Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। পিছনে বসে থাকবেন তাঁর স্বপ্নের নারী। আর চাকার গতিতে বেজে উঠবে সুর, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়।’ এই গতির রোমান্সে ডুবে আছে বর্তমান প্রজন্ম। 
একটা বাইক বদলে দিচ্ছে যৌবনের দর্শন। সেই বাইক তাঁর মধ্যে শুধু হিরোইজমের ভ্রান্ত বীজই বুনে দিচ্ছে না, তাঁকে পারিপার্শ্বিক জগৎ সম্পর্কে সবকিছু ভুলিয়ে দিচ্ছে। তখন সেই মোহের আবরণে তাঁর মনে হয়, আমি ছাড়া পারিপার্শ্বিক সবকিছুই যেন মিথ্যে, মায়া। তাই বেপরোয়া গতির কারণে যেমন বারবার দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তাঁরা, তেমনই অন্যেরও মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠছেন। তাঁদের মধ্যে গড়ে উঠছে একটা অবাধ্য মন। যে মন কোনও নিয়মের পরোয়া করে না। না ট্রাফিক আইনের, না গতি নিয়ন্ত্রণের, না হেলমেট পরার। একটা গা জোয়ারি ভাব দেখা যায় অনেক বাইক চালকের ম঩ধ্যেই। অনেকে সাইলেন্সার খুলে বিকট শব্দে বাইক চালিয়ে মানুষের বিরক্তি ও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। যানজটেও দেখা যায়, অল্প জায়গার মধ্য দিয়ে এঁকেবেঁকে আগে বেরিয়ে যাওয়ার প্রবণতা। এর সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছেন খাদ্য সরবরাহকারী এজেন্টরা। তাঁদের দায়বদ্ধতা সময়ের কাছে। সময়ে খাবার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে না পারলে তাঁদের কমিশনে কোপ পড়বে। তাই জীবনধারণের জন্য হাতের মুঠোয় জীবনকে নিয়ে তাঁরাও ছুটছেন। সব মিলিয়ে আজ যেন আমাদের জীবন যন্ত্রণার মধ্যে নতুনতর উপসর্গ হয়ে দেখা দিয়েছে বাইক। বাইকের দৌরাত্ম্য ঘিরে ভুক্তভোগী কমবেশি আমরা সবাই। এই যন্ত্রণা শুধু শহরের নয়, এই যন্ত্রণার শিকার জেলার মফস্‌সল শহর কিংবা গ্রামও। 
কলকাতা শহরে রাস্তার যা পরিসর, সেই তুলনায় গাড়ি বেড়েছে প্রচুর। সেই সাহেবদের আমল থেকে এই শহরে যতটা বাড়ি, ঘর বেড়েছে, সেই তুলনায় রাস্তা তেমন বাড়েনি। তাই চলাচলের ক্ষেত্রে যতটা নিয়ন্ত্রণ দরকার, ততটা নিয়ন্ত্রণ বাইক চালকদের মধ্যে দেখা যায় না। এদিকে রাতের শহরে বেড়ে যায় জয় রাইডের আকর্ষণ। রাত বাড়লে কলকাতা শহরের রাস্তা হয়ে ওঠে যেন গ্রাঁ পি প্রতিযোগিতার ট্র্যাক। চালকরা নিজেদের মনে করেন পৃথিবী বিখ্যাত সব বাইকার— লুকা মারিনি, দানি পেদ্রোসা বা মার্ক মারকোয়েজ। নিউটাউন, বাইপাস, রেড রোড, মা উড়ালপুল, সম্প্রীতি উড়ালপুল, ভিআইপি রোড, টালিগঞ্জ, বেহালা, আলিপুর হয়ে ওঠে জয় রাইডের অবাধ ক্ষেত্র। বাইকের চাকার তীব্র গতিতে যেন জেগে ওঠে যৌবনের জলতরঙ্গ। যৌবনের অবিরাম গতির নেশা তাঁকে যেন তাড়িয়ে মারে। ‘শুধু ধাও শুধু ধাও উদ্দাম উধাও’। কিন্তু সেখানে মুহূর্ত স্খলনের মধ্যে লেখা হয়ে যায় মৃত্যুর পরোয়ানা। 
জেলার বিভিন্ন হাইওয়েতে রাত হলেই বাইক কম্পিটিশন শুরু হয়। মাঝেমাঝেই তার সমাপ্তি রেখায় অপেক্ষা করে মৃত্যুর অভিঘাত। কলকাতা পুলিসের ট্রাফিক বিভাগ এবং জেলা পুলিসের তরফ থেকে এই বেপরোয়া ভাব কাটানোর আবেদন করা হয়। কিন্তু তা যে অনেকের কান পর্যন্ত পৌঁছয় না, সেটা বোঝা যায় নিত্যদিনের বাইক দুর্ঘটনার বহর দেখে। কিন্তু এই অত্যাচার বন্ধ করা পুলিসের পক্ষে সহজ নয়, সচেতনতা না ফিরলে, নায়ক হয়ে ওঠার মানসিকতা না কাটলে এই দৌরাত্ম্য বন্ধ হবে না। মনে রাখা দরকার, জীবন একটাই, সেটাকে নিয়ে এভাবে বিপজ্জনক খেলা উচিত নয়।    
