বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
প্রথম ঘোষণায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট কমিয়ে সুযোগ করে দিয়েছে, ব্যাঙ্ক থেকে কম সুদে ঋণ গ্রহণ করতে। ওয়েজ অ্যাণ্ড মিনস অ্যাডভান্স খাতে কেন্দ্র ও রাজ্যকে ওভারড্রাফট নেওয়ার সুযোগ বাড়াতে উর্ধ্বসীমা বাড়ানো হয়েছে দুই দফায়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গতকাল যে একঝাঁক ঘোষণা করেছে সেগুলিও প্রধানত ঋণভিত্তিক সুবিধা প্রদান। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে আর্থিক সহায়তা করতে তারা যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে সচরাচর ঋণ গ্রহণ করে সেই নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারের অধীনে থাকা আর্থিক সংস্থাগুলিকে টাকার সংস্থান করে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। যাতে এই সংস্থাগুলি আরও বেশি করে ঋণ দিতে পারে ক্ষুদ্র সংস্থাকে। একই সঙ্গে ঋণ গ্রহণ করলেও সেটি নির্দিষ্ট ৯০ দিনের মধ্যে পরিশোধ না করা হলে যাতে এনপিএ (অনুৎপাদী সম্পদ) হিসেবে বিবেচিত না হয় সেটাও নিশ্চিত করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এবং আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ঋণ মেটানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
বস্তুত এভাবে একের পর এক ঋণ প্রদানের সুবিধা বৃদ্ধির ঘোষণার পর আগামীদিনে আরও প্যাকেজ ও সুরাহার ব্যবস্থা করা হবে বলে গতকাল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন উভয়েই আশ্বাস দিয়েছেন। বস্তুত গতকাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রিভার্স রেপো রেট কমালেও রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছে। ইঙ্গিত দিয়েছেন মুদ্রাস্ফীতির হার কমছে। সুতরাং আগামীদিনে আবার রেপো রেট কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তার অর্থ আবার ব্যাঙ্কগুলিতে ফিক্সড ডিপোজিটের উপর সুদের হার কমার সম্ভাবনা। এই সম্ভাবনা নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতান্তর দেখা দিয়েছে। ব্যাঙ্কগুলি মনে করছে এই লকডাউনের সময় যদি এভাবে লাগাতার সুদের হার কমানো হয় তাহলে আমানতকারীরা টাকা তুলে নিতে শুরু করবে। আর ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটে আগ্রহই থাকবে না। সেটাও যথেষ্ট ক্ষতিকর হবে ব্যাঙ্কের অর্থনীতির পক্ষে।
সুতরাং আগামীদিনে রেপো রেট কমানো নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পুনরায় কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে ব্যাঙ্কিং সেক্টর। পাশাপাশি পরবর্তী সরকারি ঘোষণায় সরাসরি কোনও আর্থিক প্যাকেজ পাওয়ার আশায় রয়েছে বাণিজ্য ও শিল্প মহল।