বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
১। প্রতিদিন ব্রাহ্মমুহূর্ত্তে উঠে সাধন কর্বে। পরে প্রাতঃক্রিয়া সমাপন করে শুচি শুদ্ধ হয়ে আসনে বস্বে। গায়ত্রী জপ কর্বে। তার পর গীতা অন্ততঃ এক অধ্যায় ক’রে পাঠ কর্বে। পাঠ শেষ ক’রে আবার সাধন কর্বে। স্নানান্তে গায়ত্রী জপ ক’রে তর্পণাদি কর্বে।
২। স্বপাক আহার কর্বে, অথবা ভাল ব্রাহ্মণের রান্না অন্নও আহার কর্তে পার। আহারে কোন প্রকার অনাচার না হয়। আহারের একটা নিয়ম রাখ্বে। পরিমিত আহার কর্বে, খুব বেশী বা কম না হয়, যাতে কামভাব উত্তেজিত হয় এমন বস্তু খাবে না। অধিক পরিমাণ ঝাল, অম্ল ও মিষ্টি ত্যাগ কর্বে। মধু ও ঘৃতে উত্তেজনার বৃদ্ধি হয়; এসব বস্তুও অধিক খাবে না। আহারসম্বন্ধে সর্ব্বদাই খুব সাবধানে থাক্বে। আহারটি বেশ শুদ্ধমত কর্বে।
৩। আহারান্তে কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম কর্বে। পরে ভাগবত, মহাভারত, রামায়নাদি কিছু সময় পাঠ কর্বে। পাঠের পর নির্জ্জনে ব’সে ধ্যান কর্বে। বিকাল বেলায় ইচ্ছা হলে একটু বেড়াতে পার।
৪। সন্ধ্যার সময়ে গায়ত্রী জপ কর্বে। পরে সাধনাদি যেমন ক’রে থাক তেমনই কর্বে। খুব ক্ষুধা বোধ হলে সামান্য কিছু জলযোগ কর্বে। অন্নাহার দু’বেলা করবে না।
৫। নিতান্ত সামান্য বসন পর্বে। সামান্য শয্যায় শয়ন কর্বে। এ সকল নিজের নির্দ্দিষ্ট রাখ্বে। দিনের বেলায় নিদ্রা ত্যাগ কর্বে। সময়ে সময়ে সাধুসঙ্গ কর্বে, সাধুদের উপদেশ শ্রদ্ধার সহিত শুন্বে। নিজের সাধনে বিশেষরূপে নিষ্ঠা রাখ্বে।
৬। কাহারও নিন্দা কর্বে না; কাহারও নিন্দা শুন্বে না; যে স্থানে নিন্দা হয় সে স্থান বিষবৎ ত্যাগ কর্বে।
৭। কোন প্রকার সাম্প্রদায়িক ভাব রাখ্বে না। যিনি যে ভাবে সাধন করেন তাঁকে সেই ভাবেই সাধন কর্তে উৎসাহ দিবে।
৮। কাহারও মনে কষ্ট দিবে না; সকলকেই সন্তুষ্ট রাখতে চেষ্টা কর্বে। অন্যের সেবা তোমার দ্বারা যতদূর সম্ভব হয়, কর্বে। মনুষ্য, পশু, পক্ষী, বৃক্ষলতা প্রভৃতির যথাসাধ্য, সেবা কর্বে। নিজেকে অন্যের নিকটে ছোট মনে কর্বে। সকলকে মর্য্যাদা দিবে। প্রতি কার্য্যই বিচার ক’রে কর্বে। সর্ব্বদা প্রতি কার্য্যে বিচার ক’রে চল্লে কোনও বিঘ্ন হয় না।
৯। সর্ব্বদা সত্য বাক্য বল্বে; সত্য ব্যবহার কর্বে। অসত্য কল্পনা মনেও আস্তে দিবে না। কথা কম বল্বে।