শুধু তো দু’চাকা নয়, চার চাকার গাড়ি নিয়েও বিত্তশীল পরিবারের উড়নচণ্ডী যুবকরা গতির নেশায় মেতে ওঠেন। এদের মধ্যে অনেকে আবার নাবালকও থাকে। এই উন্মার্গগামিতার কারণে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে। দেশের সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, প্রতি বছর আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে কম করে দশ শতাংশ হারে। ২০২২ সালের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ ৬২ হাজার। আর এই দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৯১ জনের। জখম প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষ। এইসব দুর্ঘটনায় দেখা গিয়েছে চালকদের বয়স মূলত ১৫ থেকে ৪৯ বছর। বাইক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৫২ হাজারেরও বেশি, চার চাকার ছোট গাড়ির দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার। প্রতি তিন মিনিটে একজনের মৃত্যু ঘটছে পথ দুর্ঘটনায়। এই পরিসংখ্যানটুকু আমাদের খানিকটা হলেও বুঝিয়ে দেয় পথ দুর্ঘটনার ভয়াবহ চিত্রটা। করোনায় দেশে মৃত্যুর যে হার ছিল, তার থেকে এই মৃত্যুর হার আরও ভয়ঙ্কর। অথচ আমরা সেভাবে সচেতন হই না। 
একদিকে যেমন চালকদের ভুলত্রুটিতে পথ দুর্ঘটনা হচ্ছে, তেমনই পথচলতি মানুষের ভুলেও মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। পশ্চিমের দেশগুলি নানাভাবে উদ্যোগ নিয়ে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা কিছুটা কমাতে সক্ষম হলেও আমরা তা পারিনি। এর কারণ আমাদের অজ্ঞতা, দুর্বিনীত মনোভাব, নিয়ম না মানার প্রবণতা ইত্যাদি। এছাড়াও বলা যায় গত দশ বছরে রাস্তায় গাড়ির ঘনত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ গত দশ বছরে রাস্তায় যত গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে, যত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, সেই তুলনায় সড়কের পরিমাণ বাড়েনি। আমাদের দেশে ২০০১ সালে প্রতি হাজার জনসংখ্যায় নথিভুক্ত গাড়ির সংখ্যা ছিল ৫৩.৪৬। ২০১০ সালে ছিল প্রতি হাজারে তা হয় ৯৯.০৩ এবং ২০২০ সালে সেই সংখ্যা হল প্রতি হাজারে ২৪৬.০৫। এর মধ্যে স্কুটার ও বাইকের বিক্রি সবথেকে বেশি। চলতি বছরে আর্থিক বছরে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর এই ছয় মাসে বাইক ও স্কুটার বিক্রি বেড়েছে ১৬ শতাংশেরও বেশি।  
রাস্তা যেমন বাড়েনি, তেমনই হকার দখলের কারণে রাস্তাও হয়েছে সংকীর্ণ। সেই কারণেও দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বছর নিয়ম করে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হয়, সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফের প্রচার করা হয়, কিন্তু কিছুতেই চালক বা পথচারীদের চৈতন্যোদয় হয় না। তারই মূল্য দিতে হয় প্রাণের বিনিময়ে। নিমেষের ভুলে প্রতিনিয়ত মানুষের রক্তে ভিজে যাচ্ছে পথ। কত সম্ভাবনার অপমৃত্যু