আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
ভারতই বিশ্বের সর্বাধিক চাল রপ্তানিকারক দেশ। আর আমদানির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি, বছরে প্রায় ৪০ লক্ষ টন চাল বিদেশ থেকে আনায় চীন। কিন্তু ভারতীয় চালের গুণমান খারাপ, এই ধারণা থেকে এতদিন এদেশ থেকে তা কিনত না বেজিং। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ধানের ফলন যথেষ্ট কম হওয়ায় থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মায়ানমার, পাকিস্তানের মতো চীনের চিরাচরিত চাল রপ্তানিকারকরাও এবার বিপাকে। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই ভারতের থেকে চাল কিনতে হচ্ছে তাদের। সূত্রের খবর, ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি ত্রৈমাসিকে চীনকে এক লক্ষ টন চাল পাঠানোর জন্য চুক্তি করেছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকরা। এক টন চালের দাম ধার্য হয়েছে ৩০০ ডলার। অন্যান্য দেশকে চালের জন্য টন প্রতি ৩৩০ ডলার দিয়ে থাকে চীন। এদিকে, লাদাখ সীমান্তে যুযুধান দুই দেশের মধ্যে চাল রপ্তানি শুরু হওয়ায় আশার আলো দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল। অতিরিক্ত উৎপাদনের ফলে প্রায় প্রতিবছর ভারতে ধানের দাম অনেকটাই কমে যায়। এর ফলে বিপুল ভর্তুকি দিয়ে সহায়ক মূল্যে তা কিনতে হয় সরকারকে। এবার চীন নিয়মিত চাল কেনা শুরু করলে, সেই সমস্যা অনেকাংশে মেটানো যাবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত। রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বি ভি কৃষ্ণ রাও বলেন, ‘এই প্রথম ভারতের থেকে চাল কিনছে চীন। গুণমান দেখে তারা আগামী বছর আরও বেশি চাল কিনতে পারে।’