জন্য আলাদাভাবে কিছুই করেনি। স্রেফ তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে বিজেপি এ রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল। নেগেটিভ ভোটের সৌজন্যে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক যত পুষ্ট হয়েছে বাংলার প্রতি গেরুয়া আগ্রাসন ততই তীব্র হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে শুধু তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেই ক্ষান্ত হয়নি, বন্ধ করে দিয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প। তাতে বাংলার অর্থনীতি দুর্বল হলেও মনোবলে বিন্দুমাত্র চিড় ধরেনি। উল্টে বিজেপিকে জবাব দেওয়ার ইচ্ছা আরও দৃঢ় হয়েছে।
আন্দোলনের সিঁড়ি ভেঙে নবান্নে পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানেন, শুকনো কথায় যেমন চিঁড়ে ভেজে না, তেমনই শুধু স্লোগানে ভরে না ক্ষুধার্ত মানুষের পেট। তাই আগে করেছেন গরিবের পেট ভরানোর ব্যবস্থা। প্রান্তিক মানুষরা যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে তারজন্য নিয়েছেন বিভিন্ন কর্মসূচি। ঘোষণা করেছেন একগুচ্ছ সামাজিক প্রকল্প। তাতে বিরোধীদের পায়ের তলার মাটি আলগা হয়নি, একেবারে ধসে গিয়েছে। সেটা বুঝেই জনপ্রিয় প্রকল্পগুলিকে বিরোধীরা কখনও ‘ভিক্ষে’, কখনও ‘ডোল পলিটিক্স’ বলে কটাক্ষ করেছে। এখন বিজেপি সেই নীতিকেই আঁকড়ে ধরছে। এই মুহূর্তে মমতার চালু করা কর্মসূচির সুফল পায় না এমন পরিবার গ্রামবাংলায় তন্নতন্ন করে খুঁজেও পাওয়া যাবে না। অবশ্য যাঁরা কট্টর মমতা বিরোধী তাঁরা ‘এটা তৃণমূলের নয়, সরকারের টাকা’ এই বলে ‘গঙ্গাজলে’ শুদ্ধ করে প্রকল্পের সুবিধা নেন। দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার বেনিফিট তৃণমূল পাচ্ছে। যাঁরা পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য এবং অভ্যাসের কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী ছিলেন তাঁদের অনেকেই ধীরে ধীরে ‘পজিটিভ ভোটে’র শরিক হচ্ছেন। সেই কারণে বিজেপির ভোট কমার আনুপাতিক হারে তৃণমূলের ভোট না বাড়লেও ভোটব্যাঙ্ক দিন দিন স্ফীত হচ্ছে।
অনেকেই বলছেন, উপ নির্বাচনে মানুষের এই রায়কে হালকা চালে নিলে বিরোধীদের পস্তাতে হবে। প্রতিটি নির্বাচনে বামেরা যেভাবে জামানত খুইয়ে চলার ট্র্যাডিশন বজায় রেখে চলেছে তাতে সিপিএমের নতুন করে হারানোর কিছু নেই। ‘সর্বহারা’র দল এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব। তবে, বিজেপির সামনে শুধরে নেওয়ার সময় এবং সুযোগ এখনও আছে। তারজন্য অতি দ্রুত চালু করতে হবে ১০০ দিনের কাজ। কারণ পেটে লাথি পড়লে কেউই ছেড়ে কথা বলে না। আবাস যোজনার টাকা মিটিয়ে দিয়ে বিজেপি প্রমাণ করুক, বাংলা ও বাঙালির প্রতি তাদের বিদ্বেষ নেই। ভোটের ফল প্রকাশের পর মেদিনীপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থীও প্রচারে গিয়ে এনিয়ে বারবার ক্ষোভের মুখে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনিও চান, অবিলম্বে টাকা দেওয়া হোক। প্রয়োজনে কেন্দ্র মনিটরিং করুক।
এই উপ নির্বাচনকে ছাব্বিশের মহারণের আগে ‘সেমিফাইনাল’ বলে মানতে নারাজ বিরোধীরা। সেটাই স্বাভাবিক। কারণ প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য। তবে এটা সেমিফাইনাল না হলেও ‘প্রস্তুতি ম্যাচ’ তো বটেই। ফলাফল ৬-০। এরপরেও যদি বিরোধীদের ঘুম না ভাঙে তাহলে ছাব্বিশে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ‘শীতঘুম’। কারণ ধস নেমেছে ‘নেগেটিভ ভোটে’র বাজারে।
30th  November, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
একনজরে
ফি-বছর ঘূর্ণিঝড় ও অতিবৃষ্টিতে ধানচাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। খেত জলমগ্ন হয়ে পড়লে বা ঝোড়ো হাওয়ায় ধানগাছ মাটিতে শুয়ে গেলে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন হা-হুতাশ ছাড়া ...

