Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দু’টো ডোজ মানেই
বিশল্যকরণী নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ডাবল ডোজ। এ এক মহা কেলেঙ্কারির হাল ফ্যাশান। খবরের কাগজে দিস্তা দিস্তা লেখা চলছে, এই ৫০ কোটি মানুষের টিকাকরণ হয়ে গেল। আর একটু... তাহলেই ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। আর তারপরই মহামান্য বিজেপি সরকার তাথৈ তাথৈ করে নাচবে। সেই মর্মে রীতিমতো কর্মসূচি সাজানো শুরু হয়ে গিয়েছে! ১০০ কোটি করোনা টিকা ছুঁচে ভরে শরীরে চালান করে দিলেই হল। সে এক মেগা ইভেন্ট। জো হুজুর ভারত সরকারই যদি এমন পাহাড়প্রমাণ ঢাক বাজানোর উৎসবে কাঠি দেয়, মানুষের দোষ কী! সে তো ভাবতেই পারে, টিকা নিলেই কেল্লা ফতে। বেরিয়ে পড়ো ‘রিভেঞ্জ ট্যুরিজমে’। ঝাঁকে ঝাঁকে ভিড় জমাও পুজো মণ্ডপে। তবেই না মনের শান্তি... চোখের শান্তি! মাসখানেক যাবৎ অনলাইন-অফলাইনে দেদার শপিং হয়েছে। পুজোয় বেরতে না পারলে যে সবটাই মাটি। তাই যেতেই হবে প্যান্ডেলে। একদিন রইল উত্তরের জন্য... আর একদিন দক্ষিণ। তাতেই ম্যানেজ হয়ে যাবে। মাস্ক? বালাই নেই! ‘এত সুন্দর সেজেগুজে বেরব, মাস্ক পরলেই যে চোনা পড়ে যাবে। আর ডাবল ডোজ নেওয়ার পর মাস্ক কেন পড়ব? আমেরিকায় তো কত জায়গাতেই বলে দিয়েছে, দু’টো ডোজ নেওয়া থাকলে মাস্ক পরতে হবে না। এখানে আলাদা হবে কেন?’ বলছিলেন এক কিশোরী। উল্টোডাঙা ব্রিজ পেরিয়ে পদব্রজে চলেছেন তিনি শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের উদ্দেশে। সঙ্গে মেলা সাঙ্গোপাঙ্গ। চোখ তুলে সামনের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড সভা রয়েছে যেন! ফারাকটা হল, এটা কোনও প্যারেড গ্রাউন্ড নয়। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের পথ। আর দিনটা সপ্তমী। কেউ যাচ্ছেন এয়ারপোর্ট... দেড় ঘণ্টা হয়ে গেল, অ্যাপোলো হাসপাতালের সামনে থেকে সবে উল্টোডাঙা পৌঁছেছেন তিনি। আর আধ ঘণ্টার মধ্যে না পৌঁছতে পারলে বিমান তাঁর জন্য অপেক্ষা করবে না। ঠিক পাশের লেনে দাঁড়িয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স। চালকের পাশের আসনে বসা প্রৌঢ় ভদ্রলোক দু’চোখ ভরা উদ্বেগ নিয়ে মাথাটা বের করে দিয়েছেন জানালার বাইরে। প্রশ্ন একটাই, আর কতক্ষণ? আধ কিলোমিটারের মধ্যে খান তিনেক এমন অ্যাম্বুলেন্স নজরে এল। এঁরা কি পুজো দেখতে বেরিয়েছেন? সবাই কি পুজো দেখতেই বেরচ্ছেন? না। তা নয়। উৎসবের আনন্দ ততক্ষণই, যতক্ষণ তা অন্যের ক্ষতির কারণ হয়ে না দাঁড়াচ্ছে। 
