উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
আমায় তুমি নিষ্কামভাবে ভালবাসিতে চাহিতেছ—উত্তম কথা। আমার হৃদয়সর্বস্ব ধন হইলেন প্রভু রামকৃষ্ণ। পবিত্রতা, শুদ্ধতা এবং দয়ার আধার তিনিই নিষ্কামভাবে জীবকে উদ্ধার করিতে সাঙ্গোপাঙ্গ অবতার গ্রহণ করিয়াছেন। তিনিই একমাত্র সিদ্ধসংকল্প। তুমি এই আধারকে যতই ভালবাসিবে তাহা প্রভুতেই পৌঁছিবে এবং এর প্রতি ভালবাসাও তাঁহার কাছে পাইবে। তিনিই তো তোমার মত ভক্তিপ্রেমযুক্ত বালক খুঁজিয়া খুঁজিয়া বাহির করেন—তিনি যে তোমায় তাঁহার আপনার করিয়া নিয়াছেন। এখন খুব ভালবাস। তুমি ভাগ্যবান, দক্ষিণেশ্বরে শ্রীশ্রীপ্রভুর লীলাস্থান দর্শন, স্পর্শন করিয়াছ, নিজের গর্ভধারিণীকেও দর্শন করিয়াছ। ওরূপ স্থান আমরা পৃথিবীতে আর কুত্রাপি দেখি নাই। আমরা অনেক ভ্রমণ করিয়াছি, অনেক পবিত্র ও শোভাময় স্থান দর্শন করিয়াছি, কিন্তু প্রভুর লীলাস্থানের ন্যায় সুন্দর শোভাময় পবিত্র স্থান কোথাও দেখি নাই। উহা আমাদের কৈলাস, আমাদের কাশী, আমাদের গোলোক—অধিক আর কি লিখিব।
শ্রীশ্রীমা কাহারো সম্মুখে ঘোমটা খোলেন না—আমাদের সম্মুখেও নয়। অবশ্য মেয়েদের কথা স্বতন্ত্র। তিনি আশীর্বাদ করিয়াছেন—তোমার আর কোন ভাবনা নাই, নিশ্চয় জানিবে। মা যে-সে মেয়ে নয়, ইহা নিশ্চয় জানিও। শ্রীশ্রীঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে থাকিবার সময় হইতে আমরা কেহই শ্রীশ্রীমার পাদপদ্ম ছাড়া তাঁহার মুখ কখনই দেখি নাই। তিনি যে এখনই কেবল অবগুণ্ঠন দিয়া থাকেন তাহা নয়। তিনি যে মস্তক নাড়িয়া তোমার প্রার্থনার উত্তর দিয়াছেন—তুমি মহাভাগ্যবান নিশ্চয়। প্রভুর চরণে নির্ভর করিয়া কার্য কর। এই সংসার হইতেই তোমার জ্ঞান হইবে—আর পুনরায় সংসার করিতে হইবে না, নিশ্চয় জানিও। প্রভুর ইচ্ছায় যদি অন্যত্র গিয়া কাজ করিয়া দেনাপরিশোধ হয় ত তাহাই করিবে—তাঁহার যদি এমনিই ইচ্ছা হয় তাহাই হউক। তাহার জন্য চিন্তা কি? তোমার কোন ভয় নাই। প্রভু তোমার আশ্রয় দিয়াছেন—পুনরায় তোমায় আর সংসারী হইয়া আসিতে হইবে না; ভয় নাই। জয় শ্রীরামকৃষ্ণ। কোন ভয় নাই—ধীর বুদ্ধিতে কর্তব্য কর্ম করিয়া যাও। প্রভুর স্মরণ করিয়া সব কার্য কর—তাঁহাতে ভক্তি, বিশ্বাসই মূল জিনিস—সংসারের সুখ-দুঃখ কেবল লীলাখেলা, দু-চার দিনের জন্য।