Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
প্রাক-নির্বাচন এবং নির্বাচনের পরে, বাজার সূচকগুলি নিম্নগামী হয়েছে। ৫ নভেম্বর সেনসেক্স বন্ধ হয়েছিল ৭৮,৭৮২-তে এবং ভারতীয় মুদ্রায় ডলারের বিনিময় 
হার ছিল ৮৪.১১ টাকা। এই লেখা যখন লিখছি, তার আগের দিন বা বৃহস্পিতবার সেনসেক্স ৭৭,১৫৬-তে বন্ধ হয় এবং সেদিন আমাদের মুদ্রায় ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৪.৫০ টাকা।
ট্রাম্প একজন ‘মার্কেন্টিলিস্ট’ 
আসুন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মূল বিশ্বাসের দিকে তাকাই। আমরা জানি, তিনি একজন ‘মার্কেন্টিলিস্ট’  এবং বিশ্বাস করেন যে শুধুমাত্র উচ্চ হারে শুল্কই আমেরিকাবাসীর স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। উচ্চ হারে শুল্ক চাপাবার হুমকি দিয়েছেন তিনি, বিশেষ করে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর। বাইডেন জমানায় চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ এইকরম: ২০২১ সালে ৩৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে ৩৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২৩ সালে ২৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধনী লোকজনের প্রচুর পরিমাণে চীনা পণ্যদ্রব্য, পোশাক, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র এবং নানাবিধ যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। উচ্চ হারে শুল্ক চাপালে আমেরিকায় খরচ বাড়বে শিল্প এবং উপভোক্তা উভয়েরই। স্বভাবতই বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি এবং ইউএস ফেডও বাড়িয়ে দেবে সুদের হার (পলিসি ইন্টারেস্ট রেট), যা এবছর দু’বার সেখানে কমানো হয়েছে। অন্যদিকে, কর্মসংস্থান বা চাকরির বাজার ঠিক রাখতে চীনকে পণ্য উৎপাদন চালিয়েই যেতে হবে। ফলত, মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির কারণে চীন তার পণ্যগুলি অন্যান্য দেশে ‘ডাম্প’ করতে বাধ্য হবে। ডাম্পিং ঠেকাতে ভারত ইতিমধ্যেই চীনা পণ্যের উপর সর্বোচ্চ সংখ্যক শুল্ক চাপিয়ে রেখেছে। মার্কিন শুল্কের উচ্চ হারের বদলা হিসেবে যে শুল্ক এরপর আরোপ করা হতে পারে তার পরিণাম বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য খারাপ হওয়ারই আশঙ্কা থাকছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খুব কম লোকই রাজকোষ ঘাটতি (ফিসকাল ডেফিসিট) নিয়ে কথা বলে, যেভাবে ভারত এবং অন্যান্য দেশগুলি তাদের রাজকোষ নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমেরিকা অবশ্য তার ঘাটতি মেটাবার ব্যবস্থা সহজেই করে ফেলতে পারে, কারণ চীনসহ অন্যান্য দেশগুলি মার্কিন ট্রেজারি বন্ড কিনে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট জাতীয় ঋণের পরিমাণ ২১ হাজার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার মধ্যে প্রায় ১১৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ধার দিয়েছে চীন। এখন যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজকোষ ঘাটতি বৃদ্ধি পায় তবে তা মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দেবে। ফলস্বরূপ সুদের হার বাড়ানো হলে মূলধনের সংগ্রহ ধাক্কা খাবে এবং ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলি থেকে পুঁজি চলে যাবে অন্য দেশে। একটি তেজি ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রা আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। 
ট্রাম্প একজন ‘প্রোটেকশনিস্ট’
ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁদের শিল্প-কারখানাগুলিকে আমেরিকাতেই ফেরাবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মার্কিন শিল্প কলকারখানাগুলিকে সে-দেশের ভিতরেই নির্মাণের জন্য তিনি লোভনীয় ইনসেনটিভ ঘোষণা করতে পারেন। তাতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট বা এফডিআই) কমে যাবে। যদি ব্যবসাগুলি এখনও বিদেশে তাদের কারখানা তৈরি করতে চায় তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রযুক্তি রপ্তানির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারেন। আমেরিকার পণ্যের উপর চড়া শুল্ক আরোপের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর একসময় ক্ষুব্ধ ছিলেন। এমনকী ভারতকে ‘কারেন্সি ম্যানিপুলেটর’ (বাণিজ্যিক ফায়দার স্বার্থে কোনও দেশ ‘অন্যায্য’ মুদ্রনীতি নিয়ে চললে তাকে এই নাম দেওয়া হয়) বলেও অভিযুক্ত করেছিলেন তিনি। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নরেন্দ্র মোদির মধ্যেকার ‘দোস্তি’ ভারতের প্রতি তাঁর মনোভাবকে নরম করবে কি না এবং ব্যাপারটা ভারতের জন্য একট‍ি ব্যতিক্রমী হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েই যায়।  