করোনা বিদায় নেয়নি। তা সত্ত্বেও আনন্দে মেতেছেন এঁরা... পুজো কমিটির ধারক ও বাহকেরা। তাঁরা প্রভাবশালী। তাই ২০০৯ সালের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ হেলায় অমান্য করতে পারেন। আদালত তো জানিয়েই দিয়েছিল, কোনওভাবে মণ্ডপের উচ্চতা যেন ৪০ ফুট না ছড়ায়। তা সত্ত্বেও বছরের পর বছর বহু পুজো কমিটি ইচ্ছেমতো প্রভাব খাটিয়ে চলেছে। বেড়ে চলেছে প্যান্ডেলের উচ্চতা। থিম হচ্ছে...। আমাদের রাজ্য সরকারের পরিকাঠামো অনুযায়ী, আগুন লাগলে ১৫০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত জল দিতে পারে দমকল। কিন্তু মণ্ডপের উচ্চতা যদি ১৪৫ ফুট হয়? সেই আগুন কত দ্রুত ছড়াবে, আর তাতে দমকলের পক্ষে আদৌ জল দেওয়া সম্ভব হবে কি না, সেই অঙ্ক পুজো প্ল্যানিংয়ের সময় কেন কষে নেওয়া হবে না? এটা কি দায়বদ্ধতার নমুনা? আসলে, এক একটা পুজো কমিটির নেপথ্যে এক একজন প্রভাবশালী। আর প্রত্যেকেই লেগে পড়েছেন কম্পিটিশনে। একজন অন্যজনের ঘাড়ে দোষ ঠেলে চলেছেন... অমুক পুজোয় তো ৬০ ফুট উঁচু প্যান্ডেল হয়েছে! তমুক প্রভাবশালী ৪৫ ফুটের মণ্ডপ করেছে। তার বেলা? কেউ যদি ৪০ ফুটের উপর মণ্ডপ তৈরি করেই থাকেন, তাহলে প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নেয়নি? কেন সেই মণ্ডপের বাড়তি অংশ ভেঙে দেওয়া হয়নি? এই সবটাই তো মানুষের স্বার্থে, যে কোনও রকম বিপদ এড়ানোর উদ্দেশ্যে? দোষ চাপালেই কি প্রশাসনিক কর্তব্য মিটে যায়? ভিড়ের দাপটে একটি পুজোয় জনতার প্রবেশ অষ্টমীর রাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল। তার আগের পাঁচদিনে কিন্তু যা হওয়ার হয়েই গিয়েছে। তৃতীয়া থেকে ঢল নেমেছে রাস্তায়। কোভিড বিধি রয়েছে... আছে তার ফাঁকও! সেই ফাঁক খুঁজেই জনতাকে ‘দর্শনের সুযোগ’ করে দেওয়া হয়েছে নিরন্তর। যুক্তি কী? এক পুজো কমিটির কর্তা বলছিলেন, ‘হাইকোর্ট তো বলেছে মণ্ডপের ভিতর ভিড় জমানো যাবে না। তা তো হয়নি! বাইরে ভিড় হলে আমরা কী করব?’ কিন্তু তাঁরাই তো সুচারুভাবে প্যান্ডেলের একপাশটা খোলা ছেড়ে রেখেছেন। মানুষও বাঁধভাঙা জলের মতো ছুটে গিয়েছে থিম দেখার নেশায়, ভিড় করেছে, ধাক্কাধাক্কি হয়েছে... আর ছুটি নিয়েছে সামাজিক দূরত্ব। যেন একটা এই ক’টা পুজো না দেখলে জীবনই বৃথা! মুচকি হেসেছে নিয়তি। কারণ, এই ক’দিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে... ধীরে ধীরে। সরকারি হিসেব বলছে, ১৭ অক্টোবর রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৬২৪। মৃত্যু ১৪। ঠিক আগের দিন, অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর সংক্রামিত হয়েছিলেন কিন্তু ৪৪৩ জন। অর্থাৎ একদিনেই আক্রান্ত বেড়েছে ১৮১। এই পরিসংখ্যান কি যথেষ্ট উদ্বেগজনক নয়? সবচেয়ে বড় কথা, পুজো মিটেছে সদ্য। যাঁরা প্রকৃতির বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার লক্ষ্যে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন, সেই পুজোপিপাসুরা এখনও হাতেনাতে ফল পাননি। কারও সবেমাত্র উপসর্গ দেখা দিয়েছে, কেউ অপেক্ষায় রয়েছেন তিনদিন সম্পূর্ণ হওয়ার। তারপর টেস্ট করাবেন। কেউ কেউ তো আবার করোনা পরীক্ষার ধারেকাছেও যাবেন না। ডাক্তারকে ফোন করে ওষুধ জেনে নেবেন। সেই মতোই চলবে চিকিৎসা। একান্তই না পারলে গন্তব্য হাসপাতাল! কিন্তু করোনা সেই সময়টা দেবে তো? 
