যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ
হ্যারিসের দাবি, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে থাকলে এতদিনে পুতিনের চাপের মুখে হার স্বীকার নিতেন। পুতিন কিয়েভে পৌঁছে যেতেন। তাঁর চোখ থাকত বাকি ইউরোপের দিকে। যে স্বৈরাচারীকে আপনি বন্ধু ভাবছেন, তিনি আপনাকে মধ্যহ্নভোজে গিলে খাবেন। বিড়ম্বনা এড়াতে ট্রাম্পের জবাব, আমি চাই যুদ্ধ বন্ধ হোক। আমেরিকার লাভ তাতেই।
বিতর্কের মঞ্চে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে দেশের অর্থনীতি, নিত্যদিনের খরচ যেভাবে বাড়ছে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। নিজের মধ্যবিত্ত অতীত তুলে ধরে হ্যারিস ছোট ব্যবসা ও মার্কিন পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। সুর চড়িয়ে তাঁর অভিযোগ, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বড় কর্পোরেট ও ধনকুবেরদের স্বার্থে তাঁদের কর হ্রাস করবেন। এই সময় পাল্টা তোপ দেগে অভিবাসন ইস্যুতে জো বাইডেন প্রশাসনকে নিশানা বানান ট্রাম্প। হ্যারিসের জবাব, তাঁর রিপাবলিকান প্রতিপক্ষের এই ‘একঘেঁয়ে নাটকে’র সংলাপ আর কাজে দিচ্ছে না। সেই সঙ্গেই ভাইস প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, ট্রাম্প ফের শীর্ষ পদে ফিরলে গর্ভপাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবেন। অভিযোগ অস্বীকার করে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলেন, হ্যারিস মিথ্যা বলছেন। এরকম কোনও আইন মার্কিন কংগ্রেসে কোনওভাবেই পাশ হবে না।
প্রথম মুখোমুখি বিতর্কের আগে প্রকাশিত সমীক্ষার ফলে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি টক্করের ইঙ্গিতই আসছে। বাইডেনের পরিবর্তে হ্যারিস প্রার্থী হওয়ায় ডেমোক্র্যাটদের সম্ভাবনা আগের থেকে বেড়েছে ঠিকই। তবে গুরুত্বপূর্ণ বহু কেন্দ্রে এখনও কিছুটা হলেও এগিয়ে ট্রাম্প। রেজিস্টার্ড ভোটারদের নিয়ে একটি সমীক্ষায় ইঙ্গিত, হ্যারিসের পক্ষে সমর্থন ৪৮ শতাংশ। ট্রাম্পের ৪৯ শতাংশ। আবার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভোটারদের নিয়ে সমীক্ষায় হ্যরিসের পক্ষে সমর্থন ৪৬ শতাংশের, ট্রাম্পের পক্ষে ৪৯ শতাংশের। এক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন আগস্টের তুলনায় ৭ শতাংশ কমেছে।