Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। হরিয়ানার রাস্তায় তাঁকে পিটিয়ে মেরেছে স্বঘোষিত গোরক্ষকরা। আর সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনির মুখে এমন কথা! ভাবটা এমন, ‘ছেলেমানুষ। ধর্ষণ, খুন-টুন করে এলেই বা কী হয়েছে? ওসব একটু হয়েই থাকে।’ ক্যানিংয়ের জীবনতলা থেকে কাজে গিয়েছিলেন সাবির। বাড়িতে আছে স্ত্রী শাকিলা, আর ছোট্ট একরত্তি মেয়েটা। গোরক্ষক নামে ওই বিশেষ প্রভাবশালী জাতের হঠাৎ সন্দেহ হল, সাবিরের কাছে গোরুর মাংস আছে। ওইটুকুই যথেষ্ট তাঁকে খুন করার জন্য। আগেও এমন সন্দেহ তাদের হয়েছিল। কারণ, সাবির মুসলিম। এবং গোরক্ষকদের ধারণা ছিল, সে বাংলাদেশিও। তাই এমন পরিণতি যে হতে পারে, তার আভাস একেবারে ছিল না বললেও ভুল হবে। কেন সতর্ক হননি সাবির? কেন ফিরে আসেননি প্রাণটুকু নিয়ে এই বাংলায়? তাঁর জন্য তো কেউ কাঁদবে না! কেউ মোমবাতিও জ্বালবে না। শুধু সাবির কেন? আরিয়ানের জন্যও কি কারও বুক একবারটি কেঁপে উঠবে? নামের জন্যই ‘ওরা’ কেউ বিশ্বাস করল না, আরিয়ান মিশ্র হিন্দুও হতে পারে। ‘ওরা’ কারা? গোরক্ষক। ভেবে নিয়েছিল, ১৯ বছরের ছেলেটা গোরু পাচারকারী। ২৫ কিমি ধাওয়া, তারপর গুলি। আরিয়ান ব্রাহ্মণবাড়ির সন্তান জানার পর মা উমাদেবীর কাছে তারা বার্তা পাঠাল, ‘আপনার ছেলে যে হিন্দু সেটা বুঝিনি। তাহলে এই ভুল হতো না। ব্রাহ্মণসন্তানের প্রাণ নেওয়ার জন্য আমরা দুঃখিত।’ বিস্ময়কর নয় কি? এই যুক্তি, এই তেরিয়া মনোভাব মানুষ খুনের পরও! এ কোন সমাজে বাস করছি আমরা? গোরক্ষার নামে প্রকাশ্যে হত্যালীলা চালানোতেও অবাধ ছাড়পত্র! আরিয়ানের মা উমা মিশ্র কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘মুসলমানরা কি মানুষ নয়? ওরা কি আমাদের ভাইবোন নয়? মুসলিম হলেই বা খুন করার অধিকার ওদের কে দিয়েছে?’ 
উত্তর আছে—রাজনীতি। কিন্তু এই উত্তর মুখে আনা যাবে না, শোনা যাবে না, পরীক্ষায় লিখলে নম্বরও মিলবে না। বলা হবে, ধর্মের উপর খবরদারি শুরু হয়েছে। সত্যিই কি তাই? এইচ এইচ উইলসনও সেই উনিশ শতকের গোড়ার দিকে লিখে গিয়েছেন, ‘ভারতীয় সংস্কৃতির প্রথম পর্বেই গোরু এবং ঘোড়াকে শুভ কাজে উৎসর্গ করার প্রথা ছিল। একে বলা হতো গোমেধ এবং অশ্বমেধ।’ অর্থাৎ চল ছিলই। শুধুই মুসলিম শাসকরা পরে এদেশে রাজত্ব করতে এসে গোহত্যা শুরু করেছে, তেমনটা নয়। এই সবই ইতিহাস বলছে। তাহলে পরিস্থিতি বদলাল কীভাবে? এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি চর্চিত থিওরিটা হল, মুসলমান শাসকদের জমানায় হিন্দুরা যাতে এককাট্টা হয়ে প্রতিরোধ করতে পারে, সে জন্য একটি ‘কারণ’ বা ‘বিষয়বস্তু’ সামনে রাখার প্রয়োজন ছিল। সেই কাজটা করেছিল ‘গোমাতা’। সস্তায় পুষ্টিকর বলে গরিব মুসলিম পরিবারের অনেকেই গোমাংস খেতেন। হিন্দুরা তার বিরুদ্ধেই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন—গোহত্যা বন্ধ করতে হবে। সেটাই হিন্দুদের