আতঙ্ক বাড়ছে... তৃতীয় ঢেউয়ের। কেরলে ওনাম উৎসবের ঠিক পরেই একদিনে নতুন করোনা সংক্রমণ ছিল ৩১ হাজার ৪৪৫। পজিটিভিটির হার ১৯.০৩ শতাংশ। তখন আমরা আলোচনা করেছি... আতঙ্কিত হয়েছি। আর চায়ের পেয়ালায় তুফান তুলে তখন আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু কী ছিল? পুজো আসছে... সতর্ক হওয়া চাই। না হলে কেরলের দশা হবে আমাদেরও। কিন্তু আমরাও বোধ হয় এখন মোদিজিতে অনুপ্রাণিত... কথায় আছি। কাজে নেই। পুজোর ঢাকে কাঠি পড়া মাত্র কেরল ভুলেছি আমরা। ওনামের করোনা কাণ্ড যেন আদিম যুগের কথা! আগে এই পুজোটা তো এনজয় করি! মাথা খাটিয়ে আমরা শব্দবন্ধটা বের করেছি বটে... ‘রিভেঞ্জ ট্যুরিজম’। দেড় বছর ধরে প্রকৃতি আমাদের বাড়িতে বসিয়ে রেখেছে। আর এখন আমরা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছি তাকে... আমাদের কাছে ডাবল ডোজ আছে। আর প্রকৃতি কিছুই করতে পারবে না। কাঁচকলা দেখিয়ে ড্যাংড্যাং করে আমরা ঘুরব, ফিরব, ফুচকা খাব। এই না হলে পুজোর আনন্দ! পুজো কমিটির হর্তাকর্তারাও সুযোগ নিয়েছেন তারই। ভিড় একটু বেশি হলেই অজুহাত রেডি, ‘ওরা তো পাড়ার লোক।’ এক একটা পাড়ায় যে এত লোক থাকতে পারে, তা এই পুজোতেই আমরা আবিষ্কার করলাম। অঞ্জলি থেকে সিঁদুর খেলা—সর্বত্রই ঠেলাঠেলি। মাস্ক পরলে আবার মা দুর্গা ঠিক মতো অঞ্জলির মন্তর শুনতে পাবে না। সিঁদুর খেলা তো যাবেই না! তাই, চালিয়ে যাও মহাশয়।  
দায়টা কার? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেবে। সেটা কাজে লাগানোর দায়িত্ব প্রশাসনের, পুজো কমিটিগুলোর। তা কি হয়েছে? পুলিসও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যেন ঠুঁটোর ভূমিকায়। এক পুলিসকর্মী বলছিলেন, ‘এত লোক... কী করব? লাঠি চালাব নাকি?’ না, লাঠি আপনি অবশ্যই চালবেন না। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট বলে তো একটা বস্তু আছে! সেটাও কি করা যেত না? যাওয়া-আসার সব পথই মণ্ডপমুখী। সব পাগলই যেন মত্ত মাদল বাজিয়ে ছুটে চলেছে... চলেছে। পুজোয় তাদের সব ভালো... সস্তা ভালো, দামিও ভালো... কাঁসিও ভালো, ঢাকও ভালো। কিছু একটা তো হচ্ছে! ওতেই হবে। ওই ছেলেটাও পুজোয় এসেছিল কলকাতায়। বাবা আর কাকার হাত ধরে। ওরা ঢাক বাজাবে, আর ছেলেটা কাঁসর। কলকাতার পুজো নয়, পেটের টান নিয়ে এসেছিল তাকে এই শহরে। তাও দশমী হতে না হতেই তার বাড়ি যাওয়ার বায়না। এই ভিড়ে সে আর চায় না থাকতে। সে জানে, করোনা বলে একটা রোগ তার স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। এই রোগ ভিড়েই ছড়ায়। তাই আর নয়...। 
আট বছরের একটা শিশুও বোঝে এই রোগের জ্বালা। আর আমাদের মতো বুড়ো খোকারা...?
19th  October, 2021
রামের নামে দুর্নীতিও করা যায়!
মৃণালকান্তি দাস

