কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
এদিন ম্যাচ চলাকালীন এরিয়ান কোচ রাজদীপ নন্দীকে চিৎকার করে স্প্যানিশ কোচ বলছিলেন, ‘প্লে ফর উইন, প্লে ফর উইন’। ম্যাচের পর এরিয়ানের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ভিকুনা। পরিষ্কার বললেন, ‘ওরা তো সারাক্ষণ সময় নষ্ট করার খেলা খেলে গেল। একে ঠিক ফুটবল বলে না। তবে আমি কোনও অজুহাত দিতে চাই না। ওদের প্রথম গোলটাই টার্নিং পয়েন্ট। দ্বিতীয় গোলটার ক্ষেত্রে আমাদের ডিফেন্ডারদের যথেষ্ট দায় রয়েছে।’
মোহন বাগানকে হারিয়ে এরিয়ান কোচ রাজদীপ নন্দী পুরোপুরি কৃতিত্ব দিলেন বাবা রঘু নন্দীকে। রাজদীপ বললেন, ‘পুরোপুরি বাবার পরিকল্পনায় আজ আমরা জিতেছি। আমাদের লক্ষ্যই ছিল, ওদের রাইট ব্যাক চুলোভাকে ওভারল্যাপ করতে না দেওয়া। তাই আমাদের লেফট উইং হাফকে সেন্টার লাইনের উপর উঠতে নিষেধ করেছিলাম। আর মোহন বাগানের বেইতিয়াকে অকেজো করে দেওয়ার সুফল আমরা পেয়েছি। এই মোহন বাগানে ভালো স্ট্রাইকারের অভাব। সালভা চামোরোর হেড ছাড়া কিছুই নেই। তারপর দেখলাম, ওরা খুবই ক্যাজুয়াল ছিল। হয়তো আমাদের হাল্কাভাবে নিয়েছিল। ৮০ মিনিটের পর মোহন বাগান ফুটবলাররা দাঁড়িয়ে পড়ছেন। এই সুযোগটাই আমরা কাজে লাগিয়েছি।’ রাজদীপের আবেদন, বড় ক্লাব গুলি বিদেশি কোচের উপর বেশি নির্ভর না করে বাঙালি কোচেদের উপর একটু ভরসা রাখুক। তাহলে সুফল পাবে।
এদিন এরিয়ানের প্রথম গোলদাতা ডায়মন্ড গ্যাচকে খেপের মাঠ থেকে তুলে এনেছেন রঘু নন্দী। দু’বছর ধরে গ্যাচ এরিয়ানে রয়েছেন। এদিন তিনি প্রথম বড় দলের বিরুদ্ধে গোল পেলেন।
এদিন মোহন বাগানের হারের পর গ্যালারিতে মৃদু উত্তেজনা তৈরি হয়। বিক্ষিপ্ত জলের বোতল উড়ে আসে। তবে পুলিস দারুণ তৎপরতায় রেফারিদের কর্ডন করে মাঠের বাইরে বের করে দেন। এদিন মিডিয়া বক্সে বসে মোহন বাগানের খেলা দেখলেন দুই বিদেশি স্টপার ড্যানিয়েল সাইরাস, উইং হাফ জুলেন ওলাইজোলা। দু’জনই শুক্রবার আইএফএ অফিসে সই করবেন। ভিকুনার কথা শুনে মনে হল, আই লিগের জন্য জুলেনকে তৈরি করবেন। যাতে আপফ্রন্টে সালভাকে আর বেশি সাপোর্ট পান। তার আগে এই বিদেশিদের বাংলাদেশের শেখ জামাল কাপে পরীক্ষা করে নিতে চান স্প্যানিশ কোচ।