একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
কেরিয়ারের গোধূলিতে দাঁড়িয়ে থাকা ইউনিস ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়ে যান। পর দিন ব্রেকফাস্ট টেবিলে তাঁকে ব্যাটিং সংক্রান্ত কিছু পরামর্শ দিতে গিয়েছিলেন গ্রান্ট ফ্লাওয়ার। কিন্তু ব্যাটিং কোচের দাওয়াই একদম পছন্দ হয়নি ইউনিসের। মুহূর্তের মধ্যে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তিনি। ফ্লাওয়ার বলছেন, ‘ইউনিসকে সামলানোটা বেশ মুশকিল কাজ ছিল। ও যে অনেক বড় মাপের ব্যাটসম্যান ছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দুর্দান্ত বর্ণময় কেরিয়ার। পরিসংখ্যানের বিচারে আমার সঙ্গে ওর কোনও তুলনাই চলে না। পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান করেছে সে। কিন্তু ওর মেজাজ বোঝা ছিল দায়। ব্রিসবেনে ২০১৬ সালের একটা ঘটনার কথা আমার মনে পড়ছে। টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন জলখাবারের টেবলে ওকে ব্যাটিং নিয়ে কিছু উপদেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার পরামর্শ সে একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি। রাগে রীতিমতো রণমূর্তি ধারণ করল। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই টেবল থেকে ছুরি তুলে নিয়ে আমার গলায় চেপে ধরল। দলের প্রধান কোচ মিকি আর্থারও তখন সেখানে উপস্থিত। মিকির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।’ রেগে গেলেও ইউনিস সম্ভবত গ্রান্টের উপদেশ শুনেছিলেন। ব্রিসবেনে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৫ রান করার পর সিডনিতে সিরিজের শেষ টেস্টে অপরাজিত ১৭৫ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছিলেন ইউনিস।
গ্রান্ট ফ্লাওয়ার অবশ্য বলছেন, কোচিং করাতে গেলে এমন একটু-আধটু ঝামেলা পোহাতেই হয়। তাঁর কথায়, ‘এগুলিও কোচিংয়ের অংশ। তবে আমি এটা উপভোগ করেছি। এখনও অনেক কিছুই শেখার বাকি রয়েছে।’ সেই সঙ্গে তিনি জানান, পাকিস্তান দলে কাজ করতে গিয়ে আর একটি অদ্ভুত চরিত্র সামলাতে হয়েছে তাঁকে। তিনি হলেন ওপেনার আহমেদ শাহজাদ। তাঁকে নিয়ে ফ্লাওয়ার বলেন, ‘ও খুবই দক্ষ ব্যাটসম্যান। কিন্তু ততটাই অবাধ্য। প্রত্যেক দলেই এমন কিছু অবাধ্য খেলোয়াড় থাকে।’