তাহলে কি রামের নামে দুর্নীতিও করা যায়? প্রশ্ন যাই থাক, এটাও ঘটনা যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় যোগী সরকার ও সঙ্ঘ অস্বস্তিতে পড়েছে। মোদি সরকারই অযোধ্যার ট্রাস্ট গঠন করে ১৫ জনের মধ্যে ১২ জনকে মনোনীত করেছে। ফলে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসতেই আলোচনায় সেই রামমন্দির। আলোচনায় রামের নামে দুর্নীতি! এই বদনাম কি সইতে পারবেন যোগী আদিত্যনাথ?
বিশদ

শুধু ভারত নয়, ধর্মনিরপেক্ষ উপমহাদেশ
হারাধন চৌধুরী

হাসিনা সত্যিই আন্তরিক হলে জাতীয় সংসদে বিল আনুন অবিলম্বে। দ্রুত ফিরিয়ে আনুন মুজিবের সেই ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান, স্বাধীনতার মাত্র দশমাসের ভিতরে মুজিব যেটা উপহার দিয়েছিলেন। হাসিনা বুঝিয়ে দিন, বাঙালি আজও সঙ্কীর্ণ নয়।
বিশদ

27th  October, 2021
গাড়ি না চড়লেও তেলের
জ্বালায় ফোস্কা পড়ে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমরা ভোটে জিতব... যেভাবে হোক। নির্বাচনী দামামা বেজে গেলে তখন না হয় মাস দুয়েক পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়বে না। থমকে যাবে রান্নার গ্যাসও। তখন কেন আর নিয়ন্ত্রণ তেল কোম্পানিগুলির হাতে থাকে না? এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু নেই। বিশদ

26th  October, 2021
দক্ষিণ এশিয়া কি অন্ধ হয়ে যাবে?
পি চিদম্বরম

সীমানা দেশগুলিকে চিহ্নিত করে, কিন্তু মানুষকে ধরে রাখতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাসে অসংখ্য মানুষের এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়ার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। এই জিনিস বিশ শতকে ঘটেছিল।
বিশদ

25th  October, 2021
একশো কোটির ঢক্কা নিনাদে
মোদির আগাম দেওয়ালি!
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি গত ডিসেম্বরে একবার ঘটা করে ঢাকি বিদায়ের মতো করোনা বিদায়ের কথা বলেছিলেন। মুখ থুবড়ে পড়েছিল সেই দাবি। এবারও ১০০ কোটি ডোজের সাফল্য ফেরি করতে গিয়ে তিনি দেড় সপ্তাহ আগেই দেশে আগাম দেওয়ালি ডেকে এনেছেন। বোঝাই যাচ্ছে কোভিড স্মৃতি ভুলিয়ে মোদিজি দ্রুত ভোট রাজনীতির দৌড়ে ফিরতে চাইছেন।
বিশদ

