যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ
মোদি জমানায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর সরকারেরই আধিকারিক ও কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। বছরখানেক আগে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশন বা সিভিসি একটি রিপোর্ট পেশ করে সরকারের কাছে। তাতে জানানো হয়, ২০২২ সালে সরকারি আধিকারিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে মোট ১ লক্ষ ১৫ হাজার ২০৩টি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৬ হাজার ৬৪৩টি অভিযোগ উঠেছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিরুদ্ধে। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে রেল ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। সে বছর রেলে অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের বেশি, ব্যাঙ্কে ৮ হাজারের বেশি। তারপর গত দু’বছরে অভিযোগের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। এই বিপুল অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক কিছু কিছু তদন্ত করেছে। কিন্তু সব কটি অভিযোগের তদন্ত হয়েছে কি না, কোনও ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না তার পরিষ্কার ছবি নেই। আসলে মোদি জমানায় একাধিক দপ্তরেই হয়েছে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি। তবু ‘দুর্নীতি মুক্ত’ ভারত গঠনের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জনমানসে ইমেজ গড়তে।
সরকারের ঘরেই দুর্নীতির এমন বহর দেখেও মোদি প্রশাসন যে কার্যত কিছুই করেনি, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ রেল মন্ত্রক। সম্প্রতি কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) দ্বিতীয় মোদি সরকারের (২০১৯-২০২৪ মার্চ) পাঁচ বছরে রেলে দুর্নীতির যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ৩০ হাজারেরও বেশি কর্মী আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে ‘রেল-মদত’ প্ল্যাটফর্মে। এই ‘রেল-মদত’ ছাড়াও রেলে সরকারি নম্বরে ফোন করে, ই-মেল করে কিংবা ডাকযোগেও অভিযোগ জমা পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে নথিভুক্ত অভিযোগের আসল সংখ্যা কত তা জানায়নি রেল মন্ত্রক। ঠিক যেমন কতগুলি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা হয়েছে তাও জানা যায়নি। বছর তিনেক আগে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দাবি করেছিলেন, প্রতি তিনদিনে একজন দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই হিসেব মানলে পাঁচ বছরে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৬০০-র কাছাকাছি। ৩০ হাজারের বেশি দুর্নীতির অভিযোগের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যানই বলে দেয়, দুর্নীতি মোকাবিলায় সরকারের সক্রিয়তার বহর! বুঝিয়ে দেয় মোদির হুঙ্কার কতটা অন্তঃসারশূন্য। আসলে ফাঁকা কলসির আওয়াজ বেশি।