Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। ১০০ দিনের কাজের খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন বিমল। দু’বছর হল সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। টাকা অবশ্য পেয়ে গিয়েছেন তিনি। সরকার দিয়েছে। কোন সরকার, কেন দিয়েছে, অত মাথা ঘামান না বিমল। খাটনির দাম পেলেই হল। এখন রাজমিস্ত্রির জোগানদানের কাজ করেন। তবে ঠিকাদারকে বলা আছে... পুজোয় তাঁকে ছাড়তেই হবে। ঢাকের মায়া কাটেনি যে এখনও। ভাদ্র মাস পড়লেই ফোন আসতে শুরু করে তাঁর। বায়নার ফোন। হাতটা বেশ মিষ্টি বিমলের। বাজাতে বাজাতে ঘোর লেগে গেল এখনও বাচ্চা-বুড়ো জড়ো হয়ে শোনে। গর্ব নেই, তৃপ্তি আছে। গত বছরই ঢাকের চামড়া পাল্টেছেন বিমল। কিন্তু এবার একটাও ফোন আসেনি এখনও। ভাদ্রের মাঝামাঝি ফাইনাল হয়ে যায় তাঁর। এখন বুকে একটু কাঁপুনি ধরছে। সবাই চারদিকে কীসব বলাবলি করছিল... এবার পুজো নিয়ে নাকি খুব দুশ্চিন্তা। লোকজন রাস্তায় নেমে পড়ছে। হাততালি দিয়ে, নেচে নেচে কীসব বলছে। সবচেয়ে বড় কথা, বড় বড় লোকেরা হাঁক পাড়ছে... ‘এই অবস্থায় পুজো হয় নাকি? বয়কট করুন।’ মাথার মধ্যে কালো মেঘ জমাট বাঁধছে বিমলের। ওই পাঁচটা দিনের জন্য তিন-চার হাজার টাকা ইনকাম হয় তাঁর। আট বছরের ছেলেটাও দু’বেলা দুটো ভালো খাবারের আশায় কাঁসি হাতে ছুটে যায় তাঁর সঙ্গে। পুজোর শেষে বকশিসের সঙ্গে মেলে পুরনো ভালো ভালো জামাকাপড়ও। এই তো পাঁচটা দিন মাত্র! গরিবের এইটুকু সুখও সহ্য হয় না বড় লোকগুলোর?
বিমল বাদ্যকর আপনার-আমার সবার চেনা। নামটা শুধু বদলে দিন। পুজোর সময় এই বিমলকেই আমরা দেখতে পাই। কখনও ঢাকি হিসেবে, কখনও ফুলের দিদি, আবার কখনও কুমোরটুলিতে দেবীকে ম্যাটাডোরে তুলে দেওয়া মুটে রূপে। পুজো মানে এদের কাছে রেস্তরাঁয় খাওয়া, প্যান্ডেল হপিং বা আউটিং নয়। পুজো মানে এদের কাছে জামা-জুতোর নতুন স্টক বা বোনাসও নয়। দুর্গাপুজোর পাঁচটা দিন মানে এরা বোঝে বাড়তি কয়েকটা টাকা আয়ের সংস্থান। ঢাকিদাদা ভাবে, টাকাটা পেলে মেয়েটার স্কুলের নতুন জুতো হবে। জলায় নেমে পদ্ম তুলে আনা নিতাই হিসেব কষে... আর এক ডজন তুলে দিতে পারলেই মায়ের জন্য একটা ছাপা শাড়ি হয়ে যাবে। পাড়ার মণ্ডপের পাশে রোলের ঠেলাগাড়ি দেওয়া বেকার যুবকটি স্বপ্ন দেখে, এর লাভের টাকা জমিয়েই একটা দোকান দেওয়ার মতো সংস্থান হয়ে যাবে। এরা কেউ সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে লেখে না। এরা বিপ্লব করে না। এরা উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান তুলে পথেও বসে না। এদের বলা কথাগুলোয় কোনও শব্দ নেই, আছে শুধু আকুতি... ‘মা, এই পুজোয় বন্যা দিও না’... ‘এবার পুজো কমিটিগুলোর যেন টানাটানির সংসার না হয়’... ‘এবার যেন বায়নাটা ভালো হয়।’ এই মানুষগুলোর সংখ্যা কত জানেন? কয়েক লক্ষ। বিলাসিতা করা এদের সাজে না। দেওয়াল লেখাও নয়। প্রতিদিন এদের লড়াই। বেঁচে থাকার। প্রতিদিন এদের যুদ্ধ জাস্টিসের জন্য। বড়লোকদের কাছে। সমাজের কাছে। কারা আজ তুলছে আওয়াজ দুর্গাপুজো বন্ধের? বয়কটের? কী স্বার্থ তাদের? কোন গিমিকে গা ভাসিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের পেটে লাথি মারতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা? বড় জানতে ইচ্ছে করে।
