উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশে বর্তমানে জনসংখ্যা প্রায় ২২ কোটি। আগামী ২০ বছরে এই সংখ্যা কোথায় যাবে সেটা ভেবে এখন থেকেই আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। সবরকম উন্নয়নের প্রক্রিয়া প্রয়োগ করেও কোনও সমস্যারই সুরাহা করা যাবে না যদি এই জনবিস্ফোরণ অবিলম্বে প্রতিরোধ করা না যায়। সেই কারণেই একটি খসড়া আইন তৈরি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ, বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ,স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সকলের কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছে মতামত ও পরামর্শ। অসম ও উত্তরপ্রদেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারি উদ্যোগের পর প্রত্যাশিতভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে। এরপর কেন্দ্র দেশজুড়ে এরকম কোনও পরিকল্পনা করতে চলেছে কি না, তা নিয়েই চর্চা চলছে।
এই জল্পনার অন্যতম কারণ, করোনা ও লকডাউন পর্বের মধ্যেও গত বছর লোকসভা ও রাজ্যসভায় দু’জন বিজেপি এমপি প্রাইভেট মেম্বার বিল পেশ করেছিলেন একই দাবিতে। পাশাপাশি বিজেপি ১২৫ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে এক দীর্ঘ চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই চিঠিতে আবেদন করা হয়েছে, দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা না হলে কোনওভাবেই উন্নয়ন সম্ভব নয়। কিছু রাজ্যে জনবিস্ফোরণ উদ্বেগজনক। সেই কারণে এখনই প্রয়োজন কোনও একটি কঠোর আইন আনার। আরও বলা হয়েছিল, দুই সন্তান নীতি গ্রহণ করে চীন অনেক সুফল পেয়েছে।
এদিকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি দেশজুড়ে চালু করার ক্ষেত্রে বিজেপির আপত্তি না থাকলেও একটি কাঁটা রয়েছে ইতিহাসে। ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার সময় সঞ্জয় গান্ধীর উদ্যোগে পরিবার কল্যাণ প্রকল্পের অধীনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি নেওয়া হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই প্রকল্পে যথেচ্ছ স্বৈরাচারী মনোভাবই নেওয়া হয়েছিল। সঞ্জয় গান্ধী ও ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগে বিরোধীদের আক্রমণের পুরোভাগে ছিলেন বিজেপি নেতারাও (তৎকালীন ভারতীয় জনসংঘ)। সেই একই নীতি এবার নিতে হলে যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গেই যে নিতে হবে সেটা বিজেপির বর্তমান কর্তারা জানেন। তাই আপাতত রাজ্যগুলি নিজেদের মতো করে এই আইনের উদ্যোগ শুরু করেছে।