কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
২০১৪ সালে ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে পথ চলা শুরু হয়েছিল বাঙ্গারের। এই সময়কালে সাফল্যের শীর্ষ ছুঁয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ৫২টি টেস্টে জয় পেয়েছে ৩০টিতে। হার মাত্র ১১। এছাড়া ১২২ ওয়ান ডে’তে কোহলিরা জিতেছেন ৮২টি ও হেরেছেন ৩৫টি ম্যাচে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছে দল। ৬৬টি ম্যাচের মধ্যে জয় ৪৩টি ও হার ২১টি’তে। বাঙ্গারের তত্ত্বাবধানে তিন ধরনের ফর্ম্যাট মিলিয়ে গত পাঁচ বছরে ১৫০টি সেঞ্চুরি (টেস্টে ৭০, ওয়ান ডে’তে ৭৪, টি-টোয়েন্টিতে ৬) করেছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। এমন নজর কাড়া সাফল্যের পরেও চাকরি রক্ষা হয়নি বাঙ্গারের। শুধুমাত্র তিনি ছাড়া রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে কাজ করা বাকি সহকারী কোচের সঙ্গেই নতুন চুক্তি করেছে বিসিসিআই। স্বভাবতই হতাশ ভারতের প্রাক্তন ব্যাটসম্যানটি। বাদ পড়ার পর এই প্রথম মুখ খুললেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে বাঙ্গার জানিয়েছেন, ‘টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে এতদিনের সম্পর্কে ছেদ পড়লে খারাপ তো লাগবেই। কিন্তু এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। দলের স্বার্থে তারা যা ভালো বুঝেছে করেছে। তবে জাতীয় দলের সঙ্গে আমাকে পাঁচ বছর কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য বিসিসিআইয়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি আমি ধন্যবাদ জানাব ডানকান ফ্লেচার, অনিল কুম্বলে ও রবি শাস্ত্রীকে, যাঁরা আমাকে তাঁদের সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে চলেছেন। এখন আমি দায়িত্বে না থাকলেও সর্বদাই দলের সাফল্য প্রার্থনা করব। আশা করব, নতুন ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর দলকে আরও উজ্জ্বল সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন। আমার শুভেচ্ছা রইল।’ বাঙ্গার সেইসঙ্গে বলেন, ‘তবে এই বাদ পড়াটাকে আমি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে কাজে লাগাতে চাই। জাতীয় দলের সঙ্গে টানা কাজ করার ফলে কোচ হিসেবে অভিজ্ঞতা বাড়লেও নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করার ফুরসত পাইনি। কিছুদিন বিশ্রামে কাটিয়ে এবার সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে চাই।’