বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি, সচিব জয় শাহ টেলি কনফারেন্সে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে অংশ নেবেন। কারণ তাঁরা ইতিমধ্যেই মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। তাই আইনি দিক থেকে বোর্ডের কোনও বৈঠকে হাজির থাকতে এখন সমস্যা নেই সৌরভ-জয়দের।
আইপিএলের ক্রীড়াসূচির যে খসড়া তৈরি করেছে বিসিসিআই, তা নিয়ে সম্প্রচারকারী সংস্থা খুশি নয়। কিন্তু বিসিসিআই চাইছে, ৫০ দিনেই পূর্ণাঙ্গ টুর্নামেন্ট সম্পন্ন করতে। তবে সম্প্রচারকারী সংস্থার দাবি মেনে শনি ও রবিবার ছাড়া সপ্তাহে আর কোনও দিন দু’টি করে ম্যাচ হয়তো রাখা হবে না। তাতে সম্প্রচারকারী সংস্থাটি খুশি হবে বলেই আশা বোর্ড কর্তাদের। এদিকে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই যেহেতু আইপিএল হচ্ছে, তাই আলাদা গাইডলাইনও তৈরি করবে বোর্ড। যা মেনে চলতে হবে প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (সপ) কপি তুলে দেওয়া হবে প্রতিটি দলের হাতে। ক্রিকেটাররা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন কিনা, সেই ব্যাপারটি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্তার মতে, ‘দু’মাসের বেশি সময় পরিবারকে ছেড়ে থাকাটা কঠিন। কিন্তু এটাও ঠিক, খুবই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে এবার আমাদের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হচ্ছে। তাই ক্রিকেটার কিংবা সাপোর্ট স্টাফরা তাঁদের স্ত্রী, সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। যদি অনুমতি দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের আলাদা থাকার ব্যবস্থাও করতে হবে। কারণ ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে মাঠ এবং হোটেলে জৈবিক সুরক্ষা বলয় তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে। পরিবারের সদস্যরা সেক্ষেত্রে হোটেলের বাইরে ঘোরাফেরা করতে পারবেন না।’
খেলা যেহেতু দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হবে, তাই মাঠে ঢোকার কোনও প্রশ্ন নেই। এই ব্যাপারগুলি সম্পর্কে ফ্র্যাঞ্চাইজিদেরও মতামত নেওয়া হবে। আসলে যত বেশি লোক নিয়ে যাওয়া হবে, সমস্যা তত বাড়বে। এমনিতেই আটটি দলের ক্রিকেটার সাপোর্ট স্টাফ এবং অফিসিয়ালদের পাশাপাশি বিসিসিআই, ব্রডকাস্টার, আম্পায়ার সহ অনেকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। অন্য সময় হলে কোনও সমস্যা হত না। কিন্তু করোনার জেরে পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। সব কিছুই নিয়ম মেনে করতে হবে। এদিকে, চীনের একটি বাণিজ্যিক সংস্থা আইপিএলের স্পনসর থাকবে কি না, তা নিয়েও গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।