সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
আমরা পারিভাষিক কথায় শুনি, যেমন আগমশাস্ত্রে, তন্ত্রশাস্ত্রে বলা হয়েছে কুলকুণ্ডলিনীর জাগরণ। আমরা তা নিয়ে অদ্ভুত কল্পনা করি, দেহের মধ্যে কোথায় আছে কুলকুণ্ডলিনী, হয়তো সড়সড় করে মেরুদণ্ডের মধ্য দিয়ে উপর দিকে যায়; তাকে বলে কুলকুণ্ডলিনীর জাগরণ, হয়তো কোনো অদ্ভুত অনুভূতি হয়, ইত্যাদি। কিন্তু আসল জাগরণ মানে হচ্ছে অন্য। ঐ কুলকুণ্ডলিনীর মানে হচ্ছে সুপ্ত বা ঘুমন্ত চৈতন্যশক্তি। চাই সেই চৈতন্যের জাগরণ। সাধারণ সব মানুষই আমরা মৃতকল্প, আমাদের মধ্যে যেন প্রাণ নেই কারণ চৈতন্য সেখানে সুপ্ত। কিন্তু হঠাৎ এক ধাক্কায় মানুষ জেগে ওঠে, জীবনে এমনই কোনো সংকটলগ্ন যখন আসে। সেই সংকট লগ্নে যখন জেগে ওঠে মানুষ, তখন হঠাৎ তার জীবনের গতিবেগ ফিরে যায়, মোড় ঘুরে যায়।
আধুনিক কালেও শ্রীঅরবিন্দের জীবনে এর পরিচয় পাই আমরা। বন্দীদশায় আলিপুরের নির্জন কারাকক্ষে তিনি যেন উন্মাদপ্রায় হয়ে উঠলেন। আমরা অনেক সময় মনে করি একলা নির্জনে থাকতে পারলে খুব ভালো থাকব। কিন্তু তাঁর মতো চিন্তাশীল মানুষ, তাঁর মতো ধ্যানপ্রবণ মানুষও সেই একলা কুঠরির মধ্যে, solitary cell এ যখন আবদ্ধ হলেন, তখন তিনিও যেন পাগলের মতো হয়ে উঠলেন। দিনরাত তাঁর ভাবনা যে আমার জীবনে যা-কিছু লক্ষ্য ছিল, তার কিছুই পূর্ণ হবে না, এইভাবে জেলের মধ্যেই হয়তো চিরকাল আমাকে পচে মরতে হবে। শেষ পর্যন্ত এই হল আমার জীবনের পরিণাম! এইসব নানা ভাবনা-চিন্তায় তাঁর মতো মনীষী যখন উদগ্র চিন্তায় ব্যাকুল হয়ে উঠলেন, সেই সংকট মুহূর্তে নির্জন অন্ধকার কারাকক্ষ আলোকিত করে দেখা দিলেন স্বয়ং বাসুদেব এবং এই শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাই তিনি হাতে তুলে দিলেন শ্রীঅরবিন্দের। আর তার ফলে গীতার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য তাঁর কাছে উদ্ঘাটিত হয়েছিল।