24th  October, 2021
বিএসএফের খবরদারি
বৃদ্ধির পিছনে আসল অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির প্রতিটি পদক্ষেপেই থাকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং অসমে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে পাকা মাথার অঙ্ক। নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা বুক ফুলিয়ে একটা কথা বলতেন, এবারের ভোট ‘দাদার পুলিস’ করাবে। সেই ‘দাদার পুলিস’কেই বঙ্গের ১০টি জেলার ২১টি লোকসভার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকায় খবরদারির ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হল।
বিশদ

23rd  October, 2021
টিম ইন্ডিয়া – প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই
নরেন্দ্র মোদি

আজ পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি দেশই নিজেরা টিকা তৈরি করতে পেরেছে। ১৮০টিরও বেশি রাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে কয়েকটি মাত্র উৎপাদকের ওপরেই নির্ভরশীল। বেশ কিছু দেশ এখনও টিকা হতে পাওয়ার অপেক্ষায়। সেখানে ভারত ১০০ কোটি ডোজের মাত্রা অতিক্রম করে গিয়েছে! বিশদ

22nd  October, 2021
এই সামগ্রিক ব্যর্থতার দায় কার?
সমৃদ্ধ দত্ত

জিনিসপত্র অগ্নিমূল্য। রান্নার গ্যাস আকাশছোঁয়া। ব্যাঙ্ক ডাকঘরের সুদ কম। বেকারত্ব এবং অনাহারে ভারত অন্য রাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। ব্যাঙ্ক, ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প, আয়কর, সরকারি স্কিম অথবা নতুন কাজের সুযোগ—সাধারণ নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে কোনও সহায়তাই সরকারের থেকে পাচ্ছে না।
বিশদ

22nd  October, 2021
সাম্প্রদায়িক হিংসা জাগিয়ে ফায়দা চায় রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

‘সংখ্যালঘুরা কার কাছে বিচার চাইবেন?’ সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান। বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনা শুধু উৎসবকেই ম্লান করেনি, মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতাকেও লজ্জায় ফেলেছে।
বিশদ

21st  October, 2021
জীবনে ফিরে আসুক
কোজাগরীর অনন্ত আলো
সন্দীপন বিশ্বাস

সব প্রতিকূলতা কেটে যাক। অনন্ত হোক এই কোজাগরী রাত। আকাশ থেকে গলানো সোনার মতো নেমে আসুক আরও আলো, আরও শান্তি। দীর্ঘায়িত হোক জীবনের কোজাগরী আলো। বিশদ

20th  October, 2021
মানবাধিকারের পক্ষে ক্ষতিকারক মানসিকতা
পি চিদম্বরম

গত তিন বৎসরাধিককালে প্রধানমন্ত্রী ভীমা কোরেগাঁও মামলায় বন্দিদের মানবাধিকার নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। এমনকী এনআইএ নামক যে সংস্থার দায়িত্বে তিনি রয়েছেন তার তরফে এই মামলার অভিযোগ গঠনে দীর্ঘ বিলম্বের কারণ নিয়েও তিনি নিশ্চুপ। ... আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত যখন তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের মানসিকতা মানবাধিকারের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে।’’ বিশদ

18th  October, 2021
ক্ষুধার দেশে মোদিজিকে
ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা...
হিমাংশু সিংহ

এই অবনমনের ব্যর্থতা শুধু অনাহার আর ক্ষুধার সূচকেই সীমাবদ্ধ নেই। আছে যুদ্ধক্ষেত্রেও। ৫৬ ইঞ্চি ছাতির সেই দাপট যেন কোথায় স্তিমিত বিগত বেশ কিছুদিন ধরে। নাকি হিসেব তোলা থাকছে আগামী চব্বিশ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ফের কোনও বিতর্কিত ধামাকার জন্য।
বিশদ

17th  October, 2021
একনজরে
নদীয়া জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক ফের সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পুরস্কার ব্লু-রিবন পেল। রাজ্যে প্রথম এই পুরস্কার এল। কোভিড পরিস্থিতিতে ২০২০সালে নদীয়া জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের টাকা জনকল্যাণে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারায় এই পুরস্কার এসেছে বলে জানা গিয়েছে। ...

