কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট বিশাল ঝাঝারিয়া জানিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে বন্দরের সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়টি তোলেন। তিনি জানান, কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর যে শুধু এ রাজ্যের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা নয়। গোটা পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি এর উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। অথচ নদীর নাব্যতার সমস্যা মিটছে না কিছুতেই। পলি জমার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিত্য ড্রেজিং করা জরুরি। ফরাক্কা থেকে বাংলাদেশকে জল দেওয়ার জন্য ভারত এবং বাংলাদেশ যে চুক্তি করে, তাতেই বলা হয়েছিল, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টকে ড্রেজিং বাবদ ভর্তুকি দেওয়া হবে। কিন্তু সেই ভর্তুকি এখনও বকেয়া আছে বলে অভিযোগ। প্রায় ৮০০ টাকা বকেয়া আছে ভর্তুকি। ওই টাকা যাতে কেন্দ্রীয় সরকার দিয়ে দেয়, তার জন্য অনুরোধ করেন বিশাল ঝাঝারিয়া। পাশাপাশি তিনি বলেন, এ রাজ্যে আবাসন শিল্পের অবস্থা মোটেই ভালো নয়। চাহিদা কমেছে, ক্রেতার আত্মবিশ্বাস কমেছে। তাই আবাসনের বিক্রি কম। তাতে ইস্পাত, সিমেন্ট, ফিটিং এবং ফার্নিসিং সেক্টর ধাক্কা খাচ্ছে। শুধু আবাসনের জন্যই আর্থিক ত্রাণ জরুরি, দাবি করেন এমসিসি’র প্রেসিডেন্ট।
ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট সীতারাম শর্মা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে দাবি করেন, উৎপাদন শিল্পের জন্য সরকার কোনও আকর্ষণীয় প্রকল্প ঘোষণা করুক। তা না করলে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা কঠিন। পাশাপাশি শিল্পক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টরের জন্য যদি সরকার কোনও রোডম্যাপ তৈরি করে, সেখানে বণিকসভার মতামত নেওয়া হোক, দাবি করেন তিনি। পূর্ব ভারতের ব্যবসা চাঙ্গা করতে সরকারের উচিত একটি ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি নেওয়া। তার দায়িত্ব দেওয়া হোক কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রককে। এতে শুধু যে পশ্চিমবঙ্গ উপকৃত হবে, তা নয়। পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির পাশাপাশি গোটা দেশই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সুবিধা পাবে। পাশাপাশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম সুদের হার এবং ব্যাঙ্কের টার্ম ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সুদ অন্তত ৯ শতাংশ রাখার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।