যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ
জঙ্গিপুরের পুলিস সুপার আনন্দ রায় বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব। খুনে ব্যবহৃত ছুরিটিও আমরা উদ্ধার করেছি।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে শুভকে বিয়ে করেন শ্রাবণী।
কিন্তু, বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার শুরু হয়। শুভর অত্যাচারে দাম্পত্য কলহ বাড়তে থাকে। তারপর শ্রাবণীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় বিশালের। শ্রাবণী তাঁর প্রেমিক বিশালের সঙ্গে তিনবার পালিয়ে যায়। বারবার এই ঘটনা ঘটতে থাকায় মাস খানেক আগে গ্রামে সালিশি সভা বসে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, বিশালের বাড়িতে থাকবে শ্রাবণী। সেই রাগ থেকে শুভ বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে সে বিশালের বাড়িতে চড়াও হয়। সেখানে স্ত্রীকে শুভর সঙ্গে দেখেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিশালকে কোপাতে শুরু করে। বিশালের গলার নলি কেটে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই বিশাল লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর গোটা এলাকা থমথমে রয়েছে। এলাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে।
ঘটনার পর শ্রাবণী কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, আমরা ঘরে দু’জনে শুয়ে ছিলাম। আচমকা শুভ ঘরে ঢুকে পড়ে। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা তখন পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। আমি সকলকে চিৎকার করে ডাকি। ততক্ষণে ও পালিয়ে যায়।
মৃতের বাবা ধীরেন দাস বলেন, দিন কয়েক আগেই গ্রামের লোকজন ওদের সম্পর্ক নিএয় বিচারসভা বসায়। ওরা সকলে শ্রাবণীকে ছেলের হাতে তুলে দেয়। সেই থেকে ওরা একসঙ্গেই থাকত। রাতে বাড়িতে ঢুকে এভাবে ও আমার ছেলেকে খুন করবে, তা ভাবতেই পারছি না। ওর কঠোর শাস্তি চাই।
জামুয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আরিফুল্লাহ শেখ বকুল বলেন, মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে শুনেছি। গৃহবধূ একাধিকবার বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিল। স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর বদলা নিতেই সে এমনটা করে থাকতে পারে। পুলিস বিষয়টি দেখছে।
শেলালপুরের বাসিন্দা সন্টু দাস বলেন, শুভ ওর স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালাত। পরিবারের সদস্যদেরও মারধর করে। আগে এলাকায় এরকম ঘটনা ঘটেনি। ওর শাস্তি চাই।