পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
শুক্রবার পুরুলিয়ার সার্কিট হাউসে জাইকা ও জল জীবন মিশন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন করেন মন্ত্রী। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের মন্ত্রীর রোষের মুখে পড়তে হয়। বেশ কয়েকজনকে ধমকও দেন। কাজে কেন এত গড়িমসি হচ্ছে, তা আধিকারিকদের কাছে জানতে চান। আধিকারিকরা জবাব দিলেও তাতে সন্তুষ্ট হননি মন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জঙ্গলমহলের এই জেলা মুখ্যমন্ত্রীর হৃদয়ে। পুরুলিয়ার জলকষ্ট দূর করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দপ্তরের গুটিকয়েক আধিকারিকের গড়িমসির জন্য পুরুলিয়ার মানুষকে জলকষ্ট সহ্য করতে হবে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগেই জাইকা ও জল জীবন মিশন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক রজত নন্দা। বৈঠকে, মার্চের মধ্যেই জাইকার ট্রায়াল রান শুরু হবে যাবে বলে জেলাশাসককে আশ্বস্ত করেছিলেন প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়াররা। গ্রীষ্মের আগে জাইকার জল পাওয়ার ব্যাপারে কিছুটা আশার আলো দেখেছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু, শুক্রবারের বৈঠক সূত্রের খবর, মার্চের মধ্যে ট্রায়াল রান শুরু হলে সব এলাকায় সেই জল পৌঁছবে না। পুরো দমে জাইকার জল পেতে অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ, এখনও একটা বছরের অপেক্ষা! এতেই চরম বিরক্ত হন মন্ত্রী! ধমকের সুরে তিনি বলেন, ‘বহু বছর ধরেই তো এই একই কথা শুনছি! এত সময় নিলে কীভাবে হবে?’
প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের অবশ্য যুক্তি, পাইপলাইনের কাজ প্রায় ১০০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ওভারঅল কাজ ৮২শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু, মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে যে জল উত্তোলনের কাজ চলছে, সেই কাজ এখনও বহু বাকি রয়েছে। আধিকারিকদের অবশ্য দাবি, জমিজটের কারণে সেই কাজ শুরুই হয়েছে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কাজ শেষ করতে ৩০মাস সময় চেয়েছিল ঠিকাদারি সংস্থা। কিন্তু, সেই সময় কমাতে দিনরাত এক করে কাজ চলেছে। আশা করছি অক্টোবরের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।
এরই পাশাপাশি জল জীবন মিশন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। যে সমস্ত ঠিকাদার সময়ে কাজ শেষের প্রতিশ্রুতি দিয়েও কাজে গড়িমসি করছে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি ব্ল্যাকলিস্টেড করারও হুঁশিয়ারি দেন। তবে, জল নিয়ে সরকারে বিরুদ্ধে নিয়ে যে অপপ্রচার হচ্ছে, তাও রুখতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেন। মন্ত্রী বলেন, পাইপলাইনের সংযোগ দেওয়া হয়েছে মানেই যে জল পড়বে, তার কোনও মানে নেই। কাজ সম্পূর্ণ হতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। অনেক জায়গাতেই পাইপলাইন সংযোগ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ওভারহেড ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ শেষ হয়নি। এইসব নানা কারণ আছে। কিন্তু বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। ভুল ভাঙাতে মন্ত্রী জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেন।