উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
উচ্চ ভাব সবসময়ে থাকে না। তাই কোনো-একটা কাজ নিয়ে থাকতে হয়। তবে কাজের দোষ হচ্ছে, ঐটিই প্রধান হয়ে দাঁড়ায় অনেক সময়। সেজন্য কাজের মধ্যে তাঁর শরণ নেবে। নির্জনে চিন্তা করবে, কি ভুল-ত্রুটি হল। নিজের কি-কি দোষ তা ভেবে দেখা দরকার। সকলকে ভালোবাসবে। সকলের সঙ্গে মিশবে। দেখ না, ঠাকুর কিরকম সকলের সঙ্গে মিশতেন।
জনৈক ভক্তকে লক্ষ্য করে মহারাজ বললেন—স্বামীজীর আইডিয়াল কি জানিস—একটা ‘গোটা মানুষ’ হওয়া। সেই মানুষে একটুও মাদী-ভাব থাকবে না। দৌড়ে কাজ করবি। দেখে যেন মনে হয়, তোর মধ্যে প্রাণ আছে। কর্তারা কোনো কাজ করার সময়ে সব মাটি মাড়িয়ে যাওয়া একদম পছন্দ করতেন না। তখনই দৌড়ে সব কাজ সেরে ফেলতে হোত। শরীর-মন স্বামীজীর মতো না হলে তাঁকে ধারণা করা যায় না। সংযমী ও চরিত্রবান হও। শৃঙ্খলাপরায়ণ হও। আর চাই সঙ্ঘের প্রতি আনুগত্য। গীতা, উপনিষদ কণ্ঠস্থ করে ফেল। বাঙালির প্রধান ত্রুটি হচ্ছে তারা শক্তিহীন। শক্তিমান না হলে কিছুই হবে না। ঠাকুরের ছবি দেখো—কণ্ঠার হাড়টা কত মোটা ছিল। তা না হলে আর অত সাধনা করতে পারেন? ঠাকুর-স্বামীজীর বই গভীরভাবে পড়ো। প্রথমে দশ মিনিট পাঠ ক’রে বই বন্ধ ক’রে চিন্তা করো, কি পড়লে। দেখবে, কিছুই মনে নেই। তখন আবার পড়ো, দেখবে একটু মনে পড়ছে। আবার পড়ো—এইভাবে মনকে বশে আনবে।
এক ভক্ত প্রশ্ন করলেন, লোকাচার মানব কি না? বিশেষ করে অশৌচাদির সময়ে ঠাকুরঘরে কাজ করব কি না?
মহারাজ—অশৌচের সময় ঠাকুরঘরে কাজ করবে না? তবে জপাদি করবে, কারণ ওটি নিত্যকর্ম।
স্বামী ওঁকারানন্দের ‘শ্রীরামকৃষ্ণ স্বামী বিবেকানন্দ ও ধর্মপ্রসঙ্গ’ থেকে