বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
(রোনাল্ডো, বার্নাডেসচি)
সাম্পদোরিয়া- ০
তুরিন: ইতালিয়ান লিগ ও জুভেন্তাস, শব্দদু’টি ক্রমশই সমার্থক হয়ে উঠছে। সিরি-এ’তে এবারও তাদের শ্রেষ্ঠত্ব অটুট। রবিবার সাম্পদোরিয়াকে ২-০ গোলে হারানোর সঙ্গেসঙ্গেই খেতাবের স্বাদ পেল তুরিনের ওল্ড লেডি। এই নিয়ে টানা ন’বার লিগ ঢুকল তাদের ঘরে। ইউরোপের সেরা পাঁচটি লিগে অংশগ্রহণকারী আর কোনও দল যা পারেনি। উল্লেখ্য, দুই রাউন্ড আগেই বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে মরিসিও সারি-ব্রিগেড। সাম্পদোরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে স্কোরশিটে নাম তুলেছেন যথাক্রমে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও ফেডেরিকো বার্নাডেসচি। রবিবার মাঠে নামার আগে শেষ পাঁচটি
ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই পয়েন্ট নষ্ট করেছিল জুভেন্তাস। না হলে
খেতাব নিশ্চিত আগেই হয়ে যেত। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে ৩৬বার লিগ জিতল অ্যালায়েঞ্জ স্টেডিয়ামের ক্লাবটি।
ঘরের মাঠে খেতাব নিশ্চিত করতে দু’পয়েন্ট দরকার ছিল জুভেন্তাসের। সাম্প্রতিক ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছিলেন কোচ সারি। ম্যাচ শুরুর আগে ড্রেসিং-রুমে তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘গত কয়েকটি ম্যাচে আমরা সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারিনি। তবে তা এখন নিছকই অতীত। খেলাটাকে উপভাগ করতে পারলেই জয় নিশ্চিত। শুধু প্রথম ১৫-২০ মিনিট প্রতিপক্ষকে পরখ করে নিতে হবে।’ তাই পুরো পয়েন্টের লক্ষ্যে লিগ টেবিলে তলার দিকে থাকা সাম্পদোরিয়ার বিরুদ্ধে শুরুতে যথেষ্ট সাবধানী ছিল জুভেন্তাস। প্রথমার্ধে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি সুযোগ পেলেও, সংযোজিত সময়ে কাজের কাজটি সারেন রোনাল্ডো। ফ্রি-কিক থেকে পানিচ ছোট্ট টোকায় বল বাড়ান পতুর্গিজ মহাতারকাকে। প্রতিপক্ষ বক্সের বাইরে থেকেই লক্ষ্যভেদে নির্ভুল ছিলেন রোনাল্ডো (১-০)। চলতি মরশুমে এটি তাঁর ৩১তম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায় সাম্পদোরিয়া। তবে ৬৭ মিনিটে বার্নাডেসচির গোল সেই আশায় জল ঢেলে দেয় (২-০)। এরপর ম্যাচ থেকে ক্রমশ হারিয়ে যায় তারা। উল্টে ৭৭ মিনিটে মর্টেন থর্সবি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ায় দশজনে খেলতে হয় সাম্পদোরিয়াকে। শেষ লগ্নে রোনাল্ডো পেনাল্টি মিস না করলে, জুভেন্তাস আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত। শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধান ধরে রেখে শিরোপা জয়ের সেলিব্রেশনে মাতে গোটা দল। ইউরোপিয়ান ফুটবলে সেরা পাঁচ লিগে জুভেন্তাস সব থেকে বেশি ঘরোয়া খেতাব জয়ের নজির গড়েছে। এরপর রয়েছে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। তারা ৩৪ বার লা লিগা খেতাব পেয়েছে।