যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ
ব্যাপারটিকে ভালো নেয়নি দেশের শীর্ষ আদালতও। তাই আর জি কর মামলায় বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের উদ্দেশে সোমবার দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় পরিষ্কার করে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘দায়িত্বে অবহেলা করে প্রতিবাদ হয় না। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিন।’ একইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজে ফিরলে রাজ্য সরকার বিক্ষোভরত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না। কোথাও বদলিও করবে না তাঁদের। কিন্তু তারপর যদি রাজ্য কোনও পদক্ষেপ করে, তা আমরা আটকাতে পারব না। বাকিটার জন্য সিবিআই যেমন তদন্ত করছে, তা চলবে। তদন্ত কতদূর এগল, তা নিয়ে আগামী সপ্তাহেই রিপোর্ট দেবে সিবিআই।’ অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর ফের শুনানির দিনই স্টেটাস রিপোর্ট দিতে হবে তদন্তকারী এজেন্সিকে। আর জি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় সোমবার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ছিল তৃতীয় দিনের শুনানি। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেই শীর্ষ আদালত তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়। পরিষ্কার যে, অপরাধের তদন্তকে আদালত যতখানি গুরুত্ব দিয়েছে, ততখানিই জোর দিয়েছে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সঙ্কটকেও। সত্যিই তো, যেকোনও অন্যায়ের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সুবিচার অবশ্যই কাম্য। সেই প্রক্রিয়া আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে অবশ্যই চলবে। বিশেষ করে আর জি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে প্রতিটি জায়গায় ডাক্তারসহ চিকিৎসা কর্মীদের পূর্ণ নিরাপত্তার দাবিটিও অত্যন্ত সংগত। সরকারকেই তা নিশ্চিত করতে হবে। শীর্ষ আদালতও তার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এদিনের ভূমিকায় দেশের বিচার ব্যবস্থার মানবিক মুখটিই পরিস্ফুট হয়েছে। এর থেকেই বোঝা যায়, কেন মানুষ বিচার ব্যবস্থার উপরেই তার শেষ আস্থা স্থাপন করে। আবার অভিভাবকের মতোই শীর্ষ আদালত সাবধান করে দিয়েছে, ‘এরপরও যদি জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে না ফেরেন এবং তার প্রেক্ষিতে সরকার কোনও ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিলে আমাদের কিছু বলার থাকবে না।’
আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার ‘পরিবার’ এখনও বিচার পায়নি। আন্দোলনরত ডাক্তারদের একাধিক দাবিও হয়তো অপূর্ণ রয়েছে। এই দিকগুলি দ্রুততার সঙ্গেই দেখার ব্যাপারে দেশের বিচার ব্যবস্থার শীর্ষতম স্থান থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকেই আশ্বস্ত করা হয়েছে। এখন আমাদের সকলেরই আর একটু অপেক্ষা করা এবং সুপ্রিম কোর্টের উপর ভরসা রাখার বিকল্প তো কিছু নেই। যতদিন সম্পূর্ণ ফয়সালা না হবে, ততদিন কাজই করব না, এমন জেদ ধরে থাকা চলে না আর। এই জেদাজেদি চিকিৎসা প্রত্যাশী অসংখ্য অসহায় মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলারই শামিল। আবেগের পর্ব অতিক্রান্ত হলে এই সমাজই কিন্তু ব্যাপারটাকে মোটেই মেনে নিতে পারবে না। কেননা, চিকিৎসা-বঞ্চনার মতো অবিচার এরপর ঢুকে পড়তে পারে ঘরে ঘরে! তখন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বা ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’ লেখা প্ল্যাকার্ডগুলি দৃশ্যমান হয়ে উঠতে পারে আরও প্রকাণ্ড আকারে!