পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
খেলার মাঠে গিয়ে উৎসাহবশত নাড়া পোড়ানো দেখতে গিয়ে গায়ে আগুন ধরে যায় বছর ছয়েকের এক শিশুর। ঘটনার তিনদিন পর শনিবার সকালে চিকিৎসারত অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই শিশুর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম ফতেমা খাতুন (৬)। বাড়ি বহরমপুর থানার গোবিন্দপুর। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বহরমপুর থানার পুলিস।
মৃত শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চারদিন আগে গোবিন্দপুর ফুটবল মাঠের পাশে আমন ধান ওঠার পর সেই জমিতে আগুন ধরিয়েছিলেন কেউ বা কারা। মেশিন দিয়ে ধান কাটার ফলে প্রচুর খড়কুটো জমিতে পড়েছিল। সেই খড়কুটো দাউদাউ করে জ্বলছিল। জমিতে নেমে আগুন জ্বলার দৃশ্য দেখছিল বেশ কয়েকজন। সেই আগুন কোনওভাবে ফতেমার জামায় ধরে যায়। শীতের পোশাক দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে। ছোট্ট শিশু ফতেমাকে আর্তনাদ করতে দেখে খেলার মাঠ থেকে ছেলেরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। সঙ্গে সঙ্গে কর্ণসুবর্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তড়িঘড়ি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। মৃতের বাবা গাফফার আলি বলেন, সমবয়সিদের সঙ্গে খেলছিল। কৌতূহলবশত মাঠে নেমেই নাড়া পোড়ানোর আগুন গায়ে ধরে গিয়েছিল। যে বা যারা মাঠে আগুন ধরিয়েছে, তারা মোটেই উচিত কাজ করেনি। নাড়া পোড়ানো নিষেধ হওয়া সত্ত্বেও কৃষিদপ্তরের উদাসীনতায় মেয়ের প্রাণ গেল।
একই সুরে স্থানীয় বহু মানুষ সুর চড়িয়েছেন। যদিও কৃষিদপ্তরের দাবি, বিজ্ঞাপন দিয়ে নাড়া পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ৩ নভেম্বর নাড়া পোড়ানো প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়েছে। চাষিদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়াও হয়েছে। চাষিরা সচেতন না হলে নাড়া পোড়ানো বন্ধ করা সম্ভব নয়। - প্রতীকী চিত্র