আসলে বিমল বাদ্যধর বা নিতাইদের অ্যাকাউন্টে মাসের ১ তারিখ বেতন ঢুকে পড়ে না। তারা বিদেশে শ্যুটিং সেরে ফিরে মহামিছিলে পা মেলায় না। আবার বাবার হোটেলে খেয়ে আইফোন হাতে প্রতিবাদী সেলফি তুলে ফুটানিও মারে না। অথচ তারা আছে এই সমাজেই। এরাই দিনের শেষে সমাজ-গাড়ির চাকা। নিঃশব্দ চালিকাশক্তি। একটা সমাজের ঢুকে থাকা অন্য এই সমাজটাকে আমরা দেখেও দেখি না। এটা আমাদের ব্যর্থতা? নাকি নির্বুদ্ধিতা? উত্তর অবস্থা বিশেষে বদলে যায়। বদলায় না এদের জীবনযাত্রা। এরা জানে, আট কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতে মেয়েটার কী কষ্ট হয়। এরা জানে, মাসে হাজার টাকা জোগাড় করতে রক্ত জল হয়ে যায়। তবু মেলে না। আর ‘ভিক্ষার দানে’ যদি কেউ এমনিই অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পৌঁছে দেয়? ওটাই তাদের কাছে আশীর্বাদ। শহর, শহরতলি বা সিস্টেমকে অচল করে দেওয়ার মধ্যে কোনও বাহাদুরি নেই। সত্যিই যদি সমাজের জন্য কিছু করতে হয়, এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। হঠাৎ একটা হুজুগ তুলে এদের পেটে লাথি মারার মধ্যে দিয়ে জাস্টিস আসে না। আসবে না। মোদ্দা কথাটা হল, প্রতিবাদের মূল মঞ্চ এখন দখল করে নিয়েছে রাজনীতি। এখানে সমাজ, মানুষ গুরুত্ব পায় না। প্রথম এবং একমাত্র শর্ত হয়ে দাঁড়ায় রাজনীতির বাঁশে ক্ষমতার পতাকা ওড়ানো। অভয়া, ডাক্তারি, খেটে খাওয়া মানুষ, পুজো... এই সবই রাজনীতির দাবাখেলায় ঘুঁটির ভূমিকায়। এক পক্ষ লাগাতার চাল দিয়ে চলেছে। অন্য পক্ষ ধৈর্য ধরছে। অপেক্ষায় আছে পাল্টা চালের। সবটাই ক্ষমতার লড়াই। আর ঘুঁটিরা ভাবছে, আমরাই তো সব করছি। রাজনীতি এবং বাংলাকে পঙ্গু করে দেওয়ার উদভ্রান্ত দৌড়ে আমরা মাথা তুলে একবারও তাকাচ্ছি না বারাণসীর দিকে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্র। আইআইটি-বিএইচইউয়ের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার বিজেপির আইটি সেলের কর্মী সাত মাসেই জামিন পেয়ে গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, তাদের রীতিমতো ফুল-মালা দিয়ে সংবর্ধনা হয়েছে। আপ্যায়ন করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেই মেয়েটির জন্য একটি মোমবাতিও কি আমরা কেউ কিনেছি? স্লোগানে বা প্ল্যাকার্ডে কি লেখা হয়েছে ‘দফা এক, দাবি এক, মোদির পদত্যাগ’? সেখানকার পুলিস কাকে আড়াল করেছে? সেই তদন্ত হচ্ছে না কেন? সিবিআই কেনই বা সেখানে কোনও সঞ্জয় বা সন্দীপ ঘোষকে খুঁজে বের করার দাবিতে আদালতের কাছে আর্জি জানাচ্ছে না? উত্তর আছে—ওখানে যে রাজনীতি করার কেউ নেই। মোদি হটাও বা যোগী হটাও স্লোগান বারাণসীতে পড়ে না। কেউ প্ল্যাকার্ড হাতে তাই বিচারও চায় না। ধরে নেওয়া গেল, উত্তরপ্রদেশে প্রতিবাদ গড়ে তোলার মতো কোনও জেনারেশন নেই। সমাজ নেই। বাংলায় তো আছে! তাহলে সিস্টেমের এই দৈন্য কেন অভয়ার প্রতিবাদ মঞ্চে উঠে আসছে না? কেন একটা প্ল্যাকার্ডেও ভেসে উঠছে না বারাণসী ওয়ান্টস জাস্টিস?
বাজারে একটা ভিডিও ক্লিপ চলছে। একটি অনুষ্ঠানে শ্রুতি হাসান পারফর্ম করছেন। আর দর্শকাসনের সামনের সারিতে বসে কুৎসিক অঙ্গভঙ্গি করছেন দক্ষিণের নামজাদা অভিনেতা মোহনলাল। পাশে হেসে গড়িয়ে পড়ছেন মামুট্টির মতো বর্ষীয়ান অভিনেতাও। শ্রুতি তো মোহনলালের মেয়ের বয়সি। অনুষ্ঠানে তাঁকে যে ক্যামেরা ফলো করবে, সেটাও তিনি খুব ভালো করে জানেন। তারপরও এমন আচরণে তাঁর বাধল না? আসলে সিস্টেমটাই এমন। অশিক্ষিত। প্রবৃত্তিনির্ভর। গোটা দেশ তোলপাড় পড়ে গিয়েছে মালায়লম ফিল্ম ইন্ডাস্টির যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে। সৌজন্যে, হেমা কমিটির রিপোর্ট। বহু প্রথম সারির অভিনেতা ও পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছে এই কমিটি। কারা তারা? সেই নাম প্রকাশ্যে খুব একটা আসেনি। সবটাই ভাসা ভাসা। কেরল সরকার ইতিমধ্যে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছে। সামান্থা রুথ প্রভু একইভাবে তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির রোশনাইয়ের নীচে জমাট বেঁধে থাকা অন্ধকার প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছেন। অর্থাৎ, প্রতিবাদ হচ্ছে। সঙ্গে