‘আমার পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছিল, কিন্তু কোনও ধারণাই ছিল না কী ঘটে গিয়েছে। চারদিক ধোঁয়ায় ঢেকে ছিল। মনে হচ্ছিল যেন জীবন্ত নরকে ঢুকে পড়েছি।’ এক সাক্ষাৎকারে হিরোশিমার পরমাণু বোমা হামলার সেই বিভীষিকাময় দিনের অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন সুনাও সুবোই। ...

বুধবার দুপুরে কল্যাণী থানার গয়েশপুরের গোকুলপুরে মূক ও বধির নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তার করল পুলিস। ধৃতের নাম কৃষ্ণ দাস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা বছর দশের ওই নাবালিকা গোকুলপুর এলাকায় ঠাকুমার বাড়িতে বেড়াতে ...

কুলটি থানার দিশেরগড়ের পর হীরাপুর, আসানসোল শিল্পাঞ্চলে একের পর এক অবৈধ অস্ত্র কারখানার কারিগর হিসেবে উঠে আসছে মুঙ্গেরের কারবারিদের নাম। ইতিমধ্যেই পুলিসের জালে ধরা পড়েছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৪২০: মিং সাম্রাজ্যে বেজিং প্রথম রাজধানী হিসেবে সরকারী স্বীকৃতি পেল
১৪৯২: ইতালিয়ান নাবিক অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাস কিউবা আবিষ্কার করেন
১৮৬৬: বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক যোগীন্দ্রনাথ সরকারের জন্ম
১৮৬৭: অ্যাংলো-আইরিশ বংশোদভূত সমাজকর্মী, লেখিকা,শিক্ষিকা তথা স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতার জন্ম
১৮৮৬:  আজকের দিনে ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসাবে স্ট্যাচু অব লিবার্টি উৎসর্গ করে
১৯২২: বেনিতো মুসোলিনির নেতৃত্বে ইতালির ফ্যাসিস্ত সরকার রোম দখল করে
১৯৫৫: মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের জন্ম
২০০২: বিশিষ্ট কবি ও অবিস্মরণীয় ছড়াকার, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক অন্নদাশঙ্কর রায়ের  মৃত্যু
২০০৬: ঢাকায় বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের একদল কর্মী বিরোধী দলের এক সভায় হামলা চালায় খুন করে বিরোধী দলের ১৪ কর্মীকে
২০০৯: পেশোয়ারে বোমা বিস্ফোরণে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়। জখম হয় ২১৩ জন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.১৯ টাকা ৭৫.৯১ টাকা
পাউন্ড ১০১.৬০ টাকা ১০৫.১০ টাকা
ইউরো ৮৫.৫০ টাকা ৮৮.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ কার্তিক, ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১। সপ্তমী ১৭/৪৭ দিবা ১২/৫০। পুনর্বসু নক্ষত্র  ৯/৫৬ দিবা ৯/৪১। সূর্যোদয় ৫/৪২/৩৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৮/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১/১৪ গতে ২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
১০ কার্তিক, ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১। সপ্তমী দিবা ৮/১২। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/৩২। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৯।  অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/১০ গতে ৪/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২১ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি ২০ বিশ্বকাপ: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতল অস্ট্রেলিয়া

10:46:11 PM

টি ২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়া ১৩০/৩ (১৫ ওভার)

10:34:42 PM

টি ২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়া ৯৫/২ (১০ ওভার)

10:12:05 PM

টি ২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়া ৬৩/০ (৬ ওভার)

09:55:02 PM

টি ২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে ১৫৫ রানের টার্গেট দিল শ্রীলঙ্কা 

09:13:57 PM

টি ২০ বিশ্বকাপ: শ্রীলঙ্কা ১১১/৫ (১৬ ওভার) 

08:57:05 PM