উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
সেই হিসেবে ১৬ জানুয়ারি শুরু করে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৯ কোটি ডোজ দেওয়া হয়ে গেল। টিকাকরণের এই হারই বজায় রাখতে চাইছে কেন্দ্র। আইসিএমআরের ডিজি ডাঃ বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, দিনে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়াই টার্গেট। উল্লেখ্য, এতদিন সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের টিকা কেনার খরচ রাজ্যকে দিতে হতো। এখন পুরোটাই দেবে কেন্দ্র। রাজ্যকে স্রেফ টিকাকরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন নীতিতে টিকা কোম্পানির মোট উৎপাদনের ৭৫% কিনবে কেন্দ্র। বাকি ২৫% বেসরকারি হাসপাতাল সরাসরি কোম্পানির থেকে কিনতে পারবে। টিকাকরণ বাবদ সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের খরচ হয়েছে ৯,৫০৫ কোটি টাকা। দেশের প্রাপ্তবয়ষ্ক নাগরিকদের প্রত্যেককে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার এবার বাজেটে (২০২১-২২) ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তাই টিকার ডোজ কেনা হোক বা টিকাকরণের খরচ, আপাতত অর্থের অভাব হবে না বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র।
টিকার খরচের পাশাপাশি কোভিড রোগীর চিকিৎসা তথা ওয়ার্ডে কর্তব্যরত প্রয়াত স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবারকেও ৫০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে কেন্দ্র। তবে এখনও পর্যন্ত ১,০০৩ জন আবেদন করলেও টাকা পেয়েছেন মাত্র ৫৮ জন। যদিও মোট ৪৭৭ জনের দাবির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কাগজপত্র নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ চলছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষতিপূরণ দাবি করলেও ১৪১ জনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে মোদি সরকার। যুক্তি, এঁদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যকর্মী নন। অনেকে কোভিড ওয়ার্ডে ডিউটিও করেননি। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবার ক্ষতিপূরণের অর্থ দাবি করলেও হাতে টাকা পেয়েছেন মাত্র ৭ জন। তিনজনের দাবি মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ১০ জনের এই সংক্রান্ত কাগজপত্র সম্পূর্ণ নয়। সেগুলি সম্পূর্ণ করলে ফের বিবেচনা করে দেখবে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি ৩ জন ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্যই নয় বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে।