Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। কর্মনাশা বন্‌঩ধের ভুলভুলাইয়ায়। আর অভয়া? যতদূর জানি সে কোনওদিন রাজনীতির ধারেকাছে ছিল না। নিষ্পাপ কর্তব্যপরায়ণ রোগীর স্বার্থে নিবেদিত আপসহীন এক ডাক্তার। তিন সপ্তাহ ধরে গরিব মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছেন না, এই অসহনীয় অবস্থা তাঁর ভালো লাগছে কি? অভয়া বিচার চায়, দোষীদের শাস্তি চায়, হাসপাতাল বন্ধ করে গরিবের লাশের পাহাড় দেখতে চায় না নিশ্চয়ই।
অভয়ার দুঃখের আর একটা কারণ সিবিআইয়ের ব্যর্থতা। একটাও প্রশ্নের মীমাংসা করতে পারেনি আড়াই সপ্তাহের তদন্তে। উল্টে শুধু বিভ্রান্তি বাড়িয়েছে হাজারো অপ্রমাণিত সম্ভাবনার ভাসা ভাসা ইঙ্গিত দিয়ে। কয়েকশো ঘণ্টা জেরা করে দেড় ডজন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও গ্রেপ্তার করতে পারেনি আর একজনকেও। হাইকোর্ট সহ সব মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে, সন্দীপ ঘোষ এখনও গ্রেপ্তার হলেন না কেন? সিবিআই কর্তারা নির্বাক। তাহলে কি কলকাতা পুলিসের পর বাড়তি আর কোনও প্রমাণ পাওয়াই গেল না? এখনও একজনই মাত্র ধৃত, তাও কলকাতা পুলিসের হাতে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ডিএনএ রিপোর্টও বলছে, সঞ্জয় নাকি একাই ধর্ষক। তবে সেমিনার রুমই প্লেস অব অকারেন্স (পিও) নাকি অন্য কোথাও—তার নিষ্পত্তি দেশের সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থা এখনও করতে পারেনি! কেন্দ্রীয় সরকারও রাজ্যের প্রস্তাব মেনে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে দোষীর কঠোরতম শাস্তি ফাঁসির আইন পাশ করায়নি। তেমন কোনও উদ্যোগও চোখে পড়ছে না। প্রশ্ন একটাই, বিচারের বাণী কি তবে নীরবে, নিভৃতে মিছিলে আর পথসভাতেই থেমে যাবে? যত দিন যাচ্ছে, সংশয় কিন্তু বাড়ছে নাগরিক সমাজের। কবে সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে, জানতে চায় ৩১ বছরের দু’চোখে স্বপ্নমাখা সেই খুন হওয়া ডাক্তারও। তাঁর কাছে এখন বিচার মানে তদন্তের জট খোলা, যা করতে আজ পর্যন্ত ব্যর্থ দেশের সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থা।
দেশের বৃহত্তম গোয়েন্দা এজেন্সি সিবিআই যত ব্যর্থ হবে, ধান্দাবাজ রাজনীতিকরা তত মিথ্যে ছড়িয়ে সমাজে অশান্তি ডেকে আনার চেষ্টা বাড়াবে। এটাই নির্মম সত্য। সাধারণ মানুষের নরম মন এবং বাঁধ না-মানা আবেগই ঘোলা জলে মাছ ধরার আদর্শ পরিবেশ। রাজনীতিতে এটাই দস্তুর। তাই লোকবল, সংগঠন থাকুক না থাকুক এই মধ্য ভাদ্রেই রাজনীতির কারবারিদের অকাল বসন্ত! বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, তাঁরাও কি ধর্ষকের চেয়ে কম বড় অপরাধী? এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা নিয়ে সঙ্কীর্ণ রাজনীতি বরদাস্ত করা যায়? ৯ আগস্টের পৈশাচিক খুন ও ধর্ষণ এবং তার অভিঘাতে স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতের ফুঁসে ওঠা নাগরিক আবেগ আজ ভারাক্রান্ত স্বার্থপর রাজনীতির কুটিল অনুপ্রবেশে। উঠতি সম্ভাবনাময় এক ডাক্তারের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডকে এভাবে কলুষিত করা যায় তাঁর বাবা-মার সামনে? দেখেশুনে মনে হচ্ছে, বিচার নয়, বারেবারে ভোট পাটিগণিতে বিফল হওয়ার পর তালেগোলে ক্ষমতা দখলই লক্ষ্য। বাংলাদেশের স্লোগান চুরি করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ পর্যন্ত দাবি করা হচ্ছে কোন আক্কেলে? এই বীরপুঙ্গবরা ঢাকার বুকে ঘটে যাওয়া গত ৫ আগস্টের পালাবদলের রিপ্লে চাইছে পশ্চিমবঙ্গের বুকে! এ তো দুঃস্বপ্ন! স্বপ্নে হাজার কোটির পালঙ্কে শোয়ার ইচ্ছা কার না হয়? কিন্তু সেই নিষ্পাপ মেয়েটা কি চায় তাঁর উপর নির্যাতন ঘিরে এত পঙ্কিল রাজনীতি ডানা মেলুক? নাকি সে সোচ্চারে বলছে, ‘ঢের হয়েছে, এবার আপনারা থামুন। আমার সারা গা জ্বলে যাচ্ছে।’
