যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
১০০ দিনের কাজের প্রশ্নে এদিন লোকসভায় তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবলভাবে সোচ্চার হন। প্রশ্নোত্তর পর্বে জানতে চান, কেন বাংলার টাকা আটকে রেখেছেন? গত দু বছর একটি পয়সাও দেওয়া হয়নি। এটা কি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪ লঙ্ঘন নয়? শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেন, গত এক বছর ধরে শুনে আসছি ১০০ দিনের কাজে বাংলায় দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু স্রেফ মুখে অভিযোগ না করে দোষীই যদি চিহ্নিত হয়ে থাকে, তাহলে কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন্দ্র? কেনই বা শ্রম বাজেটে সচিবের নেতৃত্বে যে কমিটি হয়েছে, সেখানে বাংলার সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি? বিজেপির এই বাংলা আর বাঙালির প্রতি বঞ্চনা মানব না।
জবাবে গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান অবশ্য বকেয়ার জন্য বাংলার দিকেই আঙুল তুললেন। জবাব দিলেন না কবে মিলবে বকেয়া? বললেন, নারেগাই হোক বা আবাস যোজনা— বাংলায় দুর্নীতি হয়েছে। যোগ্যরা কাজ পায়নি। বাড়ি পায়নি। অপাত্রে টাকা গিয়েছে। আবাস যোজনায় প্রকল্পের নাম বদল করা হয়েছে। তাই আইনবলেই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের এক প্রকল্পের টাকা নিয়ে তৃণমূল সরকার অন্য কাজে লাগিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মন্ত্রী। যার তীব্র প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল। লিখিত জবাব চেয়েও ১০০ দিনের কাজে সরকারকে চাপে ফেলেছেন তৃণমূলের মালা রায়। তাঁর প্রশ্ন, এই প্রকল্পে কত শ্রম দিবস তৈরি হয়েছে? যার জবাবে গ্রামোন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী কমলেশ পাসোয়ানের উত্তর, চলতি বছরে এপ্রিল-সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গে শ্রম দিবস ‘শূন্য।’ জবাব দেখে মালাদেবীর মন্তব্য, বিজেপি বাংলা বিরোধী। তাই কাজ দিচ্ছে না।
কৃষক ইস্যুতে এদিন লিখিত প্রশ্ন রেখেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁকে সংসদে দলের দুই এমপি সৌগত রায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে। সরকারকে অভিষেকের প্রশ্ন ছিল, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা ইস্যুতে। জবাবে কৃষি রাষ্ট্রমন্ত্রী ভগীরথ চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ থেকে পাঁচ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একজন কৃষকের নামও ফসল বিমা যোজনার আবেদনে নথিভূক্ত নেই। ফলে তারা কোনও বিমার সুবিধা পায়নি। দলের এমপি কীর্তি আজাদ তোলেন সার ইস্যু। কৃষকরা সার পাচ্ছে না জেনেও কেন্দ্র চোখ বুজে রয়েছে এবং সেই সুযোগে ব্যবসায়ীরা লুট করছে বলে অভিযোগ করেন।