ঘটছে। আসলে এটা একটা সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে উচ্চবিত্তই হোক বা একেবারে নিম্ন মধ্যবিত্তই হোক। বহু নিম্নবিত্ত পরিবারের যুবক বারবার তাঁর বাবাকে চাপ দিয়ে বাইক কিনতে বাধ্য করেন অথবা তিনি নিজে কোনওভাবে টাকা সংগ্রহ করে বাইক কেনেন। তারপর রাজপথে জয় রাইডের মাধ্যমে আনন্দের সন্ধান করেন। সেই জয় রাইড যে কত ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে তা প্রতিদিন সংবাদপত্র খুললেই বোঝা যায়। পথ দুর্ঘটনার অজস্র সংবাদে ভরে যায় সংবাদপত্রের পাতা। 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফরাসি দার্শনিক অঁরি বার্গসঁর গতিবাদতত্ত্বে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন তাঁর ‘বলাকা’ কাব্যগ্রন্থটি। সেখানে তিনি বলাকার উড়ন্ত ডানায়, ঝড়ের মাতনে কিংবা নদীর বেগধারায় গতির উল্লাস দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। সেই গতির উদ্দামতা আমাদের পূর্ণতার দিকে, আনন্দের দিকে নিয়ে যায়। জীবনের নিবিড় বহমানতার কথা, চরৈবেতির কথা বলে। কিন্তু বর্তমানে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে যে গতির নেশা, তা এক অস্থির উল্লাসের মতোই। এর পিছনে রয়েছে এক ধরনের সুপ্ত মানসিক অবস্থা। যেটাকে ‘বিকার’ বলে মনে করছেন মনোবিদরা। তাঁদের সমীক্ষা বলছে, প্রায় ৪৭ শতাংশ চালক গতিবিধি আইন লঙ্ঘন করেন। এর মধ্যে অনেকের যেমন ব্যস্ততা বা তাড়া থাকে, তেমনই অনেকে এই গতিকে পছন্দ করেন। অর্থাৎ বিনা কারণেই তাঁরা বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে আনন্দ পান। অনেকেই বন্ধুদের কাছে নিজেদের দক্ষতা প্রকাশ করে বাহবা কুড়োতে চান। তাই ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা একটা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। নিজের দক্ষতাকে প্রকাশ করার তীব্র আকুতি তাঁদের ক্রমেই অ্যাক্সিলেটরে চাপ দিতে বাধ্য করে। তখন তাঁরা এক ইল্যুউশনের জগতে বাস করতে থাকেন। মুহূর্তের জন্য ভুলে যান বাস্তব পরিণতির কথা। বহুক্ষেত্রে আবেগ চালকের দক্ষতাকেও অতিক্রম করে যায়। তখন তিনি যন্ত্রকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা তাঁকে গ্রাস করে। সেই দুর্ঘটনার চিত্র দেখে আমরা শিউরে উঠি। দোমড়ানো মোচড়ানো গাড়ি, চাপ চাপ রক্ত, পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের কান্না— এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা থেকেও আমরা শিক্ষা নিই না। হাতে স্টিয়ারিং পড়লেই যেন নিশির ডাক শোনেন অনেকে— জোরে, আরও জোরে! কিন্তু আত্মনিয়ন্ত্রণের শক্তি দুর্বল হলে স্টিয়ারিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়তির হাতে চলে যেতে বাধ্য। ড্রাইভিংকে উপভোগ করুন, তার পরিণতি যেন বিয়োগান্তক না হয়।    
27th  November, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
একনজরে
ফি-বছর ঘূর্ণিঝড় ও অতিবৃষ্টিতে ধানচাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। খেত জলমগ্ন হয়ে পড়লে বা ঝোড়ো হাওয়ায় ধানগাছ মাটিতে শুয়ে গেলে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন হা-হুতাশ ছাড়া ...

