যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে বলেন, আজ হোক কাল হোক মালিকপক্ষকে শ্রমিকদের বোনাস দিতেই হবে। বোনাস যদি সময়ে না হয় তাহলে তাঁরা আর কবে পুজোর কেনাকাটা করবেন। দেরিতে বোনাস হলে শ্রমিকদের সঙ্গে বাগানের হাটগুলির ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বোনাসের ফয়সালা হলেও সমস্ত বাগানের শ্রমিকদের বোনাসের টাকা হাতে পেতে পেতে আরও ১০-১২ দিন সময় লেগে যায়। কিন্তু ২০ বা ২১ তারিখ যদি বোনাস চুক্তির ফয়সালা না হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই এবার বাগানের হাটগুলির পুজোর কেনাকাটা মার খাবে। তাতে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়বেন হাট ব্যবসায়ীরাই। এমনই আশঙ্কা প্রবলভাবে তাড়া করছে।
তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার বলেন, এই আশঙ্কা আমাদেরও রয়েছে। আমরা ২০ বা ২১ তারিখের বৈঠকেই বোনাস নিষ্পত্তির উপর জোর দেব। যাতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শ্রমিকরা বোনাসের টাকা হাতে পেয়ে যান। বিজেপির চা শ্রমিক সংগঠন বিটিডব্লুইউয়ের চেয়ারম্যান আলিপুরদুয়ারের এমপি মনোজ টিগ্গা বলেন, শ্রমিকদের পুজোর কেনাকাটার জন্য পর্যাপ্ত সময়ও দিতে হবে। তাই আগামী বৈঠকে আমরাও দাবি জানাব বোনাস নিষ্পত্তি করে ৩০ তারিখের মধ্যে শ্রমিকদের বোনাসের টাকা দিতে হবে। যাতে বাগানের শ্রমিকরা পুজোর কেনাকাটার জন্য হাতে পর্যাপ্ত সময় পান।
যদিও চা মালিকদের সংগঠন টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (টাই) উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান চিন্ময় ধর বলেন, এই আশঙ্কা অমূলক। শ্রমিকরা যাতে পুজোর কেনাকাটায় পর্যাপ্ত সময় পান তারজন্য ২০ বা ২১ তারিখেই বোনাসের ফয়সালা হয়ে যাবে।