অন্য গুরুতর সমস্যাটি হল ‘অবৈধ’ অভিবাসন (ইললিগাল ইমিগ্রেশন)। ডোনাল্ড ট্রাম্প তো বেকারত্ব থেকে অপরাধ, মাদকের উৎপাতসহ যাবতীয় খারাপ ব্যাপারের জন্য এটাকেই দায়ী করেছেন। ট্রাম্প সাহেব এমনও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তাঁর তরফে দেশশাসনের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে ১০ লক্ষ পর্যন্ত ‘অবৈধ’ অভিবাসীকে গায়ের জোরে আমেরিকা থেকে খেদাবেন! ‘অল ডিপোর্টেশন অফ ইললিগাল এলিয়েনস’ কর্মসূচির দায়িত্ব দেওয়ার জন্য ট্রাম্প সাহেব একজন ‘হার্ডলাইনার’ বা কট্টরপন্থীকেই বেছে নিয়েছেন, তিনি  হলেন টম হোম্যান।
কতজন ভারতীয়কে বিতাড়িত করা হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে কিছু তো হবেই। সেই ঘটনার বিরূপ প্রভাব পড়বে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উপর। ডোনাল্ড ট্রাম্প এইচ১বি১ ভিসা অর্জনের নিয়মকানুন আরও কড়া করতে পারেন। যদিও মার্কিন মুলুকের শিল্প, বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্র আরও যোগ্য ভারতীয়দের সেদেশে চায়। তারা চায় ওই ভারতীয়রা সেখানে থাকুন এবং আমেরিকার নাগরিকই হয়ে উঠুন। যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প 
এবং মার্কিন নিয়োগকর্তারা নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকেন তবে তাতে একটি ভয়ানক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। 
জলবায়ু নিয়ে সংশয়বাদী ট্রাম্প
ট্রাম্প প্রেসিডেন্সি খনিজ তেল এবং ওষুধ শিল্পকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর এনার্জি সেক্রেটারি হিসেবে ক্রিস রাইটকে মনোনীত করেছেন। রাইট হলেন ‘ফ্র্যাকিং এবং ড্রিলিং’-এর একজন কট্টর সমর্থক। জলবায়ু সংকট বলে কিছু যে আছে, তা তিনি মানেন না। জলবায়ু পরিবর্তনের উপর কনফারেন্স অফ পার্টিজ (সিওপি) আলোচনা হয়তো থেমে যাবে না কিন্তু একট‍ি গুরুতর ধাক্কা তাতে লাগতে পারে। সিওপি’র প্রচেষ্টাকে সমর্থন করাই ভারতের বর্তমান অবস্থান কিন্তু তা একটু ধীরে চায় এবং সেটা হতে পারে। ফার্মাসিউটিক্যাল ফ্রন্ট বা ওষুধ শিল্পের অনুমান, নিয়ন্ত্রণ কমবে এবং ওষুধের দাম বাড়ানো সম্ভব হবে। এই প্রত্যাশা থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগ বেড়েছে। সারা বিশ্বে ওষুধের দাম বাড়বে এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আমাদের যে প্রচেষ্টা, আঘাত আসবে তার উপর।
সর্বশেষ প্রশ্ন: যে দুটি যুদ্ধ রোজ কয়েক ডজন নিরপরাধ মানুষের প্রাণ নিচ্ছে এবং স্কুল ও হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগুলিকে ধ্বংস করছে, সে সম্পর্কে ট্রাম্প সাহেবের মনোভাব কী হবে? ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘যুদ্ধ বন্ধ’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তবে তার জন্য তিনি কী করবেন? এখনও পর্যন্ত কিন্তু তা নিয়ে কোনোরকম উচ্চবাচ্য করেননি তিনি। তাঁর অতীত ইতিহাস এবং ঘোষণাপত্তর অবশ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তিনি ইজরায়েলের পাশেই থাকবেন। রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পাদনের জন্য তিনি জেলেনস্কিকে চাপ দিতে পারেন। তাতে তড়িঘড়ি পদক্ষেপের পরিণতিই হবে। যুদ্ধ শেষ হয়ে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি মিলবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। এর  উল্টো দিকে, যুদ্ধের অশান্তি বেড়ে গেলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জোগান আরও ব্যাহত হবে। সেই পরিস্থিতির প্রভাব উন্নয়নশীল দেশগুলির উপর পড়বে মারাত্মকভাবে।  
ডোনাল্ড  ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট আগেইন’ নীতি আমাদের এই গ্রহকে আরও ভালো, নিরাপদ কিংবা সমৃদ্ধ করেব না। তাঁর কথামতোই, এটা একেবারের আমেরিকার নিজের স্বার্থে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ 
করে দিয়েছে যে, এই জনপ্রিয় ঘোষণা ট্রাম্প সাহেবের ব্যক্তিস্বার্থের জন্যও। 
লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। 
মতামত ব্যক্তিগত
25th  November, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
একনজরে
বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে অনেক দিন ধরেই সরব তৃণমূল। বিশেষ করে ভোট এলেই বিজেপি বিভাজনের ‘তাস’ খেলে বলে আঙুল তোলা হয়েছে জোড়াফুল শিবিরের পক্ষ থেকে। ...