ব্যর্থ বিরোধীদের কেন এত গাত্রদাহ বলতে পারেন? প্রথমে একুশ সালের বিধানসভা ভোট, অমিত শাহরা শপথের প্রস্তুতি পর্যন্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। পকেটে পকেটে মন্ত্রিসভার সদস্যদের তালিকা পর্যন্ত ঘুরছিল। এক্সিট পোল এই বলেছে, এক্সিট পোল ওই বলেছে, কতশত ফিরিস্তি। ফল বেরতেই তা শতাব্দীর সেরা ফ্লপ শো’তে পর্যবসিত হয়। সেটা ছিল ২ মে ২০২১। আর মাত্র আড়াই মাস আগে লোকসভা ভোটে এরাজ্যে ৩০ আসন জেতার খোয়াব শেষপর্যন্ত থামে মাত্র ১২টিতে। একটা বেলুনকে আড়াই গুণ ফোলালে কী হয়? সশব্দে ফেটে যায়। বঙ্গ বিজেপিরও সেই দশা। গত ৪ জুন অষ্টাদশ সাধারণ নির্বাচনের ফল ঘোষণার ট্র্যাজেডি এখনও খুব একটা অতীত হয়ে যায়নি। পরপর হারের সেই হতাশা কাটাতেই এক তরুণী ডাক্তারের মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়েও রাজনীতির বেসাতি দিল্লির নির্দেশে। এবিভিপির সাহস নেই, মুরোদও নেই। বঙ্গ বিজেপিও বারবার ব্যর্থ। পাছে নাগরিক সমাজ নাম শুনেই প্রত্যাখ্যান করে, তাই রাতারাতি জন্ম নিল ভুঁইফোড় ছাত্রসমাজ। পিছনে কারা? সেই বিজেপি, এবিভিপি। নবান্ন অভিযানের নামে পুলিসের উপর আক্রমণে কি সায় থাকতে পারে সুস্থ নাগরিক সমাজের? অভয়ার?
এমন এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় কে বিচার চায় না বলুন তো! তাহলে কেন এত সন্দেহের জাল বোনা। আমরা-ওরা ভাগ করা। মৃত্যু নিয়েও মেরুকরণ। বিচার চাওয়ার আড়ালে গত মঙ্গল ও বুধবার (২৭ ও ২৮ আগস্ট) বাংলাকে অশান্ত করারই মরিয়া চেষ্টা চলল দিনভর। মুখ্য হয়ে উঠল দলীয় এজেন্ডা। একটা লাশ চাই, লাশ, যেন তাহলেই মোক্ষলাভ! উপোসী বেড়ালরা মাছের গন্ধে বেরিয়ে পড়ল স্বার্থসিদ্ধির আশায়। বেআব্রু হল বাংলার বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্রের ব্লুপ্রিন্ট। বিচার চাওয়ার চেয়েও বড় হয়ে সামনে এল অরাজকতা সৃষ্টির হীন চক্রান্ত। পথে ঘাটে আগুন জ্বললে ঘোলা জলে মাছ ধরার স্বপ্ন আপনা থেকেই চেগে যায়। ওটাই ব্যর্থ রাজনীতিকদের জেগে ওঠার অক্সিজেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনাও ফ্লপ করেছে। সাড়া মেলেনি আম জনতার। দু’দিনই সর্বসাকুল্যে পাঁচ-দশ হাজারের বেশি লোক রাজপথে নামেনি। কারণ, বাংলার মানুষ সেই ফাঁদে সাড়া দেয়নি। পুজোর মুখে ব্যবসায়ীরা হাঙ্গামা চায় না। তাহলে তাদের পেটে লাথি পড়ে যাবে। বাংলার নাগরিক সমাজ কি বামপন্থীদের ফাঁদেও পা গলিয়েছে? বোধহয় না। সেই হতাশা ঢাকতেই এক সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক বিচ্ছিন্ন মর্মান্তিক ঘটনাকে সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্তে পরিণত করার চেষ্টা চলছে প্রাণপণে। কিন্তু সেই মেয়েটির আত্মা, তাঁর বাবা-মায়ের আহত অনুভূতি এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার কি মেনে নিতে পারছে? নবান্ন অভিযান ও ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌঩ধে সেই নিষ্পাপ বিচার চাওয়ার আকুতি তো কোথাও তেমন টেরই পাওয়া গেল না। উল্টে রাজ্যটাকে অশান্ত করো, লাশ ফেল