তদন্তও। ইন্ডাস্ট্রির ভিতর এবং বাইরে... প্রত্যেক সাধারণ মানুষ বিশ্বাস রাখছেন, বিচার পাওয়া যাবে। তার জন্য রাজনীতি না করলেও চলবে। কেরলে দুনিয়ার সামনে হেনস্তা করে ক্রেডিট নিতে হবে না। বাংলায় অবশ্য যার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, যৌন নিগ্রহের অভিযোগ, তিনিই মিছিলে হেঁটে জাস্টিস চাইছেন। টিভি চ্যানেলের বুমের মুখে দাঁড়িয়ে সিস্টেমের বাপান্ত করছেন। কে তৈরি করেছে এই সিস্টেম? আপনি নিজেও কি তার কারিগর নন? পুলিসকে ঘুষখোর বলে বিষ উগরানোর আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন তো, ঘুষটা তাকে কে দেয়? কারা তৈরি করেছে এই ঘুষের সিস্টেম? এটাও কি রাজনীতি নয়? শুধু পার্টি করলেই রাজনীতি হয় না। প্রতিদিন ঘটে যাওয়া হাজার হাজার অপরাধ থেকে মুখ ঘুরিয়ে চলে যাওয়াটাও রাজনীতি? সুনাগরিক হিসেবে সঠিক কথাটা সর্বত্র বলতে হয়। শুধু মিছিল বা অবরোধে নয়। আমরা প্রত্যেকে জানা-অজানায় এই রাজনীতিরই শিকার? প্রতিবাদ রাজনীতি। সম্প্রতি এই বাংলার একটি গ্রামেই আদিবাসী এক যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাঁর জন্য মিছিলে কিন্তু একটাও মোমবাতি দেওয়া হয়নি? একবারও তাঁর জন্য ওঠেনি স্লোগান? কেন, তাতে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ হবে না? নাকি স্টেটাস আসবে না?
আর জি কর হাসপাতালের দেওয়ালে বেশ কিছু গ্রাফিত্তি ছিল। সচেতনতা প্রচার। কোথাও হাত ধোওয়ার পরামর্শ, কোথাও ভিড়ে মাস্ক পরার, আবার কোথাও হেঁচে-কেশে জীবাণু না ছড়ানোর। সেই সব লেখা বদলে গিয়েছে। আসল লেখার উপর রঙের পোঁচ পড়ে ফুটে উঠেছে নতুন লেখা। ওয়াশ ইওর হ্যান্ড হয়ে গিয়েছে ওয়াশ ইওর মাইন্ড। মন পরিষ্কার করার ডাক। কে করবে মন পরিষ্কার? উত্তরপ্রদেশ, কেরল, মহারাষ্ট্র, বাংলা... প্রবৃত্তি এবং তারপর বৈষম্য—এই চেইনটাই আজ সব রাজ্যের, সব সমাজের আইডেন্টিটি কার্ড। দগদগে এই ঘা সর্বত্র। ডাক্তার, আদিবাসী বা কাগজকুড়ানি, প্রত্যেককে আমরা আজও এক আসনে বসাতে পারিনি। আর এই সুযোগই নিয়ে চলেছে রাজনীতির কারবারিরা। সমস্যাটা সমাজে, মানসিকতায়। সেটাই জন্ম দিচ্ছে নোংরা রাজনীতির। আমাদের প্রত্যেকের মনেই যে স্বার্থান্বেষী চিন্তাভাবনা আর বৈষম্যের ঘুণপোকা বাসা বেঁধেছে। খেয়ে ফেলছে তারা সাধারণ ভাবনাচিন্তাকেও। ভুলে যাচ্ছে তারা, যে থালায় খাই, সেই থালাতেই মলত্যাগ করা যায় না। যে রাজ্য আমার জন্মভূমি, তাকে বদনামের এভারেস্টে বসালে আমারই শিক্ষা-সংস্কৃতির অপমান। ফুটবল খেলায় সবচেয়ে থ্যাঙ্কলেস জব গোলকিপারের। চারটে ভালো সেভ করার পর একটা মিস করলেই সব দায় তার কাঁধের উপর চেপে বসে। বাছাই করা শব্দে এবং বিশেষণে ভরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। আমরা ভুলে যাই, এই গোলকিপারই ৮৮ মিনিট আমাদের রক্ষা করেছে। আর এখানে ‘আমরা’ কারা? যারা প্রচার চাই... রাস্তায়, সোশ্যাল মিডিয়ায়, গাড়ির জানালার কাচের ওপারে। সবার আগে চাই রাজনীতি। অচল সমাজে দুর্বৃত্তায়ন সহজতর হয়। সেই চেষ্টাই চলে নিরন্তর। কেউ ফাঁদে পা দেয়, কেউ দেয় না। আজ আমরা সেই ফাঁদেই পা আটকে বসে আছি। কিন্তু জালে জড়িয়ে যাওয়া এমন মানুষের সংখ্যা কত? মেরেকেটে ৫ শতাংশের বেশি নয়। বাকিরা? পেটের জ্বালায় দিনরাত ছুটে যাওয়া গরিব প্রান্তিক মানুষ। ফোন কেনার জন্য তারা রোজগার করে না। দু’বেলা দু’মুঠো খাওয়াটাই তাদের স্বস্তি। পুজো তাদের কাছে বিলাসিতা নয়। কয়েকটা টাকা রোজগারের জন্য বছরের একমাত্র উৎসব। রাজনীতির অলিন্দে কে বিচরণ করবে, সেটাও কিন্তু এরা ঠিক করে। নিঃশব্দে। আঁতলামোয় তাদের পেট যেমন ভরে না, প্রভাবিতও করা যায় না। 
03rd  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
‘জাস্টিস চাই’ দাবির আড়ালে...
তন্ময় মল্লিক

