সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
(ডেম্বেলে, ভিটিনহা) (রাফিনহা-২, ক্রিস্টিনসেন)
প্যারিস: চুলের ছাঁটে নতুনত্ব, চোখে সানগ্লাস! ম্যাচের আগে পার্ক দ্য প্রিন্সেসে ঢোকার সময় অনেকেই চিনতে পারছিলেন না রাফিনহাকে। তবে জাত চেনাতে ভুল হয়নি ব্রাজিলিয়ান তারকার। বুধবার রাতে তাঁর জাদুতেই পিএসজির পাড়ায় গিয়ে তাদের হারাল বার্সেলোনা। পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৩-২ ব্যবধানে জয়ী কাতালন ক্লাবটি। রাফিনহার জোড়া গোলের পাশাপাশি স্কোরশিটে নাম তুলেছেন আন্দ্রিয়াস ক্রিস্টেনসেন। আর পিএসজি’র দুই গোলদাতা ওসুমানে ডেম্বেলে ও ভিটিনহা। বলাই বাহুল্য, অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়ের সুবাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমি-ফাইনালের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখল বার্সা। আগামী ১৬ এপ্রিল অ্যাওয়ে ম্যাচে পিএসজি ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা, সেটাই দেখার।
বুধবার এই মহারণে আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল গুরু-শিষ্যের লড়াই। অতীতে লুই এনরিকের প্রশিক্ষণে খেলেছিলেন জাভি। তবে মগজাস্ত্রের লড়াইয়ে এদিন প্রাক্তন কোচকে টেক্কা দিলেন বার্সার ঘরের ছেলে। বিপক্ষের সেরা অস্ত্র কিলিয়ান এমবাপেকে নিষ্ক্রিয় রাখার জন্য প্রশংসা প্রাপ্য জাভির। শুরুতে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল সাজালেও পরে তা বদলে হয় ৪-৪-২। ফলে মাঝমাঠ আরও জমাট দেখায়। ম্যাচে এমবাপেকে কড়া মার্কিংয়ে রেখেছিলেন তাঁর জাতীয় দলের সতীর্থ জুলিয়াস কৌন্দে। পিছনে ব্যাক-আপ রোনাল্ড আরাহু। আর তারই জেরে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে ব্যর্থ ফরাসি তারকা। তবে পার্ক দ্য প্রিন্সেসে প্রথম ২০ মিনিট পিএসজি’র আধিপত্য ছিল। এই পর্বে বেশ কয়েরবার দক্ষ হাতে কাতালন ক্লাবটির দুর্গ রক্ষা করেন গোলরক্ষক টার স্টেগেন। তবে ২১ মিনিটে গোল পেতে পারত বার্সেলোনাও। কিন্তু লিওয়ানডস্কির হেড দুরন্ত তত্পরতায় সেভ করেন পিএসজি গোলরক্ষক ডোনারুমা। শেষ পর্যন্ত ৩৭ মিনিটে গোলের খাতা খোলে বার্সা। ডান দিক থেকে লামিনে ইয়ামালের ক্রস ডোনারুমা হাত ছোঁয়ালেও বিপন্মুক্ত করতে ব্যর্থ। ফিরতি বল জালে জড়াতে অসুবিধা হয়নি রাফিনহার (১-০)। তবে এই লিড দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটেই পিএসজিকে সমতায় ফেরান ডেম্বেলে । আরাহুর ভুলে বক্সের সামনে বল পেয়ে ব্যক্তিগত দক্ষতায় জাল কাঁপান বার্সেলোনার প্রাক্তনী (১-১)। তার দু’মিনিটের মধ্যেই ভিটিনহার গোলের ২-১ লিড নেয় পিএসজি। এই পর্বে ম্যাচে আধিপত্য ছিল পিএসজি’র।
ডেম্বেলেদের অহরহ আক্রমণ সামালতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছিল বার্সার রক্ষণভাগ। তবে ৬১ মিনিটে সের্গি রবার্তো ও ইয়ামালের পরিবর্তে পেড্রি ও হোয়াও ফেলিক্সকে মাঠে নামিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দেন কোচ জাভি। পরের মিনিটেই পেড্রির ঠিকানা লেখা লব ধরে লক্ষ্যভেদ রাফিনহার (২-২)। এরপর রক্ষণ জমাট করতে ৭৬ মিনিটে ফ্র্যাঙ্কি ডে জংকে তুলে ক্রিস্টিনসেনকে নামান জাভি। সেটাও ফলপ্রসূ হয়। পরের মিনিটেই কর্নার থেকে গুন্দোগানের বাড়ানো বলে হেডে জাল কাঁপিয়ে বার্সেলোনার জয় নিশ্চিত করেন ক্রিস্টেনসেন (৩-২)।