টোটো চালকদের সঙ্গে বিবাদের জেরে মঙ্গলবার দিনভর বর্ধমান শহরে বাস চলাচল বন্ধ থাকল। এদিন বাস চালক ও কর্মীরা নবাবহাটে বিক্ষোভ দেখান। আচমকা বাস চলাচল বন্ধ ...

শেষ সাত ম্যাচে ছ’টি হার। একটি ড্র। প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচে বশ মেনেছে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ক্লাব ইতিহাসে শেষ দেড় দশকে এরকম খারাপ সময়ের সম্মুখীন ...

সন্ধ্যা হলেই রাস্তার উপর চলে আসে বাসস্ট্যান্ড। যার জেরে যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শিলিগুড়ি জংশন লাগোয়া হিলকার্ট রোড। সারাদিনের যানজটের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই সন্ধ্যার পর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় নৌ দিবস
১১৩১: পারস্যের কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের মৃত্যু
১৭৯৮: ইংল্যান্ডে আয়কর প্রবর্তিত হয়
১৮২৯: সতীদাহ প্রথা রদ করলেন লর্ড বেন্টিঙ্ক
১৮৮৪: ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের জন্ম
১৯৯১: সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত ঘোষিত হয়
১৮৯৩: অভিনেতা দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯৯: টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধের জন্যে প্রথমবার এই জ্বরের ভ্যাকসিন মানব দেহে ব্যবহার হয়
১৯১০: ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি আর বেঙ্কটরামনের জন্ম
১৯২৪: মুম্বইয়ে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার উদ্বোধন হল
১৯৭৭: ক্রিকেটার অজিত আগরকরের জন্ম  
২০১৭:বিশিষ্ট  রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী পূরবী মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০১৭: বিশিষ্ট অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শশী কাপুরের মৃত্যু
২০১৯: কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার বব উইলিসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৩ টাকা ৮৫.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২২ টাকা ১০৮.৯৬ টাকা
ইউরো ৮৭.১৫ টাকা ৯০.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪। তৃতীয়া ১৭/৪৩ দিবা ১/১১। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ২৭/৫৩ সন্ধ্যা ৫/১৫। সূর্যোদয় ৬/৬/৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ৮/১৪ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৮/২১ গতে ৩/২৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ গতে ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/১৪ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৭ গতে ১০/৭ মধ্যে পুনঃ ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪। তৃতীয়া দিবা ১২/২৮। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/২৩। সূর্যোদয় ৬/৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৭/৪৪ গতে ৮/৩২ মধ্যে ও ১০/৩৩ গতে ১২/৪০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৬/৪১ মধ্যে ও ৮/২৯ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২ গতে ৭/৪৪ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৭ গতে ১০/৮ মধ্যে ও ১১/২৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৭ গতে ৪/২৭ মধ্যে। 
১ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সলমনের শ্যুটিংয়ে বিপত্তি!
সলমন খানের শ্যুটিংয়ে বিপত্তি। আজ, বুধবার দাদরে একটি ছবির শ্যুটিং ...বিশদ

01:00:39 AM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই

11:07:00 PM

গত মঙ্গলবার রাতে মানিকতলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:56:00 PM

রেলের কর্মী ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনজেপি এরিয়া অফিস চত্বরে উত্তেজনা

10:15:00 PM

জুনিয়র হকি এশিয়া কাপ(পুরুষ): পাকিস্তানকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত

10:08:00 PM

‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারের জন্য হায়দরাবাদের সন্ধ্যা প্রেক্ষাগৃহে গেলেন অভিনেতা অল্লু অর্জুন

09:37:00 PM