‘নেমে গেলেই তো হল না। সবাই নামছে তো। আমরা আছি। নেমে কেওস না হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে গেলে তো হবে না। কেউ যদি ভাবে এটার সুযোগ নেবে, সুযোগ নিতে পারে।’ কথাগুলি অরিজিৎ সিংয়ের। প্রসঙ্গ আর জি কর। বিশদ

31st  August, 2024
একনজরে
পুজো অনুদান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো কমিটিগুলি চেক ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই জমা দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে ঢাকি থেকে মাইক, আলোকসজ্জার। পুজোর যাবতীয় খুঁটিনাটি বুকিং এখনই না সেরে ফেললে পরে সমস্যায় পড়তে হবে, বুঝতে পারছেন ...

বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তিন নাবালক সহ মোট পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ডোমজুড়ের ওই কিশোরীর বন্ধুরা ...

ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত প্রায় তিন লক্ষ জায়গায় এখনও সমস্যা মেটানো বাকি! অর্থাৎ, বহু জায়গায় ডেঙ্গুর মশার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ...

লজ্জা। বিশ্বাস করুন, আনোয়ার ইস্যুতে ফেডারেশনের রায় শোনার পর প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। ফুটবলারের স্বার্থ দেখা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কর্তব্য। অথচ তার উল্টো পথেই হাঁটছে তারা। ফুটবল হাউস রাজনীতির আখড়া। জাতীয় দল নিয়ে ন্যূনতম পরিকল্পনাও নেই। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অসমে দখল বিরোধী অভিযানে গিয়ে অশান্তি, পুলিসের গুলিতে হত ২, জখম ৩০

10:03:00 PM

মালদহের কালিয়াচকের মোজামপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী আসাদুল্লা বিশ্বাসকে দিল্লিতে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:02:00 PM

মেট্রোর লাইন ধরে হাঁটছিলেন তরুণী!
মেট্রোর লাইন ধরেই হাঁটা শুরু করেছিলেন তরুণী। বিষয়টি নজরে আসতেই ...বিশদ

10:01:00 PM

বিমানে চেপে মালকানগিরিতে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি

08:44:00 PM

প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি, শোকপ্রকাশ সোনিয়া গান্ধীর

08:41:00 PM

মালকানগিরিতে বৈঠক ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝির, রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ আহুজা

08:35:00 PM