জোটবদ্ধ হতে সাহায্য করেছিল। আর এই সমীকরণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ছত্রপতি শিবাজী। ১৮৭০ সালে পাঞ্জাবে প্রথমবার আন্দোলনের ঢঙে পথে নামল শিখ কুকা সম্প্রদায়। আর ১৮৮২ সালে দয়ানন্দ সরস্বতীর নেতৃত্বে গড়ে উঠল প্রথম গোরক্ষিণী সভা। সেইসঙ্গে রাজনীতির অলিন্দে পাকাপাকিভাবে ঢুকে পড়লেন গোমাতা। ১৮৮০ থেকে ’৯০—এই দশ বছরে ভারতের কোণায় কোণায় এই ইস্যুতে একের পর এক দাঙ্গা হল। সাম্প্রদায়িক রঙের গুঁড়ো ছড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মুসলিম বিরোধিতার ভিত আরও শক্ত করল গেরুয়া কট্টরপন্থীরা। জন্মসূত্রে প্রাপ্ত মানবিকতার থেকে বড় হয়ে উঠল উত্তরাধিকার বা কনভারশন সূত্রে পাওয়া ধর্ম। ১৮৯৩ সালে আজমগড় থেকে সূত্রপাত হওয়া এমনই এক সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে দেশজুড়ে প্রাণ গিয়েছিল শতাধিক মানুষের। ১৯১২ সালে অযোধ্যা, ১৯১৭ সালে শাহাবাদ... অন্তবিহীন সেই হিংসা। স্বাধীনতার পর সংবিধানে এই প্রবণতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হল ঠিকই, কিন্তু খাদ্যাভ্যাস তো একান্তই ব্যক্তিগত। মৌলিক অধিকারও বটে। সেখানে সরকার রুল জারি করবে কীভাবে। তারপরও চাপ বাড়াতে ১৯৬৬ সালে প্রায় সব গেরুয়াপন্থী দল ও সংগঠন একজোট হল। সংসদের সামনেই চলল সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ। মৃত্যু হল আটজনের। জখম বহু। গোমাতা নিজেও জানতে পারলেন না, কখন তিনি রাজনীতির এলিট ক্লাসের ঘুঁটি হয়ে গিয়েছেন। জনসঙ্ঘ থেকে বিজেপির ‘নবজন্মে’র পর এই রাজনীতির ষোলো কলা পূর্ণ হল। আর স্বঘোষিত গোরক্ষকরা ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে ডানা মেলতে শুরু করল মোদি জমানায়। সঙ্গে লাভ জিহাদ, হিন্দুরাষ্ট্রের হুঙ্কার, উস্কানিমূলক সিএএ। লক্ষ করার মতো বিষয় হল, ভোট দুয়ারে কড়া নাড়তে শুরু করলেই এই গোক্ষক বা লাভ জিহাদের বিরুদ্ধপন্থীরা ঠিকানা বদলে দরজায় খিল দিয়ে বসে যায়। ভোট মিটতে আবার শুরু হয় তাদের তাণ্ডব। ইঙ্গিতটা বোঝার জন্য আইনস্টাইন হওয়ার প্রয়োজন নেই। আর এটাই রাজনীতি। ক্ষমতার অলিন্দে অবাধ বিচরণের লক্ষ্যে সামান্য ঘুঁটি চালাচালি। আজও সেটাই হচ্ছে। নবান্নের ১৪ তলার ঘরটাতে অ্যাকোয়ারিয়মের সামনে দাঁড়িয়ে অবাক চোখে মাছগুলোকে দেখতে থাকা সাবির মল্লিকের একরত্তি মেয়েটা বুঝতেও পারছে না, তার বাবার সঙ্গে কী রাজনীতি হয়েছে। সে শুধু জানে, বাবা ফেরেনি। কিন্তু সে কি জানে, তার বাবা আর ফিরবে না? সে কি জানে, কেন তার বাবা ফিরবে না? 