এবং ফায়দা লোটো। রাজপথে রক্তাক্ত হল পুলিস। কলকাতা পুলিসের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর একটা চোখ মারাত্মকভাবে জখম। সেইসব জখম পুলিস কর্মীদের জন্যও কি জাস্টিস চাইব না? দেবাশিস তো গরিব মানুষই, ঘরে তাঁর বাবা মা স্ত্রী আছে। তাঁর চোখটা নষ্ট হলে অভয়া তো বিচার পাবেই না, বরং আর একটা অবিচার জন্ম নেবে এই সমাজে? রোজ অবিচারের শিকার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পাওয়া গরিবরাও। তাঁদের বিশ, তিরিশ লাখের বিমা করা নেই যে বেসরকারি হাসপাতালে ছুটবে অসুস্থ হলেই।  
আসলে এটা হওয়ারই ছিল। প্রথমটায় গোপনে গোপনে আলগোছে। যদিও সে আগল ভাঙল যখন নবান্ন অভিযান ব্যর্থ হওয়ার হতাশা ঢাকতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বন্‌ধ ডাকতে বাধ্য হল গেরুয়া শিবির। সামনে চলে এল গোটা চক্রান্ত। বিচার নয়, ওরা লাশ চেয়েছিল। দোষীর ফাঁসি নয়, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও নয়, ফুঁসে ওঠা নাগরিক আবেগকে একটি বিশেষ রাজনৈতিক বিশ্বাসের দিকে টানতে চেয়েছিল। বাংলার সর্বস্তরের মানুষ বিচারের পক্ষে আছে, কিন্তু রাজনীতির রং-বেরংয়ের শামিয়ানা টাঙিয়ে রাম-বাম শক্তিকে পথ করে দেওয়ায় জন্য নয়।
আর গরিব মানুষ? জেলায় জেলায় সরকারি চিকিৎসার উপর নির্ভরশীল সাধারণ মানুষের জন্যও তো জাস্টিস চাই। গত তিন সপ্তাহ ধরে সরকারি হাসপাতালের কত মানুষ ন্যূনতম পরিষেবা না-পেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন, তার হিসেব কে রেখেছে? বারবার বলছি, এঁদের বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার আর্থিক সামর্থ্য নেই। এই বিরাট অংশের মানুষকে ভুলে গেলে সামগ্রিকভাবে সমাজ কি বিচার পাবে? ভুললে চলবে না, হাসপাতাল ও চিকিৎসা ব্যবস্থা এমন এক জরুরি পরিষেবার অঙ্গ যেখানে কর্মবিরতি, বন্‌ধ একঘণ্টার জন্যও চলে না। সেনাবাহিনী যদি অভিমান করে সীমান্ত খুলে দিয়ে দু’ঘণ্টার জন্য ভিতরে ঢুকে আসে, তাহলে কী হবে? সেখানে হাসপাতালে তিন সপ্তাহ বড্ড লম্বা সময়, নিশ্চয় বেঁচে থাকলে অভয়াও এতদিন একটানা কর্মবিরতি চাইতেন না। 
হালে একের পর এক ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্যে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে একাধিক। পিছিয়ে নেই রাজস্থানও। গাছ থেকে আদিবাসী দুই মেয়েকে ঝুলতে দেখা গিয়েছে। যোগীরাজ্যে ধর্ষণের পর বাবাকে পুলিসে অভিযোগ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু কোথাও তো সরকার বদলে দেওয়ার দাবি ওঠেনি। বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী গদি ছাড়লে তবেই বিচার মিলবে, এই সরলীকরণ কেন? একথা যাঁরা বলেন তাঁরা নিশ্চিতভাবে অন্য উদ্দেশ্যে চালিত হচ্ছেন। তাঁদের বিচার পাওয়ার আর্তিকে ছাড়িয়ে গিয়েছে রাজনীতির বাধ্যবাধকতা। এতে রাজ্যটারই ক্ষতি হবে। উৎসবের একমাস আগে এই অশান্তি রাজ্যের সামগ্রিক অর্থনীতির পক্ষে মোটেই সহায়ক হতে পারে না। সবাইকে বুঝতে হবে, বিচার চাওয়া মানে অতিরঞ্জিত মিথ্যা ছড়িয়ে সমাজে অশান্তি ও উত্তেজনা সৃষ্টি নয়। লাশের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি বন্ধ হোক। আমাদের বোন অভয়া সত্যিকারের বিচার পাক। কিন্তু তা রাজনীতির বিনিময়ে হলে আরও একটা বড় অন্যায় মাথাচাড়া দেবে। তখন তার বিচার করবে কে?
01st  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
‘জাস্টিস চাই’ দাবির আড়ালে...
তন্ময় মল্লিক