সন্ধ্যা হলেই রাস্তার উপর চলে আসে বাসস্ট্যান্ড। যার জেরে যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শিলিগুড়ি জংশন লাগোয়া হিলকার্ট রোড। সারাদিনের যানজটের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই সন্ধ্যার পর ...

শেষ সাত ম্যাচে ছ’টি হার। একটি ড্র। প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচে বশ মেনেছে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ক্লাব ইতিহাসে শেষ দেড় দশকে এরকম খারাপ সময়ের সম্মুখীন ...

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। কেন এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে আইনি মহলে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় নৌ দিবস
১১৩১: পারস্যের কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের মৃত্যু
১৭৯৮: ইংল্যান্ডে আয়কর প্রবর্তিত হয়
১৮২৯: সতীদাহ প্রথা রদ করলেন লর্ড বেন্টিঙ্ক
১৮৮৪: ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের জন্ম
১৯৯১: সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত ঘোষিত হয়
১৮৯৩: অভিনেতা দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯৯: টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধের জন্যে প্রথমবার এই জ্বরের ভ্যাকসিন মানব দেহে ব্যবহার হয়
১৯১০: ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি আর বেঙ্কটরামনের জন্ম
১৯২৪: মুম্বইয়ে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার উদ্বোধন হল
১৯৭৭: ক্রিকেটার অজিত আগরকরের জন্ম  
২০১৭:বিশিষ্ট  রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী পূরবী মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০১৭: বিশিষ্ট অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শশী কাপুরের মৃত্যু
২০১৯: কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার বব উইলিসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৩ টাকা ৮৫.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২২ টাকা ১০৮.৯৬ টাকা
ইউরো ৮৭.১৫ টাকা ৯০.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪। তৃতীয়া ১৭/৪৩ দিবা ১/১১। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ২৭/৫৩ সন্ধ্যা ৫/১৫। সূর্যোদয় ৬/৬/৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ৮/১৪ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৮/২১ গতে ৩/২৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ গতে ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/১৪ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৭ গতে ১০/৭ মধ্যে পুনঃ ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪। তৃতীয়া দিবা ১২/২৮। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/২৩। সূর্যোদয় ৬/৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৭/৪৪ গতে ৮/৩২ মধ্যে ও ১০/৩৩ গতে ১২/৪০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৬/৪১ মধ্যে ও ৮/২৯ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২ গতে ৭/৪৪ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৭ গতে ১০/৮ মধ্যে ও ১১/২৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৭ গতে ৪/২৭ মধ্যে। 
১ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সলমনের শ্যুটিংয়ে বিপত্তি!
সলমন খানের শ্যুটিংয়ে বিপত্তি। আজ, বুধবার দাদরে একটি ছবির শ্যুটিং ...বিশদ

01:00:39 AM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই

11:07:00 PM

গত মঙ্গলবার রাতে মানিকতলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:56:00 PM

রেলের কর্মী ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনজেপি এরিয়া অফিস চত্বরে উত্তেজনা

10:15:00 PM

জুনিয়র হকি এশিয়া কাপ(পুরুষ): পাকিস্তানকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত

10:08:00 PM

‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারের জন্য হায়দরাবাদের সন্ধ্যা প্রেক্ষাগৃহে গেলেন অভিনেতা অল্লু অর্জুন

09:37:00 PM