এই ধরনের ঘটনা নিরন্তর একটা সাম্প্রদায়িক আগুনের জন্ম দিয়ে চলে। প্রতিনিয়ত। আগ্নেয়গিরির লাভার মতো ফুটতে থাকা সে বুকের অন্দরে। কোনও একটা সময় বিস্ফোরণ হয়। আর তাতে ধ্বংস হয়ে যায় মানবিকতা। সমাজ যদি এখনও এই খুনে রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ায়, বড্ড দেরি হয়ে যাবে। সময় কি এখনও আসেনি? প্রকাশ্যে একজনকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে মারা হচ্ছে। আর বাকিরা পাশে দাঁড়িয়ে দেখছে। শ্যুটিং চলছে নাকি? কেন তাদের মনে হচ্ছে না এই নারকীয়তার শেষ হওয়া উচিত? কেন সমাজ এগিয়ে আসছে না? কেন সাবির, আরিয়ান বা মালদহের শ্রমিক মোতি আলির জন্য পথে নামছে না সমাজ? আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে ঠিক যেভাবে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও প্রতিবাদের আগুন জ্বলেছে, তার আঁচ কেন স্বঘোষিত গোরক্ষকদের পুড়িয়ে মারবে না? আসলে সমস্যাটা ব্যক্তির নয়, সিস্টেমের। বছরের পর বছর নিখুঁত প্র্যাকটিসে দুর্নীতি এবং অপরাধ ঢুকে পড়েছে মজ্জায়। শাসক বদলালেও সিস্টেমের ভূতের থেকে নিস্তার নেই। গোটা দেশেই। কারণ, রাজ্যের নাম যাই হোক না কেন, দুর্নীতি, অপরাধ এবং ক্ষমতায়নের সিস্টেমের ভাষা এক। আন্দোলনে যদি নামতেই হয়, তাহলে কয়েকজন ব্যক্তি নয়, লক্ষ্য নিতে হবে সিস্টেমকে আমূল বদলে দেওয়ার। যাতে জাতীয় সড়ক তৈরির সময় ঠিকাদারের থেকে কাটমানি নিতে গেলে বুকটা কেঁপে ওঠে। মনে হয়, সাধারণ মানুষ জানতে পারলে চামড়া গুটিয়ে নেবে। ধর্ষণ করার কথা ভাবলেও প্রবৃত্তি ছাপিয়ে শিরদাঁড়ায় ভয়ের ঠান্ডা স্রোত বেয়ে যাবে... ভয়াবহ পরিণতি ভেবে। মুসলিম নাম শুনলেই গোরক্ষার নামে খুনের ছাড়পত্র ছিঁড়ে কুটিকুটি করে ছড়িয়ে দেওয়া হবে সচেতন সমাজের আকাশে। 
প্রতিদিন শত শত অপরাধ ঘটে চলে ১৪০ কোটি জনতার দেশে। প্রত্যেক ঘটনা মানব মননকে নাড়া দেয় না। ধাক্কা দেয় না। আর জি করের মতো কিছু ঘটনা ট্রিগারের কাজ করে। বহুদিন ধরে জমে থাকা বারুদে বিস্ফোরণ ঘটায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, কাশ্মীর হোক বা মণিপুর, কলকাতা বা নাসিক... পরিচয় তার একটাই—অপরাধী। তার কোনও ধর্ম নেই, ভাষা নেই, স্টেটাস নেই, রাজনীতির রংও নেই। সাবির আলি বা আরিয়ান মিশ্রর নৃশংস মৃত্যু, কিংবা উজ্জ্বয়িনীর রাস্তায় দিনেদুপুরে যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনাও সমাজের মনে জমে থাকা বারুদে বিস্ফোরণ ঘটাবে না? ট্রিগার করবে না? বিচারের আশায় বসে আছেন উমাদেবী। সিবিআই তদন্ত হয়নি তাঁর ছেলের মৃত্যুতে। সাবির মল্লিকের খুনও এজেন্সির রেডারে ধরা পড়েনি। স্থানীয় পুলিস লঘু ধারায় মামলা করবে, জনরোষ দেখানো হবে, আর তারপর কয়েক বছরের জেল-জরিমানা। কেস খতম। রাজনৈতিক এবং স্পর্শকাতর হওয়া সত্ত্বেও কেউ অতটা গা ঘামাবে না। উমাদেবী কি আশা করতে পারেন না... অভয়ার মতো আরিয়ানের হয়েও পথে নামুক সমাজ? গণতন্ত্রের দায়রার মধ্যে থেকেই শিক্ষা দিক শাসককে। যারা পথেঘাটে হত্যাকেও নিঃশব্দে ধোঁয়া দিয়ে চলেছে। সেই প্রতিবাদেই সমাজের এবং মানবিকতার সার্থকতা। না হলে? ওটাও রাজনীতি।
10th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
‘জাস্টিস চাই’ দাবির আড়ালে...
তন্ময় মল্লিক

