উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
মহারাজ খুব মজা করতে ভালবাসতেন। বাচ্চা ছেলেমেয়েদের সঙ্গে খুব মজা করতেন। বলরাম বসুর বাড়ির ছেলেমেয়েদের সঙ্গে তাদের খেলার সাথীর মতো মিশতেন। তাদের খুব ভালবাসতেন। তাদের নিয়ে খেলা করতেন। মজা হচ্ছে, বাচ্চারাও তাঁকে তাদেরই একজন ভাবত। দিনরাত তাঁর কাছে পড়ে থাকত। তিনিও তাদের জন্য সন্দেশ, ফলটল সব রাখতেন। একদিন দুপুরবেলা খেয়েদেয়ে উঠে বলছেন, বাচ্চাগুলোকে ভয় দেখাবেন। তাঁর ঘরে একটা বাঘের মুখোশ ছিল। আমাকে বললেনঃ “দরজা-জানালাগুলো সব বন্ধ করে দে তো—ঘরটা অন্ধকার হয়ে যাবে, আর আমি বাঘের মুখোশটা পরে অন্ধকারে বসে থাকব। বাচ্চাগুলো দরজা খুলে ঘরে ঢুকলে ‘হুম’ করে উঠব আর ওরা ভয় পেয়ে যাবে। বেশ মজা হবে।” কথামত উনি ঘরের ভিতরে গিয়ে বাঘের মুখোশ পরে বসলেন। তখন বেশ গরম। আমি ১০-১৫ জন ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকেছি। তারা তো হঠাৎ বাঘ দেখে চিৎকার করে একেবারে বাড়ির ভিতরে ছুটছে। একজন তো ঘরের মধ্যে প্রায় জ্ঞান হারিয়েই ফেলল। তারপরে তাদেরকে আবার সব ধরেটরে নিয়ে আসা হলো। উনি তখন বাঘের মুখোশ ছেড়ে বসে আছেন আর হাসছেন। ওরা এলে জিজ্ঞেস করছেনঃ “কী হয়েছে?” মহারাজ এইভাবে তাঁর মনটাকে নিচে সাধারণ স্তরে নামিয়ে রাখতেন। একবার ঐ রকম একটি ঘটনায় একটি ছেলে ভয় পেয়ে কাঁদছে আর মহারাজকে জড়িয়ে ধরে বলছেঃ “তুমি তো মহারাজ!”
স্বামী নির্বাণানন্দের ‘দেবলোকের কথা’ থেকে