যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রের খবর, এই ১৭৪ জন রোগীর প্রত্যেকের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র চেয়ে পাঠিয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। কেন নেফ্রেকটমি হল, কী কী অসুখ ছিল, ওটি নোটে কী লেখা আছে? কিডনি বাদ দেওয়ার পর বায়োপ্সি করা হয়েছে কি না, তারপর সেই কিডনি বায়ো-বর্জ্য হিসেবে কীভাবে বাতিল করা হল? কোনও প্রশ্নই বাদ রাখেননি সিবিআই অফিসাররা। মঙ্গলবার এখানকার ইউরোলজি ও প্যাথোলজি বিভাগের প্রধানকে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। এ বিষয়ে ইউরোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ পার্থপ্রতিম মণ্ডল বলেন, প্রত্যেক নেফ্রেকটমি রোগীর কিডনি বাদ যাওয়ার খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয়ে আমাদের তথ্য আছে। সরকারি হাসপাতালে এই ধরনের অপকর্ম হওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে বুঝতে পারছি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা সবদিক খতিয়ে দেখতে চাইছেন। আমরা সবদিক থেকে সহযোগিতা করছি।
চিকিৎসকমহল সূত্রের খবর, ক্যান্সার, স্ট্যাগ হর্ন, অতিরিক্ত প্রোটিন বেরিয়ে যাওয়া, বায়োপ্সির পর রক্তপাত, পিইউজে অবস্ট্রাকশন সহ নানা কারণে রোগীদের কিডনি বাদ দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিকে বলে নেফ্রেকটমি। নেফ্রেকটমির পর বাদ দেওয়া কিডনির অংশবিশেষ বায়োপ্সির জন্য প্যাথোলজি বিভাগে পাঠানো হয়। তাই তদন্তকারীরা কিডনি বাদ পড়া ১৭৪ জনের কাগজপত্র সংগ্রহ করার পাশাপাশি তাঁদের যাবতীয় প্যাথোলজি রিপোর্টও চেয়েছেন।
বাস্তবে কি হাসপাতালে ওয়ার্ড থেকে কিডনি পাচার সম্ভব? এক সিনিয়র নেফ্রোলজিস্ট বলেন, অসম্ভব কিছুই নয়। তবে এক্ষেত্রে সার্জারি এবং ইউরোলজি বিভাগের চিকিৎসকদের মিলিত চক্র থাকতে হবে। অ্যাপেনডিক্স বাদ দেওয়ার নাম করে পাশে চার ইঞ্চি কেটে কিডনি বাদ দেওয়া দক্ষ সার্জেন ছাড়া অসম্ভব। আর জি কর-এ কিডনি প্রতিস্থাপনের পরিকাঠামো নেই। তাই হওয়া কঠিন। তবে কিডনি এমন একটি অঙ্গ, যা লাইভ বা ব্রেন ডেথ হওয়া ডোনারের শরীর থেকে নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেও প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, দিল্লিতে একটি হাসপাতালে এমন কেস তাঁরা পেয়েছেন। তাই কাউকে এবিষয়ে ছাড় দিতে রাজি নন তাঁরা।