‘নেমে গেলেই তো হল না। সবাই নামছে তো। আমরা আছি। নেমে কেওস না হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে গেলে তো হবে না। কেউ যদি ভাবে এটার সুযোগ নেবে, সুযোগ নিতে পারে।’ কথাগুলি অরিজিৎ সিংয়ের। প্রসঙ্গ আর জি কর। বিশদ

31st  August, 2024
একনজরে
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ভিয়েতনাম। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত  ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও ১৪০ জন। ভিটেমাটি হারিয়ে পথে বসেছেন শয়ে ...

শেষবার উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর। মাঝের এই সময়ে ভূস্বর্গের উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। এম-টেকের ছাত্র ভাট ইরফান আহমেদের ...

লজ্জা। বিশ্বাস করুন, আনোয়ার ইস্যুতে ফেডারেশনের রায় শোনার পর প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। ফুটবলারের স্বার্থ দেখা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কর্তব্য। অথচ তার উল্টো পথেই হাঁটছে তারা। ফুটবল হাউস রাজনীতির আখড়া। জাতীয় দল নিয়ে ন্যূনতম পরিকল্পনাও নেই। ...

ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত প্রায় তিন লক্ষ জায়গায় এখনও সমস্যা মেটানো বাকি! অর্থাৎ, বহু জায়গায় ডেঙ্গুর মশার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অসমে দখল বিরোধী অভিযানে গিয়ে অশান্তি, পুলিসের গুলিতে হত ২, জখম ৩০

10:03:00 PM

মালদহের কালিয়াচকের মোজামপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী আসাদুল্লা বিশ্বাসকে দিল্লিতে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:02:00 PM

মেট্রোর লাইন ধরে হাঁটছিলেন তরুণী!
মেট্রোর লাইন ধরেই হাঁটা শুরু করেছিলেন তরুণী। বিষয়টি নজরে আসতেই ...বিশদ

10:01:00 PM

বিমানে চেপে মালকানগিরিতে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি

08:44:00 PM

প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি, শোকপ্রকাশ সোনিয়া গান্ধীর

08:41:00 PM

মালকানগিরিতে বৈঠক ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝির, রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ আহুজা

08:35:00 PM