উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি ইতিমধ্যে সাধারণ ধর্মঘটও পালন করেছে। কর্মনাশা ধর্মঘটকে মমতা সমর্থন না করলেও কেন্দ্রের এই শ্রম কোড যে শ্রমিক-বিরোধী সেটা তিনি জানেন। তাই এবার এই ইস্যুতে সংঘাতের রাস্তায় যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন শ্রমদপ্তরকে। রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে, বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে তাঁকে চিঠি দেওয়া হয়। তারপরই তাঁর সচিবালয় থেকে ফোন করে শ্রমদপ্তরকে দ্রুত ট্রেড ইউনিয়নগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসতে বলা হয়। সেইমতো এদিন বৈঠক ডাকেন শ্রমমন্ত্রী। অনাদি সাহু, দেবাশিস দত্ত, অশোক দাস, দীপক সাহা, কামরুজ্জামান কামার প্রমুখ অংশ নেন। একইভাবে ছিলেন দোলা সেন ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৈঠকের শুরুতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দপ্তরের আধিকারিকরা চারটি কোডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। বর্তমানে চালু শ্রম আইনগুলির সঙ্গে এই কোডের কী পার্থক্য, ব্যাখ্যা দেন তাঁরা। এরপর শ্রমিক নেতারা দল মত নির্বিশেষে বলেন, এই কোডগুলি কার্যত মালিকদের স্বার্থে তৈরি। সামাজিক সুরক্ষা, কাজের সময়, তিনশোর কম কর্মীর সংস্থায় আচমকা ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা, ধর্মঘটের জন্য ন্যূনতম ৬০ দিনের নোটিস সহ একগুচ্ছ শ্রমিক স্বার্থের পরিপন্থী সর্বনাশা বিষয় রয়েছে কোডগুলির ছত্রে ছত্রে। তাই কোডগুলির বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শ্রমিক নেতাদের জন্য শাসক পক্ষ বার্তা দিয়ে রেখেছে, তারা প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধভাবে কেন্দ্র-বিরোধী অবস্থান নিতে পারে। সাংসদ হিসেবে দোলা সেন সংসদের স্থায়ী কমিটিতে এই কোডের বিষয়ে তাঁদের আপত্তির কথা লিখিতভাবে জানিয়েছেন বলে অবহিত করেন।