‘নেমে গেলেই তো হল না। সবাই নামছে তো। আমরা আছি। নেমে কেওস না হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে গেলে তো হবে না। কেউ যদি ভাবে এটার সুযোগ নেবে, সুযোগ নিতে পারে।’ কথাগুলি অরিজিৎ সিংয়ের। প্রসঙ্গ আর জি কর। বিশদ

31st  August, 2024
একনজরে
এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে ‘ফাঁকিবাজ’ চিকিৎসকদের তালিকা প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ রীতিমতো বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স ঘেটে গত ...

বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তিন নাবালক সহ মোট পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ডোমজুড়ের ওই কিশোরীর বন্ধুরা ...

লজ্জা। বিশ্বাস করুন, আনোয়ার ইস্যুতে ফেডারেশনের রায় শোনার পর প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। ফুটবলারের স্বার্থ দেখা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কর্তব্য। অথচ তার উল্টো পথেই হাঁটছে তারা। ফুটবল হাউস রাজনীতির আখড়া। জাতীয় দল নিয়ে ন্যূনতম পরিকল্পনাও নেই। ...

পুজো অনুদান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো কমিটিগুলি চেক ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই জমা দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে ঢাকি থেকে মাইক, আলোকসজ্জার। পুজোর যাবতীয় খুঁটিনাটি বুকিং এখনই না সেরে ফেললে পরে সমস্যায় পড়তে হবে, বুঝতে পারছেন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অসমে দখল বিরোধী অভিযানে গিয়ে অশান্তি, পুলিসের গুলিতে হত ২, জখম ৩০

10:03:00 PM

মালদহের কালিয়াচকের মোজামপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী আসাদুল্লা বিশ্বাসকে দিল্লিতে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:02:00 PM

মেট্রোর লাইন ধরে হাঁটছিলেন তরুণী!
মেট্রোর লাইন ধরেই হাঁটা শুরু করেছিলেন তরুণী। বিষয়টি নজরে আসতেই ...বিশদ

10:01:00 PM

বিমানে চেপে মালকানগিরিতে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি

08:44:00 PM

প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি, শোকপ্রকাশ সোনিয়া গান্ধীর

08:41:00 PM

মালকানগিরিতে বৈঠক ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝির, রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ আহুজা

08:35:00 PM