টোটো চালকদের সঙ্গে বিবাদের জেরে মঙ্গলবার দিনভর বর্ধমান শহরে বাস চলাচল বন্ধ থাকল। এদিন বাস চালক ও কর্মীরা নবাবহাটে বিক্ষোভ দেখান। আচমকা বাস চলাচল বন্ধ ...

সন্ধ্যা হলেই রাস্তার উপর চলে আসে বাসস্ট্যান্ড। যার জেরে যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শিলিগুড়ি জংশন লাগোয়া হিলকার্ট রোড। সারাদিনের যানজটের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই সন্ধ্যার পর ...

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। কেন এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে আইনি মহলে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় নৌ দিবস
১১৩১: পারস্যের কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের মৃত্যু
১৭৯৮: ইংল্যান্ডে আয়কর প্রবর্তিত হয়
১৮২৯: সতীদাহ প্রথা রদ করলেন লর্ড বেন্টিঙ্ক
১৮৮৪: ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের জন্ম
১৯৯১: সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত ঘোষিত হয়
১৮৯৩: অভিনেতা দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯৯: টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধের জন্যে প্রথমবার এই জ্বরের ভ্যাকসিন মানব দেহে ব্যবহার হয়
১৯১০: ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি আর বেঙ্কটরামনের জন্ম
১৯২৪: মুম্বইয়ে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার উদ্বোধন হল
১৯৭৭: ক্রিকেটার অজিত আগরকরের জন্ম  
২০১৭:বিশিষ্ট  রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী পূরবী মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০১৭: বিশিষ্ট অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শশী কাপুরের মৃত্যু
২০১৯: কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার বব উইলিসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৩ টাকা ৮৫.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২২ টাকা ১০৮.৯৬ টাকা
ইউরো ৮৭.১৫ টাকা ৯০.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪। তৃতীয়া ১৭/৪৩ দিবা ১/১১। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ২৭/৫৩ সন্ধ্যা ৫/১৫। সূর্যোদয় ৬/৬/৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ৮/১৪ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৮/২১ গতে ৩/২৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ গতে ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/১৪ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৭ গতে ১০/৭ মধ্যে পুনঃ ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪। তৃতীয়া দিবা ১২/২৮। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/২৩। সূর্যোদয় ৬/৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৭/৪৪ গতে ৮/৩২ মধ্যে ও ১০/৩৩ গতে ১২/৪০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৬/৪১ মধ্যে ও ৮/২৯ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২ গতে ৭/৪৪ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৭ গতে ১০/৮ মধ্যে ও ১১/২৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৭ গতে ৪/২৭ মধ্যে। 
১ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সলমনের শ্যুটিংয়ে বিপত্তি!
সলমন খানের শ্যুটিংয়ে বিপত্তি। আজ, বুধবার দাদরে একটি ছবির শ্যুটিং ...বিশদ

01:00:39 AM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই

11:07:00 PM

গত মঙ্গলবার রাতে মানিকতলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:56:00 PM

রেলের কর্মী ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনজেপি এরিয়া অফিস চত্বরে উত্তেজনা

10:15:00 PM

জুনিয়র হকি এশিয়া কাপ(পুরুষ): পাকিস্তানকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত

10:08:00 PM

‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারের জন্য হায়দরাবাদের সন্ধ্যা প্রেক্ষাগৃহে গেলেন অভিনেতা অল্লু অর্জুন

09:37:00 PM